একজন কর্মঠ ভালো মানুষের গল্প।পর্ব -১।

in আমার বাংলা ব্লগ11 months ago (edited)
আমার প্রিয় বন্ধুগন, সবাই কেমন আছেন? সবাইকে আমার আন্তরিক মোবারকবাদ এবং অন্তরের অন্তস্থল থেকে আপনাদেরকে জানাই শুভেচ্ছা।
সবাইকে স্বাগতম আমার নতুন পোষ্টে,আবার ও হাজির হলাম আপনাদের সামনে নতুন একটি পোষ্ট নিয়ে।

একজন কর্মঠ ভালো মানুষের গল্প।পর্ব -১

construction-worker-569126_1280.jpg
Source

একটা মানুষ তার জীবনের ৭০ টা বছর ফ্যামিলি আত্মীয়-স্বজন সবার পিছনে ব্যয় করেছে।ব্যয় করেছে তার অর্জিত যতটুকু সম্ভব হয়েছে। মাথার ঘাম পায়ে ফেলে তার শরীরে যতটুকু শক্তি ছিল সেই শক্তিকে খাটিয়ে উপার্জিত অর্থ সবার পিছনে ব্যয় করেছেন। অথচ একটা সময় যখন তার নিজের সবার কাছ থেকে সহযোগিতার প্রয়োজন, সেই সময় কেউই তার পাশে এসে দাঁড়ায় না। হ্যাঁ বন্ধুরা এরকম একটি গল্প আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি। চলুন বন্ধুরা শুরু করি।

একটা লোক অভাব অনটনের সংসারে ক্লাস ৮ পর্যন্ত পড়ে। তৎকালীন ক্লাস এইট পর্যন্ত পড়াও অনেক ছিল। কারণ অভাব অনটনের সময় এ পর্যন্ত পড়া সবার ভাগ্যে জোটে না। যাইহোক সেই লোকটি পড়াশোনার পাশাপাশি ইলেকট্রিকের কাজ করতো। তার এক বন্ধু বা বড় ভাইয়ের দোকানে থেকে কাজ শিখতেন তিনি। প্রতিনিয়ত বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে ইলেকট্রিকের কাজ করতো।

এভাবে করতে করতে অনেক ভালো একজন ইলেকট্রিশিয়ান হয়ে যান তিনি।তখন সবার এলাকায় কারেন্ট ছিল না গুটি কিছু গ্রাম ছাড়া।তাদের এলাকায় ও কারেন্ট ছিল না। সেই ব্যক্তিটি এবং তার বাড়ির আরো কিছু সহপাঠী মিলে ওই গ্রামে কারেন্ট আনার উদ্যোগ নেন।যেহেতু তিনি ভালো একজন ইলেকট্রিশিয়ান ছিলেন, তাই তিনি নিজেই সবকিছু করে ওই এলাকায় কারেন্টের উদ্ভাবন ঘটান।

তিনি পড়াশোনা ছেড়ে দিয়েছেন কিন্তু কাজ করতেন।তবে ফ্যামিলি জানতো না যে তিনি পড়াশোনা ছেড়েই কাজ করছেন। ফ্যামিলির সবাই ভাবতো পড়াশোনা চলতেছে কাজও চলতেছে।কিন্তু না অভাব অনটনের জন্য তিনি পড়াশোনা ছেড়েই দিয়েছিলেন।আর কাজের পিছনে তিনি মরিয়া হয়ে উঠেন।একদিন অনেক দূরে একটা জায়গাতে তিনি কারেন্টের পিলারের একটা কাজ পান।

সেই পিলারে উঠে তিনি কাজ করতে ছিলেন। হঠাৎ শর্ট খেয়ে পিলার থেকে পড়ে যান। পড়ে যাওয়ার পর সাথে সাথে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। তখন যে বাড়ির সামনে পিলার থেকে পড়েছিল, সে বাড়ির লোকজন তাকে তাদের বাড়িতে নিয়ে যায় এবং চিকিৎসা করেন।প্রায় দুইদিন পরে তিনি তার বাড়িতে ফিরে আসেন মা-বাবার কাছে। তখন তো কোন ফোন ছিল না যে ফোন করে জিজ্ঞাসা করবে কোথায় আছে।

সবাই ভেবেছে হয়তো কোথাও কাজ পেয়েছে। যার কারণে আর বাড়িতে আসতেছে না। অথচ এদিকে লোকটি তো মারাও যেতে পারতো। কিন্তু সেই টেনশন তো আর কারো নেই কারণ তারা তো জানতোনা। যাই হোক যখন বাড়িতে আসলো তখন সবাই জিজ্ঞাসা করতেছে কিরে দুইদিন কোথায় ছিলে। তখন তিনি উত্তর দেন যে এরকম একটা জায়গাতে গিয়েছিলাম তখন এরকম একটা বিপদ আমার সাথে ঘটেছিল। অবশেষে আমি এখন সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরলাম।যাই হোক সবাই তখন আফসোস করতে লাগলো।বাকিটা আগামী পর্বে.......

তো বন্ধুরা আজকে এতটুকু ,আশা করি আগামীতে ভিন্ন রকম পোষ্ট নিয়ে আবারো আপনাদের সাথে হাজির হবো। আর আমার পোষ্ট এ যদি কোন ভুল ত্রুটি থাকে সেটা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।এই বলে আজকের মত এখানেই বিদায় নিলাম।

আজ আর নয়, আপনার নিকটতম এবং প্রিয়জনদের সাথে সুস্থ ও নিরাপদে থাকুন, নিজের যত্ন নিন। আপনার দিনটি শুভ হোক


VOTE @bangla.witness as witness

witness_proxy_vote.png

OR

SET @rme as your proxy


witness_vote.png


steempro....gif

ফোনের বিবরণ

ক্যামেরাস্যামসাং গ্যালাক্সি
ধরণঅনুভূতি
ক্যামেরা.মডেলএম ৩২
ক্যাপচার@nevlu123
সম্পাদনারিসাইজ &সেচুরেশন।
অবস্থানবাংলাদেশ

images (2).png

𝒩ℰ𝒱ℒ𝒰123

images (2).png

20211126_191305.jpg

আমি বাংলাদেশ থেকে ইমদাদ হোসেন নিভলু।আমার স্টিমিট আইডি হল @nevlu123।আর Nevlu123 নামে আমার একটি ডিসকোর্ড অ্যাকাউন্ট আছে।বর্তমানে আমার তিনটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে, আর সেই তিনটি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি আমি স্টিমিট এ কাজ করি।জাতিগতভাবে আমি মুসলিম। কিন্তু ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি। কারণ আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি, তাই ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি।আমার সবচাইতে বড় শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাঘুরি করা।এ পর্যন্ত আমার তিনটি দেশ ভ্রমণ করা হয়েছে যদিও আরও ইচ্ছে রয়েছে অন্যান্য দেশ ভ্রমণ করার।যাইহোক শখের মধ্যে আরো রয়েছে গান,ভিডিও ইডিটিং ফটোগ্রাফি, ভিডিওগ্রাফি আর্ট এবং টুডি থ্রিডি ডিজাইন এর কাজ।
images (2).png

সবার প্রতি শুভেচ্ছা এবং এই পোস্টটি সমর্থনকারী সকল বন্ধুদের বিশেষ ধন্যবাদ।

gifeditor_20181225_230443.gif

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 11 months ago 

সাপোর্ট করে যাচ্ছেন দেখে ভালো লাগে।।,

 11 months ago 

📹🙏🙏

 11 months ago 

মানুষ আসলে টাকাই চেনে শুধু। টাকা দিতে না পারলে এতদিন উপার্জন করা মানুষটাকেও ভুলে যায়। অনেক খারাপ লাগছে উনার জন্য। পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।ধন্যবাদ ভাইয়া গল্পটি শেয়ার করার জন্য।

 11 months ago 

ঠিক ভালো লাগলো ভাই।

 11 months ago 

পৃথিবীটা বড় একটা অদ্ভুত জায়গা ভাই। প্রত্যেকটা মানুষ তার পরিবারের জন্য কত কিছু করে। একটা মানুষ নিজের জন্য ভাবে না। এই ব্যক্তির কথায় চিন্তা করেন যদি উনি এই কারেন্টের শট খেয়ে মারা যেত তাহলে কি হতো। দুইদিন ধরে তার কোন খোঁজ নেই। পরিবারে মাথায় এ ধরনের চিন্তা আসে নাই যে তার এমন বিপদ ঘটেছে। তিনি যদি এই ঘটনাগুলো না বলতেন তাহলে তার পরিবারের কাছে এটা অজানাই থেকে যেতে। পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম ভাই।

Posted using SteemPro Mobile

 11 months ago 

পর্ব শেয়ার করেছি ভাই।

 11 months ago 

ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে দারুণ একটি পোস্ট লিখে শেয়ার করেছেন। আসলে আমি মনে করি প্রতিটা মানুষ তার পরিবারকে ভালো রাখার জন্য প্রতিনিয়ত অনেক কষ্টের মধ্যে দিন পার করছে। আসলে ভাই মানুষ শুধুমাত্র টাকাকে বেশি ভালোবাসে শরীরের কোন মূল্য দিতে বোঝেনা। এই যে দুদিন ধরে নিখোঁজ আছে পরিবার তার জন্য কোন চিন্তাও করেনি এই বিষয়টি সত্যিই আমার কাছে অদ্ভুত লেগেছে। ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর একটি গল্প লিখে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 11 months ago 

জি ঠিক ভাই।।

 11 months ago 

কিছু মানুষ আছে সব সময় পরিবারের কথা চিন্তা করে যায়। পরিবারের জন্য সবটুকু করতে রাজি থাকে সে। ভাবুন একবার লোকটা যদি মারাও যেতো তাহলে তার ফ্যামিলির কেউ কিন্তু কিছুই বুঝতে পারতোনা। যেহেতু ফোন নাই। যাক পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

 11 months ago 

জি ভাই লোকটা যদি মারাও যেতো তাহলে তার ফ্যামিলির কেউ কিন্তু কিছুই বুঝতে পারতোনা

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.13
JST 0.028
BTC 59887.64
ETH 2670.13
USDT 1.00
SBD 2.47