"শেষমেশ" নাটক রিভিউ।
আমার প্রিয় বন্ধুগন, সবাই কেমন আছেন? সবাইকে আমার আন্তরিক মোবারকবাদ এবং অন্তরের অন্তস্থল থেকে আপনাদেরকে জানাই শুভেচ্ছা।
শেষমেশ নাটকের রিভিউ। |
---|
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।
নাটকের গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য |
---|
নাটকের নাম | শেষমেশ |
---|---|
পরিচালক | কাজল আরেফিন অমি |
অভিনয় | জিয়াউল হক পলাশ, পরশা ইভানা সহ আরো অনেকে |
ভাষা | বাংলা |
মুক্তির তারিখ | ১৩ এপ্রিল ২০২৪ |
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।
হয়তো নাটকের নামটি দেখেই বুঝে গিয়েছেন যে নাটকটি কেমন হতে চলেছে। আমিও যখন এই নাটকটির নাম এবং নাটকের পোস্টার দেখতে পাই তখন বুঝতে পারে যে নাটকটি কেমন হতে চলেছে। যখন নাটকটি আমি পুরোপুরি দেখে নিলাম তখন নাটকটি সম্পর্কে আমরা একটি অন্যরকম ধারণা সৃষ্টি হয়ে গেল৷ আসলে এরকম নাটক আমাদের বাস্তব জীবনের সাথে অনেকটাই সম্পৃক্ত৷ তাহলে চলুন শুরু করা যাক। প্রথমে নাটকের মধ্যে নায়ক এবং নায়কের যে বন্ধু-বান্ধবরা ছিল তাদেরকে দেখানো হয়৷ তারা ছাদের মধ্যে বসে মজা করছিল এবং আড্ডা দিচ্ছিল। তারা সকলে সমবয়সী ছিল৷ শুধুমাত্র একজন ছোট ছিল এবং সেই ছোট যখন তাদের সাথে আড্ডা দিতেছিল তখন তার সাথে অনেক ধরনের কথাবার্তা হচ্ছিল।
এভাবেই তাদের কথাবার্তা চলতে চলতে একটা সময় সেখানে নায়ক চলে আসে এবং নায়ক চলে আসার পরে তাদেরকে অনেক বকাবকি করতে থাকে৷ বলতে থাকে যে তারা এত উচ্চস্বরে তারা আওয়াজ করছে কেন৷ এর কিছুক্ষণ পরে তার মা সেখানে চলে আসে৷ যখন তিনি সেখানে আসেন তখন সবাই সবকিছু লুকিয়ে ফেলার চেষ্টা করে৷ তবে তিনি কোন মতে লুকিয়ে রাখার মত করে দেখেননি৷ তিনি সব কিছুই বের করে ফেলেন এবং তাদেরকে সেখান থেকে বের করে দেন৷ এরপর তিনি একজন অসুস্থ হয়ে যান। হঠাৎ করে তিনি অসুস্থ হওয়ার পরেই তিনি একেবারে অন্যরকম হয়ে যান৷ তার এক পাশ একেবারেই অচল হয়ে যায় এবং তিনি প্যারালাইজড হয়ে যান৷ এরপর তিনি বলেন যে তার সেবা যত্ন করার জন্য কেউ দরকার৷ তখন তিনি নায়ককে বলেন যে বিয়ে করার জন্য। তখন নায়কের যে বন্ধু-বান্ধবরা ছিল তারা বলে যে তার যে কলিগ রয়েছে সে তো তাকে পছন্দ করে তাই তাকে যেন তারা বিয়ে করে।
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।
এরপর নায়ক যখন তাকে বিয়ের কথা বলে তখন সে বলে যে সে বিয়ে করবে তার হাজবেন্ডের সাথে থাকবে এবং সব সময় তার সাথে এদিক সেদিক ঘোরাফেরা করবে। সে কোনভাবেই তার মায়ের সেবা যত্ন করতে পারবেনা। নায়ক ভেবেছিল যদি এখন সে বিয়ে করে তাহলে তার যে স্ত্রী রয়েছে সেই স্ত্রী তার মায়ের সেবা করবে৷ তার আর কোন চিন্তাই থাকবে না৷ তবে তা কোন মতে যেন হচ্ছিল না। নায়ক যখন তাকে বলে নায়েককে বিয়ে করার জন্য তখন সে বলে যে সে কোনভাবেই নায়ককে বিয়ে করতে পারবে না। সে একটি সুন্দর জীবন চায়৷ তখন নায়ক বলে তাহলে সমস্যা নেই৷ তখন তাদের সম্পর্ক সেখানেই বন্ধুত্বের মধ্যে টিকে থাকে এবং নায়ক সেখান থেকে চলে যায়।
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।
এরপর নায়কের মায়ের দেখাশোনা করার জন্য হাসপাতাল থেকে একজন নার্স নিয়ে আসা হয়৷ সে সব সময় এই বাড়িতে থাকে এবং তার দেখাশোনা করতে থাকে তবে একদিন এমন একটি ঘটনা হয়েছিল যে একেবারে অপ্রিতিকর ছিল৷ কারণ নায়ক সারাদিন অফিসে থাকে এবং নায়কের মায়ের খোঁজ খবর রাখার জন্য এই নার্সকে এখানে রাখা হয়েছে৷ যখন তার একটি কল আসে তখন সে বের হয়ে চলে যায়৷ সে নায়কের মাকে বলে যাতে করে কোন সমস্যা হলে তিনি একটি রিমোট রয়েছে সেটিতে চাপ দেন৷ তবে তিনি সেই রিমোর্টে চাপ দিতে পারেননি৷ তিনি তার বিছানার মধ্যেই তার বর্জ্য ত্যাগ করে ফেলেন৷ এরপর যখন নার্স সেখানে আসে তখন তিনি তাকে অনেকটাই বকাবকি করতে থাকে৷ এরপর যখন নায়ক বাসায় আসে তখন তিনি নায়ককে সেই বিষয়টি বলে। তখন নার্স বলে যে সে আর এখানে চাকরি করতে পারবে না৷ তখন নায়ক বলে তাকে আর এখানে কাজ করতে হবে না৷ সে এখন যেতে পারে৷ এরপর তিনি সেখান থেকে চলে যায়৷ এরপর থেকে নায়ক নিজেই তার মায়ের দেখাশোনা করতে থাকে৷ সে অফিস করে আসে, আবার তার মায়ের দেখাশোনা করে৷
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।
এরপর নায়কের যে বন্ধু-বান্ধবরা রয়েছে তারা একটি বুদ্ধি দেয় যাতে করে নায়কের মা কিছুটা হলেও সুস্থ হয়ে ওঠেন৷ নায়কের মায়ের ইচ্ছা ছিল যে তার ছেলের বউয়ের মুখ দেখে যাবেন। যাতে করে তার ছেলের বউ তাকে সবসময় সেবা যত্ন করে৷ তাই তিনি বিয়ে করার জন্য বলছেন। তবে এখন নায়মকে বিয়ে করার জন্য কেউই প্রস্তুত ছিল না। তখন নায়কের একজন বন্ধু বলে যে তার সাথে ডিরেক্টর এর যোগাযোগ রয়েছে৷ সে যদি এরকম একটি অভিনয় সাজায় তাহলে তার মা বুঝতে পারবে না যে সেটি আসল না নকল। শুধুমাত্র তার কিছুটা স্বস্তির জন্য এরকম কিছু একটা করলে কেমন হয়৷ তখন নায়ক এবং নায়কের বন্ধুরা মিলে সেখানে চলে যায় এবং সেখানে গিয়ে তারা নায়িকাকে ভাড়া করে। বলে যে শুধুমাত্র তাদের বাসায় গিয়ে তাদের সাথে এই অভিনয়টি করার জন্য৷ তখন নায়িকা প্রথমে রাজি হচ্ছিল না৷ পরে নায়ক তাকে ভালোভাবে বুঝিয়ে বলে এবং শেষ পর্যন্ত নায়িকা রাজি হয়ে যায়৷
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।
নায়ক একদিন তাকে তাদের বাসায় নিয়ে যায় এবং তার মায়ের সাথে দেখা করায়৷ তখন নায়িকাকে নায়কের মা দেখে অনেকটাই পছন্দ করেন৷ তিনি বলেন যে তিনি তাকে অনেকটাই পছন্দ করেছেন৷ এই মেয়েই তাদের বাড়ির বউ হবে৷ তখন নায়িকা তাকে বিভিন্ন ধরনের কথাবার্তা বলে৷ তিনি অনেক খুশি হয়ে যান৷ এরপর তিনি বলেন যাতে করে নায়িকার মা-বাবাকে নিয়ে আসার জন্য৷ তাকে নায়কের সাথে বিয়ে দেওয়ার জন্য কথাবার্তা বলার জন্য৷ তখন নায়িকা সেখানে কিছুই বলে না। চুপচাপ বসে থাকে৷ এরপর সে সেখান থেকে চলে যায়৷ এরপর নায়ক এবং নায়কের বন্ধুরা মিলে আবারো ওই ডিরেক্টরের কাছে চলে যান৷ বলেন যাতে করে নায়িকার বিয়ের ব্যবস্থা করা হয়৷ তখন সে বলে যে সে একটি অভিনয় করতে পেরেছে সে আর কোন বিয়ের অভিনয় করতে পারবে না৷ তখন নায়ক বলে যে তার জন্য এত কিছু করেছে আরো একটি বিষয় করলে সে আরো খুশি হবে৷ তখন নায়িকা সে বিষয়ে রাজি হয় এবং তাদের এই অভিনয় করার জন্য এমন দুজন ব্যক্তিকে নায়িকার মা-বাবা সাজিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় এবং তাদের বিয়ের কথাবার্তা চলতে থাকে৷
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।
এরপর নায়ক এবং নায়িকার বিয়ের একটি অনুষ্ঠান করা হয়। সেখানে সবকিছুই মিথ্যা ছিল যা সবাই জানতো৷ শুধুমাত্র নায়কের মা জানতো না৷ তিনি জানতেন যে সত্যিকারে তার ছেলের সাথে নায়িকার বিয়ে হয়ে যাচ্ছে৷ এরপর তিনি সুখে শান্তিতে বেঁচে থাকতে পারবেন। তার ছেলের স্ত্রী তাকে সেবা যত্ন করে ভালো করে তুলবেন। এভাবেই তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়ে যায়। যখন তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয় তখন নায়কের মা নায়িকার একটি বিষয় বুঝিয়ে দেন এবং সেই বিষয়টি বলার পরে নায়িকা একেবারে অন্যরকম হয়ে যায়। নায়কের মায়ের এরকম ভালোবাসা নায়িকা দেখতে পারে। তখন নায়িকা একেবারে অন্যরকম হয়ে যায়৷ সে বলে যে সে এতদিন অভিনয় করে এসেছে শুধুমাত্র পর্দার আড়ালে৷ তবে এখন সে বাস্তব জীবনে অভিনয় করার পরে বুঝতে পেরেছে যে জীবন আসলে কতটা কঠিন৷ এরপর নায়িকা অনেক কথা নায়ককে বলতে থাকে৷ এরপর যখন নায়িকা ঘুম থেকে উঠে এবং তার মায়ের কাছে যায় তখন দেখতে পাওয়া যায় নায়কের মা কোন ধরনের নড়াচড়া করছেন না। নায়িকা যখন ভালোভাবে দেখে তখন দেখতে পায় তিনি মারা গিয়েছেন৷ তখন সে নায়ককে ডাকতে থাকে। এভাবেই নায়কের মা মারা যান। সকলেই অনেকটা শোকাহত হয়ে যান। এরপর নাটকটি শেষ হয়ে যায়।
আমার ব্যক্তিগত মতামত।
খুব সুন্দর একটি নাটক ছিল এটি৷ যখন আমি নাটকটি দেখে নিলাম তখন বুঝতে পারলাম যে নাটকটি আসলে কিরকম৷ প্রথমে যখন নাটকের পোস্টার দেখতে পারলাম তখন কিছুটা বুঝতে পেরেছিলাম নাটকটি কেমন হতে চলেছে৷ এরপর যখন পুরো নাটকটি দেখে নিলাম তখন দেখলাম যে নাটকটি খুবই সুন্দর৷ এই নাটকের মধ্যে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত যেভাবে নাটকের মধ্যে একেবারে বাস্তবিক কিছু ঘটনাকে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করা হয়েছে তা খুবই সুন্দর হয়েছে। আসলে আমাদের অনেকের মা-বাবা এরকম রয়েছে যাদের মা বাবা হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার পরে আমরা কিছুই বুঝে উঠতে পারি না৷ তখন কেউই যেন তাদের সেবা যত্ন করার জন্য আসে না৷ তাদেরকে একেবারে অবহেলা করতে থাকে৷ অনেকেই অনেক ধরনের চেষ্টা করেন৷ তবে কোনোভাবেই তাদের সেবা যত্ন করার জন্য কেউই কোনভাবেই প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারে না । এরপর যখন শেষ পর্যন্ত কোন একজন মানুষ আসে তাদের সেবা-যত্ন করার জন্য এর কিছুদিন পরেই যেন সৃষ্টিকর্তা তাদেরকে নিয়ে চলে যান। আসলে এরকম ঘটনা বাস্তব জীবনে অনেক দেখা যায়৷ তাই আমাদের সকলের উচিত সবসময় আমাদের মা-বাবার কথা শোনা এবং তাদের যেকোনো ধরনের সমস্যায় এগিয়ে আসা এবং তাদের সব সময় সেবাযত্ন করে যাওয়া৷ কোনভাবেই তাদের সাথে কোন ধরনের খারাপ ব্যবহার না করা।
আমার ব্যক্তিগত মতামত অনুসারে নাটকের রেটিংঃ |
---|
১০/১০
সমাপ্ত
ধন্যবাদ জানিয়ে আজকের মত এখানে বিদায় নিচ্ছি।আগামিতে অন্য কোন নাটকের রিভিউ নিয়ে আবারও হাজির হবো।ভালো থাকবেন সবাই।আর কষ্ট করে রিভিউটি যারা পড়ছেন তাদেরকে মনের অন্তস্থল থেকে জানাই অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আজ আর নয়, আপনার নিকটতম এবং প্রিয়জনদের সাথে সুস্থ ও নিরাপদে থাকুন, নিজের যত্ন নিন। আপনার দিনটি শুভ হোক।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRXkkCEbXLYwhPEYqkaUbwhy4FaqarQVhnzkh1Awp3GRw/witness_proxy_vote.png)
![steempro....gif](https://steemitimages.com/0x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmTE3978V85byJ3jjoLdrAFUo5xUhDe7Hp6bDUeqi9sW7p/20230619_2116256.gif)
ফোনের বিবরণ
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | নাটক রিভিউ । |
অবস্থান | বাংলাদেশ |
আমি বাংলাদেশ থেকে ইমদাদ হোসেন নিভলু।আমার স্টিমিট আইডি হল @nevlu123।আমি আমার বাংলা ব্লগের একজন ভেরিফাইড মেম্বার।২০১৮ সালের জানুয়ারি মাস থেকে আমি স্টিমিট এ কাজ করি।আর এই প্লাটফর্মে জয়েন করি শখের বসে। আর সে থেকেই আজ অব্দি ভালোলাগা থেকেই কাজ করি।জাতিগতভাবে আমি মুসলিম। কিন্তু ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি। কারণ আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি।আমার সবচাইতে বড় শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাঘুরি করা।এ পর্যন্ত আমার তিনটি দেশ ভ্রমণ করা হয়েছে যদিও আরও ইচ্ছে রয়েছে অন্যান্য দেশ ভ্রমণ করার।যাইহোক শখের মধ্যে আরো রয়েছে গান,ভিডিও ইডিটিং, ফটোগ্রাফি, ভিডিওগ্রাফি,আর্ট এবং টুডি থ্রিডি ডিজাইন এর কাজ।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
💥💯
https://x.com/Nevlu123/status/1798541449136591222
নাটকটি আমি দেখেছিলাম। আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। আর আপনি কিন্তু বেশ সুন্দর করে পুরো নাটকটির রিভিউ আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। সব মিলিয়ে সুন্দর একটি রিভিউ তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ আপু ভালো থাকুন।
খুব সুন্দর একটি নাটক রিভিউ করে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন ভাইয়া। আপনার সুন্দর এই নাটকের বিহু দেখে আমি মুগ্ধ হলাম। বেশি দারুণভাবে নাটকের বিস্তারিত বিষয় উপস্থাপন করেছেন আমাদের মাঝে। এত সুন্দর নাটক রিভিউ করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।,
যদিও নাটকটি আমি দেখি নি। তবে নাটকের কয়েকটি ট্রেলার ভিডিও দেখেছি। আপনি কিন্তু ভাইয়া বেশ দারুন করে নাটকের প্রতিটি মূহূর্ত তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছেন। দারুন একটি নাটকের রিভিউ করেছেন। আমার মনে হয় এই নাটকটি যারাই দেখেছে তারাই কেঁদেছে।
আপু ঠিক বলেছেন।
শেষ মেশ নাটকটা আমি দেখেছি খুবই সুন্দর একটি নাটক মায়ের প্রতি ছেলের ভালবাসা সব মিলিয়ে অসাধারণ একটা নাটক ছিলো।খুব সুন্দর করে গুছিয়ে আপনি উপস্থাপন করেছেন শুভ কামনা রইলো।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইজান ভালো থাকুন।।
এই ধরনের নাটক গুলো অনেক ভালো লাগে আমার কাছে দেখতে। শেষমেশ নাটকটা বেশ কয়েকদিন আগে আমি দেখেছিলাম। মায়ের প্রতি ছেলের এরকম অডিল ভালোবাসা দেখে সত্যি অসম্ভব ভালো লেগেছিল। আর শেষেরটা ছিল অনেক বেশি কষ্টের। যেটা দেখেতো আমার চোখে জল চলে এসেছিল। নায়ক নায়িকাকে অভিনয় করে বিয়ে করলেও তার মা তো ভেবেছিল সত্যিকারের বিয়ে হয়েছে। আর নিজের ছেলের বউকে সবকিছুই বুঝিয়ে দিয়েছিল। নায়িকা প্রথমে অভিনয় করলেও মায়ের এরকম ভালোবাসা দেখে সে নিজেও ইমোশনাল হয়ে গিয়েছিল। আসলে সবারই উচিত বাবা মায়ের সেবা যত্ন করা।
সুন্দর মতামতের জন্য ধন্যবাদ 🌿