"আমার বাংলা ব্লগ" প্রতিযোগিতা - ১০ ( আমার শীতকালীন সবজির রেসিপি হলো মেস্তা/চুকাই।)
১০ % প্রিয় লাজুক-খ্যাক এর জন্য
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ এর বন্ধুরা ❣️❣️
আপনারা সবাই কেমন আছেন আশা করি আপনারা সবাই মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে ভালই আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি ভালো আছি। আমি আমার বাংলা ব্লগের চলমান প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করলাম। প্রতিযোগিতাটির নাম "আমার বাংলা ব্লগ" প্রতিযোগিতা - ১০ (শেয়ার করো তোমার শীতকালীন সবজির রেসিপি)। আমি আমার শীতকালীন মেস্তার রেসিপি দিয়ে এই প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করলাম।
মেস্তা সম্পর্কে কিছু কথা
মেস্তা আমার খুবই পছন্দের একটি রেসিপি। মেস্তা হচ্ছে টকজাতীয় একটি ফল। সবার এটি পছন্দ নাই হতে পারে।কারন সবার টেস্ট একরকম না। এটি সাধারণত শীতকাল এ পাওয়া যায়। এটিকে মাছ দিয়ে তরকারির মতোই রান্না করা হয়। এটি খেতে অনেক টক তাই এটি আমার অনেক পছন্দের। এই ফলটির অনেক নাম রয়েছে যেমনঃ চুকুর, চুকাই,মেস্তা,ম্যাচট,চাপতি ইত্যাদি
অনেকেরই মেস্তা সম্পর্কে কোন ধারণা নেই। কিন্তু মেস্তার অনেক উপকারীতা রয়েছে। মেস্তাতে রয়েছে অনেক পুষ্টিগুন। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন -বি, ভিটামিন- সি,আয়রন,ফসফরাস, আয়রন,ইত্যাদি পুষ্টিগুন। যা আমাদের দেহের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে । এমনকি এর গাছ থেকে বিভিন্ন ঔষধ আবিষ্কার করা হয়।
আমি নিচে মেস্তার রন্ধন পদ্ধতি ও প্রয়োজনীয় উপকরণ গুলো ধাপে ধাপে বর্ননা করলাম।আশাকরি আপনাদের কাছে আমার আজকের এ নতুন রেসিপি ভালো লাগবে।তো চলুন শুরু করা যাক
প্রয়োজনীয় উপকরণ গুলো হলোঃ
- মেস্তা (২৫০ গ্রাম)
- মাছ ( মাছের মাথা) - পছন্দের মাছ দিয়েও রান্না করা যাবে
- পেঁয়াজ কুচি
- কাঁচামরিচ কুচি
- লবন (৩ চামচ)
- হলুদের গুড়ো ( ১ চামচ)
- রসুন বাটা ( ১ চামচ) ও কুচি ৩-৪ কোষ
- ভাতের মাড়
- ধনিয়া পাতা
- সয়াবিন তেল
প্রথম ধাপ
- প্রথমে মেস্তা গুলোকে পরিষ্কার পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিলাম।
দ্বিতীয় ধাপঃ
- তারপর মাছের মাথা গুলোর মধ্যে হালকা হলুদের গুড়ো ও লবণ ছিটিয়ে ভালোভাবে মাখিয়ে নিলাম।
তৃতীয় ধাপঃ
- এখন চুলায় একটি ফ্রাই প্যান বসিয়ে নিলাম এবং প্যান টি গরম হয়ে আসলে এর মধ্যে পরিমাণমতো সয়াবিন তেল দিয়ে দিলাম
চতুর্থ ধাপঃ
- তারপর মাছের মাথা গুলি তেলের মধ্যে ভেজে নিলাম।
পঞ্চম ধাপঃ
- এখন মাছের মাথা গুলি সরিয়ে নিলাম ও প্যান এর মধ্যে পেঁয়াজকুচি গুলো দিয়ে দিলাম।
ষষ্ঠ ধাপ
- এখন প্যান এর মধ্যে পেঁয়াজ কুচি সাথে কাঁচামরিচ কুচি রসুন বাটা ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে নেড়েচেড়ে নিলাম।
সপ্তম ধাপ
- তারপর প্যান এর মধ্যে মাছের মাথা গুলো দিয়ে দিলাম । তারপরে ঢাকনা দিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলাম।
অষ্টম ধাপ
- এখন প্যানের মধ্যে মেস্তা গুলো ঢেলে দিলাম। এবং নেড়েচেড়ে ঢাকনা দিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলাম।
নবম ধাপ
- তারপরও ঢাকনা টা সরিয়ে নিলাম।
দশম ধাপ
- এখন ভাতের মাড় গুলো এড করে নিলাম।।এবং বলক আশা পর্যন্ত অপেক্ষা করলাম
একাদশ ধাপ
- এখন অন্য আরেকটি পাতিলের মধ্যে সামান্য পরিমাণ সয়াবিন তেল দিয়ে রসুন কুচি গুলো ঢেলে দিলাম ।এবং বাদামি কালার হয়ে আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করলাম।
দ্বাদশ ধাপ
- তারপর পাতিল এর মধ্যে রান্না করা মেস্তা গুলো ঢেলে দিলাম।
সর্বশেষ ধাপ
- তারপর উপরে ধনিয়া পাতা ছিটিয়ে দিলাম ও পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত করলাম।
এটি খাওয়ার জন্য একদম তৈরি
- আশা করি আপনাদের সকলের কাছে আমার আজকের এই নতুন রেসিপির পোস্টটি ভালো লেগেছে। কেমন লেগেছে তা অবশ্যই মন্তব্য করে জানাবেন। ভুলক্রটি হলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
অনেক সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপনি। আমার কাছে সম্পূর্ণ নতুন একটি রেসিপি। এই মেস্তা আমি আগে কখনো দেখিনি। এগুলো দেখতে আসলেই অনেক সুন্দর। কিছুটা টক হওয়ার কারণেই আমার মনে হয় খেতে বেশি ভালো লাগবে। দেখে মনে হচ্ছে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
জি, এটি টক হওয়ার খেতে অন্য রকম স্বাদ পাওয়া যায়। একদিন বাসায় চেষ্টা করে দেখবেন ।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য প্রকাশ করে অনুপ্রাণিত করার জন্য
ও আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল🙂
অনেক সুন্দর রেসিপি তৈরি করেছেন আপু। তবে এই মেস্তা আমি কোনদিন খাইনি। পুরাই আনকমন একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। তবে মেস্তা ফলের গুনাগুন অনেক শুনেছি।
আপনার রেসিপিটি দেখে খাওয়ার ইচ্ছা করতেছে। আপনি যেভাবে ধাপে ধাপে বর্ণনা দিয়েছেন খুব সহজেই একজন ব্যক্তি রান্না করতে পারবে। আমিও বাসায় চেষ্টা করব মাছের মাথা দিয়ে মেস্তা রেসিপি।
ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি ইউনিক রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
একদিন এই রেসিপি টি তৈরি করে দেখতে পারেন ভাইয়া,আর
আমি আপনারও প্রায় সবগুলো পোস্টটি দেখি। আমার কাছে আপনার পোস্ট গুলো অনেক ভালো লাগে।আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য প্রকাশ করে অনুপ্রাণিত করার জন্য
ও আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল
আপু, খুবই সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে আপনি শেয়ার করেছেন। চুকাই ফল দিয়ে টক রান্না খুবই সুস্বাদু।অনেক বছর পর আমি এই চুকাই ফল দেখতে পেলাম আপনার রেসিপির মাধ্যমে। আপু, সচরাচর এই টক ফলটি দিয়ে আমরা চিংড়ি মাছ দিয়ে রান্না করে খেয়ে থাকি। তবে আপনার এই রেসিপিটি একদম নতুন আমার কাছে লাগছে মাছের মাথা দিয়ে চুকাই ফলের সুস্বাদু টক।আপু এই রেসিপি তৈরি করার প্রতিটি ধাপ আপনি খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ এতো সুস্বাদু রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু গঠনমূলক মন্তব্য করে উৎসাহিত করার জন্য। আশা করি সবসময় এভাবে আমাকে সাপোর্ট করবেন।
আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপু 😇🙂
আপনার রেসিপিটি অনেক সুন্দর হয়েছে আপু। আর ছবি সহ বর্ণনা দেওয়াতে আপনার পোস্টটি প্রাণবন্ত হয়েছে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য প্রকাশ করে অনুপ্রাণিত করার জন্যও আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
এই ফলটির নাম আমি এই প্রথম শুনলাম এবং দেখলাম ।মেস্তা ফল দিয়ে তরকারি রান্না হয়েছে আমার কাছে খুবই অবাক লেগেছে ।ফল দিয়ে তরকারি রান্না কেমন হতে পারে? কিন্তু আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খুবই সুস্বাদু হয়েছে ।তরকারির কালারটা দারুণ এসেছে। প্রতিটি ধাপ আপনি খুব সুন্দর করে বর্ণনা করে উপস্থাপন করেছেন, যেটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আপু এটি নামে ফল, কিন্ত রান্না করে খেতে হয়। একদিন ট্রাই করবেন।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য প্রকাশ করে অনুপ্রাণিত করার জন্য
ও আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল🙂
মেস্তা আমি আগে কখনো দেখিওনি নামও শুনিনি খাওয়া তো দূরের কথা।কিন্তু মেস্তা দেখতে আমার কাছে খুব সুন্দর লাগছে আপু। একবার ফুলের মত লাগছে দেখতে কিছুটা স্ট্রবেরির মতো। এটি আপনি বলেন খেতে টক লাগে টক লাগলে তো মনে হয় খেতে ভালই লাগে টকটক মাছ দিয়ে রান্না করা তরকারি অন্যরকম একটি টেস্ট হওয়ার কথা। রেসিপিটি দেখতে ভালো লাগছে রং টা অনেক সুন্দর হয়েছে ধন্যবাদ।
জি আপু আপনি ঠিক বলেছেন, এটি দেখতে কিছুটা স্ট্রবেরির মতো। একদিন বাসায় চেষ্টা করে দেখবেন আপু।আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য প্রকাশ করে অনুপ্রাণিত করার জন্য
ও আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল
মেস্তা ফল আগে কখনো দেখা হয়নি। এটা আমার প্রথম দেখা। এই ধরনের ফল কখন খাওয়া হয়নি এবং খাওয়ার অনুভূতি আমার নেই। আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে আপনার তৈরি রেসিপিটি আমার কাছে ইউনিক মনে হচ্ছে। এই ধরনের রান্না এই প্রথম আমি দেখলাম আপনি মাছের মাথা দিয়ে খুব সুন্দর একটি রেসিপি তৈরি করলেন ।আশা করি প্রতিযোগিতায় আপনি সফলতা পাবেন।
ফলটি অনেক টক ও এর অনেক গুনাগুন রয়েছে। একদিন বাসায় চেষ্টা করে দেখবেন ভাইয়া।আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য প্রকাশ করে অনুপ্রাণিত করার জন্য
ও আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল
চুকাই আমি কখনও খাই নি। আমার বাংলা ব্লগে আসার পর এই একটি জিনিস সম্পর্কে জানতে পারলাম।এর অন্যান্য যে নাম গুলো লিখেছেন সেগুলোও শুনি নি কখনও। আর চুকাই কি শীত কালেই হয় ? যাই হোক এটা একটা নতুন সবজি আমার কাছে। ধন্যবাদ।
আমি পোস্টে বলেছি ভাইয়া,এটি শীতকালে হয়। একদিন বাসায় চেষ্টা করে দেখবেন ভাইয়া।আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য প্রকাশ করে অনুপ্রাণিত করার জন্য
ও আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল🙂
একটা নতুন রেসিপি দেখলাম। এই মেস্তা আমি আগে কখনো দেখিনি। ধন্যবাদ আপু শেয়ার করার জন্য। আপনার রেসিপি দেখে বাসায় বসে ফ্যামিলি অন্য কারো খাওয়াতে পারবো।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য প্রকাশ করে অনুপ্রাণিত করার জন্যও আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
মেস্তা আমি কখনো খাইনি। তবে আপনার পোস্টটি পড়ে মনে হচ্ছে মেস্তা খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে। আপনার পোস্টটি সম্পূর্ণ ভাবে পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে। মেস্তা তৈরি রেসিপি দারুণভাবে বর্ণনা করেছেন। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া, গঠনমূলক মন্তব্য করে উৎসাহিত করার জন্য। আশা করি সবসময় এভাবে আমাকে সাপোর্ট করবেন।
আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল 🙂