আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা
আসসালামুয়ালাইকুম
প্রীতি ও শুভেচ্ছা
- আশা করি সবাই ভাল আছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।আজ আমি আপনাদের মাঝে নতুন একটি রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি। আমার আজকের রেসিপি হচ্ছে মজাদার তালের শাঁস রান্নার পদ্ধতি। আপনারা নিশ্চয়ই তালের শাঁস চিনতে পেরেছেন।বিশেষ করে যারা গ্রামে বসবাস করে তারা এটি খুব সহজেই চিনতে পারবে। তালের মৌসুমি পাকা তাল খাওয়ার পর তালের বিচি গুলো রেখে দিলে কয়েক মাস পর এর ভেতরে শাঁস তৈরি হয় ।আর এখন হচ্ছে এই শাঁস খাবার সময়।
- এই তালের বিচি গুলো কেটে ভেতরের শাঁস এমনিতেও খাওয়া যায়।আবার দুধ ও নারকেল দিয়ে রান্না করে আরো বেশি মজা করে খাওয়া যায়। এমনকি আমরা একদিন রান্না করে তারপর দিন সকালে ঠান্ডা করে চালের গুঁড়োর রুটি দিয়েও খেয়ে থাকি। ভীষণ মজা লাগে এই খাবার শুধুমাত্র যারা খেয়েছে তারাই এর মজা বুঝতে পারবে। তাহলে চলুন তালের শাঁস রান্নার পদ্ধতি দেখে নেয়া যাক।
- তালের শাঁস
- গুড়া দুধ
- তরল দুধ
- চিনি
- বাদাম
- কিসমিস
- তেজপাতা
- লবণ
- নারকেল বাটা
- প্রথমে আমি এক লিটার দুধ একটি পাতিলে বসিয়ে চুলায় বসিয়ে দিলাম।
- এবার তেজ পাতা, এলাচ,দারচিনি দিয়ে দিলাম।
- এবার দিয়ে দিলাম গুঁড়ো দুধ পরিমাণ মতো।
- এবার চিনি দিয়ে দিলাম পরিমাণ মতো।
- এবার কেটে রাখা তালের শাঁস দিয়ে নাড়তে থাকলাম।
- এবার নারকেল বাটা দিয়ে নাড়তে থাকলাম যাতে লেগে না যায়।
- এবার ঘনত্ব পরিমাণ মতো হয়ে গেলে পাতিল চুলা থেকে নামিয়ে ফেললাম।
- এবার ঠান্ডা হওয়ার পর কিসমিস ও বাদাম কুচি দিয়ে পরিবেশন করে নিলাম।
🌺 আশা করি আমার আজকের রেসিপি টি আপনাদের ভালো লাগবে।ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। 🌺 |
🌺 ধন্যবাদ সবাইকে আমার পোস্টটি দেখার জন্য ও পড়ার জন্য🌺 |
আপু তালের বিচি যে শক্ত ৷ তবে তালের বিচি খেতে যে এতো টেষ্ট ৷ যে খায় নি সে বুঝবে না তবে সবাই খেতে পারবে না ৷ কারন অনেক শক্ত ৷
যা হোক আপনি একটি ইউনিক রেসিপি শেয়ার করেছেন ৷ তালের শাঁসের এক ধরনের মিষ্টান্ন. তৈরি করেছেন ৷ যদিও তালের বিচি খেয়েছি ৷ তবে এভাবে এখনো খাওয়া হয় নি ৷ আপনি অনেক কিছু উপদান দিয়ে রেসেপি টি করেছেন ৷ অনেক ভালো লাগলো তবে একদিন নিজ বাড়িতে তৈরি করতেই হয় ৷ তাহলে এর স্বাদ সম্পর্কে বোঝা যাবে ৷
অনেক ধন্যবাদ এতো সুন্দর ইউনিক রেসিপি শেয়ার করার জন্য ৷
এটা ঠিক বলেছেন যে তালের বিচি অনেক শক্ত। কিন্তু দা দিয়ে কুপিয়ে কেটে ভেতরের শাঁস গুলো বের করে খেতে খুবই মজা। এভাবে রান্না করে ঠান্ডা করে খেতে খুব বেশি ভালো লাগে ।আপনি যেহেতু এর আগে কখনো এভাবে খাননি একসময় রান্না করি খেয়ে দেখবেন কেমন লাগে।
তালের শাঁস আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। গ্রামের বাড়িতে গেলে এটি অনেক খাওয়া হয়। তবে রান্না করে খেতে কেন জানি আমার ভালো লাগেনা আপু ।আমার আম্মু মাঝে মাঝে দুধ দিয়ে এভাবে তালের শাঁস রান্না করে। শুধু শুধু ,অথবা রুটি দিয়ে অনেকে খেতে বেশ পছন্দ করে ।তবে বাদাম এবং কিসমিস দেওয়াতে আপনার রেসিপিটি বেশ লোভনীয় দেখাচ্ছে।
আপু যারা বেশি মিষ্টান্ন খাবার খেতে পছন্দ করে তারাই কিন্তু এভাবে খেতে পছন্দ করবে। তালের শাঁস এমনিতেও খাওয়া যায় আবার রান্না করেও খাওয়া যায়। চালের রুটি দিয়ে খাবার মজাই আলাদা। আপু আপনিও রান্না করে খেয়ে দেখবেন আসলে মজা লাগবে।
তালের শাঁস এমনিতে অনেক খেয়েছি,তবে এভাবে কখনো খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপিটা দেখে তো সত্যিই খেতে ইচ্ছে করছে আপু। আপনার রেসিপিটা সত্যিই ইউনিক হয়েছে। এতো মজাদার একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য, অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
তালের শাঁস আসলে সবাই এভাবেই খেয়ে থাকে। এই রেসিপিটি সত্যিই অনেক মজার একটি রেসিপি যারা খেয়েছে তারা এর মজা বুঝতে পারবে।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মতামতের জন্য।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
এটা কোনোদিন খাওয়া হয়নি,আমার কাছে সম্পূর্ণই নতুন।তালের শাঁস এভাবে ব্যবহার করে জানতাম না।
খেতে নিশ্চয় ভালো হয়েছিল,উপস্থাপনা ভালো ছিল। শুভ কামনা রইল।
আপনি যেহেতু এভাবে তালের শাঁস রান্না করে কখনো খাননি। তাহলে একসময় এভাবে রান্না করে খেয়ে দেখবেন অনেক মজা লাগবে।
তালের শাঁসের মজাদার রেসিপি!আপনি তো ইউনিক একটা রেসিপি তৈরি করেছেন। এমন রেসিপি কিন্তুু কখনো দেখিওনি খাওয়াতো দূরে থাকা। তবে এ রেসিপিটি বানানো দেখেই মনে হচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হবে। আমার বাড়িতে তালের শাঁস আছে আপনার পদ্ধতি অনুযায়ী আমি চেষ্টা করব বাড়িতে বানিয়ে খেতে। এত সুন্দর একটি ইউনিক রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
এই রেসিপিটি অনেক মজা। আপনার কাছে এই রেসিপিটি ইউনিক লাগছে। কারণ এর আগে আপনি এমন খেয়ে দেখেননি। আপনার বাড়িতে যেহেতু তালের শাঁস আছে আপনিও এভাবে রান্না করে খেয়ে দেখতে পারেন আশা করি পছন্দ হবে।
তালের শাঁস খেতে আমার বেশ ভালো লাগে। আমাদের নিজেদের তালগাছ আছে। আর প্রতি বছরই আমরা পাকা তাল খাই। তারপর শাঁস খাওয়ার জন্য তালের বীজ সংরক্ষণ করে রাখি। কিন্তু প্রায় সময় দেখি শাঁসগুলো পঁচে যায়। এত বেশি শাঁস পাওয়া যায় না। কিন্তু আপনি তো বেশ ভালো শাঁস পেয়েছেন। আর এগুলো রান্না করে খেতে তো অসাধারণ লাগে। অনেক আগে একবার খেয়েছিলাম।
আপু আমাদেরও তাল গাছের তালের বিচিগুলো রেখে দেই যখন শাঁস হয় তখন খাই। এটা ঠিক বলেছেন যে অনেকগুলো বিচি পচে যায় ।তবে বস্তায় ভরে উপরে ছাঁই দিয়ে রাখলে খুব বেশি পচেনা। এরপর শাঁস বের করে রান্না করে খেতে পারবেন।
আমাদের এখানেও তালের শাঁস খেতে সবাইকে দেখা যায় কিন্তু আমি কখনো খেয়ে দেখিনি।শুনেছি তালের শাঁস নাকি খেতে অনেক ভালো লাগে।তালের শাঁস দিয়ে বেশ মজার একটি রেসিপি করেছেন দেখেই অনেক ভালো লেগেছে।অনেক গুলো উপকরণ দিয়ে তালের শাঁসের রেসিপি তৈরি করেছেন। অনেক মজার দেখাচ্ছে আপু অসংখ্য ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
তালের শাঁস দিয়ে চমৎকার রেসিপি তৈরি করা যায়। গ্রাম বাংলার এটি খুবই ঐতিহ্যবাহী একটি খাবার। গ্রামের মানুষ প্রতিবছরের তালের শাঁস বের করে দুধ দিয়ে রান্না করে খায়। আর চালের গুঁড়োর রুটি খুবই ভালো লাগে।
তালের শাঁসের কিংবা তালের বিচি এর রেসিপি কখনও খাওয়া হয়নি তো।এমনকি আমি শুনিনি।আমাদের এইদিকে এগুলাকে তালের বিচি বলে।তবে মনে হচ্ছে এভাবে দুধ দিয়ে রেসিপি তৈরি করলে খেতে ভালোই লাগবে।পরিবেশন বেশ ভালো হয়েছ। ধন্যবাদ
আপু তালের শাঁস এভাবে রান্না করে খাওয়া হয়তো অনেকেই জানে না। কিন্তু তালের বিচি সবার কাছেই থাকে। তাই আমি বলব যাদের বাড়িতেই এভাবে তালের বিচি সংরক্ষণ করে রাখা হয় তারা যেন তালের শাঁস গুলো এভাবে রান্না করে খায় তাহলে বুঝবে এর মজা।
Hi, @morioum,
Thank you for your contribution to the Steem ecosystem.
Your post was picked for curation by @gorllara.
Please consider voting for our witness, setting us as a proxy,
or delegate to @ecosynthesizer to earn 100% of the curation rewards!
3000SP | 4000SP | 5000SP | 10000SP | 100000SP