"আমার বাংলা ব্লগ" প্রতিযোগিতা-২৩||আমার স্কুল জীবনের একটি তিক্ত অভিজ্ঞতার অনুভূতি
আসসালামু আলাইকুম/নমস্কার
আমি @monira999 বাংলাদেশ থেকে। স্কুল জীবনে কাটানো প্রত্যেকটি মুহূর্ত অনেক মধুর ছিল। তবুও সেই মধুর মুহূর্ত গুলোর মাঝেও কিছু কিছু তিক্ত স্মৃতি সারা জীবন থেকে যায়। হয়তো সবার জীবনেই স্কুল জীবনের প্রত্যেকটি স্মৃতি এখনো স্মৃতির পাতায় রয়ে গেছে। আসলে আমরা চাইলেও সেই সময় গুলোতে আর কখনো ফিরে যেতে পারব না। কিংবা সেই মধু স্মৃতিগুলো আর কখনো আমাদের জীবনে ফিরে আসবে না। তবে মাঝে মাঝে আমাদের জীবনে এমন কিছু ঘটে যায় যেই স্মৃতিগুলো সারা জীবন মনে থাকে। তাই আজকে আমি আমার স্কুল জীবনের একটি তিক্ত অভিজ্ঞতার অনুভূতি আপনাদের মাঝে তুলে ধরতে যাচ্ছি।
আমার স্কুল জীবনের একটি তিক্ত অভিজ্ঞতার অনুভূতি:
Source
অনেক স্বপ্ন, অনেক আশা নিয়ে আমরা সবাই স্কুলে ভর্তি হয়েছিলাম। অনেক ভয়, অনেক আনন্দ সবকিছুই ঘিরে ধরেছিল আমাদের চারপাশ। স্কুলের প্রথম দিনের সেই স্মরণীয় স্মৃতিটুকু এখনো মনে আছে আমার। প্রথম প্রথম স্কুলে যেতে ভয় পেলেও সময়ের সাথে সাথে আমরা স্কুল জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করেছি। নতুন বন্ধু পাওয়া, সবার সাথে মিলে গল্প করা, খেলাধুলা করা, সবার আগে হাত তুলে স্যারকে পড়া দেওয়া, টিফিনের ঘণ্টা বাজার জন্য অপেক্ষা করা সবকিছুই যেন আজ অতীত। স্কুল জীবনের প্রত্যেকটি মুহূর্ত যেনো এক একটি স্মৃতি। স্কুলে কাটানো মুহূর্তগুলোর সাথে মিশে আছে আমাদের সেই শৈশবের স্মৃতি। স্কুল জীবনে কাটানো প্রত্যেকটি মুহূর্ত আমাদের জন্য সোনালী সময় ছিল। হয়তো আমরা চাইলেও আমাদের জীবনের সেই সোনালী সময় গুলো আর কখনো ফিরে পাবো না। মাঝে মাঝে তখন দেখি ছোট ছোট বাচ্চারা স্কুলে যাচ্ছে তখন সেই দিনগুলোর কথা মনে পড়ে। স্কুল জীবনের মুহূর্তগুলো অনেক আনন্দের ছিল। তারপরেও কিছু কিছু মুহূর্ত আছে যেগুলো হয়তো বেদনায় ভরা। আমি যখন ছোট ছিলাম তখন আমার গ্রামের বাসা থেকেই স্কুলে আসতাম। সেই সময় গ্রামে হয়তো খুব ভালো স্কুল ছিল না। তবে আমি যখন দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়তাম তখন আমার বাসা থেকে বেশ কিছু দূরে কিন্ডারগার্ডেন স্কুল চালু হয়। এই স্কুলটি একটি প্রাইভেট স্কুল ছিল। সেই স্কুলটি এখনো আছে।
সেই সময় গ্রামের বাসা থেকে স্কুল করা আমার জন্য খুবই কষ্টের ছিল। কারণ আপনারা হয়তো সবাই জানেন আমার বাবা সেনাবাহিনীতে চাকরি করতেন। তাই তিনি বাহিরেই থাকতেন। সেজন্য মাঝে মাঝে আমাকে একাই স্কুলে আসতে হতো এবং যেতে হতো। পরে অবশ্য গ্রাম থেকে আমরাও শহরে চলে গিয়েছিলাম। যাইহোক এবার আমি আমার স্কুল জীবনের যেই তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা আপনাদের মাঝে তুলে ধরব। সেই দিনটি ছিল আমার জীবনের খুবই খারাপ একটি দিন। প্রতিদিনের মতো আমিও স্কুলে যাওয়ার জন্য রেডি হচ্ছিলাম। এমন সময় আমার মায়ের শরীর অসুস্থ হয়ে পড়ে। তখন আমি অনেকটা ছোট ছিলাম। হয়তো এত কিছু বুঝতাম না। আসলে আমার মা তখন প্রেগন্যান্ট ছিলেন। এরপর দ্রুত ওনাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর ফুটফুটে একটি ভাই হয় আমার। আমি আর সেদিন স্কুলে যায়নি। সারাদিন তাদের সাথেই ছিলাম। এরপর যখন রাত হয় তখন আমার ভাইটি অসুস্থ হয়ে পড়ে। সেই সময় যোগাযোগ ব্যবস্থা খুব একটা ভালো ছিল না। তাই সকাল বেলায় তাকে বিভাগীয় শহরে নেওয়ার জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছিল। অন্যদিকে আমি আমার দাদুর সাথে বাসায় ফিরে এসেছিলাম। সকাল বেলায় দাদু আমাকে নিয়ে স্কুলে গিয়েছিলেন। স্কুলে যাওয়ার পর আমার বারবার মন খারাপ হচ্ছিল। ভাইয়ের কাছে যাওয়ার জন্য মনটা ব্যাকুল হয়ে উঠছিল। সেই ফুটফুটে মুখটা দেখার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলাম। বারবার শুধু ভাবছিলাম স্কুল শেষ হলেই তাড়াতাড়ি বাসায় গিয়ে দাদুর সাথে ভাইকে দেখতে যাব।
স্কুলে গিয়ে দেখি পিটি শুরু হয়ে গেছে। এরপর পিটি শেষে যথা সময়ে ক্লাস আরম্ভ হয়েছে। আমি সেদিন কোন পড়া পড়তে পারিনি। এছাড়া আমি আগের দিন যেহেতু স্কুলে আসিনি তাই পড়া ঠিকমতো জানতাম না। এক দিকে মা হসপিটালে অন্যদিকে বাসায় তেমন কেউ নেই। এছাড়া পড়ার প্রতি কোন মনোযোগও ছিল না। এমনিতে ছোট ছিলাম তার মধ্যে নিজে নিজে পড়ার মতো কোনো অভ্যাস ছিল না। যিনি আমাদের বাংলা ক্লাস নিতেন তিনি অনেক ভালো ছিলেন। স্যারকে যখন আমি বললাম আমি পড়তে পারিনি তখন স্যার আমাকে বললেন কালকে অবশ্যই তুমি আলাদাভাবে এই পড়া সহ কমপ্লিট করবে। এভাবে একটি ক্লাস পার হয়ে গেল। এবার যখন দ্বিতীয় ক্লাসের ঘন্টা বাজলো তখন আমাদের স্কুলের সবচেয়ে ভয়ংকর স্যার হামিদ স্যার অংক ক্লাস নিতে ঢুকলেন। উনার কথার চেয়ে বেত বেশি চলত। কথায় কথায় সবাইকে পিটাতেন। উনাকে দেখে আমি ভয়ে একেবারে জড়োসড় হয়ে বসেছিলাম। কারণ আমি তার দেওয়া বাড়ির কাজগুলো করতে পারিনি। এমনকি ক্লাসের অংক গুলো ভালোভাবে শিখে আসতে পারিনি।
একে একে তিনি সবার খাতা চেক করছিলেন। এরপর আসলো আমার পালা। স্যার আমার সামনে আসতেই আমার চোখ যেন টলমলে হয়ে আসছিল। মনে হচ্ছিল যেন কিছুক্ষণের মধ্যেই চোখ বেয়ে পানি পড়বে। যখন স্যার আমার কাছে খাতা চাইলেন তখন আমি চুপ করে দাঁড়িয়ে রইলাম। সেই মুহূর্তে স্যার বেত দিয়ে আমার ডান হাতের পাশে এমন জোরে মাইর দিলেন যে সেই মুহূর্তে আমার পরনের স্কুল ড্রেসের সাদা শার্ট ভিজে গেল। আসলে সেই হাতে এর আগেই আমি ব্যথা পেয়েছিলাম। এলার্জিজনিত কারণে সেখানে বড় একটি ইনফেকশন হয়েছিল। ফুলহাতা শার্ট হওয়ার কারণে স্যার দেখতে পাননি। মুহূর্তের মধ্যেই সাদা শার্ট একেবারে লাল হয়ে গেল। আমার এই অবস্থা দেখে ক্লাসের সবাই ভয় পেয়ে গেল। সেই মুহূর্তে আমি ব্যথা পেয়েছিলাম কিনা এটা আমার মনে নেই তবে রক্তে ভেজা সাদা শার্ট দেখে আমি ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে এক ইঞ্চিও নড়তে পারছিলাম না। মনে হচ্ছিল যেন আমার আর কোন শক্তি নেই। এই পরিস্থিতিতে পুরো ক্লাস জুড়ে হৈ চৈ শুরু হয়ে গিয়েছিল। এরপর অন্যান্য ক্লাসের স্যাররা দৌড়ে আসলেন। আমার এই অবস্থা দেখে তারা রীতিমতো ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন। এরপর বাজারের ঔষধের দোকানের একজন গ্রাম্য ডাক্তারকে ডাকা হল। তিনি এসে তুলো দিয়ে সেই ক্ষতস্থান পরিষ্কার করে ব্যান্ডেজ করে দিলেন।
বেশ কিছুক্ষণ সময় অফিস রুমে বসে থাকার পর আমি আমার বাসায় যাওয়ার জন্য বের হয়েছিলাম। কারণ আমি চিন্তা করছিলাম বাসায় গিয়ে ভাইকে দেখতে যাবো। প্রতিদিন কেউ না কেউ আমাকে নিতে আসতো। কিন্তু সেদিন কেউ আসছে না দেখে নিজেই বাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়েছিলাম। আমি যখন বাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে হেঁটে হেঁটে রওনা দিয়েছিলাম তখন রাস্তার মাঝে হঠাৎ করে দেখলাম আমার এক চাচা আমাকে নিতে এসেছেন। উনাকে দেখে মনে হচ্ছিল বাসায় বড় ধরনের কিছু হয়েছে। এরপর যখন আমি আমার ভাইয়ের কথা জানতে চাইলাম তখন তিনি মন খারাপ করে বললেন বাসায় এসেছে সবাই। আমি অনেক উৎসাহ নিয়ে বাকিটা পথ চাচার সাথে বাসায় গিয়েছিলাম। এরপর বাসায় গিয়ে যা দেখেছিলাম তার জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না। আসলে আমার সেই ফুটফুটে ছোট্ট ভাইটি আর নেই। সে লাশ হয়ে ফিরে এসেছে। সাদা কাপড় দিয়ে মুড়িয়ে বাহিরে শুইয়ে রাখা হয়েছে। অন্যদিকে মা সেন্সলেস হয়ে পড়ে আছেন। একদিকে স্কুলে ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা অন্যদিকে বাসায় এসে এরকম পরিস্থিতি সবকিছু মিলে সেই দিনটি আজও আমি ভুলতে পারিনি। হয়তো কখনো ভুলতেও পারবো না। কারণ সেই স্মৃতিগুলো কখনো ভুলার মত নয়। অনেকদিন পর আজকে এই কথাগুলো গভীরভাবে মনে করলাম। সেই কাজের জন্য হামিদ স্যার সত্যি অনেক লজ্জিত ছিলেন। কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ উনার ঐ কাজের জন্য উনাকে বহিষ্কার করেছিল। এরপর উনাকে আর অনেক বছর দেখিনি। সম্ভবত তিনি ঢাকায় চলে গিয়েছিলেন। দীর্ঘ ১২ থেকে ১৩ বছর পর উনাকে দেখেছি। দীর্ঘদিন পর আবারও সেই স্কুলে তিনি জয়েন্ট করেছেন। এখন আমার চাচাতো বোন উনার স্কুলে পড়ে। উনার কথা যখন জানতে চাইলাম তখন আমার চাচাতো বোন বলল এখন আর কাউকে মারে না।
আজ এত বছর পর সেই পুরনো স্মৃতি সবার মাঝে শেয়ার করতে পেরে সত্যি ভালো লাগলো। মনে হচ্ছে যেন ভিতরটা অনেক হালকা হয়ে গেল। হয়তো কিছু কিছু স্মৃতি আছে অনেক তিক্ততায় ভরা। হয়তো কিছু কিছু কথা আছে সারা জীবন মনে থাকে। কিন্তু সেই তিক্ততার মাঝেও স্কুল জীবনের অন্যান্য মুহূর্তগুলো কিন্তু দারুন ছিল। প্রায় প্রত্যেকটি স্কুলেই হয়তো এমন অনেক স্যার আছেন যাদেরকে দেখে সবাই ভয় পায়। কিন্তু এরকম একটি পরিস্থিতির মধ্যে হয়তো কাউকে পড়তে হয়নি। আজও আমার মনে পড়ে সেই ভয়ংকর অতীতের স্মৃতি। যেই স্মৃতি মনে হলেই হৃদয় কেঁদে ওঠে। সেদিন আমি কতটা ব্যথা পেয়েছিলাম জানিনা তবে আমি অনেক ভয় পেয়েছিলাম। কারণ এতটা রক্ত কখনো দেখিনি আমি। এই ছিল আমার স্কুল জীবনের একটি তিক্ত অভিজ্ঞতার অনুভূতি।
এবারের প্রতিযোগিতার বিষয়বস্তু একেবারেই ভিন্ন ছিল। আসলে আমার বাংলা ব্লগ সব সময় ভিন্ন ধরনের প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। তবে এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পেরে সত্যি ভালো লেগেছে। সেই সাথে পুরনো সেই স্মৃতিগুলো মনে করে খারাপও লাগছে। আমি যখন সেই স্মৃতিগুলো মনে করছিলাম তখন বারবার দু চোখের পাতা ভিজে যাচ্ছিল।
আসলেই স্কুল জীবনে আমাদের সকলেরই অনেক টিক্ত অভিজ্ঞতা রয়েছে। আর সেগুলো অনেকের জীবনে খুব স্বাভাবিক। আবার অনেকের জীবনে অনেক অস্বাভাবিক কিছু বিষয়। আপনার স্কুল জীবনের তিক্ত অভিজ্ঞতার প্রথমদিকে কিছুটা মেনে নেয়া যাচ্ছিল। কিন্তু শেষের দিকে যতই পড়ি ততই শরীরের "নন যেনো শিউরে উঠছিল। আপনার ছোট ভাইয়ের জন্য অনেক অনেক দোয়া। মহান বিধাতা যেন তাকে বেহেশত নসিব করেন। আমিন।♥♥
স্কুল জীবনের তিক্ত অনুভূতিগুলো হয়তো সবার জীবনে আছে। কিন্তু একেকজনের অনুভূতি একেক রকমের। হয়তো আমার সেই অনুভূতি একটু ভিন্ন ছিল। তবে আজও সেই তিক্ত অনুভূতির কথা মনে পড়লে সেই দিনটির কথা প্রথম মনে পড়ে।
স্কুল জীবনে ঘটে যাওয়া আমাদের জীবনের অনেকেরই অনেক তিক্ত ঘটনা রয়েছে যেগুলো নিজেদের কাছে রয়ে গেছে কখনো শেয়ার করা হয়নি আবার অনেক গল্প রয়েছে যেগুলো কখনো শেয়ার করা পসিবল নয়।। স্কুল জীবনের লেখাপড়ার জন্য বা অন্য কোন কারণে মাইর খাই নাই এমন মানুষ হয়তো খুঁজে পাওয়া মুশকিল।।
আপনার গল্পের প্রথম দিকের অংশগুলা যেরকমই ছিল মোটামুটি মেনে নেওয়ার মতো কিন্তু শেষের দিকের গল্পটা না কিছুতেই মানতে পারছিনা গায়ের কাটা শির হয়ে উঠলো।। দোয়া রইল আপনার ছোট ভাইয়ের জন্য সৃষ্টিকর্তা যেন ওপারে থাকে ভালো রাখে।।
আমাদের জীবনে এমন কিছু ঘটনা আছে যেগুলো অনাকাঙ্ক্ষিতভাবেই ঘটে যায়। তেমনি সেদিন স্কুলে এই ঘটনাটি ঘটেছিল। হয়তো এই গল্পটি কখনো শেয়ার করা হতো না। তবে এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে এই গল্পটি আপনাদের মাঝে তুলে ধরতে পেরে ভালোই লাগলো।
আপনার স্কুল জীবনের তিক্ত অভিজ্ঞতার অনুভূতি খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। আসলে অনুভূতিগুলো যখনই মনে পড়ে তখনই সত্যি দু চোখের পাতা ভিজে যায়। আপনার শেষের কথাগুলো পড়ে খুবই কষ্ট পেলাম। পোস্টটি শেয়ার করার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
আমি যখন এই লেখাগুলো লিখছিলাম তখন আমার নিজের দু চোখের পাতাও বারবার ভিজে আসছিল। আসলে সেই স্মৃতিগুলো কখনো মনে করতে চাই না। কিন্তু মনের অজান্তেই মনে পড়ে যায়।
আসলে স্কুল জীবনের তিক্ত অনুভূতিগুলো খুব বেদনাদায়ক হয়। আপনার সাথে যেটা ঘটেছে সেটা আসলে রোমহর্ষক ঘটনা বললেই চলে।
স্কুল জীবনের তিক্ত অনুভূতি সত্যি অনেক বেদনাদায়ক। আর সেই বেদনাদায়ক অনুভূতি আপনাদের মাঝে তুলে ধরেছি ভাইয়া। মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু তাহলে অলরেডি প্রতিযোগিতায় যোগ দিয়েই দিলেন ৷ ভালো লাগলো আপনার স্কুল জীবনের তিক্ততা গল্পটি পড়ে ৷ ঠিক বলেছেন আপু আসলে সেই সময়ের কিছু কিছু সৃতি আজও মনে পড়ে ৷
আপনার একটা ফুটফুটে ভাই হয়েছে ৷ তারপরেও স্কুলে যেতে হয়েছে ৷ আসলে আপু তখন বাসায় যদি কোনো অনুষ্ঠান বা কিছু হয় সত্যি বলতে স্কুল যাওয়ার কোনো ইচ্ছে ছিল না ৷ তবুও বাসা থেকে রাগ যেতে হবে ৷ কিন্তু সেদিন স্কুলে গেলেও মনটা পরে থাকত বাসায় ৷
ভাল ছিল আপু ৷
গত প্রতিযোগিতার মতো এবারও বিজয়ী হবেন ৷ অনেক সুন্দর ছিল ৷
এই প্রতিযোগিতায় সবার অংশগ্রহণ দেখে আমিও অংশগ্রহণ করে ফেললাম ভাইয়া। তবে আপনি আমাকে উৎসাহ দিয়েছেন এই প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হওয়ার জেনে ভালো লাগলো। জানিনা বিজয়ী হতে পারব কিনা তবে আপনাদের প্রত্যাশা আমার ভালোলাগা।
আপনার স্কুল জীবনে ঘটে যাওয়া ঘটনাটি সত্যিই বেদনা দায়ক।কথাই আছে না বিপদ যখন আসে তখন চতুদিক থেকে আসে। এমন একটি পরিস্থিতির আপনি কেন কার ও পক্ষে মেনে নেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। সত্যি আপু আপনার পোস্টি পড়ে অনেক খারাপ লাগল।ধন্যবাদ আপনাকে আপনার স্কুল জীবনের তিক্ত অভিজ্ঞতা জানতে পেরে।
যখন আমাদের বিপদ আসে তখন চারপাশ থেকে আসে। আসলে কিছু কিছু ক্ষেত্রে এই কথাটি একেবারেই ঠিক। তাইতো সেদিন আমি ওই পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যখন বাসায় গিয়েছি তখন আরো ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছিলাম।
একদম ঠিক বলেছেন আপু, আমার বাংলা ব্লগ সব সময় ভিন্ন ধরনের প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। আর যার কারণে আমরা এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সকলের ভিন্ন ভিন্ন ধরনের অভিজ্ঞতাগুলো জানতে পারছি। এই যেমন আজকে আপনি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে আপনার তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেছেন তা হয়তো কখনো জানা হতো না। শুধুমাত্র প্রতিযোগিতার কারণেই আপনার এই হৃদয়বিদারক কাহিনীটুকু জানতে পারলাম। একদিকে স্কুলে গিয়ে ভয়ংকর হামিদ স্যারের পিটুনি খেয়ে রক্তাক্ত হওয়ার অবস্থা অন্যদিকে ফুটফুটে ছোট ভাইয়ের মৃত্যু, এর চেয়ে কঠিন তিক্তটার সময় কখনো কারো আসে কিনা তা আমার জানা নেই। খুবই কষ্ট পেলাম আপু, আপনার স্কুল জীবনের তিক্ত অভিজ্ঞতার অনুভূতি টুকু জানতে পেরে।
কিছু কিছু না বলা কথা হয়তো সারা জীবন না বলাই থেকে যায়। হয়তো সময় কিংবা সুযোগের অভাবে সেই কথাগুলো বলা হয় না। তেমনি আমার স্কুল জীবনের একটি তিক্ত ঘটনা হয়তো না বলাই থেকে যেত। আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
আমার বাংলা ব্লগ প্রতিযোগিতা একেবারে ভিন্ন। স্কুল জীবনের কিছু স্মৃতি মধুর হয় কিছু স্মৃতি কষ্টে হয়। যা কখনও মন থেকে ভুলা যায় না আপনার স্কুল জীবনের তিক্ত অভিজ্ঞতা প্রথমের অংশ টা মানা যায়, পৃথিবীতে এমন কোন স্টুডেন্ট নাই শিক্ষকের থেকে মার খায় নাই। আপনার ভাই বিষয় টা খুব হৃদয় বিদারক ছিল আমার তো পড়তে পড়তে বুক ফেটে যাচ্ছিল।আপনার স্কুল জীবনের তিক্ত অভিজ্ঞতা আসলে অনেক বেদনা দায়ক।আপু প্রতিযোগিতার জন্য রইল শুভকামনা।
আমার বাংলা ব্লগ সব সময় ভিন্ন ধরনের প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। তাইতো এবারের প্রতিযোগিতাটিও একেবারে ভিন্ন ছিল। হয়তো এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার মাধ্যমে নিজের কষ্টের অনুভূতি তুলে ধরেছি। কিন্তু কিছু কিছু তিক্ত অনুভূতি আছে যেগুলো কখনো কাউকে প্রকাশ করা হয়নি। প্রতিযোগিতার মাধ্যমে প্রকাশ করতে পেরে ভালো লাগছে।
স্কুল জীবনে আমরা সবাই কমবেশি মার খেয়েছি। কিন্তু আমার মত পরিস্থিতিতে কেউ পড়েছে কিনা জানিনা তবে সেদিনের ভয়ংকর পরিস্থিতির কথা মনে হলে আজও ভয় লাগে।
সত্যি আমি আপনার লেখা পড়ে খুবই মর্মাহত। এমন একটি বিষয় আপনি শেয়ার করলেন মনটা একদম খারাপ হয়ে গেল। কেন করে স্যারেরা এই রকম বলতে পারেন আপু? আমার জানা নেই! আমি ও শেয়ার করবো আপু। সবচেয়ে বেশি খারাপ লাগলো আপনার ভাইয়ে সংবাদ টা শুনে। যদিও আপনি স্যার থেকে মাইর খেয়েছেন কিন্তু ছোট ভাইটি যদি থাকত ইস রে!! ভীষণ খারাপ লাগছে আপু।
তিক্ত অনুভূতি সব সময় তিক্ত হয় আপু। হয়তো আমাদের জীবনের এমন কিছু খারাপ মুহূর্ত আছে যেগুলো আমরা মনে করতে চাই না। কিন্তু মাঝে মাঝে হয়তো সেই কথাগুলো মনে পড়ে যায়। যখন এই লেখাগুলো লিখছিলাম তখন বারবার সেই স্মৃতিগুলো মনে পড়ছিল আর কষ্ট পাচ্ছিলাম। আমার ছোট ভাইকে হারিয়ে সত্যিই অনেক কষ্ট পেয়েছি।