রেসিপি-গুলশা টেংরার ঝাল ভুনা রেসিপি|[১০% লাজুক খ্যাঁকের জন্য]
আসসালামু আলাইকুম/নমস্কার
আমি@monira999। আমি একজন বাংলাদেশী। আজকে আমি "আমার বাংলা ব্লগ" সম্প্রদায়ে আমার তৈরি করা মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করতে যাচ্ছি। গুলশা টেংরা মাছ হয়তো অনেকের কাছেই অপরিচিত। এই গুলশা টেংরা মাছ গুলো দেখতে অনেকটা টেংরা মাছের মতোই। তবে একটু বড় সাইজের হওয়াতে এই মাছগুলোকে গুলশা টেংরা বলা হয়। সাধারণত এগুলো বড় নদীতে বেশি পাওয়া যায়। তাই এই মজার রেসিপি আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি। এবার চলুন দেখে নেয়া যাক এই মজার রেসিপি।
গুলশা টেংরার ঝাল ভুনা রেসিপি:

গুলশা টেংরার ঝাল ভুনা রেসিপি খেতে খুবই ভালো লেগেছে। অন্যান্য মাছের চেয়ে এই মাছগুলো খেতে অনেক বেশি সুস্বাদু। আর একটু ঝাল করে পাতলা ঝোল করলে খেতে খুবই ভালো লাগে। বিশেষ করে নদীর এই মাছগুলো খেতে সত্যি আমার খুবই ভালো লেগেছে। তাই আমি এই পছন্দের মাছগুলোর রেসিপি শেয়ার করতে যাচ্ছি। আমার মনে হয় এই মাছগুলো খেতে সবাই কমবেশি পছন্দ করেন। এবার চলুন দেখে নেয়া যাক কিভাবে আমি এই মজার রেসিপি তৈরি করেছি এবং কি কি উপকরণ ব্যবহার করেছি।
প্রয়োজনীয় উপকরণ:
নাম | পরিমান |
---|---|
গুলশা টেংরা মাছ | ২৫০ গ্রাম |
পেঁয়াজ কুচি | ৪ চামচ |
রসুন কুচি | ১/২ চামচ |
জিরা গুঁড়া | ১/২ চামচ |
কাঁচামরিচ | ৩ চামচ |
হলুদের গুঁড়া | ১/২ চামচ |
লবণ | পরিমাণমতো |
সয়াবিন তেল | ৩ চামচ |


গুলশা টেংরার ঝাল ভুনা রেসিপি তৈরির ধাপসমূহ:
ধাপ-১


গুলশা টেংরার ঝাল ভুনা রেসিপি তৈরির জন্য প্রথমে তেল দিয়েছি। এবার পেঁয়াজ দিয়েছি।
ধাপ-২


এবার পরিমাণ অনুযায়ী কাঁচামরিচ দিয়েছি। এরপর রসুন কুচি কুচি করে কেটে দিয়েছি। যাতে করে খেতে ভালো লাগে।
ধাপ-৩


এবার চামচ দিয়ে নাড়াচাড়া করে পেঁয়াজ, রসুন ও কাঁচা মরিচ ভালোভাবে ভেজে নেওয়ার চেষ্টা করেছি। কিছুক্ষণ তেলের সাথে ভাজার পর পেঁয়াজ, রসুন ও কাঁচা মরিচ ভালোভাবে ভাজা হয়েছে।
ধাপ-৪


এবার অন্যান্য উপকরণ হলুদের গুঁড়া, জিরা গুঁড়া, লবণ দিয়েছি। এরপর সামান্য পরিমাণে পানি দিয়েছি মসলাগুলো ভুনা করে নেওয়ার জন্য।
ধাপ-৫


কিছুক্ষণ রান্না করার পর মশলা ভালোভাবে ভুনা হয়েছে। এবার মাছগুলো প্রস্তুত করেছি এর মধ্যে দেওয়ার জন্য।
ধাপ-৬


মাছগুলো যখন ভুনা মসলার মধ্যে দেওয়া হয়েছে এবার চামচ দিয়ে সুন্দরভাবে নাড়াচাড়া করেছি যাতে করে ভুনা মসলার সাথে মাছগুলো ভালোভাবে ভুনা হয়।
ধাপ-৭


এভাবে কিছুক্ষণ রান্না করার পর যখন মাছগুলো ভালোভাবে মসলার সাথে ভুনা হয়েছে তখন মাছগুলো একটু সিদ্ধ করার জন্য এবং হালকা ঝোল রাখার জন্য পানি দিয়েছি। এরপর ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিয়েছি। এভাবে আরো কিছুক্ষণ সময় রান্না করার পর গুলশা টেংরার ঝাল ভুনা রেসিপি তৈরি হয়েছে।
উপস্থাপনা:

গুলশা টেংরার ঝাল ভুনা রেসিপি তৈরি হলে বাটির মধ্যে তুলে নিয়েছি পরিবেশন করার জন্য। পরিবেশন করার জন্য সুন্দর ভাবে সাজিয়ে নিয়েছি। এই মাছের স্বাদ সত্যি অতুলনীয়। তাইতো আমি এই মজার রেসিপি সকলের কাছে তুলে ধরেছি। আপনারাও চাইলে বাসায় তৈরি করে খেতে পারেন।
আমার কাছে নদীর টেংরা মাছগুলো ভুনা করে খেতে অনেক মজা লাগে। আপনার গুলশা টেংরা মাছের রেসিপি দেখে অনেক লোভনীয় লাগছে। রেসিপি কালার টি দেখতে চমৎকার লাগছে। দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে আপু এত সুন্দর রেসিপি তুলে ধরার জন্য।
নদীর টেংরা মাছ ভুনা করে খেতে সবাই পছন্দ করে। কারণ নদীর এই টেংরা মাছগুলো খেতে বেশি মজার। তাইতো মাঝে মাঝে তৈরি করি এই রেসিপি। ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
আপনি ঠিকই বলেছেন নদীর এই গুলশা টেংরা গুলো আসলে ভুনা করে খেতে কিন্তু খুবই দারুণ লাগে। আমারও কাছেও বেশ মজা লাগে ভুনা করে খেতে, তবে আমি এই ক্ষেত্রে ঝোল না রেখে একটু মাখামাখা করে রান্না করে খেতে বেশি পছন্দ করি। যাইহোক দেখে কিন্তু মনে হচ্ছে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুস্বাদু একটা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
নদীর গুলশা টেংরা গুলো খেতে সত্যিই অনেক ভালো লাগে। এছাড়া নদীর মাছ সব সময় অনেক ভালো লাগে খেতে। নদীর যেকোন মাছ খেতে ভালো লাগে। এই মাছও খেতে দারুন ছিল। মতামত প্রকাশের মাধ্যমে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
আপু আমাদের এখানে ও প্রচুর টেংরা মাছ পাওয়া যায়।শীতের সময় ডিমওয়ালা টেংরা মাছ কাঁচা মরিচ দিয়ে রান্না করলে অনেক মজা হয়।আপনি ও দেখছি কাঁচা মরিচ দিয়ে রান্না করেছেন।গুলশা টেংরা দেখেই মনে হচ্ছে খেতে স্বাদ হয়েছে।ধাপ গুলো খুব গতানুগতিক ছিল।ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
ডিমওয়ালা টেংরা মাছের কথা শুনেই জিভে জল চলে এসেছে আপু। ডিমওয়ালা টেংরা মাছ আমার ভীষণ প্রিয়। তবে এই সময় টেংরা মাছগুলোতে ডিম নেই। হয়তো শীতের সময় যেই মাছগুলো পাওয়া যাবে সেগুলো ডিমওয়ালা হবে। ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
তবে আপনি যাই বলেন না কেন, নদীর টেংরা মাছ থেকে আমার কাছে কিন্তু দেশি বিলের টেংরা মাছ বেশি সুস্বাদু মনে হয়। রান্নার প্রসেসটা ঠিকঠাকই ছিল তবে একটু ধনেপাতা দিলে মনে হয় ভালো লাগতো। যদিও সবাই ধনেপাতা খায় না।
এই কথাটা একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া নদীর টেংরা মাছের চেয়ে দেশি বিলের মাছগুলো বেশি ভালো লাগে খেতে। ধনেপাতা দিলে হয়তো খেতে আরো বেশি মজার হত। কিন্তু সেদিন বাসায় ধনেপাতা আনা ছিল না।
আপু টেংরা মাছে একটু ঝাল বা পাতলা ঝোল হলে অনেক ভালো লাগে,আর যদি হয় নদীর তা হলে তো কথায় নেই। তবে আপু এই টেংরার নাম যে গুলশা টেংরা জানা ছিল না। আপনার পোস্টের মাধ্যমে জানতে পেলাম। সত্যি বলেছেন আপু এই মাছের স্বাদ অতুলনীয়।
এই টেংরা মাছগুলো গুলশা টেংরা নামেই পরিচিত। এই টেংরা মাছে গুলো পাতলা ঝোল করলে খেতে জাস্ট অসাধারণ হয়। আমার খুবই প্রিয় এই মাছগুলো। ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
টেংরা মাছ আমার কাছে খুব ভালে লাগে । আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে ভাল লাগবে। তবে মাছ ভেজে না নিলে আমার কাছে খেতে একটু গন্ধ লাগে।
মাছ ভেজে নিয়ে এরপর রান্না করলেও খেতে বেশ ভালো লাগে। তবে আমার কাছে এভাবে খেতেও খারাপ লাগে না। তাই দুই ভাবেই খাওয়া হয় বাসায়। ধন্যবাদ আপনার মতামতের জন্য।
আপনার রেসিপিটি দেখেই বোঝা যাচ্ছে যে খেতে খুবই মজার হয়েছে।টেংরা মাছ খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আপনার রেসিপিটি দেখে লোভ সামলাতে পারছি না। এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ । আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
যখন কোন রেসিপি খেতে মজার হয় তখন দেখলেই বোঝা যায় সেই রেসিপিটি খেতে ভালো হয়েছে। আর দেখতেও বেশ লোভনীয় হয়। এই রেসিপিটি খেতে অনেক মজার হয়েছিল আপু।
সত্যি আপু এই টেংরা মাছগুলো একটু ঝাল করে ভুনা করলে অনেক বেশি সুস্বাদু হয়। আমার অনেক প্রিয় একটি মাছ এই টেংরা মাছ।ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের সাথে তুলে ধরার জন্য ভালো থাকবেন।
টেংরা মাছ একটু ঝাল দিয়ে ভুনা করলে খেতে খুবই ভালো লাগে। গুলশা টেংরা মাছের এই রেসিপি আমারও খুবই প্রিয়। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া মতামত প্রকাশের জন্য।
সত্যি বলতে আপু আমার ও অনেক প্রিয়। ধন্যবাদ আপনাকে প্রিয় একটি রেসিপি উপহার দেওয়ার জন্য এবং সুন্দর ফিডব্যাক দেওয়ার জন্য।
কি বলবো আপু,অনেক লোভনীয় হয়েছে রেসিপিটি।রেসিপির কালার দেখে এখনই খেতে ইচ্ছে করছে।রেসিপিটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অনেক সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন।শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
যখন কোন লোভনীয় রেসিপি দেখলে মুখের ভাষা হারিয়ে যায় তখন কিন্তু জিব্বা দিয়ে পানি চলে আসে 😃😃। ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য পড়ে। ধন্যবাদ আপনাকে।