ভ্রমণ পোস্ট || দশ পাইপ ব্রিজ সংলগ্ন পার্ক এবং বাঁশ বাড়ী ভাসমান রেস্টুরেন্ট ভ্রমণ (শেষ পর্ব)

in আমার বাংলা ব্লগ5 months ago

আসসালামু আলাইকুম,

আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।


প্রথম পর্বের লিংক


প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি দশ পাইপ ব্রিজ সংলগ্ন পার্ক এবং বাঁশ বাড়ী ভাসমান রেস্টুরেন্ট ভ্রমণের দ্বিতীয় ও শেষ পর্ব আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো। গত পর্বে আপনারা পড়েছিলেন আমরা দু'জন দশ পাইপ ব্রিজ সংলগ্ন পার্কের দিকে ঘুরাঘুরি করে,সেখান থেকে বাঁশ বাড়ী ভাসমান রেস্টুরেন্টে ঘুরতে যাওয়ার জন্য মনস্থির করেছিলাম। যাইহোক আমরা একটি অটো নিয়ে ৭/৮ মিনিটের মধ্যেই বাঁশ বাড়ী রেস্টুরেন্টে চলে গেলাম। সেখানে যাওয়ার পর দেখলাম শুধু বাঁশ বাড়ী রেস্টুরেন্ট না,বরং আরও একটি ভাসমান রেস্টুরেন্ট রয়েছে ও কিছু রেস্টুরেন্ট রয়েছে আশেপাশে এবং বেশ খোলামেলা জায়গায় রেস্টুরেন্ট গুলো নির্মাণ করা হয়েছে। প্রতিটি রেস্টুরেন্টে চমৎকার ভাবে লাইটিং করা হয়েছে, যা দেখতে খুবই সুন্দর লাগছিল।


Notes_231223_192539_a1c.jpg

Notes_231223_192540_260.jpg

Notes_231223_192542_a33.jpg

Notes_231223_194018_f1e.jpg


যাইহোক আমরা বেশ কিছুক্ষণ ঘুরাঘুরি করলাম এবং কিছু ফটোগ্রাফি ও করলাম। এরপর আমরা বাঁশ বাড়ী ভাসমান রেস্টুরেন্টের ভিতরে ঢুকলাম। ঢোকার পর দেখলাম মাঝখানে আর্টিফিশিয়াল ঝর্ণা রয়েছে। খুবই সুন্দর লাগছিল দেখতে। তবে ভাসমান রেস্টুরেন্টে বসে খাওয়ার মতো কোনো স্পেস নেই। একেবারে কানায় কানায় পরিপূর্ণ প্রতিটি টেবিল। এরপর আমরা চলে গেলাম বাঁশ বাড়ী রেস্টুরেন্টের অন্য একটি সাইডে। কিন্তু সেটা ভাসমান না। সেখানে যাওয়ার পর ওয়েটার আসলো অর্ডার নেওয়ার জন্য, তারপর ওয়েটার কে জিজ্ঞেস করলাম কতক্ষণ লাগতে পারে ভাসমান রেস্টুরেন্টে টেবিল খালি হতে। তখন ওয়েটার বললো অল্প কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলেই ভাসমান রেস্টুরেন্টে বসে খাওয়া দাওয়া করা যাবে। তো আমরা সেখানে খাবার অর্ডার দিয়ে, ভাসমান রেস্টুরেন্টে খাবার সার্ভ করার কথা বললাম।


Notes_231223_192535_2da.jpg

Notes_231223_192533_487.jpg

Notes_231223_192512_58a.jpg

Notes_231223_192505_0b3.jpg


তারপর আমরা বাঁশ বাড়ী রেস্টুরেন্টের ভিতরের সাইড থেকে উঠে, আবারও চলে গেলাম ভাসমান রেস্টুরেন্টে। সেখানে গিয়ে আমরা দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে লাগলাম। আসলে বাঁশ বাড়ী রেস্টুরেন্টের সেই সাইড টা আমাদের কাছে ততোটা ভালো লাগেনি। সেটা ভেবেই মূলত সেখান থেকে বের হয়ে গিয়েছিলাম। আর এমনিতেও ভাসমান রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া করতে দারুণ লাগে। যাইহোক কিছুক্ষণের মধ্যেই ভাসমান রেস্টুরেন্টের একটি টেবিল খালি হয়ে গেল। আমরা দু'জনে বসে গল্প করতে লাগলাম। কিছুক্ষণ পর ওয়েটার প্রথমে কফি দিয়ে গেল। কারণ খাবার তৈরি হতে একটু সময় লাগছিল। কারণ সেদিন প্রচুর মানুষ ছিলো ভাসমান রেস্টুরেন্টে। তো সেজন্যই ওয়েটার কে বলেছিলাম কফি দিতে প্রথমে। যাইহোক আমরা কফি খেতে খেতে আশেপাশের মনোরম দৃশ্য উপভোগ করতে লাগলাম।


Notes_231223_192510_a7e.jpg

Notes_231223_192507_8e1.jpg

Notes_231223_192531_52d.jpg

Notes_231223_192529_a42.jpg


সত্যি বলতে বেশ ভালো লাগছিল সেই পরিবেশটা। সন্ধ্যার পর এমন মনোরম পরিবেশে ভাসমান রেস্টুরেন্টে বসে সময় কাটানোর মজাই আলাদা। যাইহোক ওয়েটার আমাদের টেবিলে খাবার দিয়ে যায় মোটামুটি ৩০ মিনিট পর। আমরা মূলত চিলি পাস্তা এবং চিকেন ফ্রাই অর্ডার করেছিলাম। তো খাবার আসার পর আমরা খাওয়া শুরু করলাম। খাবারের টেস্ট বেশ ভালো লেগেছিল। যদিও চিলি পাস্তার টেস্ট বেশি ভালো ছিলো। খাওয়া দাওয়া শেষ করে বিল মিটিয়ে ভাসমান রেস্টুরেন্ট থেকে বের হয়ে গেলাম। তারপর আশেপাশে আবারও একটু হাঁটাহাঁটি করে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। দশ পাইপ ব্রিজ সংলগ্ন পার্ক এবং ভাসমান রেস্টুরেন্টে ঘুরাঘুরি ও খাওয়া দাওয়া করে আমরা এককথায় দুর্দান্ত সময় কাটিয়েছিলাম।


Notes_231223_192527_34f.jpg

Notes_231223_192525_4e2.jpg

Notes_231223_192520_24c.jpg

Notes_231223_192516_d90.jpg


2FFvzA2zeqoVJ2SVhDmmumdPfnVEcahMce9nMwwksSDdRvZA8GzS2DQRCenaYmQc8PKmKoqUpUeK1EYkXvpDQ1G4vq9r2thnL24nVMe9HEoTA18P3XxZmEBqKV5Qa.png

পোস্টের বিবরণ

ক্যাটাগরিভ্রমণ
ফটোগ্রাফার@mohinahmed
ডিভাইসSamsung Galaxy Note 20 Ultra 5g
তারিখ২৩.১২.২০২৩
লোকেশনw3w

বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।

পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

9vWp6aU4y8kwSZ9Gw15LFL3aMdhmgmBBFMpDJregpdP328CzpX9QvbjSPXbrW8KqUMMwTrRCn3xcSQ6EA6R67TcD5gLnqAWu8W41xe41azymkyM19LEXr548bkstuK4YE8RXJKQJWbxQ1hVAD.gif

আমার পরিচয়

IMG_20220605_234413_388.jpg

🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹

5ZJ4Z52ZRyQfNkCWFfXsATSsPtfkBwT3a5k8RVinr67352Jpu6E5J43D5L7yhn5d5CrcpnTvTLcF5db3ftZK7V9GzsAkLjb3PriF27x53soS8yKq9EnT1Gez2W6L2XUZu7jXnMduxdzGd4QzpYoozSDTPz3jUEkZ8x9rPrFry12vk2pkpsukTxq2kgJhF2zDYwrV.png

cyxkEVqiiLy2ofdgrJNxeZC3WCHPBwR7MjUDzY4kBNr81RRg3nBstm6z4qmufGsvFT24rqXwtpQD564XVCvACqesd3KULjLw7vQPhCNBNpraDPBk9z8jqn3ncuykugzMhQ2.png

6nSeSEzKEwjJN68tMqgZXvpyk1cf2ihqXgmWESDgXSh21PxWHDWW9CETD5B5Jw9Q6ERAnD25KhyHKAX53jBLJKQRtPJf1WFG3aJd6PXbp2rpTXdWPxnRnq65CqtM8PawHiD5knScnfCbWvcVRuFVv1rtwzsXe59AixEGDGYZT2EWzPMzrWjWrbujcJd79Q1Sjs2X.gif

Sort:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 5 months ago 
 5 months ago 

বাঁশ বাড়ী বাহ্ দারুন একটা জায়গা। দিনের চেয়ে রাতের দৃশ্য দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম।‌ বর্তমান সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হলে বিভিন্ন ধরনের নিত্য নতুন রেস্টুরেন্টে গুলো দেখা যাচ্ছে। আপনার পোস্ট এর ফটোগ্রাফি গুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক লোকজন সেখানে ঘুরতে যায়। বেশ সুন্দর সময় উপভোগ করেছেন। শুভ কামনা রইল ভালো থাকবেন।

 5 months ago 

রাতের বেলা লাইটিং এর কারণে দেখতে খুবই সুন্দর লেগেছিল। হ্যাঁ ভাই আমরা বেশ ভালো সময় কাটিয়েছি সেখানে। যাইহোক পোস্টটি দেখে এমন প্রশংসনীয় মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাই।

 5 months ago 

যদিও আমি আপনার এই ভ্রমণ পোস্টের প্রথম দুই পর্ব পড়িনি। তবে শেষ পর্বটি পড়ে বেশ ভালো লাগলো। আর রেস্টুরেন্ট টি দেখতে খুবই সুন্দর। আমার তো এখনই যেতে মন চাইছে। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি রেস্টুরেন্ট ভ্রমণের শেষ পর্ব আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

 5 months ago 

আপু এর আগে একটি পর্ব শেয়ার করেছিলাম। যাইহোক বাঁশ বাড়ী রেস্টুরেন্টটি আসলেই খুব সুন্দর। যাইহোক পোস্টটি পড়ে এতো চমৎকার মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।

Coin Marketplace

STEEM 0.28
TRX 0.11
JST 0.031
BTC 68960.63
ETH 3804.34
USDT 1.00
SBD 3.70