ভ্রমণ পোস্ট || দশ পাইপ ব্রিজ সংলগ্ন পার্ক এবং বাঁশ বাড়ী ভাসমান রেস্টুরেন্ট ভ্রমণ (প্রথম পর্ব)
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আপনারা অনেকেই জানেন যে আমি ভ্রমণ প্রিয় মানুষ। সময় এবং সুযোগ হলেই ঘুরতে বের হয়ে যাই বিভিন্ন জায়গায়। সেটা বন্ধু বান্ধবদের সাথে হোক,কিংবা পরিবারের সাথে হোক। তবে ব্যস্ততার জন্য ইদানীং তেমন একটা ঘুরাঘুরি করা হয় না। যাইহোক গত মাসের ২০ তারিখ আমি এবং আমার ওয়াইফ সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি তে অবস্থিত দশ পাইপ ব্রিজ এবং বাঁশ বাড়ী রেস্টুরেন্টে ঘুরতে গিয়েছিলাম। বেশ কয়েকদিন ধরেই ইউটিউবে সেখানকার ভিডিও দেখছিলাম এবং অনেকের মুখ থেকে শুনলাম খুব সুন্দর জায়গা। যাইহোক আমরা বিকেল ৪ টার আগে বাসা থেকে বের হলাম।
তারপর শীতলক্ষ্যা নদী পার হয়ে, একটি অটো নিয়ে প্রথমে গেলাম দশ পাইপ ব্রিজের দিকে। মোটামুটি ৪০/৫০ মিনিটের মধ্যেই আমরা সেখানে পৌঁছে গিয়েছিলাম। যাওয়ার পর জায়গাটি দেখে আমার ভীষণ পছন্দ হয়েছে। কারণ এমন খোলামেলা জায়গায় সময় কাটাতে আমার খুব ভালো লাগে। সেখানে খন্ড খন্ড ভাবে কয়েকটি স্পট রয়েছে এবং প্রতিটি স্পটে বেশ কয়েকটি রাইড রয়েছে। বলা যায় অনেকটা পার্কের মতোই তৈরি করা হয়েছে। বাচ্চারা এবং বড়রাও বিভিন্ন ধরনের রাইডে চড়ে বেশ আনন্দ করছে। তাছাড়া বেশ কয়েকটি রেস্টুরেন্ট রয়েছে সেখানে। এছাড়া বিশাল বড় বিলের মধ্যে নৌকায় চড়ার ব্যবস্থা ও রয়েছে। আসলে বর্তমানে খোলামেলা জায়গার বড় অভাব।
তাই এমন খোলামেলা জায়গায় বিকেলবেলা মানুষজন ঘুরাঘুরি করতে ভীষণ পছন্দ করে। আর শীতকাল হচ্ছে ঘুরাঘুরি করার জন্য পারফেক্ট সময়। যাইহোক আমার ওয়াইফকে জিজ্ঞেস করলাম রাইডে চড়বে নাকি। সে বললো শুধু নাগরদোলা তে চড়বে, তবে নাগরদোলা একটা অংশে শুধু আমরা দু'জন বসবো। একটি অংশে সাধারণত ৪ জন বসা যায়, তবে অন্য কেউ থাকলে তার নাকি অস্বস্তি বোধ হবে। তো আমি সেভাবেই বললাম টিকেট কাউন্টারে এবং নাগরদোলার একটি অংশে আমরা দু'জন বসলাম। অন্য অংশে ও মানুষ ছিলো অনেক। তো নাগরদোলা তে ওঠার পর আমার ওয়াইফ ভয় পেতে লাগলো। কারণ অনেক দ্রুত ঘোরাচ্ছিল নাগরদোলা এবং আমাকে বলছিল সে যদি ছিটকে পড়ে যায় নাগরদোলা থেকে,তাহলে তো অবস্থা একেবারে খারাপ হয়ে যাবে।
আমি বললাম আমাকে শক্ত করে ধরে রাখো। তারপর নাগরদোলা বেশ কয়েকবার ঘুরপাক খাওয়ার পর আমার ওয়াইফ বললো এখন নামিয়ে দিতে। তারপর আমি সেখানকার লোকদের বলে আমাদেরকে নাগরদোলা থেকে নামিয়ে দিতে বলি। তো আমার কথামতো নাগরদোলা থেকে আমাদেরকে নামিয়ে দিলো। তারপর নিচে নেমে আমার ওয়াইফ বললো সে নাকি অনেক ভয় পেয়েছে। আসলে সেই নাগরদোলার অংশ গুলো ততোটা মজবুত এবং ভারী ছিলো না। তাই যেন বেশি দুলছিল। কিছুদিন আগে একটি নিউজে পড়েছিলাম নাগরদোলা থেকে ছিটকে কয়েকজন আহত হয়েছে। যাইহোক এরপর আমার ওয়াইফকে জিজ্ঞেস করলাম যে অন্য কোনো রাইডে চড়বে নাকি।
কিন্তু সে বললো রাইডে চড়বে না। আসলে নাগরদোলা তে চড়ে সে প্রচন্ড ভয় পেয়েছিল বলে, তখন আর অন্য কোনো রাইডে চড়তে চায়নি😂। যাইহোক সন্ধ্যার পর বিভিন্ন রঙের লাইটিং এর জন্য, সম্পূর্ণ জায়গাটা দেখতে আরো বেশি সুন্দর লাগছিলো। এরপর আমার আরো কিছুক্ষণ সেখানে ঘুরাঘুরি করলাম এবং ফটোগ্রাফি করলাম। তারপর ওয়াইফকে বললাম একটি রেস্টুরেন্টে ঢুকে কিছু খাওয়া দাওয়া করার জন্য। সে বললো সেখানে খাবে না,সে বাঁশ বাড়ী ভাসমান রেস্টুরেন্টে খাবে। বাঁশ বাড়ী রেস্টুরেন্ট দশ পাইপ ব্রিজ থেকে মোটামুটি কাছাকাছি। এরপর আমরা আর কোথায় কোথায় ঘুরাঘুরি করলাম এবং কি কি করলাম, সেটা জানতে হলে পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষা করতে হবে আপনাদেরকে। (চলবে)
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | ভ্রমণ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g |
তারিখ | ১৯.১২.২০২৩ |
লোকেশন | w3w |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Twitter Link
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ভাইয়া আপনি প্রতিনিয়ত নতুন নতুন জায়গা খুঁজে খুঁজে ঘুরে বেড়ান। কোথায় পান এত নতুন জায়গার সন্ধান? দেখেই তো মনে হচ্ছে জায়গাটা অনেক সুন্দর এবং অপূর্ব। আর আপনার পোস্ট পড়ে মনে হল আপনারা ভালই এনজয় করেছেন। দেখি একবার ঘুরে আসবো আপনাদের পছন্দের এই জায়গাটিতে। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আপু জায়গাটা আসলেই খুব সুন্দর। আপনি চিটাগাংরোড নেমে,অটো নিয়ে খুব সহজেই এই জায়গাতে পৌঁছে যেতে পারবেন। যাইহোক পোস্টটি দেখে এতো চমৎকার মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
এটা ঠিক বলেছেন ভাইয়া আসলে এখন খোলামেলা জায়গার বড্ড অভাব । তবে পার্কের location টা আমার কাছে ভালো লেগেছে শিশু থেকে বয়স্করা ওইখানে ভালো সময় কাটাতে পারবে । আপুকে নিয়ে নাগরদোলায় উঠেছেন এটা জানতে পেরে ভালো লাগলো যদিও আপু অনেকটা ভয় পেয়েছিল এজন্য পরে উঠতে চাইনি ।
হ্যাঁ ভাই সে খুব ভয় পেয়েছে নাগরদোলা তে চড়ে। তবে আমরা বেশ ভালো সময় কাটিয়েছি সেখানে। যাইহোক পোস্টটি পড়ে গুছিয়ে মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন দেখছি।এই পার্কটি দেখছি বেশ সুন্দর। বিশেষ করে ছোট বাচ্চাদের জন্য বেশ মনোরঞ্জন করার মত জায়গা। আপনি খুব সুন্দর ভাবে পার্কটি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য
হ্যাঁ ভাই পার্কটি আসলেই খুব সুন্দর। বাচ্চাদের জন্য বিভিন্ন ধরনের রাইড রয়েছে সেখানে। যাইহোক পোস্টটি পড়ে গঠনমূলক মন্তব্যের মাধ্যমে পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
সুন্দর একটি জায়গায় আপনি ঘুরতে গিয়েছেন। দেখে খুবই ভালো লাগছে। পার্ক টি দেখে খুবই নিরিবিলি মনে হচ্ছে আমার কাছে। বিশেষ করে বাচ্চারা এই পার্কটি বেশি পছন্দ করবে। বিভিন্ন ধরনের রাইডার রয়েছে পার্কে। পার্কের লাইটিং গুলোও খুব সুন্দর লাগছে দেখতে। সুন্দর কিছু মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।আপনাদের ভ্রমণের পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
হ্যাঁ আপু পার্কটি একেবারে নিরিবিলি জায়গায় অবস্থিত। বিভিন্ন ধরনের রাইড ও রেস্টুরেন্ট থাকাতে এবং লাইটিং করাতে দেখতে দারুণ লেগেছিল। সবমিলিয়ে বেশ উপভোগ করেছি পুরোটা সময়। যাইহোক সুন্দর ও সাবলীল ভাষায় মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।