রেসিপি পোস্ট || 🍲গাজরের ঝাল ঝাল ভর্তা রেসিপি তৈরি🍲
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি রেসিপি পোস্ট শেয়ার করবো। আপনারা অনেকেই জানেন যে, আমি মাঝে মধ্যে বাসায় বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে থাকি। যাইহোক আজকে আমি ভিন্ন ধরনের একটি রেসিপি শেয়ার করতে যাচ্ছি। আমি গাজরের ঝাল ঝাল ভর্তা রেসিপি তৈরি করেছিলাম কিছুদিন আগে। যদিও রেসিপিটা শেয়ার করা হয়নি বিধায়, আজকে শেয়ার করতে যাচ্ছি। গাজরের হালুয়া তো অনেকেই খেয়েছেন, কিন্তু গাজরের ঝাল ঝাল ভর্তা আমাদের কমিউনিটির কেউ খেয়েছেন কিনা,সেটা আমার জানা নেই। আসলে বাসায় অনেক গুলো গাজর ছিলো, তাই হঠাৎ করে ভেবেছিলাম ঝাল জাতীয় কিছু তৈরি করবো। কারণ ঝাল আমার খুবই পছন্দ। গরম গরম ভাতের সাথে গাজরের ঝাল ঝাল ভর্তা খাওয়ার মজাই আলাদা। আর গাজরের গুণাগুণ সম্পর্কে আমরা সবাই কমবেশি জানি। রেসিপিটা ঝাল ঝাল করে তৈরি করেছিলাম বলে খেতে খুবই সুস্বাদু লেগেছিল। আপনারা চাইলে এই রেসিপিটা বাসায় তৈরি করে খেতে পারেন। যাইহোক রেসিপিটা আমি ধাপে ধাপে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি আপনাদের কাছে খুব ভালো লাগবে।
গাজরের ঝাল ঝাল ভর্তা রেসিপি তৈরি
প্রয়োজনীয় উপকরণ
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
গাজর | ৩ টা |
পেঁয়াজ | ৩ টা |
কাঁচামরিচ | ৬ টা |
শুকনা মরিচ | ৩/৪ টা |
ধনিয়া পাতা | পরিমাণ মতো |
লবণ | পরিমাণ মতো |
সরিষার তেল | পরিমাণ মতো |
প্রস্তুত প্রণালী নিম্নরূপ :
🍲প্রথম ধাপ🍲
প্রথমে পরিমাণ মতো পানি দিয়ে কেটে রাখা গাজর গুলো সিদ্ধ করে নিচ্ছি।
🍲দ্বিতীয় ধাপ🍲
গাজর গুলো সিদ্ধ করার পর, একটি ফ্রাই প্যানে পরিমাণ মতো সরিষার তেল ঢেলে ভেজে নিচ্ছি।
🍲তৃতীয় ধাপ🍲
ভেজে নেওয়ার পর গাজর গুলো ম্যাশড করে নিলাম।
🍲চতুর্থ ধাপ🍲
তারপর কেটে রাখা পেঁয়াজ কুঁচি এবং কাঁচামরিচ গুলো ফ্রাই প্যানে হালকা ভেজে নিচ্ছি। পেঁয়াজ কুঁচি গুলো বাদামি কালার হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই।
🍲পঞ্চম ধাপ🍲
তারপর ম্যাশড করে রাখা গাজর গুলো দিয়ে দিলাম এবং কিছুক্ষণ ভেজে নিবো।
🍲ষষ্ঠ ধাপ🍲
তারপর পরিমাণ মতো ধনিয়াপাতা দিয়ে আরও একটু ভেজে নিলাম।
🍲সপ্তম ধাপ🍲
তারপর অল্প পরিমাণে সরিষার তেল দিয়ে, শুকনা মরিচ এবং পেঁয়াজ একসাথে মেখে নিলাম। এরপর ভেজে নেওয়া গাজর গুলোর সাথে মিক্সড করে নিবো।
🍲পরিবেশন🍲
মিক্সড করার পর রেসিপিটা তৈরি হয়ে গেলো। তারপর একটি প্লেটে ঢেলে পরিবেশন করলাম। রেসিপিটা খেতে সত্যিই দারুণ লেগেছিল।
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | রেসিপি |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g |
তারিখ | ২৩.৩.২০২৪ |
লোকেশন | নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা,বাংলাদেশ |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
আপনি বরাবরের মতোই বেশ সুন্দর রেসিপি তৈরি করে থাকেন। গাজরের ঝাল ঝাল ভর্তা খাই নাই ভাইয়া। আজকে আপনার মাধ্যমে দারুন একটি রেসিপি সম্পর্কে জানতে পারলাম। প্রতিটি ধাপ সুন্দর করে উপস্থাপনা করেছেন। আপনার এই রেসিপি দেখে, অবশ্যই বাসায় বানানোর চেষ্টা করবো।প্রয়োজনীয় উপকরণ গুলি সঠিক মাত্রায় তুলে ধরেছেন। আপনার উপস্থাপনা করার প্রক্রিয়াগুলি বেশ সুন্দর ছিল। আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
সব সময় চেষ্টা করি মজাদার রেসিপি গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করতে। যাইহোক রেসিপিটা দেখে এমন অনুপ্রেরণামূলক মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
শীতকালীন বিভিন্ন শাক সবজির মধ্যে গাজর আমার অন্যতম প্রিয় একটি সবজি। এটা কাঁচা খেতে যেমন ভালো লাগে, তেমনি রান্না ও সালাদ করে খেতে ভালো লাগে। যাই হোক খুব সুন্দর ভাবে আপনি একটা রেসিপি তৈরি করেছেন গাজরের, দেখে বেশ ভালো লাগলো আপনার রেসিপি।
হ্যাঁ ভাই গাজর কাঁচা খেতেও খুব ভালো লাগে। যাইহোক রেসিপিটা দেখে গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
অনেক রকমের ভর্তা খেয়েছি এবং অনেক রকমের ভর্তা নিজেও বানাতে পারি। তবে গাজরের ভর্তা এর আগে কখনো খাওয়া হয়নি। আপনার থেকে নতুন একটি রেসিপি শিখতে পারলাম।রেসিপির ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে দেখিয়েছেন। অনেক ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
যেহেতু অনেক রকমের ভর্তা তৈরি করতে পারেন, তাহলে এই রেসিপিটা অবশ্যই তৈরি করে খাবেন আপু। যাইহোক রেসিপিটা দেখে সুন্দর ও সাবলীল ভাষায় মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
বাহ ভাইয়া গাজরের ঝাল ঝাল দারুন একটি ভর্তা রেসিপি নিয়ে এসেছেন আজকে আমাদের মাঝে। আসলেই ঝাল আমারও অনেক বেশি প্রিয়। কেননা সবাই তো আর মিষ্টি জাতীয় জিনিস পছন্দ করে না। এর আগে আমি গাজরের হালুয়া বেশ কয়েকবার খেয়েছি কিন্তু কখনো গাজরের ভর্তা রেসিপি খাওয়া হয়ে ওঠেনি। আপনার পোষ্টের মাধ্যমে গাজরের ভর্তা রেসিপি তৈরির প্রক্রিয়াসমূহ খুবই সুন্দরভাবে দেখলাম এবং বুঝতে পারলাম। অবশ্যই চেষ্টা করব এটি এবার বাসায় বানিয়ে খাওয়ার জন্য। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনার মতো আমারও ঝাল ভীষণ প্রিয়। যাইহোক রেসিপিটা দেখে এভাবে সাপোর্ট করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।
আসলেই ভাইয়া গাজরের হালুয়া খেয়েছি কিন্তু কখনও ঝাল ঝাল ভর্তা খাইনি।বেশ ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন।দেখতেও বেশ ভালো লাগছে।প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ভালো লাগলো। ধন্যবাদ
হ্যাঁ আপু চেষ্টা করেছি প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দরভাবে আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করতে। যাইহোক রেসিপিটা দেখে এতো চমৎকার মন্তব্যের মাধ্যমে উৎসাহিত করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
গাজরের ভর্তা রেসিপি তৈরি করা যায়, তা আসলে আমার জানা ছিল না। আজকে আমি আপনার পোস্টের মাধ্যমে জানতে পারলাম গাজরের ভর্তা রেসিপি তৈরি করা যায়। আসলে এরকম নতুন নতুন রেসিপি দেখলে অনেক বেশি ভালো লাগে। এটি আমার কাছে একদম রেসিপি। রেসিপি টি বেশ দারুন হয়েছে। রেসিপি টি দেখে মনে হচ্ছে বেশ মজাদার।
আসলেই নতুন নতুন রেসিপি দেখলে ভীষণ ভালো লাগে। যাইহোক রেসিপিটা দেখে আপনার মূল্যবান মতামত প্রকাশ করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
গাজর দিয়ে তৈরি করা ঝাল ঝাল ভর্তা, আমি আজকে প্রথম বার দেখলাম। গাজরের ভর্তা দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু ছিল এটা। যেকোনো ভর্তার মধ্যে যদি ঝাল একটু বেশি দেওয়া হয়, তাহলে খেতে একটু বেশি ভালো লাগে। আপনি আজকে একেবারে ইউনিক একটা রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছেন আমাদের মাঝে। এই ভর্তার নাম আমি আগে কখনোই শুনিনি। ভর্তা এমনিতেই গরম ভাতের সাথে খাওয়ার মজাটাই আলাদা হয়। আর তেমনি এই ভর্তাটাও মনে হচ্ছে গরম ভাতের সাথে জমিয়ে খেয়েছিলেন। দাদা আমার খুব পছন্দের। আর এটা দিয়ে যদি এরকম রেসিপি তৈরি হয় তাহলে ভালো তো লাগবে। চাইলেই যে কেউ এটা তৈরি করতে পারবে আপনার উপস্থাপনা দেখে।
আপনি ঠিক বলেছেন ভাই, যেকোনো ভর্তায় ঝালের পরিমাণ একটু বেশি হলে খেতে দারুণ লাগে। যাইহোক রেসিপিটা দেখে গুছিয়ে মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
অনেক ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন ভাইয়া। গাজরের ভর্তা আগে কখনো আমি খাইনি। তবে আপনার রেসিপিটা দেখে মনে হচ্ছে এটা খেতে অনেক সুস্বাদু। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এত ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
আপনি ঠিকই বলেছেন আপু, রেসিপিটা খেতে খুবই ইয়াম্মি লেগেছিল। যাইহোক রেসিপিটা দেখে যথাযথ মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।