লাইফস্টাইল পোস্ট || পিকআপ গাড়ি কেনার অভিজ্ঞতা (চতুর্থ পর্ব)
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি পিকআপ গাড়ি কেনার অভিজ্ঞতা (চতুর্থ পর্ব) শেয়ার করার চেষ্টা করবো। আগের পর্বে আপনারা পড়েছিলেন, গাড়ি নিয়ে আমরা সরাসরি নিটল মটরস এর সার্ভিসিং সেন্টারে গিয়েছিলাম, টুকটাক কিছু পার্টস পরিবর্তন করার জন্য। তারা সবকিছু দেখে আমার নাম এবং মোবাইল নম্বর এন্ট্রি করলো। তারপর পরের দিন সকালে গাড়ি ডেলিভারি নিতে বললো। পরের দিন সকালে সার্ভিসিং সেন্টারে যাওয়ার পর বিল আসলো ১৩ হাজার টাকার উপরে। আসলে টাটার সার্ভিসিং সেন্টারে বিল তুলনামূলক ভাবে বেশি আসে। তবে জেনুইন পার্টস পাওয়া যায়। আর বাহির থেকে সার্ভিসিং করালে হয়তো ৭/৮ হাজার টাকা বিল আসতো। তবে নকল পার্টস দেওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
যাইহোক গাড়ি নিয়ে চলে গেলাম ওয়াশ করতে। কার ওয়াশিং গ্যারেজ থেকে ভালোভাবে গাড়ি ওয়াশ করে বাসার দিকে চলে গেলাম আমি এবং ড্রাইভার। তারপর ড্রাইভারকে বললাম পরের দিন ভোরে, উত্তরা বিআরটিএ এর উদ্দেশ্যে রওনা দিতে হবে গাড়ির নম্বর প্লেট লাগানোর জন্য। ভোরে রওনা দিলে রাস্তায় সার্জেন্ট কম থাকবে। যেহেতু গাড়ির নম্বর প্লেট লাগানো ছিলো না, যদি সার্জেন্ট ধরে তাহলে জরিমানা বাবদ কয়েক হাজার টাকা আদায় করে নিবে। যাইহোক পরের দিন ভোরে আমরা রওনা দিলাম উত্তরা বিআরটিএ এর উদ্দেশ্যে। আমরা মদনপুর থেকে কাঞ্চন ব্রিজের দিকে অগ্রসর হতে লাগলাম। তারপর পূর্বাচল হয়ে কুড়িল বিশ্বরোড দিয়ে এয়ারপোর্ট অতিক্রম করে, উত্তরার দিক প্রবেশ করলাম। সকালের আবহাওয়াটা এককথায় দুর্দান্ত লেগেছে আমার কাছে। কারণ সচরাচর এতো ভোরে ঘুম থেকে কমই ওঠা হয়। যেতে যেতে আমি গাড়ি থেকে রাস্তার কয়েকটি ফটোগ্রাফিও করে নিয়েছিলাম।
উত্তরা মডেল ক্লাবের পাশে সিউল মার্ট সুপার শপ দেখে খুবই ভালো লেগেছিল,তাই সাথে সাথে একটি ফটোগ্রাফি করে নিয়েছিলাম। যাইহোক অফিস টাইম শুরু হবার অনেক আগেই আমরা বিআরটিএ পৌঁছে গেলাম। তারপর একে একে কয়েকজন দালাল এসে জিজ্ঞেস করলো কি কাজ করাবো। রেজিষ্ট্রেশন সার্টিফিকেট এর মেয়াদ কয়েকদিন আগে শেষ হয়ে গিয়েছিল বিধায়, ভাবলাম যে দালালদের সাথে কন্ট্রাক্ট করে কাজটি করিয়ে ফেলি তাড়াতাড়ি। নয়তো অনেক দেরি হয়ে যেতে পারে। তারপর শেষ পর্যন্ত ১৫০০ টাকার কন্ট্রাক্ট হলো দালালের সাথে। এরপর দালালের কাছে ডকুমেন্টস এর ফটোকপি দিয়ে, তার মোবাইল নম্বর নিয়ে আমরা গাড়ি সাইডে পার্কিং করে রেখে, নাস্তা খাওয়ার জন্য একটি হোটেলে ঢুকলাম। হোটেলটি বিআরটিএ এরিয়ার ভিতরেই। এরপর কি হলো সেটা জানতে হলে আপনাদেরকে পরবর্তী পর্ব পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।(চলবে)
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | লাইফস্টাইল |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g |
তারিখ | ২.৭.২০২৩ |
লোকেশন | ঢাকা,বাংলাদেশ |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Twitter Link
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
কিছুদিন আগে আমি আপনার একটি পোস্ট দেখেছি ভাই, যেখানে পিকাপ কেনার প্রথম পর্ব উপস্থাপন করেছিলেন। আশা করি আপনার এই অগ্রযাত্রা সুন্দর হোক, দিনের পথচলা সুন্দর হোক সেই শুভকামনা রইল।
ভাই আপনি যে পর্বটি পড়েছিলেন সেটা তৃতীয় পর্ব ছিলো। যাইহোক এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য এবং আমাকে শুভকামনা জানানোর জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।