ক্রিয়েটিভ রাইটিং(গল্প) || অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিতে পারে (তৃতীয় পর্ব)
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি বাস্তব গল্প শেয়ার করবো। এর আগে এই গল্পের দ্বিতীয় পর্ব আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম এবং আজকে তৃতীয় পর্ব শেয়ার করতে যাচ্ছি। আজকে সন্ধ্যার পর আমার ওয়াইফ এর অপারেশন করা হয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ অপারেশন সফল হয়েছে এবং যারা যারা আমার ওয়াইফ এর জন্য দোয়া করেছেন, তাদের সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। কারণ আপনাদের সবার দোয়া কাজে লেগেছে। আমার ওয়াইফ যাতে খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠে, সেই কামনা করছি। সারাদিন হসপিটালে বসে একটু একটু করে এই পোস্টটি লেখা শেষ করলাম। সত্যি বলতে সারাদিন অনেক টেনশনে ছিলাম এবং এখন কিছুটা ভালো লাগছে।
যাইহোক গত পর্বে আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম ইমরানের রুমের ফ্লোরের মধ্যে ইমরান যেভাবে পড়ে রয়েছিলো, তার অবস্থা দেখে আমরা তিনজন ভয় পেয়েছিলাম বলে, সাথে সাথে দোতলা থেকে নিচে নিমে গিয়েছিলাম। তারপর আমার সাথে থাকা দুই ভাই ব্রাদারের সাথে আলোচনা করে কোরিয়ান ইমারজেন্সি নম্বর ১১৯ এ ফোন করলাম অ্যাম্বুলেন্স পাঠানোর জন্য। কারণ নিজেরা যদি কিছু করতে যাই,তাহলে হয়তোবা কোনো ঝামেলায় পরতে পারি। যাইহোক অ্যাম্বুলেন্স আসার পর সবাই মিলে ইমরানের রুমে গেলাম এবং রুমের ভিতরে ঢুকে তো পুরোপুরি অবাক হয়ে গেলাম। কারণ রুমের কিছু কিছু জিনিসপত্র এলোমেলো অবস্থায় ছিলো। দেখে যতটুকু ধারণা করেছিলাম,ইমরান হয়তোবা গোসল করার জন্য ওয়াশরুমে যাওয়ার জন্য রেডি হচ্ছিলো,কিন্তু স্ট্রোক করে ফ্লোরে পড়ে গিয়েছিলো।
তারপর হয়তোবা শুয়ে শুয়ে হামাগুড়ি দিয়ে রুমের দরজা খুলে বাহিরে যেতে চেয়েছিলো,কিন্তু শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়েছে। যাইহোক অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে আসা লোক পুলিশের কাছে ফোন করলো। যেহেতু ইমরান আগেই মারা গিয়েছিল, তাই পুলিশকে অবশ্যই ফোন করতে হতো। কারণ এই ধরনের কেস পুলিশ হ্যান্ডেল করে থাকে। যাইহোক পুলিশ আমাদের তিনজনের নাম এন্ট্রি করে রাখলেন মোবাইল নম্বর সহ এবং বললেন যে ডাকলে আমাদের তিনজনকে পুলিশ স্টেশনে যেতে হবে। কারণ আমাদেরকে ইমরানের মৃত্যুর ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করবে। যেহেতু আমরাই ইমরানকে প্রথমে দেখেছিলাম। যাইহোক এরপর অ্যাম্বুলেন্স এর মাধ্যমে ইমরানকে হসপিটালে নিয়ে যাওয়া হলো। তারপর হসপিটালের মর্গে ২/৩ দিন রেখে, সিউলে পাঠানো হবে।
মূলত যত বিদেশীরা সাউথ কোরিয়াতে মারা যায়, তাদেরকে সবাইকে সিউলের মর্গে রাখা হয়। তারপর দক্ষিণ কোরিয়াতে অবস্থিত বিভিন্ন দেশের দূতাবাসের সাথে যোগাযোগ করে, সেই দেশের নাগরিকের লাশ নিজ নিজ দেশে পাঠানো হয়। যাইহোক সেদিনের মতো আমরা বাসায় চলে আসলাম। কারণ পরের দিন আমাদের অফিস ছিলো। তো পরের দিন বিকেলে পুলিশ স্টেশন থেকে আমাকে ফোন করে বললো, পরের দিন দুপুর ২ টার দিকে আমাদের ৩ জনকে পুলিশ স্টেশনে যেতে। তো আমি বাকি ২ জনকে ফোন করে সবকিছু বললাম। তারপর সবাই ঠিক করলাম যে পরের দিন লাঞ্চ পর্যন্ত কাজ করে অফিস থেকে বের হয়ে যাবো। তারপর পুলিশ স্টেশনে চলে যাবো। যাইহোক এরপর কি হলো,সেটা জানতে হলে আপনাদেরকে পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। (চলবে)
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | গল্প(ক্রিয়েটিভ রাইটিং) |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g |
তারিখ | ১৬.৫.২০২৪ |
লোকেশন | নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা,বাংলাদেশ |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ইতো পূর্বে আপনি এ বিষয়ে আমাদের মাঝে পোস্ট শেয়ার করেছিলেন। শেরপুর আমি বেশ করে বোঝার চেষ্টা করেছিলাম এবং পরবর্তী পোস্ট পাওয়ার প্রত্যাশায় ছিলাম। আজকে আবারো পরবর্তী অংশ আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন এবং বিস্তারিত জানতে পারলাম উনার বিষয়ে। আসলে মানুষ যখন দুশ্চিন্তায় থাকে তখন যে কোন মুহূর্তে হঠাৎ স্টক হয়ে যেতে পারে। তাই আমাদের করণীয় কখনো কারো মাথায় টেনশন চাপিয়ে না দেওয়া এবং টেনশন না করা। যাইহোক খুব সুন্দর একটি বিষয় কিন্তু আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আর এতে কিন্তু অনেকেই বিস্তারিত জানতে পারবে ও বুঝতে পারবে।
হ্যাঁ আপু মানুষ অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা করলে স্ট্রোক করতে পারে। সুতরাং সবসময়ই চেষ্টা করতে হবে দুশ্চিন্তা মুক্ত থাকার জন্য। যাইহোক পোস্টটি পড়ে এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।