প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি পিকআপ গাড়ি কেনার অভিজ্ঞতা (২য় পর্ব) শেয়ার করার চেষ্টা করবো। আগের পর্বে আপনারা পড়েছিলেন কেরানীগঞ্জে অবস্থিত টাটার ডিপোতে গিয়েছিলাম পিকআপ গাড়ি কিনতে। সেখানে যাওয়ার পর জানতে পারলাম তিনটি ডিপো আছে সেখানে। প্রথমে আমরা ১নং ডিপোতে গেলাম গাড়ি দেখতে। কিন্তু গাড়ির সংখ্যা খুব কম ছিলো এবং গাড়ির কন্ডিশনও তেমন ভালো ছিলো না। এটা হচ্ছে ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসের কথা। তারপর যথাক্রমে ২নং ডিপো এবং ৩নং ডিপোতেও গেলাম।

সেখানে গিয়ে দু'একটা গাড়ি পছন্দ হলেও তুলনামূলক ভাবে দাম অনেক বেশি চেয়েছিল। তাই তাদের কাছে আমার মোবাইল নম্বর দিয়ে বাসায় চলে আসছিলাম। যাতে করে ভালো গাড়ি আসলে আমাকে ফোন করে জানায়। বাসায় আসার পর আরো কয়েক জায়গায় খোঁজ করলাম গাড়ির ব্যাপারে। আরো কয়েক জায়গায় কয়েকটি গাড়িও দেখেছিলাম। কিন্তু তেমন পছন্দ হয়নি বিধায় কেনা হয়নি। যাইহোক কয়েকদিন পর জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝিতে, কেরানীগঞ্জ ডিপো থেকে ফোন করে বললো যে, সেখানে নাকি ৫ দিনের জন্য গাড়ির মেলা চলবে। আমি চেষ্টা করেছিলাম ড্রাইভারকে সাথে নিয়ে মেলার প্রথম দিন যেতে। তবে ব্যস্ততার জন্য মেলার প্রথম দিন যেতে পারিনি,তাই ২য় দিন গিয়েছিলাম।

যাওয়ার পর অনেকগুলো গাড়ির মধ্যে ৩/৪ টা গাড়ি পছন্দ হলো। তবে ১টা গাড়ি খুব পছন্দ হয়েছে। গাড়িটা ৪০০০ কিলোমিটার চলেছে। তার মানে ১/১.৫ মাস এর মতো চলেছে গাড়িটা। গাড়িটার রেজিষ্ট্রেশন হয়েছে হয়েছে ২০২২ সালের মাঝামাঝিতে। তারপর অন্য একটি জায়গায় গাড়িটা রাখা ছিলো কিছুদিন। যাইহোক আমি এই গাড়িটা কেনার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করলে, সেখানে দায়িত্বরত কর্মকর্তা আলী রেজা ভাই জানালেন, এই গাড়িটা মেলার প্রথম দিন একজন বুকিং করে গিয়েছে। আমি দেখেছিলাম একটা কাগজে লেখা ছিলো গাড়িটা বুকিং করা। একটু পর নাকি আসবে টাকা দিয়ে গাড়িটা কিনে নিয়ে যাওয়ার জন্য। আমি বললাম সেই লোক শিওর আসবে কিনা সেটা ফোন করে জানার জন্য।

ফোন দেওয়ার পর সেই লোক বললো টাকা ম্যানেজ করতে দুই দিন সময় লাগবে। এরপর আমি আলী রেজা ভাইকে গাড়ির দাম জিজ্ঞেস করার পর বললো ৪,৯৮,০০০ টাকা। তারপর দামাদামি করতে করতে শেষ পর্যন্ত ৪,৩০,০০০ টাকা নির্ধারণ করা হলো। তারপর আলী রেজা ভাইকে বললাম আমি এখনই টাকা দিয়ে গাড়ি নিয়ে যেতে পারবো। গাড়িটার ব্যাপারে আমার আগ্রহ দেখানোর উদ্দেশ্য হচ্ছে গাড়ির কন্ডিশন খুবই ভালো। কারণ আমার সাথে যে ড্রাইভার গিয়েছিল, সে সবকিছু চেক করে দেখে বলেছে গাড়ির কন্ডিশন অনেক ভালো। গাড়িটা একেবারে নতুনের মতোই বলা যায়। তারপর আলী রেজা ভাই এবং আমি চলে গেলাম ডাচ বাংলা ব্যাংক এর হাসনাবাদ শাখায় পেমেন্ট করার জন্য। যাবার আগে ডকুমেন্টস সংক্রান্ত ব্যাপার গুলো কমপ্লিট করে নিয়েছিলাম। এরপর কি হলো সেটা জানতে হলে আগামী পর্বের জন্য অপেক্ষা করতে হবে আপনাদেরকে।