লাইফস্টাইল পোস্ট || পিকআপ গাড়ি কেনার অভিজ্ঞতা (প্রথম পর্ব)
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি পিকআপ গাড়ি কেনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করার চেষ্টা করবো। পিকআপ গাড়িটা আমি এই বছরের জানুয়ারী মাসে কিনেছিলাম। গাড়ির মডেল নম্বর হচ্ছে টাটা এইস ই এক্স-২। আপনারা অনেকেই জানেন যে, আমি রেন্ট-এ-কার ব্যবসায় এর সাথে জড়িত আছি অনেক দিন ধরে। মূলত এই ব্যবসাটা আমরা দুই ভাই করি। আমাদের প্রাইভেট কার এবং নোয়া স্কয়ার হাইব্রিড গাড়ি রয়েছে। তবে এই প্রথম আমি আলাদাভাবে একটি পিকআপ গাড়ি কেনার জন্য মনস্থির করি। কেনো আমি পিকআপ গাড়ি কেনার জন্য মনস্থির করলাম,সেটা আপনাদেরকে একটু খুলে বলি।
আমাদের এলাকা মূলত গার্মেন্টস ব্যবসার উপর নির্ভরশীল। গার্মেন্টস এর টুকরা কাপড় থেকে মেশিনের মাধ্যমে তুলা তৈরি করা হয়। সেই তুলা বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায়, এমনকি ভারতেও রপ্তানি করা হয়। একসময় চীনেও রপ্তানি করা হতো। তবে অনেক বছর যাবৎ চীনে তুলা রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। আবার অনেকে স্পিনিং মেশিনের মাধ্যমে তুলা থেকে সুতা তৈরি করে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করে থাকে। যেহেতু তুলা এবং সুতা তৈরি করে আমাদের এলাকা থেকে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করা হয়,সেহেতু পিকআপ গাড়ি বা বড় ট্রাকের চাহিদা রয়েছে ব্যাপক। আমার ইচ্ছে ছিলো বড় ট্রাক কেনার। তবে খবর নিয়ে জানতে পারলাম যে, বড় ট্রাকে রোড এক্সিডেন্ট এর ঝুঁকি একটু বেশি থাকে।
তাই ভাবলাম পিকআপ গাড়ি কিনে শুরু করি প্রথমে। তারপর আস্তে আস্তে অন্য গাড়ি আরো কেনা যাবে। খোঁজ করে পরিচিত একজন ভালো মানের ড্রাইভার পেয়ে গেলাম। প্রথমে টাটা নিটল মটরস এর শোরুমে গিয়ে দাম জিজ্ঞেস করলাম। তারা বললো যে টাটা এইস ই এক্স-২ পিকআপ গাড়ির দাম ১১ লক্ষ টাকা। যদি নগদ টাকা দিয়ে কিনি তাহলে। আর যদি কিস্তিতে কিনি তাহলে দাম আরো বেশি। সেখানে যাচাই করার পর ড্রাইভার বললো, এতো দাম দিয়ে না কিনে টাটা কোম্পানির ডিপোতে গিয়ে, কিস্তি ফেইল ধরা গাড়ি কিনতে পারলে,তুলনামূলক কম দামে ভালো মানের গাড়ি পাওয়া যেতে পারে। কিস্তি ফেইল ধরা গাড়ির ব্যাপারে বিস্তারিত বললে আপনারা ভালো করে বুঝতে পারবেন।
মূলত অনেকে টাটা কোম্পানি থেকে কিস্তিতে গাড়ি কিনে, কিন্তু পরবর্তীতে কিস্তি ঠিকমতো চালাতে না পারলে, টাটা কোম্পানি সেই গাড়ি ফেরত নিয়ে আসে। তারপর ডিপোতে ফেলে রেখে, অন্য কারো কাছে বিক্রি করে দেয়। সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ির ব্যাপারে আমার ধারণা কিছুটা কম। নোয়া স্কয়ার হাইব্রিড গাড়িটি জাপান থেকে আমদানি করেছিলাম ২০২১ সালের শেষের দিকে। যাইহোক টাটা কোম্পানির ডিপোর ঠিকানা নেওয়ার জন্য এবং এই ব্যাপারে জানার জন্য আমি চলে গেলাম টাটার সার্ভিস সেন্টারে। সেই সার্ভিস সেন্টারটি আমাদের মদনপুর থেকে অল্প একটু সামনেই অবস্থিত। জায়গার নাম হচ্ছে মালিবাগ। ক্যাসেল রিসোর্ট এর ঠিক উল্টো দিকে। সেখানে যাওয়ার পর সেখানকার এক অফিসারকে ম্যানেজ করে, তার কাছ থেকে ডিপোর ঠিকানা নিয়ে পরের দিন সকালে চলে গেলাম কেরানীগঞ্জে অবস্থিত টাটা কোম্পানির ডিপোতে। তবে আজকে এই পর্যন্তই। পরবর্তী পর্বে আপনারা আরো অনেক কিছু জানতে পারবেন। (চলবে)
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | লাইফস্টাইল |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g |
তারিখ | ১৪.৬.২০২৩ |
লোকেশন | ঢাকা,বাংলাদেশ |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাল্লাহ দেখা হবে অন্য কোন পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Twitter Link