জেনারেল রাইটিং || ট্রলার দিয়ে বিশ্ব ইজতেমায় যাওয়ার গল্প (দ্বিতীয় পর্ব)
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি ট্রলার দিয়ে বিশ্ব ইজতেমায় যাওয়ার গল্পের দ্বিতীয় পর্ব আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। গত পর্বে আপনারা পড়েছিলেন ইছাপুরা যেতেই আমাদের ট্রলারে সমস্যা দেখা দেয় এবং ট্রলার চালক মেরামত করার লোক খুঁজতে থাকে। আর আমরা যেহেতু কয়েকজন ছিলাম, আমরা প্রথমে একটি মসজিদে ঢুকে মাগরিবের নামাজ আদায় করে নিলাম। তারপর মসজিদ থেকে বের হয়ে ট্রলার চালককে জিজ্ঞেস করলাম কোন ব্যবস্থা হয়েছে নাকি। তিনি বললেন এখনো কোন ব্যবস্থা হয়নি, তবে চেষ্টা করছে। আমরা যেখানে ছিলাম সেটা অনেক বড় একটি বাজার।আমরা প্রথমে ভাপা পিঠা, চিতই পিঠাসহ আরও বিভিন্ন ধরনের পিঠা খেলাম।
এরপর বিভিন্ন ধরনের স্ট্রিট ফুড খেতে লাগলাম। এদিকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে এবং বৃষ্টি থামার কোন নাম-ই নেই। আর ওদিকে ট্রলার চালক ট্রলার মেরামত করার লোকও খুঁজে পাচ্ছে না। আমরা যেহেতু ৯/১০ জন ছিলাম, সেজন্য আমরা সেই সময়টাও বেশ উপভোগ করেছি। যদিও কিছুটা চিন্তিত ছিলাম ট্রলার মেরামত করা নিয়ে। কারণ পরের দিন সকালে আখেরি মোনাজাত। আমাদের হাতে সময়ও খুব বেশি ছিলো না। দেখতে দেখতে এশার নামাজের সময় হয়ে গেল। আমরা সবাই এশার নামাজ আদায় করে নিলাম। তারপর মসজিদের বাহিরে দাঁড়িয়ে নিজেরা একটু পরামর্শ করলাম কি করা যায়। কারণ ট্রলার যদি মেরামত না করা যায়, তাহলে রাতে আমরা কোথায় ঘুমাবো। আমি সবাইকে বললাম যে আমরা মসজিদে রাতটুকু ঘুমাতে পারি।
সবাই আর কোন উপায় না পেয়ে রাজি হয়ে গেল। তারপর মসজিদে থাকা একজন লোককে সব ঘটনা খুলে বললাম। তিনি সবকিছু শোনার পর আমাদেরকে মসজিদে ঘুমানোর অনুমতি দিয়ে দিল। আমরাও বেশ খুশি হলাম। সত্যি বলতে কিছুটা চিন্তামুক্ত হয়েছিলাম তখন। যাইহোক আমরা আবারও চলে গেলাম বাজারের দিকে। তখনও গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছিলো। ট্রলার চালককে কল দিয়ে জিজ্ঞেস করলাম কোথায় আছে। তারপর আমরা ট্রলার চালকের কাছে গেলাম এবং জিজ্ঞেস করলাম ট্রলার মেরামত করতে পেরেছে কিনা। তিনি বললেন রাত হয়ে গিয়েছে তো,আর সেজন্য কোনো ব্যবস্থা হয়নি। সকালের আগে আর কোন ব্যবস্থা হবে নাকি, সেটাও নিশ্চিত ভাবে বলা যাচ্ছে না। এটা শুনে তো আমাদের মেজাজ পুরোপুরি খারাপ হয়ে গিয়েছে।
কারণ সকালে মেরামত করে আখেরি মোনাজাতে অংশগ্রহণ করতে পারবো কিনা তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। কারণ আমরা যেখানে ছিলাম সেখান থেকে ইজতেমায় যেতে হলে ৩/৪ ঘন্টা লাগবে। এর মধ্যে আমাদের এক বন্ধু একটা বুদ্ধি বের করলো। ওদের মহল্লার কয়েকজন ছেলে ইতিমধ্যে ট্রলার নিয়ে ইজতেমায় পৌঁছে গিয়েছে। কারণ তারা নাকি সেদিন সকালেই চলে গিয়েছে। তাদেরকে কল দিয়ে বললো ওদের ট্রলার আমাদের এখানে পাঠাতে। তাহলে ওদের ট্রলারের সাথে আমাদের ট্রলার বেধে টেনে নিয়ে যাবে। তারপর ইজতেমার মাঠের দিকে গিয়ে আমাদের ট্রলার মেরামত করা হবে। যাইহোক আজকে এই পর্যন্তই। পরের পর্বে আপনাদের সাথে আরও অনেক কিছু শেয়ার করবো ইনশাআল্লাহ।
"চলবে"
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | জেনারেল রাইটিং |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g |
তারিখ | ৭.৫.২০২৩ |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাল্লাহ দেখা হবে অন্য কোন পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
Twitter Share
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ট্রলার দিয়ে বিশ্ব ইজতেমায় যাওয়ার গল্পটি আপনি সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এই গল্পটির দ্বিতীয় পর্ব আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে পড়ে ভীষণ ভালো লেগেছে আমার কাছে। ট্রলারটি নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে আপনারা একটি মসজিদে রাতে থাকার জন্য আশ্রয়ের ব্যবস্থা করেছিলেন। বেশ ভালোই লিখেছেন সম্পূর্ণটা।
মসজিদে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছিল, তবে থাকা হয়নি আমাদের। অনুপ্রেরণা মূলক মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাইয়া ট্রলার নষ্টের দোহাই দিয়ে দেখি খাওয়ার ধুম ফেলে দিলেন। ইজতেমার মোনাজাতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে তো দেখছি আপনারা অনেক মজাই করেছেন। কিন্তু আমার প্রশ্ন আপনার সেই বন্ধুর বন্ধুর টলার আসতে আসতে কি ইজতেমা মোনাজাত পাবেন?
সময় কাটানোর জন্য খাওয়া দাওয়া করা হচ্ছে সবচেয়ে ভালো মাধ্যম। তাইতো সবাই মিলে খাওয়া দাওয়া এবং আড্ডা দিয়ে সময় কাটিয়েছি। মোনাজাত পেয়েছি নাকি সেটা আগামী পর্বে জানতে পারবেন আপু। সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ে এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
যদিও ভাইয়া প্রথম পর্বটি আমি পড়িনি তাই বলতে পারছি না আপনারা কোথা থেকে ট্রলারে উঠেছেন বিশ্ব ইজতেমা যাওয়ার উদ্দেশ্যে। তবে বিশ্ব ইজতেমা যাওয়ার উদ্দেশ্যে আপনারা ট্রলার জার্নি টা বেশ ভালই উপভোগ করেছেন। তবে সেই ক্ষেত্রে ট্রলারটি নষ্ট হওয়ার কারণে অনেক অভিজ্ঞতা হয়েছে সেইসাথে অনেক রাগ খোভ আনন্দ সব মিলিয়ে বেশ উপভোগ করেছেন আপনার পোস্টটি পড়ে তাই বুঝতে পারলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
প্রথম পর্বের লিংক এই পোস্টে শেয়ার করেছি আপু। চাইলে পড়ে আসতে পারেন। ট্রলার জার্নিতে ভালো এবং খারাপ দুই ধরনের অভিজ্ঞতা হয়েছে আমাদের। যাইহোক গুছিয়ে মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।
প্রথম পর্ব পড়েছিলাম ভালো লেগেছিল,এই পর্ব টিও ভালো লেগেছে।ট্রলার নষ্ট হওয়ার সময়টা অনেক ভালো খারাপ মুহূর্তের সম্মুখীন হয়েছিলেন এবং রাত মসজিদে কাটিয়েছিলেন।তারপর অন্য একটি ট্রলার নিয়ে আসার পরিকল্পনা করছিলেন,পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।ট্রলারের ভ্রমণ আনন্দদায়ক,তবে ট্রলার নষ্ট হলে অনেকটা বিড়ম্বনায় পড়তে হয়।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
রাতে মসজিদে থাকার কথা ছিলো তবে থাকা হয়নি। পরের পর্বে বিস্তারিত জানতে পারবেন। সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে সাপোর্ট করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।