প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি বাস্তব গল্প শেয়ার করবো। গত সপ্তাহে এই গল্পের দ্বিতীয় পর্ব আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম এবং আজকে তৃতীয় পর্ব শেয়ার করতে যাচ্ছি। যাইহোক গত সপ্তাহে আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম, ভুল করে মোশাররফ ভাইয়ের পাসপোর্ট বাসায় ফেলে আসার কারণে, পরবর্তীতে আমাকে আবার যেতে হয়েছিল উনার পাসপোর্ট আনতে। উনার পাসপোর্ট নিয়ে হসপিটালে যাওয়ার পর সব ফর্মালিটি কমপ্লিট করে,আমি সবকিছু ডক্টরকে খুলে বলার পর, মোশাররফ ভাইয়ের ট্রিটমেন্ট শুরু করলো।

আমরা বাহিরে বসে অপেক্ষা করছিলাম। আসলে সেদিন রবিবার ছিলো বলে আমরা ইমারজেন্সি তে মোশাররফ ভাইয়ের ট্রিটমেন্ট করাচ্ছিলাম। তো কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর ডক্টর বললো যে, এনজিওগ্রাম করাতে হবে। কারণ উনার মনে হচ্ছে মোশাররফ ভাইয়ের হার্ট ব্লক হয়ে গিয়েছে। যেহেতু মোশাররফ ভাই অবৈধভাবে কোরিয়াতে বসবাস করতো, তাই উনার মেডিক্যাল কার্ড ছিলো না। সেক্ষেত্রে হসপিটালের বিল ভালোই আসবে। সেজন্য ডক্টর আমাকে এনজিওগ্রাম সহ অন্যান্য খরচের কথা বললেন। মোশাররফ ভাই আমাকে আগেই বলেছিল উনার ব্যাংক একাউন্টে বাংলাদেশী টাকার ২/৩ লাখ টাকা আছে এবং সেই ব্যাংকের এটিএম কার্ড আমার কাছে আগেই দিয়েছিল।

যাইহোক এনজিওগ্রাম সহ সব খরচ বাবদ বাংলাদেশী টাকার ৭০/৮০ হাজার টাকা লাগতে পারে। তো আমি ডক্টরকে বললাম এনজিওগ্রাম করতে। যাইহোক আমাদেরকে বললো ১/১.৩০ ঘন্টা অপেক্ষা করতে। তারপর বলতে পারবে কি কি সমস্যা হয়েছে। যাইহোক আমরা বাহিরে গিয়ে একটু হাঁটাহাঁটি করতে লাগলাম। আসলে এমন একটা পরিস্থিতিতে আমাদের মনমানসিকতা খুবই খারাপ ছিলো। তখন সত্যিই খুব টেনশন হচ্ছিলো কি হবে না হবে। তবে মোশাররফ ভাইয়ের যে লক্ষণ ছিলো, এতে করে আমরা ধরেই নিয়েছিলাম মোশাররফ ভাইয়ের হার্ট ব্লক হয়েছে। উনার জন্য বেশ খারাপ লাগছিলো তখন। কারণ উনি তো অবৈধভাবে কোরিয়াতে বসবাস করতো।

সেজন্য সবমিলিয়ে উনার চিকিৎসা বাবদ অনেক টাকা খরচ হয়ে যাবে, যদি হার্ট ব্লক হয়ে যায়। যাইহোক প্রায় ঘন্টা খানেক পর মোশাররফ ভাইয়ের এনজিওগ্রাম করা শেষ হলো। তারপর ডক্টরকে জিজ্ঞেস করার পর যেটা জানতে পারলাম, সেটা শোনার জন্য আমরা কেউ প্রস্তুত ছিলাম না। কারণ মোশাররফ ভাইয়ের হার্টের দুটি রক্তনালি ব্লক হয়ে গিয়েছে। ১ টা রক্তনালি ৭৫% এবং আরেকটি ৮০% ব্লক হয়ে গিয়েছে। এটা শুনে তো আমরা একেবারে ঘাবড়ে গেলাম। কারণ মোশাররফ ভাইয়ের এই বয়সে হার্টের ব্লক এতো বাজেভাবে হয়েছে, সেটা যেনো বিশ্বাস ই হচ্ছিলো না। আমার নিজের কান দুটিকেও তখন বিশ্বাস হচ্ছিলো না। যাইহোক এরপর মোশাররফ ভাইয়ের সাথে আর কি কি হলো,সেটা জানার জন্য আপনাদেরকে পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। (চলবে)