খোলাজালি বা চিতল পিঠার রেসিপি।
আজ- ১৪ ই,মাঘ | ১৪২৮ , বঙ্গাব্দ | শীতকাল | | শুক্রবার |
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।
আজ আমি আপনাদের সাথে করব।
![1643304595627.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmY7Wn6GDsirPLVDq6tokHUVbZfjRUCKskVH4RerzzRQVm/1643304595627.jpg)
শীতকাল মানেই হচ্ছে মজার মজার সব পিঠা। প্রত্যেকটা অঞ্চলে ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতির ভেদে ভিন্ন ভিন্ন খাবার রয়েছে। তেমনি আমাদের অঞ্চলের একটি ঐতিহ্যবাহী পিঠা হচ্ছে খোলাজালি পিঠা। এটিকে আমরা সাধারণত চিতল পিঠা বলি। তবে এই পিঠা দুই ধরনের হয় একটি হচ্ছে মোটা আরেকটা হচ্ছে পাতলা। আমাদের অঞ্চলে সাধারণত আমরা পাতলাটাই বানায়। এই পিঠাটির বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এটি জালি জালি হয়। একটু মুচমুচে কিন্তু খেতে খুব সফট। সব থেকে বড় কথা হচ্ছে এই পিঠা বানানোর জন্য আলাদা একটি মাটির পাত্র লাগে। এছাড়া ও এটি পার্ফেক্ট ভাবে না বানালে এর প্রকৃত স্বাদ পাওয়া যায় না।
প্রয়োজনীয় উপকরণঃ
- চালের গুঁড়া ।
- ডিম ।
- লবণ।
- মাটির খোলা বা মাটির পাত্র ।
![]() |
![]() |
![]() |
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRsJKf2r9DWRdqqiCgFRUu5YUjJBJQDYwV131Y9fgbQ7K/asa.png)
প্রস্তুত প্রণালীঃ
ধাপ-১ঃ
- প্রথমে পরিমাণ মতো চালের গুড়া নিয়ে নিব।
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRsJKf2r9DWRdqqiCgFRUu5YUjJBJQDYwV131Y9fgbQ7K/asa.png)
ধাপ-২ঃ
- এরপর এতে অল্প অল্প করে গরম পানি মিশিয়ে নেব।
![]() |
![]() |
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRsJKf2r9DWRdqqiCgFRUu5YUjJBJQDYwV131Y9fgbQ7K/asa.png)
ধাপ-৩ঃ
- ব্যাটারটি যখন এরকম পাতলা হয়ে আসবে তখন আর পানি দেওয়া লাগবে না।
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRsJKf2r9DWRdqqiCgFRUu5YUjJBJQDYwV131Y9fgbQ7K/asa.png)
ধাপ-৪ঃ
- এরপর এদের ডিম ভেঙ্গে দিব।
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRsJKf2r9DWRdqqiCgFRUu5YUjJBJQDYwV131Y9fgbQ7K/asa.png)
ধাপ-৫ঃ
- এবার ডিমটিকে হালকা করে মিশিয়ে নেব। এছাড়াও এখানে আমি স্বাদমতো লবণ দিয়ে দিয়েছি।
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRsJKf2r9DWRdqqiCgFRUu5YUjJBJQDYwV131Y9fgbQ7K/asa.png)
ধাপ-৬ঃ
- এবার মাটির খোলাটিকে গরম করতে দিব।
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRsJKf2r9DWRdqqiCgFRUu5YUjJBJQDYwV131Y9fgbQ7K/asa.png)
ধাপ-৭ঃ
- খোলাটি গরম হওয়ার পর এতে এক চামচ বেটার এরমধ্যে দিয়ে দিব।
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRsJKf2r9DWRdqqiCgFRUu5YUjJBJQDYwV131Y9fgbQ7K/asa.png)
ধাপ-৮ঃ
- এরপর ভালোভাবে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে পাতলা করে এরকম একটি রুটি আকৃতি করে নিব।
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRsJKf2r9DWRdqqiCgFRUu5YUjJBJQDYwV131Y9fgbQ7K/asa.png)
ধাপ-৯ঃ
- এর পর ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিবো।
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRsJKf2r9DWRdqqiCgFRUu5YUjJBJQDYwV131Y9fgbQ7K/asa.png)
ধাপ-১০ঃ
- দুই থেকে তিন মিনিট পর ঢাকনা উঠিয়ে নিব এরপর দেখা যাবে পিঠাটি পুরোপুরি তৈরি হয়ে গেছে। একটি খুন্তির সাহায্যে পিঠাটিকে উঠিয়ে নেব।
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRsJKf2r9DWRdqqiCgFRUu5YUjJBJQDYwV131Y9fgbQ7K/asa.png)
ধাপ-১১ঃ
- দেখুন পিঠাটি কতটা পাতলা হয়েছে। যানিনা ক্যামেরাতে কতটুকু দেখা যাচ্ছে। তবে এপাশ থেকে পাশে অন্যপাশ সবকিছু দেখা যাচ্ছিল।
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRsJKf2r9DWRdqqiCgFRUu5YUjJBJQDYwV131Y9fgbQ7K/asa.png)
ধাপ-১২ঃ
- এই পিঠাটিকে আপনারা চাইলে যে কোন কিছুর সাথে খেতে পারে। তবে আমার কাছে মাংস অথবা খেজুরের গুড় দিয়ে খেতে বেশি ভালো লাগে।
![]() |
![]() |
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRsJKf2r9DWRdqqiCgFRUu5YUjJBJQDYwV131Y9fgbQ7K/asa.png)
সকলকে ধন্যবাদ।
![](https://steemitimages.com/0x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmfRETShxA5EQdPmpF6ChkQd5MkXJPifATT3TZdvk5sEC1/standard_Discord_Zip.gif)
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
এই খোলাজালি পিঠা আমার যে কি পরিমাণ প্রিয় তা জাস্ট বলে বোঝানোই সম্ভব না।তবে আম্মু কেনো জানিনা একদম বানায় না।আমাদের এই ভাড়াটিয়া আন্টি বানিয়ে খাওয়ায় আমাকে।খুব মজার।
ভাইয়া আপনি কিন্তু একটা কথা ঠিকই বলেছেন এই খোলাজালি পিঠার আটা যদি তৈরি ঠিকমত না করা হয় তাহলে এটি ভালো হয় না ।আমি ।কিন্তু খেতে খুবই পছন্দ করি তবে এখন পর্যন্ত এটির আটা তৈরি করা শিখলাম না। আমার আম্মু খুব সুন্দর করে এটি তৈরি করে ।আমার কাছেও মাংস অথবা তরকারি দিয়ে খেতে ভালো লাগে ।
এটা অনেকটা আমাদের দিকের চিতই পিঠার মতো। এবং আপনার কথা অনুসারে মোটা টা আমাদের দিকে তৈরি হয় ওটাকে আমরা চিতই বলি। কিন্তু এই সরু রুটির মতো খোলাজালি এটা কখনো খাইনি বা দেখিনি। সেদিক থেকে দেখতে গেলে বেশ আমার কাছে নতুন এই পিঠাটা। দেখে বেশ লাগছে।👌👌👌
চিতই পিঠা রেসিপি দেখে আসলে লোভ সামলাতে পারছিনা। আমি ব্যক্তিগতভাবে চিতই পিঠা রেসিপি খেতে খুবই ভালোবাসি এটি শীতকালে খেজুরের গুড়ের সঙ্গে খেতে সেই রকম লাগে । আমার কাছে খেজুরের গুড়ের সাথে খেতে একদম সেইরকম লাগে 😋। চিতই পিঠা এবং গুড়ের সঙ্গে মাখানোর অবস্থাটা দেখে অনেক লোভ লাগছে। ধন্যবাদ আপনাকে এমন সুস্বাদু রেসিপি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
খোলাজালি বা চিতল পিঠা এর আগে এই নাম দুটো কখনোই শুনি নি ভাইয়া। আমাদের অঞ্চলে এই পিঠা কে চিতুই পিঠা বলা হয়। আমাদের এই দিকে এটা মোটা করেই বানানো হয়, কখনোই পাতলা করে বানিয়ে খাওয়া হয় নি। যাই হোক আপনার রেসিপিটির মাধ্যমে জানতে পারলাম যে এই পিঠা পাতলা করেও বানিয়ে খাওয়া যায়। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া এতো সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
খোলাজালি বলেন আর চিতই পিঠা বলেন এটা বেশ মজার একটি পিঠা এবং সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে এটা গ্রামের সবার জন্য সকালবেলায় নাস্তা। আর গ্রামের মানুষ ধান সংগ্রহ করে সারা বছর নাস্তা খাওয়ার জন্য আতপ চাল সংগ্রহ করে। তার থেকেই চাউলের গুড়ো করে রাখে সারা বছর ধরে চিতই পিঠা বিভিন্ন শীতের পিঠা তৈরী করে। এবং আপনি খেজুরের গুড় দিয়ে খেয়েছেন। আর এই পিঠা যে কোন কিছুর সাথে খাওয়া যায় মাংসের সাথে খাওয়া যায় সবজির সাথে খাওয়া যায় যেভাবে যার ইচ্ছে এবং কি শুধু পাঠা খাওয়া যায়। কারণ এই পিঠা বানানোর সময় ডিম দিয়ে তৈরি করে। আমাদের সাথে এত সুন্দর একটি পিঠা রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনার প্রতি রইল আন্তরিক শুভেচ্ছা।
শীতকাল এই পিঠার জন্য সবচেয়ে উৎকৃষ্ট সময় এবং আসলে কোন শীতকালই এই পিঠা ছাড়া চলেনা। আমার কাছে খেজুরের গুড় ও সবজি দিয়ে খেতে এই পিঠা অনেক ভালো লাগে। ধন্যবাদ চমৎকার এই রেসিপিটি বিস্তারিত শেয়ার করার জন্য যা আপনার পোস্টের মাধ্যমে এখানে থেকে যাবে এবং বাংলার ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখবে।
অসাধারণ একটা চিতল পিঠার রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এই পিঠা খাইতে অনেক মজার।আমার অনেক ভালো লাগে। আপনি খুব সুন্দর করে প্রতিটি ধাপ বর্ণনা করেছেন। শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।
ভাইয়া চিতল পিঠার নাম এর আগে কখনও শুনিনি।এই প্রথম শুনলাম নাম। তবে দেখে মনে হয় খুবই টেস্টি হয়েছে। তবে রেসিপিটি শিখে নিলাম একদিন বাড়ীতে ট্রাই করে দেখবো ভাইয়া। ভাইয়া আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ নতুন একটি পিঠার রেসিপি শেখানোর জন্য।
ভাইয়া আপনার এই পিঠার রেসিপি দেখে আমার খেতে খুব ইচ্ছা করছে।এই পিঠাকে আমরা এখানে চিতোই পিঠা বলে থাকি। আর এই পিঠা খেজুরের গুঁড় দিয়ে খেতে খুবই মজা লাগে গরম গরম এই পিঠাগুলো খেতে অসাধারণ লাগে। আপনার রেসিপিটা খুবই সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।