আপনার কম্পিউটার কি হ্যাকিং থেকে নিরাপদ? || ১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁকের জন্য


আচ্ছালামুয়ালাইকুম,

আশা করি আমার বাংলা ব্লগের সকলে পরিবারবর্গ নিয়ে সৃষ্টিকর্তার রহমতে ভালো আছেন। আজ আবারো আপনাদের সামনে নিয়ে এসেছি অসাধারণ টিপস্ এন্ড ট্রিকস।


গতপর্বে আপনাদেরকে গোগল ক্রোমের গ্রামারলি এক্সটেনশন সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছিলাম। আজকে আপনাদের জন্য একটা গুরুত্বপূর্ণ টপিকস নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি।

আমরা কমবেশি ল্যাপটপ, ডেস্কটপ কিংবা ম্যাক ব্যবহারকারী। আমরা সবাই আমাদের ল্যাপটপ, ডেস্কটপ কিংবা ম্যাক ব্যবহার করার সময় সচেতন থাকি বা থাকার চেস্টা করি আবার অনেকে সচেতন থাকি না।

আমাদের ডিভাইসগুলোর মধ্যে মূল্যবান অনেক ফাইল থাকে, যেমনঃ পারসনাল ছবি, ভিডিও, অফিসের ফাইল, আপনার কর্মক্ষেত্রের ফাইল, ইত্যাদি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ফাইল থাকতে পারে।

ভেবে দেখুন তো, এসব ফাইল কোন হ্যাকার এর কবলে পরলে কি পরিণাম টা হতে পারে?


হ্যাকারের হ্যাকিং থেকে বাঁচার জন্য আমাদের বেশিরভাগই বিভিন্ন ফ্রী এন্টিভাইরাস ব্যবহার করে থাকি যেমনঃ Avast, 360, Avira, Panda, Kaspersky ইত্যাদি। কিন্তু আপনি কি জানেন, এসব ফ্রী ভার্সনের এন্টিভাইরাস গুলাই নিজেই একটি ভাইরাস?

তবে প্রিমিয়াম এন্টিভাইরাস ব্যবহার করে থাকলে, সেক্ষেত্রে অন্যবিষয়।

ফ্রী এন্টিভাইরাসগুলোই মূলত এক-একটি সমস্যা।


কারন,
বর্তমানে হ্যাকাররা নতুন নতুন টেকনোলজি ব্যবহার করছে, আপডেট হচ্ছে, তারা তাদের কোডিং কিংবা টেকনোলজির জ্ঞান দিয়ে নতুন নতুন ম্যালওয়ার, ভাইরাস তৈরী করছে।



সেগুলা যদি কোনভাবে আমাদের ব্যবহারকৃত ডিভাইসে প্রবেশ করে, তবে আমাদের ফ্রী এন্টিভাইরাসগুলা ডিটেক্ট করতে পারবে না। কারন ফ্রী এন্টিভাইরাস গুলা ব্যাকডেইটেড থাকে।

তো এখন আপনারা বলতে পারেন, ডিভাইস সেইফটির জন্য আপনারা কি কি পদক্ষেপ নিবেন?


ইমেইজ সোর্স


আপনার উইন্ডোজকে সবসময় প্রিমিয়াম এন্টিভাইরাস দ্বারা প্রোটেক্ট করবেন সেটি যেকোন কোম্পানির হতে পারে।

তবে উইন্ডোজের যে নিজস্ব উইন্ডোজ ডিফেন্ডার আছে,সেটিও ব্যবহার করতে পারেন, এটা উইন্ডোজ কর্তৃপক্ষ আপনাকে ফ্রী দিচ্ছে এবং এটি সবসময় আপডেটেড থাকে। আপডেটেড থাকার কারনে এটি খুব ভালো কাজে দেয়।


বর্তমানে হ্যাকাররা মারাত্মক মারাত্মক কিছু ভাইরাস ব্যবহার করছে, যেগুলো আমাদের অসাবধানতাবশত খুব সহজে আমাদের ডিভাইসে ইনজেক্ট হয়ে যেতে পারে। এমনকি এসব ভাইরাস কোন প্রিমিয়াম এন্টিভাইরাস কিংবা উইন্ডোজ ডিফেন্ডার পর্যন্ত ডিটেক্ট করতে পারেনা। এসব ভাইরাসের মধ্যে একটি হচ্ছে রেন্সমওয়্যার (Ransomware)।

আমরা অনেক সময় ইন্টারনেট থেকে বিভিন্ন ক্র্যাক কিংবা ফ্রী ফাইল, এপস, জিপ (Zip) ফাইল ইত্যাদি ডাউনলোড করি, বেশিরভাগ সময় আমরা ইউটিউবের কোনো ভিডিও এর ডেসক্রিপশন কিংবা কোন ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করে ফেলি কোন যাচাই-বাচাই করা ছাড়া। হ্যাকাররা তাদের ভাইরাসগুলোকে বেশিরভাগ সময়ই এইভাবে ইনজেক্ট করে, কারন প্রিমিয়াম জিনিস ফ্রীতে, বা ক্র্যাক যেকোন কিছুর উপর মানুষের চাহিদা বেশি থাকে। এই সুযোগটাই হ্যাকার রা নিয়ে থাকে।

তাই অনলাইন থেকে যখন কোন ক্র্যাক কিংবা যেকোন ফাইল ডাউনলোড করার সময় আমাদের সবসময় সাবধান থাকতে হবে।


কিছু সাবধানতা অবলম্বন করা যাই, সে সম্পর্কে ভবিষ্যতে আপনাদের রেসপন্সের ভিত্তিতে জানাবো ইনশাআল্লাহ।


হ্যাকারের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আজকে আপনাদের সামনে শুধু একটি বিষয় তুলে ধরলাম মাত্র। হ্যাকার থেকে নিরাপদ থাকার জন্য আপনারা যদি আরো বিস্তারিত জানতে চান তাহলে, আগামীতেও আপনাদের সামনে এই বিষয়ে বিস্তারিত টিপস এন্ড ট্রিকস নিয়ে হাজির হবো ইনশাআল্লাহ।

ধন্যবাদ

আমি মোঃ আশরাফুল গণি, পেশায় আমি একজন ছাত্র। ফ্রন্ট এন্ড ওয়েব ডেভেলপিং, ওয়েব ডিজাইনিং সিএমএস এক্সপার্ট, ইমেইল টেম্পলেট ডিজাইনিং, মেইলচিম্প এক্সপার্ট, হালকা - পাতলা গ্রাফিক্স ডিজাইন এ দক্ষতা আছে।

শখঃ টেক রিলেটেড যেকোন কিছু করতেই ভালো লাগে।

বর্তমানে ব্লগিং শিখছি, নতুন কিছু শিখতেই সবসময় ভালো লাগে।

পর্ব
একের ভেতর সব
কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ এবং উপকারী ওয়েবসাইট
ব্যাকগ্রাউন্ড রিমোভ ওয়েবসাইটটির টিউটোরিয়াল
সহজেই ছবিকে কম্প্রেসড করার টিউটোরিয়াল
আপনার ব্লগ পোস্টের শব্দ গুনুন
গোগল ক্রোম যেন একটি স্মার্ট ফোন
ইংরেজি আর্টিকেল লিখুন প্রফেশনাল ভাবে


Coin Marketplace

STEEM 0.15
TRX 0.12
JST 0.026
BTC 56095.11
ETH 2533.38
USDT 1.00
SBD 2.23