বাইক ট্যুর (Bike Tour) : পর্ব - ৫... || ১০% বেনিফিশিয়ারী shy-fox এর জন্য
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর ভাই ও বোনেরা, মুসলিম ভাই ও বোনদের জানাই আসসালামু আলাইকুম। সনাতন ধর্মালম্বী ভাই ও বোনদের জানাই আদাব এবং অন্যান্য ধর্ম অবলম্বনকারী ভাই ও বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।
আজ আবারো ফিরে আসলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজকে আমি আমার বাইক ট্যুর (Bike Tour) : পর্ব - ৫... উপস্থাপন করব। আমি বাইক ট্যুর (Bike Tour) : ৪র্থ পর্বে বলেছিলাম আমরা লেক সাইড ক্যাফে থেকে ৫২ কিলোমিটার বাইক জার্নি করে এসেছি পদ্মা সেতুতে। আসলে আমরা তো শুধু ৫২ কিলোমিটার নয় কুড়িগ্রাম থেকে পদ্মা সেতু পর্যন্ত আমরা টোটাল ৪৫২ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে এসেছি। আমরা সারাদিন জার্নি করার কারণে আমাদের শরীর একদম ক্লান্ত ছিল। আমাদের শরীরটা যতই ক্লান্ত হোক না কেন যখন পদ্মা সেতুতে পৌঁছে গিয়েছিলাম তখন মনে হয় অটোমেটিক আমাদের শরীর চাঙ্গা হয়ে উঠেছিল। মনে হচ্ছিল এই পদ্মা সেতু দেখতে না আসলে জীবনের অনেকটা আনন্দই মাটি হয়ে যেত। যখন আমরা বাইকে করে পদ্মা সেতুর নিচে দাঁড়িয়ে ছিলাম তখন পদ্মা সেতুর অপরূপ দৃশ্য দেখে বিস্মিত হয়ে গেলাম। আমরা অনেকবার যমুনা সেতু দেখেছি, আর এই প্রথমবার পদ্মা সেতু দেখছি। দুই সেতুর দুই রকম সৌন্দর্য যা দেখে সত্যিই মুগ্ধ না হয়ে পারা যায় না।
আমরা অনেক জিজ্ঞাসা ও খোঁজাখুজির পর একটি ভালো মানের থাকার এবং খাওয়ার হোটেল পেয়ে গেলাম। হোটেলটি ছিলো, হক কিচেন এন্ড রেসিডেন্সি মাওয়া। মজার ব্যাপার ছিলো আমরা যে পদ্মা সেতু দেখতে গিয়েছিলাম, সেই পদ্মা সেতু সংলগ্ন ছিলো এই হোটেলটি। তাই খুব আনন্দের সহিত আমার প্রিয় বাইকটি নিয়ে ভিতরে প্রবেশ করলাম। ভবনটির গ্রাউন্ড ফ্লোর ছিলো পুরোটাই গাড়ি পার্কিং এর ব্যবস্থা।
আমরা ভিতরে প্রবেশ করে দেখতে পেলাম, উপরে ওঠার জন্য একটি লিফট এবং সিড়ির ব্যাবস্থা আছে। আমরা লিফটের সাহায্যে সোজা তৃতীয় তলায় উঠে গেলাম। লিফট থাকতে কোন বোকা সিড়িতে উঠবে, আপনারাই বলুন। যাই হোক ভিতরে প্রবেশ করে মনটা একটু খারাপ হয়ে গেলো। কারন এক রাত্রি যাপন করার জন্য থাকার খরচ ডাবল রুম ২৫০০ টাকা। আর ওনাদের চতুর্থ তলার খাবারের হোটেলে তিন বেলা খেয়ে মোট মোট খরচ হবে ৫৫০০ টাকা।
রিসিপশনে আমাদের জন্য অর্থাৎ কাস্টমারদের জন্য বসার ব্যাবস্থা রয়েছে। হোটেলটি এতটাই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন এবং পরিপাটি তা বলার বাইরে। যেহেতু আমাদের অন্য কোথাও থাকার ব্যবস্থা নেই তাই আমরা এক প্রকার বাধ্য হয়েই তাদের নির্ধারিত এমাউন্ট মেনে নিয়েই হোটেলে রুম বুক করে ফেললাম।
আমরা হোটেলের যে রুমে উঠেছিলাম, সেই রুমের বেলকনি থেকে পদ্মা সেতুটি এত সুন্দর দেখা যায় তা আর কি বলবো। বেলকনিতে দাঁড়িয়ে আমি আর আমার অর্ধাঙ্গিনী অনেকটা সময় নিয়ে দূর থেকে পদ্মা সেতুর সৌন্দর্য অবলোকন করলাম। এবং সেই সাথে নিজেদের দুটো ছবি তুলে নিলাম আমার মুঠোফোন স্মৃতি হিসেবে ধরে রাখার জন্য।
এই ছিল আমাদের হোটেলের রুমের ভিতরের পরিবেশ। রুমটি খুবই গোছানো এবং ধবধবে সাদা বিছানার চাদর এবং আমাদের ক্লান্ত শরীর। সব যেন মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে। পদ্মা সেতুর কাছে এত সুন্দর একটি হোটেল এবং তার গোছানো ও পরিপাটি রুমের আকাশ চুম্বি ভাড়া হবে এটাই তো স্বাভাবিক। যদিও বা এক রাতের জন্য এতগুলো টাকা গুনতে হবে ভেবে মনের ভেতর কেমন ছটফটানি ছিল। কিন্তু পরক্ষণেই আবার হোটেলটির সৌন্দর্য এবং সেই সাথে বেলকনিতে দাঁড়িয়ে পদ্মা সেতু দেখার সুযোগ পাওয়ার কারণে মনের ছটফটানিকে কিছুটা বেঁধে রাখলাম।
আশা করি আমার বাইক ট্যুর (Bike Tour) : পর্ব - ৫... পোস্টটি আপনাদের কাছে অনেক অনেক ভালো লেগেছে। ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই অবশ্যই আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন। আজ আর নয়, দেখা হবে আগামীতে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে।
আমি মোঃ মাহবুবুল ইসলাম লিমন। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি। বাংলা ভাষা আমার মাতৃভাষা। আমি এই অপরূপ বাংলার কোলে জন্ম নিয়ে নিজেকে অনেক অনেক গর্বিত মনে করি। এই বাংলায় আমার ভালো লাগে, বাংলায় চলতে, বাংলায় বলতে, বাংলায় হাসতে, বাংলায় গাইতে, বাংলায় শুনতে, আরো ভালো লাগে এই অপরুপ সুন্দর বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে নিজেকে হারিয়ে যেতে দিতে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন এবং আমাকে সহযোগিতা করবেন। আমি যেন আগামীতেও আরো অনেক সুন্দর সুন্দর পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থিত হতে পারি। সবাই পরিবারের সকল সদস্যকে নিয়ে ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। এই প্রত্যাশাই সর্বদা।
Hello friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনার বাইক ট্যুরে ৪৫২ কিলোমিটার অতিক্রম করে পদ্মা সেতুতে যাওয়ার অনুভূতি পড়ে অনেক ভালো। আসলে ভাইয়া ট্যুরে যাওয়া মানেই খরচ খরচ তো হবেই হয়তো কম নয়তো অনেক বেশি। আর শরীর তো দুর্বল হয়ে পড়বে কিন্তু সেই জায়গায় পৌঁছানোর পরে অটোমেটিক শরীর চাঙ্গা হয়ে পড়বে। সবমিলিয়ে আপনার বাইক ট্যুরের গল্পটা পড়ে ভালো লাগলো শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আমার কাছেও বাইকে করে পদ্মা সেতু ভ্রমন করতে যাওয়া খুবই ভালো লেগেছিল ভাই। আমার পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
সত্যি ভাইয়া আপনার বাইক ট্যুরে পদ্মা সেতু দেখার গল্প পড়ে অনেক ভালো লাগল।আপনারা তো অনেক জার্নি করেছেন টোটাল ৪৫২ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করেছেন, শরীর ক্লান্ত হওয়াটা স্বাভাবিক।হোটেলের ভিতরে বেলকনিতে দাঁড়িয়ে আপনি আর আমার অর্ধাঙ্গিনী অনেকটা সময় নিয়ে দূর থেকে পদ্মা সেতুর সৌন্দর্য অবলোকন করলেন, তখন অনেক আনন্দ লাগছে ।পদ্মা সেতুর কাছে এত সুন্দর একটি হোটেল এবং তার গোছানো ও পরিপাটি রুমের আকাশ চুম্বি ভাড়া হবে এটাই তো স্বাভাবিক। যদিও বা এক রাতের জন্য এতগুলো টাকা গুনতে হবে ভেবে ছটফটানি ছিল।কিন্তু সেতুর সৌন্দর্যের কাছে হার মেনে গেল।
সত্যি বলেছেন আপু, হোটেলটি এতই সুন্দর এবং তার বেলকনি থেকে পদ্মা সেতু দেখতে পাওয়া সব মিলিয়ে দারুণ সময় উপভোগ করেছি আমরা। আমার পোস্টে এসে খুব সুন্দর মন্তব্য করেছেন এজন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আপনার এনার্জির প্রশংসা করতেই হয় । এতদুর পথ বাইক চালিয়ে আসা শরীরতো ক্লান্ত হবেই।কিন্তু গন্তব্যে পৌছানোর পর সব ক্লান্তি দূর হয়ে যায়।আমার আবার বাইক ফোবিয়া আছে । তাই কেউ বাইক চালিয়ে কোথাও গেলে আমার খুব ভয় হয়।সুন্দর মুহূর্তগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
বাইকে করে ঘুরে বেড়াতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। আর তাই কখনো এনার্জি হারিয়ে ফেলি না। শুধু কখনো কখনো কিছুটা বিশ্রাম নেই। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।