বাইক ট্যুর (Bike Tour) : পর্ব - ৪... || ১০% বেনিফিশিয়ারী shy-fox এর জন্য
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর ভাই ও বোনেরা, মুসলিম ভাই ও বোনদের জানাই আসসালামু আলাইকুম। সনাতন ধর্মালম্বী ভাই ও বোনদের জানাই আদাব এবং অন্যান্য ধর্ম অবলম্বনকারী ভাই ও বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।
আজ আবারো ফিরে আসলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজ আমি আমার বাইক ট্যুর (Bike Tour) : পর্ব - ৪... উপস্থাপন করব। আমি বাইক ট্যুর ৩ পর্বে বলেছিলাম প্রচন্ড গরমে আমরা খুবই ক্লান্ত ও তৃষ্ণার্ত। আর তাই এই মনমুগ্ধকর ক্যাফেতে বসে শরীরটাকে একটু জুড়িয়ে নিয়েছিলাম। যখন এই ক্যাফেতে বসে ছিলাম তখন এই ক্যাফে চারিপাশ দেখতে এতটা সুন্দর লাগছিল তা বলার বাইরে। আমার শুধু বারবার মনে হচ্ছিল এরকম সুন্দর একটি ক্যাফে যদি আমার নিজ জেলাতে থাকতো তাহলে প্রতিদিন সেখানে গিয়ে অনেকটা সুন্দর সময় পার করতে পারতাম। ক্যাফেটির জায়গা অনেক দূর পর্যন্ত বিস্তৃত। পুরো জায়গাটিকে তারা এত সুন্দর করে সাজিয়েছে যে একবার সেখানে যাবে সে আবারও সেখানে যেতে চাইবে।
আমরা Lake Side Cafe এর ভিতরে প্রবেশ করে বুঝতে পারলাম, ভেতরের পরিবেশটা এতটাই সুন্দর যা দেখা মাত্রই ভালো লাগে যায়। তাই আমরা এখানে অনেকটা সময় বিশ্রাম নিয়েছিলাম। এই ক্যাফের বয়দের কাছে জানতে পারলাম সকাল থেকে দুপুর বেলা খুব বেশি একটা ভিড় হয় না। তবে বিকাল থেকে রাত বারোটা পর্যন্ত এই ক্যাফেতে প্রচুর ভিড় হয়। তাই আমরা যখন সেখানে বিশ্রাম নিচ্ছিলাম তখন ক্যাফেটা অনেকটাই ফাঁকা ছিল।
ছবিতে যে ঘরটি দেখা যাচ্ছে, এটি গেট দিয়ে প্রবেশ করতে ডানপাশে পড়বে। এই ঘরটিতে অর্ডার ও রান্নার ব্যবস্থা করে রেখেছে মালিক কর্তিপক্ষ। এখানে দাঁড়িয়ে ক্যাফের বয়দের সাথে কিছুটা আলাপ-আলোচনা করে নিলাম। তাদের সাথে আলাপ আলোচনা করে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছিল। তবে দুঃখের বিষয় তাদের সাথে একটি সেলফি তোলার কথা ভুলে গিয়েছিলাম।
এই ভবনটি ক্যাফের মূল ভবন। এই ভবনটির ভিতরে এসি কেবিন রয়েছে। এছাড়াও ছাদের উপরে সোফা সেট এবং চারিপাশে কালারফুল লাইটিং এর ব্যবস্থা রয়েছে। যদিও বা আমরা দিনের বেলায় এই লাইটিং গুলো দেখতে পাইনি। তবে উপলব্ধি করতে পেরেছিলাম রাতের বেলা এই কালারফুল লাইটগুলো জ্বললে কতটা ভালো লাগতে পারে।
ভবন ছাড়া এই ছোট ছোট রঙিন টিনের ঘর ঘরগুলোতে বসে প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখতে দেখতে কফি খাওয়া এবং সেখানে বসে সময় পার করা খুবই ভালো লাগবে তা বেশ বুঝতে পারছি। এই ছোট ছোট ঘর গুলোর জন্যই ক্যাফের সৌন্দর্য অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে।
রাত হলেই পানির ফোয়ারা সহ প্রত্যেকটি লাইট দিয়ে আলোকিত হয়ে ওঠে এই Lake Side Cafe এর ভিতর। ছোট ছোট ঘর গুলোর সামনে লাল, নীল, হলুদ ও সবুজ রংয়ের স্ট্যান্ডিং লাইট গুলো জ্বললে কতটা সুন্দর লাগবে তাই বসে বসে ভাবছিলাম।
আমি সেখানে বসে বসে অপেক্ষা করছিলাম কখন আমার অর্ডার করা মিল্কশেক দিয়ে যাবে। কেননা আমি প্রচন্ড গরমে অস্থির হয়ে গিয়েছিলাম আর তাই ঠান্ডা মিনারেল ওয়াটার ও মিল্কশেক অর্ডার করেছিলাম। আহা!! এই ক্যাফের তৈরি মিল্কশেক খেতে খুব খুব সুস্বাদু লেগেছিল।
আমরা সাভার থেকে বাহান্ন (৫২) কিলোমিটার বাইক জার্নি করে এসেছি পদ্মা সেতুতে। আসার সময় পদ্মা সেতুর জন্য অনেক সুন্দর সুন্দর রাস্তার ছবি তুলে নিয়েছি যা আজকের পোস্টে উপস্থাপন করতে পারছি না। তবে পরবর্তী পোস্টে এই সুন্দর সুন্দর রাস্তার ছবিগুলো আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করব।
আশা করি আমার বাইক ট্যুর (Bike Tour) : পর্ব - ৪... পোস্টটি আপনাদের কাছে অনেক অনেক ভালো লেগেছে। ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই অবশ্যই আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন। আজ আর নয়, দেখা হবে আগামীতে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে।
আমি মোঃ মাহবুবুল ইসলাম লিমন। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি। বাংলা ভাষা আমার মাতৃভাষা। আমি এই অপরূপ বাংলার কোলে জন্ম নিয়ে নিজেকে অনেক অনেক গর্বিত মনে করি। এই বাংলায় আমার ভালো লাগে, বাংলায় চলতে, বাংলায় বলতে, বাংলায় হাসতে, বাংলায় গাইতে, বাংলায় শুনতে, আরো ভালো লাগে এই অপরুপ সুন্দর বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে নিজেকে হারিয়ে যেতে দিতে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন এবং আমাকে সহযোগিতা করবেন। আমি যেন আগামীতেও আরো অনেক সুন্দর সুন্দর পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থিত হতে পারি। সবাই পরিবারের সকল সদস্যকে নিয়ে ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। এই প্রত্যাশাই সর্বদা।
রেস্তরাটা বেশ সুন্দর দেখলাম। বিশেষ করে ছোট ছোট টিনের ঘরগুলো রাতের বেলায় চমৎকার দেখাবে মনে হয়। আর মিল্কসেক আমার ভীষণ পছন্দের।
আবার ৫২ কিঃমিঃ রাস্তা পেরিয়ে পদ্মা সেতু পৌঁছে গেছেন।
দারুন উপভোগ করেছেন পুরো ভ্রমন বোঝাই যাচ্ছে।
ঠিক বলেছেন ভাই,দারুন উপভোগ করেছি পুরো ভ্রমনটি।আর মিল্কসেকটিও অস্থির ছিল। সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
Hello friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
রেস্টুরেন্টটা সত্যিই অসাধারণ আসলে আপনি ঠিকই বলেছেন ভাইয়া যে একবার যাবে সে আবারো যেতে চাইবে। দেখি তো আমারই যেতে ইচ্ছে করছে। কি শান্ত নিরিবিলি সুন্দর একটি জায়গা। কারো মন খারাপ হলে এই সুন্দর জায়গায় গেলে তার মন অবশ্যই ভালো হয়ে যাবে। আর আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বোঝা যাচ্ছে লাইটিংগুলো খুবই সুন্দরভাবে করেছে। রাতের বেলা হলে সত্যিই আরো ভালো লাগতো। মিল্কসেক খেতে আমার খুবই ভালো লাগে। পদ্মা সেতু আমার এখনো বাস্তবে দেখা হয়নি। বাইক ট্যুরে গিয়ে সত্যি খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন ভাইয়া। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আপু,পদ্মা সেতু না দেখে থাকলে একবার সময় করে দেখে আসবেন। কেননা পদ্মা সেতু দেখতে খুবই সুন্দর। আর লেক সাইড ক্যাফেতে গেলে সত্যিই মন ভালো হয়ে যাবে। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
বাইক ট্যুর দারুণ রোমাঞ্চকর লাগে আমার কাছে। যদিও নিজে মারাত্মক ভয় পাই। আর ভাই ক্যাফেটা দিনের বেলাতেই যা অসাধারণ লাগছে দেখতে, না জানি রাতের বেলায় আরো কত চমৎকার হয়ে ফুটে ওঠে বর্ণিল আলোতে। চমৎকারভাবে পুরো পরিবেশের একটা আইডিয়া দিয়ে দিয়েছেন আপনার পোষ্টের মাধ্যমে। সফলভাবে যে পদ্মা সেতু ঘুরে এসেছেন এটা সত্যিই দারুণ একটা ব্যাপার। আর হ্যাঁ রাস্তার চমৎকার ছবিগুলো এর পরের পোস্টে নিশ্চয়ই দেখব।
ভাই,বাইক ট্যুর করতে আমার ভীষণ ভালো লাগে।আর তাইতো আমি মাঝে মাঝেই বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করে বেড়াই। ভাই, আমারও মনে হয় লেক সাইড ক্যাফে রাতের বেলায় বেশি সুন্দর দেখাবে। তবে সময় সংকীর্ণতার কারণে রাতের দৃশ্যটি দেখার সুযোগ আমারও হয়নি। ভাই আপনাদের দোয়ায় আমি আপনার ভাবি সহ সফলভাবেই পদ্মা সেতু ঘুরে এসেছি।