বাইক ট্যুর (Bike Tour) : পর্ব - ৭... || ১০ বেনিফিশিয়ারী shy-fox এর জন্য
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর ভাই ও বোনেরা, মুসলিম ভাই ও বোনদের জানাই আসসালামু আলাইকুম। সনাতন ধর্মালম্বী ভাই ও বোনদের জানাই আদাব এবং অন্যান্য ধর্ম অবলম্বনকারী ভাই ও বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।
আজ আবারো ফিরে আসলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজকে আমি আমার বাইক ট্যুর (Bike Tour) : পর্ব - ৭... উপস্থাপন করব। আমরা পদ্মা সেতু ঘুরতে গিয়ে মাওয়া ঘাটে গিয়েছিলাম। মাওয়া ঘাটে যাব আর ইলিশ খাব না তাই কি কখনো হয়। আমরা মাওয়া ঘাটে অনেকটা সময় কাটিয়ে রাত অবধি ছিলাম শুধুমাত্র রাতের খাবার খাওয়ার জন্য। আমি @roy.sajib ভাইয়ের একটি পোস্টে কুটুম বাড়ি রেস্টুরেন্টের খাবারের মান ভালো জানতে পেরেছিলাম। আর তাই অন্য কোন রেস্টুরেন্টের দিকে না তাকিয়ে কুটুমবাড়ি রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাবার খাওয়ার চিন্তাভাবনা করলাম।
আমরা রাত্রিবেলা যখন কুটুমবাড়ি রেস্টুরেন্টে প্রবেশ করেছিলাম তখন রেস্টুরেন্টটি মোটামুটি ভাবে ফাঁকাই ছিল। অথচ দিনের বেলায় আমরা লক্ষ্য করেছিলাম এই কুটুমবাড়ি রেস্টুরেন্টে প্রচুর পরিমাণ ভিড় ছিল। রেস্টুরেন্টটি ফাকা থাকার কারণে আমি হোটেল মালিকের সাথে কিছুটা কুশল বিনিময় করলাম। এবং সেই সাথে একটি সেলফি তুলে নিলাম।
এই ছোট ছোট বক্সগুলোতে রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ প্রচুর পরিমাণে ইলিশ মাছ সংরক্ষণ করে রেখেছে। বিভিন্ন ধরনের ক্রেতারা আসলে এখান থেকে তাদের মাছ বাছাই করতে বলা হয়। যার যেমন সাইজের মাছ পছন্দ, সে তেমনটাই খাবারের জন্য অর্ডার করে।
আমাদের ইলিশ মাছটির ওজন ছিল ৯৭০ গ্রাম। আমরা শুধু দুজন মানুষ ছিলাম। আমি ও আমার অর্ধাঙ্গিনী। তাই খুব বেশি বড় সাইজের ইলিশ মাছ নেয়ার সাহস পেলাম না। আমরা এই ইলিশ মাছের লেজকে ভর্তা করার কথা বললাম এবং বাকি টুকরো গুলোকে ভেজে দেয়ার কথা বললাম। ওরা আমাদের সামনেই ইলিশ মাছটিকে কেটে ধুয়ে ইলিশ মাছ ভেজে দিল এবং লেজটি ভর্তা করে দিল।
আমরা মাওয়া ঘাটের ইলিশের খুব স্বাদ লোকমুখে অনেক শুনেছি। এবং ইলিশের লেজ ভর্তা তার গল্পও অনেক শুনেছি। এই প্রথম মাওয়া ঘাটে এসে ইলিশের লেজ ভর্তা ও ইলিশের স্বাদ গ্রহণ করার সুযোগ পেয়েছি। আমরা শুধু ইলিশ নয় সেই সাথে বাদাম ভর্তা ও রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষের স্পেশাল সালাদ অর্ডার করেছিলাম।
আমরা প্রায় ২০ মিনিট অপেক্ষা করার পর আমাদের সামনে সুস্বাদু ও মজাদার রেসিপি নিয়ে এসে হাজির হলো রেস্টুরেন্টের বয়। যখন সামনে খাবারগুলো পরিবেশন করছিল তখন ইলিশের মৌ মৌ গন্ধে মনে হয় পেটের ক্ষুধা অনেকটাই বেড়ে গেল। মনে হচ্ছিল কখন খাব এই মজার খাবার।
মজার খাবার যখন পরিবেশন করা হলো তখন আমরা ওয়াশ ব্লক থেকে হাত ধুয়ে এসে খাবারের জন্য রেডি হয়ে গেলাম। খাবার খাওয়ার আগে নিজের একটি ছবিও তুলে নিলাম। কি বলবো এই মাওয়া ঘাটের ইলিশের কথা তা ভেবেই পাচ্ছিনা। আর লেজ ভর্তা তার কোন তুলনাই হয় না। আপনারা যদি কেউ কখনো সময় ও সুযোগ পান তাহলে আমি বলব অবশ্যই পদ্মা মাওয়া ঘাটে গিয়ে ঘুরে আসবেন। এবং সেই সাথে ইলিশ ভাজা ও ইলিশের লেজ ভর্তার স্বাদ গ্রহণ করবেন। পরিশেষে শুধু বলতে চাই সেদিন মাওয়া ঘাটের চারিদিকে ইলিশের যে মৌ মৌ গন্ধ ভেসে বেড়াচ্ছিল, আমি যেন আজও এই গন্ধ কে খুঁজে বেড়াই।
আশা করি আমার বাইক ট্যুর (Bike Tour) : পর্ব - ৭... এর পোস্টটি আপনাদের কাছে অনেক অনেক ভালো লেগেছে। ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই অবশ্যই আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন। আজ আর নয়, দেখা হবে আগামীতে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে।
আমি মোঃ মাহবুবুল ইসলাম লিমন। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি। বাংলা ভাষা আমার মাতৃভাষা। আমি এই অপরূপ বাংলার কোলে জন্ম নিয়ে নিজেকে অনেক অনেক গর্বিত মনে করি। এই বাংলায় আমার ভালো লাগে, বাংলায় চলতে, বাংলায় বলতে, বাংলায় হাসতে, বাংলায় গাইতে, বাংলায় শুনতে, আরো ভালো লাগে এই অপরুপ বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে নিজেকে হারিয়ে যেতে দিতে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন এবং আমাকে সহযোগিতা করবেন। আমি যেন আগামীতেও আরো অনেক সুন্দর সুন্দর পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থিত হতে পারি। সবাই পরিবারের সকল সদস্যকে নিয়ে ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। এই প্রত্যাশাই সর্বদা।
Hello friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনি মাওয়া ঘাটে গিয়েছেন জেনে খুব ভালো লাগলো। আর কুটুম বাড়ির রেস্টুরেন্টে খুব সুন্দর খাওয়া-দাওয়ার মুহূর্ত উপভোগ করেছেন। আসলে মাওয়া ঘাটে গেলে আর ইলিশ মাছ না খেয়ে কোনভাবে আসা যায় না। এত সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।
ভাইয়া মাওয়া ঘাটে গিয়ে ইলিশ মাছের প্রেমে পড়ে গিয়েছি। আর তাই বারবার মনে হচ্ছে আবারও মাওয়া ঘাটে গিয়ে ইলিশ মাছের স্বাদ গ্রহণ করে আসি। এবং সেই সাথে ইলিশের মৌ মৌ গন্ধ ভেসে আসি। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
বাইকে ভ্রমণটা অনেক ভালো লাগে। কারণ খোলামেলা কোন কিছু নেই প্রাকৃতিকের সবকিছু নিজের মনের মধ্যে চলে আসে। আর আপনি বাইকে করে কুটুমবাড়ি যাওয়ার অনুভূতিটুকু অনেক ভালো লাগলো ভাই।
আপনার জন্য শুভকামনা রইল
ভাই বাইকে ভ্রমণ ভালোলাগেই বলে আমি কুড়িগ্রাম থেকে একদম পদ্মা সেতু দেখে তারপর কুয়াকাটা থেকে ভ্রমণ করে এসেছি। বাইকে করে ঘুরে বেড়ানোর মজাই আলাদা। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
অনেক দিন পর হলেও সেই বাইক ট্যুর নিয়ে পোস্ট পেলাম। খুব ভালো লাগলো ভাই। আর সব চাইতে বেশি ভালো লেগেছে আমি যেই রেস্তোরাঁ তে খেয়েছি আপনি আর ভাবিও ঠিক একই জায়গায় গিয়েছেন। ভাই এতদিন পর আবার ইলিশের লেজ ভর্তার কথা মনে করিয়ে দিলেন। আহা অমৃতের স্বাদ ছিল 👌👌। আফসোস হচ্ছে আরেকটা বার যদি যেতে পারতাম! খুব সুন্দর একটা বর্ণনা দিয়েছেন ভাই। লেখাটা পড়ে খুব ভালো লাগলো।
ভাই আপনার দেখানো রেস্টুরেন্টে যেতে পেরে আমার কাছেও ভীষণ ভালো লেগেছে। মাওয়া ঘাটে গিয়ে চিন্তা করেছিলাম, সজিব দাদা যে রেস্টুরেন্টে খেয়েছে আমরাও সেই রেস্টুরেন্টই খাব। এবং সেই অনুযায়ী কাজ করেছিলাম। তবে আমরা পরের দিন অন্য একটি রেস্টুরেন্টের খাবারের স্বাদ গ্রহণ করেছিলাম। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।