বাণিজ্য মেলায় আমার কাটানো সময়||পর্ব -৩
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর ভাই ও বোনেরা, মুসলিম ভাই ও বোনদের জানাই আসসালামু আলাইকুম। সনাতন ধর্মালম্বী ভাই ও বোনদের জানাই আদাব এবং অন্যান্য ধর্ম অবলম্বনকারী ভাই ও বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।
আজ আবারও ফিরে আসলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোষ্ট নিয়ে। আর আজকের পোস্ট হচ্ছে বাণিজ্য মেলায় আমার কাটানো সময় ৩য় পর্ব। আমরা যেদিন মেলায় গিয়েছিলাম সেদিন মেলায় গিয়ে একটি গান শুনেছিলাম। আর সেই গানটি হচ্ছে মেলায় যাইরে মেলায় যাইরে, বাসন্তী রঙের শাড়ি পরে মেলায় যাই রে। মেলার ভিতরে দাঁড়িয়ে যখন আমি এই গানটি শুনছিলাম, তখন আমার ভেতরে খুবই ভালো লাগা কাজ করছিল।
এমনিতেই আমি গান ভীষণ পছন্দ করি, আর তাই মেলায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে যখন জোরে জোরে সাউন্ড বক্সে এই গান শুনছিলাম, তখন আমার ভালোলাগার মুহূর্তটুকু স্মরণীয় হয়ে রয়েছে। মেলায় যেতে ছোট বড় সকলেই ভীষণ পছন্দ করে। আর তাইতো মেলায় যখনই যাওয়া হয় তখনই দেখা হয় মেলায় প্রচুর ভিড় জমে থাকে। সেদিন মেলায় গিয়ে আমিও উপচে পড়া ভিড় দেখেছিলাম।
যেদিন আমরা মেলায় গিয়েছিলাম সেদিন মেলায় থাকা রাইডার গুলো বন্ধ ছিল। কারণ রাইডার গুলোতে টাকা ছাড়াই কিছু ছাত্র উঠতে চেয়েছিল, আর এজন্য রাইডার কর্তৃপক্ষের সাথে তাদের তুমুল ঝগড়া শুরু হয়েছিল। আর এই জন্য মূলত রাতের বেলা রাইডারগুলো গুলো বন্ধ ছিল। পরে অবশ্য শুনেছি পরের দিন এই সমস্যার সমাধান হয়ে গিয়েছিল।
তবে সেদিন মেলায় রাইডার বন্ধ থাকার কারণে আমার ছেলে ও মেয়ের ভীষণ মন খারাপ হয়ে ছিল। কেননা ছোট বাচ্চাদের কাছে এই রাইডার গুলো খুবই আকর্ষণীয় ও আনন্দদায়ক। তাই রাইডার গুলো বন্ধ থাকার কারণে তাদের যেমন খারাপ লাগছিল, আমার কাছেও খুবই আফসোস লাগছিল। আমার বারবার মনে হচ্ছিল আমি যদি রাতের বেলায় না গিয়ে, দিনের বেলায় মেলায় যেতাম তাহলে হয়তো তারা রাইডার গুলোতে চড়তে পারতো। যাই হোক পরে আমি আবার তাদের অন্য একদিন মেলায় নিয়ে গিয়ে রাইডার গুলোতে চড়িয়ে নিয়ে এসেছিলাম। তবে সেদিন আমি কোন ফটোগ্রাফি করতে পারিনি বিধায় আজ তা শেয়ার করতে পারলাম না।
মেলায় বেড়াতে যাব আর আচার খাব না তা কিন্তু কখনোই হয় না। সেই ছোট থেকে বাবা মায়ের সাথে যখন মেলায় ঘুরতে যেতাম তখনও গিয়ে মুখরোচক এই আচারগুলো খেতাম। আর এখন নিজে যখন ছেলে মেয়েদেরকে মেলায় নিয়ে যায় তখনও ওই মুখেরচোখ আচারগুলো খাওয়া হয়। আর এই টক মিষ্টি ঝাল আচারগুলো খেতে সত্যিই দারুণ লাগে।
মেলায় আচার খাওয়ার পরে আমার মেয়ে আবার বায়নাধরে বসলো ঝাল মুড়ি খাওয়ার জন্য। সে ঝাল জাতীয় জিনিস খেতে খুবই পছন্দ করে। আর তাই তাকে ঝাল বেশি করে দিয়ে ঝাল মুড়ি তৈরি করে দিতে বলেছিলাম। আর সেই ঝাল মুড়ি মাখা খেতে বেশ ভালোই লেগেছিল। সব মিলিয়ে মেলায় কাটানো সময় টুকু আমাদের ভীষণ ভালো কেটেছিল। আজও মনে পড়লে সে সময়টা খুবই উপভোগ করি।
আশা করি আমার পোস্টটি আপনাদের কাছে অনেক অনেক ভালো লেগেছে। ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই অবশ্যই আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন। আজ আর নয়, দেখা হবে আগামীতে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে।
আমি মোঃ মাহবুবুল ইসলাম লিমন। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি। বাংলা ভাষা আমার মাতৃভাষা। আমি এই অপরূপ বাংলার কোলে জন্ম নিয়ে নিজেকে অনেক অনেক গর্বিত মনে করি। এই বাংলায় আমার ভালো লাগে, বাংলায় চলতে, বাংলায় বলতে, বাংলায় হাসতে, বাংলায় গাইতে, বাংলায় শুনতে, আরো ভালো লাগে এই অপরুপ বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে নিজেকে হারিয়ে যেতে দিতে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন এবং আমাকে সহযোগিতা করবেন। আমি যেন আগামীতেও আরো অনেক সুন্দর সুন্দর পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থিত হতে পারি। সবাই পরিবারের সকল সদস্যকে নিয়ে ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। এই প্রত্যাশাই সর্বদা।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বাণিজ্য মেলায় কাটানো সময়ের বর্ণনা দিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন ভাইয়া। রাইড গুলো বন্ধ থাকায় আপনার বাচ্চাদের মন খারাপ হওয়া স্বাভাবিক। কারণ তাদের মেলায় যাওয়া মানেই আনন্দ করা। আর তাদের আনন্দের জায়গা বিভিন্ন রাইডে চড়া। তবে ভালো করেছেন, আর একদিন মেলায় নিয়ে বাচ্চাদের রাইডে চড়িয়েছেন। পোস্টটি ভালো হয়েছে।ছবি গুলিও অনেক সুন্দর। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
রাইটারগুলো বন্ধ থাকার কারণে আপনার ছেলে মেয়ে মন খারাপ করছিল এই কথাটা শুনে খুবই খারাপ লাগলো ভাই 😑, যাই হোক শেষ পর্যন্ত বাবুদের আনন্দ দিতে পেরেছেন। আপনি আপনার বাণিজ্য মেলার অভিজ্ঞতাটা শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনার এই বাণিজ্য মেলা ভ্রমণের খুবই সুন্দর সুন্দর কিছু পোস্ট দেখে আসছি৷ আজকেও একদমই অসাধারণ একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন আপনি৷ আজকের এই পর্বের মধ্যে আপনি খুব সুন্দর সুন্দর কিছু বিষয় ফুটিয়ে তুলেছেন৷ একইসাথে আপনি এখানে যে সময়গুলো অতিবাহিত করেছেন তা খুব সুন্দরভাবে আপনার এই পোস্টের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছেন৷ অসংখ্য ধন্যবাদ৷
ভাইয়া ঢাকাতে যখন আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা হয় তখন সবার যেতে পারে না। যদি মেলা গুলো জেলায় জেলায় হয় তখন সবাই অংশগ্রহন করতে পারে। আপনার বানিজ্য মেলায় কাটানো ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।