আ_{^{মার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর ভাই ও বোনেরা, মুসলিম ভাই ও বোনদের জানাই আসসালামু আলাইকুম। সনাতন ধর্মালম্বী ভাই ও বোনদের জানাই আদাব এবং অন্যান্য ধর্ম অবলম্বনকারী ভাই ও বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।}}

বাণিজ্য মেলায় আমার কাটানো সময়||পর্ব -১

পোষ্টের লিংক

আজ আবারো ফিরে আসলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোষ্ট নিয়ে। আর আজ আমি আমাদের কুড়িগ্রাম শহরে বাণিজ্য মেলায় ঘুরে বেড়ানোর সুন্দর সময়টুকু আপনাদের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করব। গত পর্বে আমার পরিবারসহ টুকিটাকি কেনাকাটা করেছিলাম এবং সেই সাথে সুন্দর সময় কাটিয়েছি তা আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছিলাম। তারই ধারাবাহিকতায় আজ আমি দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে হাজির হয়েছি। মেলায় ঘুরতে কার না ভালো লাগে বলুন, মেলার কথা শুনলে মনের ভেতরে কেমন যেন আনন্দ অনুভূত হয়।

বিশেষ করে যাদের ঘরে ছোট ছোট ছেলে মেয়ে রয়েছে তারা তো বুঝতেই পারছেন, মেলার কথা শুনলে তারা কতটা আনন্দ ও খুশিতে আত্মহারা হয়ে যায়। ঠিক তেমনি আমি আমার মেয়ে ও ছেলেকে নিয়ে মেলায় যে সময়টুকু কাটিয়েছিলাম তা খুবই আনন্দময় ছিল। যাই হোক বন্ধুরা আমি বাণিজ্য মেলায় গিয়ে আমার কাটানো সুন্দর সময় টুকু কিভাবে কাটিয়েছি তা আপনাদের মাঝে ভাগাভাগি করে নিচ্ছি। তাহলে চলুন আর দেরি না করে, মেলায় গিয়ে আমার কাটানো সুন্দর সময় টুকু দেখে নেয়া যাক।

আমি গত পর্বে আপনাদের কাছে বলেছিলাম, মেলায় ঘুরতে ঘুরতে কিছুটা ক্লান্ত হয়ে যাওয়ার কারণে, ফুচকা ও কাবাব হাউজে গিয়ে হালিম খেয়েছিলাম। উপরের ছবিতে যে দোকানটি দেখতে পাচ্ছেন, এই দোকানটি হচ্ছে সেই স্বাদহীন হালিমের দোকান। আর এই হচ্ছে সেই হালিম। যা দেখতে লোভনীয় কিন্তু মোটেও সুস্বাদু নয়। যে হালিম খেয়ে কোন ধরনের স্বাদই পাইনি। বরং হালিমের প্রতি এতটাই অরুচি এসে গেছে যে এখন হালিমের কথা মনে করলেও আর খেতে ইচ্ছে করে না। আমি বুঝতে পারলাম না সেদিনের হালিমে কি এমন সমস্যা হয়েছিল, যার কারণে খেতে একটুও মজা লাগেনি।

এরপর আমরা আবারো মেলায় ঘুরতে শুরু করেছিলাম। মেলায় গেলে শুধু টুকিটাকি জিনিস কেনা কাটা নয় বরং মেলায় ঘুরতেও ভীষণ মজা লাগে। একদিক থেকে ঘোরা শুরু করে অন্যদিক পর্যন্ত ঘুরে আসতে অনেকটা সময় লেগে গিয়েছিল। চোখের সামনে যা যা দেখছিলাম ভালোলাগার মত তাই তাই কেনার চেষ্টা করেছিলাম। তবে চোখের তো বড়ই সমস্যা যা দেখা যায় তাই ভালো লেগে যায়। আর অতসব কিনতে গেলে পকেটতো একদম গরের মাঠ হয়ে যাবে। তাই চিন্তা ভাবনা করে টুকিটাকি জিনিসগুলোই কিনেছিলাম। যাতে করে পকেট শূন্য হয়ে না যায়।

মেলায় আসা হরেক রকমের দোকান গুলো দেখতে কি যে ভালো লাগে, তা হয়তো বলে বোঝানো যাবে না। শুধুমাত্র এরকম বাণিজ্য মেলায় যারা গিয়ে ঘুরে ঘুরে দোকান গুলো দেখেছেন, তারাই বুঝতে পারবেন এই মেলার সৌন্দর্য কতটুকু। রাতের বেলায় প্রতিটি দোকান যেন ঝলমল করে জ্বলছিল। এমনিতেই আমার কাছে রাতের মেলার সৌন্দর্য ভীষণ টানে। আর যদি এমন হরেক রকমের দোকান গুলো তাদের সুন্দর সুন্দর জিনিসগুলো পসরা সাজিয়ে রাখে, তাহলে তার সৌন্দর্যই আলাদা।

যাইহোক ঘুরতে ঘুরতে আমার মেয়ে সুন্দর একটি পানির বোতল দেখে পছন্দ করেছিল। সে আমার কাছে পানির বোতলটি কিনে চাইতেই, আমি তাকে পানির বোতলটি কিনে দিয়েছিলাম। কেননা তার স্কুলে যাওয়া আসার জন্য যে পানির বোতলটি ছিল, তা কিছুটা নষ্ট হয়ে গেছে। এজন্যই প্রয়োজনের তাগিদে আমি আমার মেয়েকে পানির বোতলটি কিনে দিয়েছিলাম। এভাবে আমরা আরো অনেকটা সময় মেলায় ঘুরেফিরে আমাদের সুন্দর সময় টুকু কাটিয়েছিলাম। মেলায় গিয়ে আমরা আর কি কি করেছিলাম তা জানার জন্য পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।

---

---

আশা করি আমার পোস্টটি আপনাদের কাছে অনেক অনেক ভালো লেগেছে। ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই অবশ্যই আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন। আজ আর নয়, দেখা হবে আগামীতে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে।

আমি মোঃ মাহবুবুল ইসলাম লিমন। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি। বাংলা ভাষা আমার মাতৃভাষা। আমি এই অপরূপ বাংলার কোলে জন্ম নিয়ে নিজেকে অনেক অনেক গর্বিত মনে করি। এই বাংলায় আমার ভালো লাগে, বাংলায় চলতে, বাংলায় বলতে, বাংলায় হাসতে, বাংলায় গাইতে, বাংলায় শুনতে, আরো ভালো লাগে এই অপরুপ বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে নিজেকে হারিয়ে যেতে দিতে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন এবং আমাকে সহযোগিতা করবেন। আমি যেন আগামীতেও আরো অনেক সুন্দর সুন্দর পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থিত হতে পারি। সবাই পরিবারের সকল সদস্যকে নিয়ে ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। এই প্রত্যাশাই সর্বদা।