ভৌগলিক অবস্থান:

ডিভাইস:

গত পর্ব পর্যন্ত আমি আমাদের ক্যাম্পাস থেকে ভ্রমণ শুরু করে সাফারি পার্ক এর রাইডিং বাসে ঘোরার অভিজ্ঞতা পর্যন্ত শেয়ার আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করেছিলাম। অর্থাৎ রাইডিং বাস থেকে নামার পরের ঘটনাগুলো আজকের পর্বে থাকছে। রাইডিং বাস থেকে নামার পর মনটা একটু খারাপ হল। কারণ যেটুকু এক্সপেক্টেশন নিয়ে রাইডিং বাসে উঠেছিলাম হিংস্র প্রাণী গুলো ততটা দেখতে পাইনি।

পরবর্তীতে রাইডিং বাসে ওঠার জন্য যে গেট রয়েছে ওই গেটের সামনে থেকে আমাদের গাইবান্ধা জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির সকলে মিলে গ্রুপ ছবি উঠালাম। তখন প্রায় দুটা বেজে গিয়েছিলো।অন্য সময় ক্যাম্পাসে থাকলে এই সময়টায় খাওয়া-দাওয়া করা হয়। বাসের মধ্যে বেশি হইহুল্লোড় এবং নাচানাচি করার কারণে পিকনিকের দিন আরো বেশি ক্ষুধা লেগেছিল। তবুও দায়িত্বরত বড় ভাইয়েরা ৩:৩০ পর্যন্ত সবাইকে সাফারি পার্কের ভিতর ঘোরার জন্য। ৩:৪৫ এ সবাইকে খবর দেওয়া হবে। ভাইয়ের কথা শুনে মনটা আরও খারাপ হয়ে গেল। কিন্তু কি আর করার, অগত্যা বাধ্য হয়ে ক্ষুধা পেটে নিয়ে ঘোরাঘুরি করার জন্য সবাই মিলে বের হলাম।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে প্রথমবার যাওয়া। যার ফলে ভেতরে কি কি রয়েছে তার সম্পর্কে তেমন একটা ধারণা ছিল না। অবশ্য আমাদের ক্যাম্পাসের সিনিয়র ভাই এবং আপুরা এর আগে অনেকবার এখানে এসেছিলেন। আমাদের ক্যাম্পাস থেকে সাফারি পার্ক খুব একটা বেশি দূরে নয়। এজন্য পিকনিকের আয়োজন করলে বেশিরভাগ সময়ে সাফারি পার্কে আসা হতো। যার ফলে প্রথমদিকে উনারাই আমাদের পার্কের ভেতরের পরিবার সম্পর্কে ধারণা দিয়েছিলেন। উনাদের কথা বলতো আমরা বিভিন্ন গ্রুপে ভাগ হয়ে ঘুরতে লাগলাম। আমাদের গ্রুপে ৪৯ তম আবর্তনের ৫ জন বন্ধু এবং দুজন বান্ধবী ছিল। আর আমাদের ইমিডিয়েট সিনিয়র ব্যাচের দুজন বড় ভাই এবং দুজন বড় ছিলেন। একে একে বিভিন্ন প্রাণী এবং ভেতরের সৌন্দর্যময় পরিবেশ উপভোগ করতে লাগলাম।

• পার্কের ভিতরে প্রবেশ করতেই প্রথমে মেইন গেটের চারপাশে অনেকগুলো ফুলের গাছ লাগানো ছিল। লাল বর্ণের এবং সাদা বর্ণের এই ফুলগুলো গেটের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেছিল। এই ফুলগুলোর সঠিক নাম আমার জানা নেই।তবে ফুলগুলো গেটের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করায় আমাদের স্থানীয় ভাষায় এই ফুলগুলোকে গেটফুল বলা হয়।

• প্রথমে দেখলাম একটি পুকুরে অনেকগুলো মাছ পানির ভেতর ছুটে চলছে। মাছগুলো রং লাল হয় দেখতেও বেশ সুন্দর লাগছিল। মাছগুলো লাল বর্ণের ছিল। লাইলনটিকা অথবা কার্প মাছ হবে হয়তো।

• এরপর কিছুদূর যেতেই দেখলাম খাঁচায় বন্দি রয়েছে উটপাখি। এখানে অবশ্য লোকজনের ভালোই ভিড় ছিল। উটপাখি যে সবাই কাছ থেকে দেখার চেষ্টা করছিল এবং ছবিও ক্যাপচার করার চেষ্টা করছিল।

• উটপাখির পাশের অন্য একটি চারপাশে এবং উপরে খাঁচাযুক্ত স্থানে নানান ধরনের পাখি বন্দি ছিল। এই পাখিগুলো অবশ্য আমাদের চারপাশে দেখা পরিচিত না। যার ফলে দর্শনার্থীরা এগুলো দেখতে ভালো আগ্রহ প্রকাশ করছিল।

• এরপর দেখলাম একটি পুকুরে দুটি কুমির ঘুরে বেড়াচ্ছে। কুমির গুলোকে দেখে অবশ্য অতটা শক্তিশালী মনে হচ্ছে না।অবশ্য তীব্র গরম আবহাওয়া ছিল। তীব্র গরমে কুমিরগুলো হয়তো তাদের তেজ হারিয়ে ফেলেছে।**

• এরপর একটি স্থানে দেখলাম অনেকগুলো গাছ টবে করে সাজিয়ে রেখেছে। টপ গুলো সরলরেখা বরাবর বিন্যাস করে বেশ কয়েকটি লাইনে সাজিয়ে রাখায় দেখতে অনেক সুন্দর লাগছিল।

চলবে----

আমার শেয়ার করা পোস্টটি কেমন লেগেছে কমেন্ট করে জানান, আশা করি সবার ভালো লেগেছে। ভালো লেগে থাকলে, কমেন্ট এবং আপভোট দিবেন। 💗💗🌲