১৭ ই মার্চ রোজ বৃহস্পতিবার আমাদের বনভোজনের দিন নির্ধারণ করা হয়েছিল।দিনটিতে বাঙালির প্রিয় নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্মগ্রহণ করেছিলেন। আমাদের পিকনিকের আয়োজন করা হয় "গাইবান্ধা জেলা অ্যাসোসিয়েশন" ছাত্রকল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে। ক্যাম্পাসে আমরা নতুন এবং আমাদের ব্যাচ ৪৯ তম আবর্তন। আমাদের ব্যাচের সবার থেকে ৩৫০ টাকা চাদা নির্ধারণ করা হয়েছিল। অন্যান্য ব্যাচের বড়রা আরো বেশি টাকা দিয়েছিলেন।এই চাঁদার মধ্যে একটি করে গেঞ্জি, সকালের নাস্তা, ক্যাম্পাস থেকে সাফারি পার্কে যাওয়া ও আসার গাড়ি ভাড়া, সাফারি পার্কের ভেতরের একটি রাইড, দুপুরের খাবার এবং রাতের নাস্তা। আমি সহ আমার ক্যাম্পাসের অনেক বন্ধু বান্ধবী এবং বড় ভাই-আপুরা পিকনিকে অংশ নিয়েছিল।ঐদিন সকাল ৮ টায় ক্যাম্পাস থেকে বাস ছাড়া হবে সেটা আগের দিনই বলে রাখা হয়েছিল।

---

---

---

---

২০২০ সালের পর থেকে করোনা ভাইরাসের মহামারীর কারণে আর কখনো পিকনিকে যাওয়া হয়নি।সেই হিসেবে আমার মধ্যে বেশ আনন্দ কাজ করছিল। কারন অনেকদিন পর পিকনিকে যাওয়া। পিকনিক মানে আনন্দময় পরিবেশের সারাটা দিন কাটানো। পিকনিকের দিন সকাল ৬ টায় ঘুম থেকে উঠলাম। আমার হল এর আরও একজন বন্ধু আমার সঙ্গে গাইবান্ধা অ্যাসোসিয়েশন থেকে পিকনিকে অংশ নিয়েছিল। ভোরবেলা উঠে গোসল করে ওকে ডাক দিলাম। ওর গোসল করা শেষ হলে রেডি হয়ে দু'বন্ধু ক্যাম্পাসের যে স্থান থেকে বাস ছাড়া হবে ওই স্থানের উদ্দেশ্যে রওনা হলাম।

---

---

সেখানে গিয়ে দেখি আমরাই সর্বপ্রথম এসেছি। মনটা খারাপ হয়ে গেল। অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর বন্ধুবান্ধব এবং বড়রা আসতে শুরু করলো। শুধু যে অনার্স প্রথম বর্ষ থেকে অনার্স চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা পিকনিকে অংশ নিয়েছিল তা নয়। গাইবান্ধা জেলা থেকে যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হয়েছেন তারা এবং বাইরেও বিভিন্ন স্থানে চাকরি করছেন তারাও অংশ নিয়েছিল। আসলে প্রতিটা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ জেলা অ্যাসোসিয়েশনের প্রতি এক প্রকার টান থাকে। যার ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যায় শেষ করে চাকরি করার পরেও তারা এসোসিয়েশনের বিভিন্ন প্রোগ্রামে অংশ নেয়।চাকুরীজীবী এসব ভাই এবং আপুরা সবথেকে দেরিতে এসেছিল।সবাই উপস্থিত হওয়ার পর আমাদের প্রথমে গেঞ্জি প্রদান করা হলো। গাইবান্ধা অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে প্রদান করা গেঞ্জিটা পরে প্রথমে বিভিন্ন ব্যাচ ভিত্তিক ছবি উঠালাম। এরপর সকল ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং বড়রা মিলেও ছবি উঠালাম। ফটোসেশন শেষ করার পর সকালের নাস্তা খেয়ে নিলাম। সকালের নাস্তায় খিচুড়ি, সবজি একটি করে ডিম ও পানির বোতল ছিল। সেগুলো খাওয়া-দাওয়া শেষ করে সকলের উপস্থিতির বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর গাড়িতে করে রওনা হলাম।

---

---

চলবে ---

---

---

আমার শেয়ার করা পোস্টটি কেমন লেগেছে কমেন্ট করে জানান, আশা করি সবার ভালো লেগেছে। ভালো লেগে থাকলে, কমেন্ট এবং আপভোট দিবেন। 💗💗🌲