আমার রেসিপি পোস্টের সংগ্রহশালা (ফেব্রুয়ারি পর্ব ১) // ১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে

in আমার বাংলা ব্লগ3 years ago

নমস্কার বন্ধুরা,

আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আজ আপনাদের সাথে গত দুসপ্তাহে আমার বানানো রেসিপি গুলোর রিভিউ নিয়ে হাজির হলাম।

বিগত দু সপ্তাহে আমি নতুন চারটি রেসিপি আপনাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছি। আজ সেই সমস্ত রেসিপিগুলোরই পুনঃমূল্যায়ন করবো। পুনঃমূল্যায়ন করার পেছনে আমার মূলত দুটি উদ্দেশ্য আছে। প্রথমত রেসিপিগুলো থেকে যা কিছু নতুন শিখেছি সে সম্পর্কে একটা সম্যক ধারণা ব্যক্ত করে নিজের রান্নার পুনঃমূল্যায়ন করতে পারবো আর দ্বিতীয়ত রেসিপি গুলোর নির্দিষ্ট একটি আর্কাইভ বানাতে পারবো যাতে ভবিষ্যতে যদি কখন আমার রেসিপিগুলোর প্রয়োজন হয় তাহলে খুব সহজেই একটি মাত্র অঙ্গুলি হেলনে সব গুলো রেসিপিই খুঁজে পেয়ে যাবো।

ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম দু সপ্তাহে আমি মোট ৪ টি নতুন পদ রান্না করার সুযোগ পেয়েছি। নতুন পদগুলির মধ্যে আমিষ মান কচু রান্নার অভিজ্ঞতাটা ভিন্ন ছিলো।





চারটি রেসিপির মধ্যে প্রথম রেসিপিটাই আমার সবচাইতে পছন্দের, মান কচুর নিরামিষ ঘন্ট। গতমাস পর্যন্ত কচু রান্না আমার কাছে বেশ ভয়ের বিষয় ছিলো, শোলা কচু রান্না করার পর থেকে সেটা অনেকটা কমে গিয়েছে তাই যখন মান কচু রান্না করলাম ভয়টা অনেক কম ছিলো। প্রথমে খুব সহজ মনে হলেও আমিষ মান কচুর ঘন্ট রান্না করার কাজটা বেশ শক্ত ছিলো। কচু ঝিরিঝিরি ভাবে গ্রেট করাটাই যথেষ্ট পরিশ্রমের কাজ তাছাড়া রান্নার সময় সারাক্ষন কচু নাড়াচাড়া করতে থাকতে হয়েছিলো যেন কড়াইতে লেগে না যায়। সব পরিশ্রম সার্থক যখন আমিষ মান কচুর স্বাদ পেলাম। আহা! কচু যে এতোটা ভালো হতে পারে!



দ্বিতীয় রেসিপিটি করার আগে আমি রীতিমতো আগে থেকে পরিকল্পনা ছকেছি, যদিও পুরো পদটির জন্য পরিকল্পনা ছিলো না। পদটিতে ব্যবহৃত একটি বিশেষ সবজিকে নিয়ে। পদটির নাম নিরামিষ ওল কপি সয়াবিন। পূর্বে একবার ওলকপি রান্না করেছিলাম তখন সবকিছু ঠিক হলেও দুর্ভাগ্যবশত ওলকপি পুরোপুরি সিদ্ধ হয়নি। সেবার থেকেই মনে অল্প রাগ ছিলো। সময় পেলে ওলকপিকে শায়েস্তা করবো স্থির করেছিলাম। শায়েস্তা করার জন্য নতুন উপায় ব্যবহার করলাম তবুও ওলকপি সেদ্ধ হলো না। শিক্ষা নিলাম! পরের বার থেকে ওলকপি গুলো ছোটো ছোটো কেটে নেবো।



আমার তৃতীয় রেসিপিটি ছিলো বাটা মাছের ঝাল। রবিবারের দিন ছিলো ফ্রিজ ঘাটতে ঘাটতে বাটা মাছ গুলো পেয়েছিলাম। ব্যক্তিগত ভাবে বাটা মাছের সর্ষে বাটা আমার বেশি পছন্দের হলেও দুর্ভাগ্যের বিষয় মাছ গুলো অনেকদিন ধরেই ফ্রিজে ছিলো তাই বাধ্য হয়ে ঝাল বানাতে হলো। লম্বা লম্বা আলু কেটে নিয়ে বাটা মাছের ঝাল রান্না হলো। আহা! বাটা মাছের ঝাল সর্ষে বাটা থেকেও ছাপিয়ে গেলো। স্বাদ, গন্ধ দুটোই অতুলনীয় হয়েছিল।



চতুর্থ রেসিপিটি সিলভার কার্প মাছের ঝাল! আমরা মোটামুটি সকলেই অল্প বিস্তর জানি যদি কখন স্বাদহীন মাছের তালিকা বানানো হয় তাহলে সিলভার কার্প মাছ একদম উপরের সারিতে থাকবে। স্বাদহীন মাছ দেখেই আমার রান্নার ইচ্ছে জেগেছিলো। রান্নার করার পর যা বুঝলাম সিলভার কার্প একমাত্র ঝাল রান্না করলেই খাওয়া সম্ভব!






Support @heroism by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Sort:  
 3 years ago 

দাদা আপনার রেসিপি পোস্টের সংগ্রহশালা দেখে তো সব গুলো শিখে নিলাম বাসায় তৈরী করবো। এভাবেই এগিয়ে যান আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো ভালো থাকুন।

 3 years ago 

ধন্যবাদ লিমন ভাই!

 3 years ago 

দাদা আপনার প্রত্যেকটা রেসিপি আমার খুবই ভালো লেগেছে। আবারও আপনার রেসিপি গুলো দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লাগছে সত্যিই অসাধারণ ভাবে রেসিপিগুলো আপনি তৈরি করেছিলেন। এবং সুন্দরভাবে আবারো দেখার সুযোগ করে দিলেন। সত্যিই আপনার বাটা মাছের রেসিপি এবং সিলভার কার্প মাছের রেসিপি আমার সবচাইতে ভালো লেগেছে এবং এই রেসিপি ধাপগুলো দেখে আমিও রেসিপি তৈরি করেছিলাম। সত্যি দাদা আবারও আমাদের দেখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এবং পরবর্তীতে আরো সুস্বাদু রেসিপি আপনার কাছ থেকে উপহার পাবে এই আশায় রইলাম।

 3 years ago 

বাটা মাছের ঝাল দারুন স্বাদের হয়েছিল। ধন্যবাদ রায়হান ভাই আমার পোস্টটি পড়ার জন্য। 🤗

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.15
JST 0.029
BTC 56596.99
ETH 2394.78
USDT 1.00
SBD 2.32