রেসিপি : মান কচুর আমিষ ঘন্ট // ১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে
নমস্কার,
কচুর যেকোনো পদ খেতে আমি বেশ পছন্দ করি। আমার মা নিজে সব ধরনের কচু দারুন রান্না করেন। পিসির বাড়িতেও মাঝে মাঝে কচুর নানা পদ রান্না হয় যার বেশিটাই পিসি করে আমি সবেমাত্র রান্না শিখছি তাই কচুতে হাত দিই না। আসলে কচুতে আমার অল্প ভীতি আছে তাই দূরে দূরেই থাকি। যদিও আগের দিন শোলা কচু রান্না করার পর আমার ভীতি অল্প কাটলেও পুরোটা এখন কাটেনি। ওসব কথা না থাক মূল কথা বলি তাহলে।
পিসির বাড়িতে এক বয়স্ক দিদা থাকেন তিনি মান কচুর এক বিশেষ পদ রান্না করেন যা আমি অন্য কাউকেই তার মতো অতোটা পারতে দেখিনি। কোনো প্রকার জল ছাড়া পেঁয়াজ রসুন আদা কচুর ঘণ্ট। ইচ্ছা ছিলো তাঁর কাছ থেকে ওই রান্নাটা শিখে নেওয়ার তাই সুযোগ যখন পেলাম সেটার সদ্ব্যবহার করে নিলাম।
রান্নাটা খুবই কম ধাপে হয় তাই প্রথমে খুবই সহজ মনে হয়েছিলো তবে রান্না করতে গিয়ে সে ভুলটা ভেঙে যায়। প্রথম যে কাজটা করতে হলো সেটা মান কচুটাকে নিয়ে ঝিরিঝিরি ভাবে গ্রেট করে নেওয়া তারপর খুবই কড়া নজরদারিতে ভাজা। যেহেতু জল ব্যবহার না করেই কচু সদ করতে হয় তাই আমাকে প্রতিনিয়ত খুন্তি দিয়ে কচু নাড়াচাড়া করতে থাকতে হয়েছে যাতে তলা না লেগে যায়।
- মান কচু
- তেল
- পেঁয়াজ
- রসুন
- আদা
- হলুদ গুঁড়ো
- জিরে গুঁড়ো
- লঙ্কার গুঁড়ো
- নুন
ধাপ ১
- প্রথমে গ্যাসে একটা কড়াই চাপিয়ে তেল নেবো।
ধাপ ২
- তেল গরম হয়ে গেলে পেঁয়াজ, রসুন আর আদা কড়াইতে দিয়ে ভাজতে শুরু করবো।
ধাপ ৩
- পেঁয়াজ ও রসুন ভাজা হয়ে গেলে কুড়িয়ে রাখা কচু গুলো কড়াইতে দিয়ে দিলাম।
ধাপ ৪
- তারপর একে একে পরিমাণ মতো নুন, হলুদ, জিরে গুঁড়ো ও লংকার গুঁড়ো দিয়ে দেবো।
ধাপ ৫
- মসলা দেবার পর আঁচ কমিয়ে কচু ভাজতে শুরু করলাম।
ধাপ ৬
- কচু ওলট পালট করে ভাজতেই থাকবো যতক্ষন না পর্যন্ত কচু তেল ছেড়ে দেয়।
ধাপ ৭
- কচু তেল ছাড়ার পরে আরো খানিকটা ভাজবো। ব্যাস, আমিষ মান কচুর ঘন্ট তৈরী।
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmVZ2LnjzbteWf1QSr3MqRaJx7dYMMGANXS258rRfzaubR/Division.jpeg)
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
শ্রদ্ধেয় দাদা আশাকরি ভাল আছেন? কচু আমার খুব প্রিয় তবে কুচি কুচি করে যেকোনো ভাবে রান্না করলে খেতে খুব ভালো লাগে। আপনি যেভাবে উপস্থাপন করেছেন তা দেখে খুব খেতে ইচ্ছে করতেছে দেখে মনে হচ্ছে অনেক মজাদার এবং সুস্বাদু হয়েছে। আমাদের বাসায় মাঝে মাঝে মান কচু রান্না করে থাকে। আপনার রেসিপি টি খুবই অসাধারণ হয়েছে। এত সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনার প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি ।ভালো থাকবেন দাদা, অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
কচু আমার ভীষণ পছন্দের। এর তরকারি খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। এইভাবে কচু রান্না করে অর্থাৎ পানি ছাড়া এভাবে ঘন্ট করে খাওয়া যায় সেটা কখনোই জানতাম না। আজকে আপনার এই রেসিপিটি দেখে সত্যিই মনে হচ্ছে এটি তৈরি করা যায়। পানি ছাড়া কচু রান্না করাটা অভাবনীয়। অনেক সুন্দর করে আপনি এই রেসিপিটা উপস্থাপন করেছেন দাদা। কখনো যদি সুযোগ পাই তাহলে এটি চেষ্টা করে দেখব।
যেকোনো ধরনের কচু আমার কাছে ভালো লাগে। আমিও কচু খুব পছন্দ করি তবে আপনি যেভাবে কচুর ঘন্ট করেছেন এটা এভাবে কখনো খাওয়া হয়নি। আর আপনার মান কচুর রন্ধন প্রক্রিয়া টা একটু আলাদা, সম্পন্ন তেলে ভেজে নিতে হয়। আর দেখে বোঝা যাচ্ছে এটা খুব সুস্বাদু এবং মজাদার হয়েছে। অসাধারণ একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে প্রতিটি ধাপ শেয়ার করার জন্য আপনার প্রতি রইল আন্তরিক শুভেচ্ছা এবং গভীর ভালোবাসা দাদা।
আপনার মান কচুর ঘন্ট দেখতে কিন্তু খুবই লোভনীয় লাগছে। কালারতা যা হয়েছে না দেখে মনে হচ্ছে যে গরম ভাতের সঙ্গে খেতে বসে যাই। যেকোনো ভাজিই পানি ছাড়া ভাঁজতে গেলে একটু সময় এবং ধৈর্য নিয়ে ভাঁজতে হয়। আপনি সেই দুটি কাজ খুব সুন্দর করে করেছেন বিধায় আপনার মান কচুর ঘন্টটি লোভনীয় হয়েছে দেখতে।
ওয়াও দাদা আপনার তৈরি করা মান কচুর আমিষ ঘন্ট রেসিপি টা দেখতে খুবই লোভনীয় লাগছে ।অনেকদিন হলো এমন রেসিপি খাওয়া হয়না শীতকাল সময়ে মান কচুর আমিষ ঘন্ট খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে । আপনি এই রেসিপিটা আমাদের মাঝে খুবই সুন্দরভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন। আমার কাছে ব্যক্তিগতভাবে অনেক ভালো লেগেছে এই রেসিপিটি। ধন্যবাদ আপনাকে এমন মানসম্মত এবং সুস্বাদু একটি রেসিপি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনি অনেক মজাদার এবং লোভনীয় একটি মান কচুর আমিষ ঘন্টর সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের সকলের মাঝে অনেক চমৎকার ভাবে উপস্থাপন করেছেন। আপনার এই রেসিপিটি দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল যদিও মান কচুর এইরকম ঘন্ট আমি কখনো খাইনি তবে আপনার এই রেসিপিটি দেখে আমার খেতে ইচ্ছে করছে। ধন্যবাদ আপনাকে এরকম একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
কচুর ঘন্টা অসাধারণ খাবার । যদিও কচু শুধু শীতকালে পাওয়া যায় তবুও এটি খেতে অসাধারণ লাগে। আলু দিয়ে ভাজা করে খেতে অনেক মজা থাকে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া
দাদা আপনার কাছ থেকে প্রতিদিনই নতুন রেসিপি শিখছি। ভালোই লাগছে যে নতুন রেসিপি শিখতে পারছি। আজকের রেসিপি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। মান কচুর আমিষ ঘণ্ড দেখতেও খুব লোভনীয় লাগছে আর খেতেও মনে হয় খুবই মজার হবে। ধন্যবাদ আপনাকে শুভকামনা রইল।