রেসিপি: ফুলকপি, আলু ও টমেটো দিয়ে সিলভার কার্প মাছের ঝোল
নমস্কার,
বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি ঈশ্বরের কৃপায় আপনারা সকলেই ভালো আছেন। আজ আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন মজাদার রেসিপি নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। আজকের রেসিপিটি হলো ফুলকপি, আলু ও টমেটো দিয়ে সিলভার কার্প মাছের ঝোল।
শিক্ষার যেমন বয়স নেই রান্নার তেমনি আন্দাজের শেষ নেই। ফুলকপি একটা অদ্ভুত সবজি। বেশ কয়েকবার রান্নার পরেও ঠিক আন্দাজ পাইনা যে কখন ফুলকপিটা ভালো ভাবে ভাজা কিংবা কতক্ষনে ফুলকপিটা সঠিক সেদ্ধ হয়েছে। আজকে সিদ্ধ হওয়া নিয়ে সমস্যা পড়ে বুঝলাম প্রথমে আমার ভাজা কম হয়েছে তারপর সেদ্ধ। আর যখন সব বুঝতে পারলাম ততক্ষনে রান্না একদম শেষ মুহূর্তে চলে গিয়েছে। শেষমেষ ঝোল বেশি সময় ধরে ফোটানো ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না।
আদবে যখন ফুলকপিটা ভাজা হলো তখন দেখে মনে হলো যে ফুলকপিটা ভাজা হয়ে গেছে। তাছাড়া কষতে কষতে ফুলকপি পুরোটা ভাজা হয়ে অল্প সেদ্ধ হয়েও যায় তারপর ঝোলে দিতেই রান্না শুধু নামানোর অপেক্ষা। কিন্তু আমার জন্য বাঁশ অপেক্ষা করছিলো সেটা আমি আগে বুঝতে পারিনি। সবজি ভেজে, মশলা কষিয়ে, মিনিট দশেক ঝোল ফুটিয়ে পরেও প্রাথমিক ভাবে বুঝতেই পারিনি যে ফুলকপি ভেতরে শক্তই আছে। সেটা খেয়াল হলো যখন ঝোলের মধ্যে ভাজা মাছগুলো দিয়ে দিয়েছি। উপায় কিছু নেই। রান্না শেষ করতেই হবে।
সৌভাগ্যবশত মাছগুলো কড়া ভেজেছিলাম তাই ঝোল রান্না শেষে মাছের টুকরো গুলো একদম গলে যায়নি। যাক, তাহলে এবার চলুন মূল রান্নায় যাই।
- সিলভার কার্প মাছ
- ফুলকপি
- আলু
- টমেটো
- গোটা জিরে
- তেজপাতা
- জিরে গুঁড়ো
- হলুদ গুঁড়ো
- লঙ্কা গুঁড়ো
- কাঁচা লঙ্কা
- নুন
- তেল
ধাপ ১
- উনুনে কড়াই চাপিয়ে অল্প সাদা তেল গরম করে নিলাম। তেল গরম হয়ে যাওয়ার পর সিলভার কার্প মাছের টুকরো গুলো কড়াইতে দিয়ে ভাজতে শুরু করবো।
ধাপ ২
- কার্প মাছের পিস গুলো ভাজা হয়ে গেলে কড়াই থেকে একটা পাত্রে নামিয়ে রাখবো।
ধাপ ৩
- মাছ ভাজা হয়ে গেলে কড়াইয়ের বাকি তেলে গোটা জিরে ও তেজপাতা ফোড়ন দিয়ে দেবো।
ধাপ ৪
- ফোড়ন হয়ে গেলে ফুলকপি ও আলু অল্প ভেজে তাতে স্বাদমতো নুন ও পরিমান মতো হলুদ দিয়ে সবজি গুলো নাড়াচাড়া করতে শুরু করবো।
ধাপ ৫
- সবজি ভাজা ভাজা করে নিলাম।
ধাপ ৬
- সবজি ভাজা ভাজা হয়ে যাওয়ার পর জিরে গুঁড়ো ও লঙ্কা গুঁড়ো সবজিতে দিয়ে মশলা কষাতে শুরু করে দেবো। মশলা কষে যেতেই একটা গোটা টমেটো মাঝ থেকে কেটে কড়াইতে দিয়ে দেবো।
ধাপ ৭
- মশলা পুরোপুরি কষে গেলে তাতে দু কাপ জল দিয়ে দেবো। তারপর মিনিট দশেক ঝোল ফুটিয়ে ভেজে রাখা মাছ গুলো কড়াইতে ছেড়ে দেবো।
ধাপ ৮
- ভাজা মাছ ঝোলে দেওয়ার পরে আরো পনেরো মিনিট ঝোল ফুটিয়ে নিয়ে আমাদের ফুলকপি, আলু ও টমেটো দিয়ে সিলভার কার্প মাছের ঝোল তৈরী।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
দাদা আপনি তাহলে ফুলকপি রান্না করতে গিয়ে বিপাকে পড়ে গেলেন। মাঝে মাঝে আমারও এমন হয়। অনেক সময় বিভিন্ন রকম তরকারি রান্না করতে গিয়ে মনে হয় যেন হয়ে গেল। কিন্তু পরে দেখি ঠিকমতো সেদ্ধ বা রান্না হয়নি। তারপর আবার ঝোল দেয়া লাগে। এভাবেই তো রান্না শেখা হবে,তবে মাছ কড়া ভাজি করে রান্না করলে কিন্তু তেমন একটা ভাঙ্গে না। আর আজকে আপনার ভাগ্য ভালো সে জন্যই গোটা রয়ে গেল মাছগুলো। যাই হোক রেসিপিটি কিন্তু দারুণ হয়েছে। এটা খেতেও ভালো লাগবে খুব।
বারবার ঝোল বাড়িয়ে বাড়িয়ে কাজ সারতে হলো। ফুলকপি যে এতো ব্যাগরা দেবে ঠিক বুঝতে পারিনি।
ছোটবেলায় সিলভার কার্প মাছকে আমি ইলিশ মাছ ভাবতাম সেই জন্য ছোটবেলা থেকেই এই মাছ আমার বেশ ভালো লাগতো।ফুলকপি, আলু , টমেটো এবং সিলভার কার্প মাছ দিয়ে সুন্দর একটি রেসিপি করে ফেলেছে দাদা, দেখেই লোভনীয় লাগছে।
ইলিশের মতোই ছোটো ছোটো অংশ যে। তবে কোথায় ইলিশ আর কোথায় কার্প। খিক খিক
ছোট বেলার গল্প দাদা ওইটা 🤭😂🤣
মনে হচ্ছে বৌদিকে ঘরে নিয়ে আসার সময় হয়ে গেছে দাদা😅। তাইতো রান্নায় কিছুটা ভুল হচ্ছে। যাইহোক দাদা ভুল কিন্তু আপনার নয়। কারণ কিছু কিছু ফুলকপি আছে যেগুলো খুব সহজেই সেদ্ধ হয়। আবার কিছু কিছু ফুলকপি আছে যেগুলো সহজে সেদ্ধ হতে চায় না। তাইতো এমনটা হয়েছে দাদা। তবে মাছ যেহেতু বেশ কড়া ভাবে ভেজে নিয়েছিলেন তাই তো পরবর্তীতে অসুবিধা হয়নি। বেশি পানি দিয়ে সেদ্ধ করলে অনেক সময় মাছ ভেঙে যায়। তবে সব শেষে পারফেক্ট ভাবেই রেসিপিটি তৈরি করেছেন দাদা। শীতকালীন এই সবজিগুলো দিয়ে মাছ রান্না করলে খেতে খুবই ভালো লাগে।
মা আছেন তো দিদি। সমস্যা হচ্ছে না। ফুলকপির দোষ কিনা জানিনা তবে আরেকটু ভাজলে হয়তো সমস্যা হতো না।
সবজির মধ্যে ফুলকপি আমার বেশ প্রিয় হলেও আপনার মত করে ফুলকপি, আলু ও টমেটো দিয়ে সিলভার কার্প মাছের ঝোল রান্না করে কখনও হয়ে উঠেনি। তবে ফুলকপি কিন্তু একটা ডেঞ্জারাস সবজি। কখন যে সেদ্ধ হয় সেটা দাদা আমিও মাঝে মাঝে টের পাইনা।
সবজি দিয়ে রান্না করতে আমার দারুন লাগে। যতো বেশি সবজি ততোই ভালো
আপনার রেসিপিটি দেখে অনেক ভালো লাগলো দাদা । তবে আপনি এতবার ফুলকপি রান্না করেও এই রেসিপিটি বানানোর সময় অসুবিধার মধ্যে পড়েছেন জেনে অনেক খারাপ লাগলো তবে সব জিনিসই আস্তে আস্তে ঠিক হয় । আমার যেমন রান্নায় লবণ এর পরিমাণ ঠিক করতে অনেক কষ্টকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়। আপনার রান্নার প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন আর ফটোগ্রাফী গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে ধন্যবাদ।
সেটা তো ঠিকই। রান্না হাত ধীরে ধীরে পাকে। নুন দেওয়া শিখতে আমাকে অনেক সময় লেগেছে। ভয়ে ভয়ে অল্প করে নুন দিই এখন।
হ্যাঁ নুন নিয়ে খুব সমস্যা রান্নায়। আমার তো বেশিরভাগ দিন ঠিক হয়না।
ফুলকপি, আলু ও টমেটো দিয়ে সিলভার কার্প মাছের ঝোল দেখে অনেক মজাদার মনে হচ্ছে। সত্যি দাদা আপনার রেসিপি পরিবেশন আমার খুবই ভালো লেগেছে।এতো মজাদার রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
স্বাদ মন্দ হয়নি। বারেবারে ফুটিয়ে নেওয়ার জন্য হলো কিনা বুঝতে পারলাম না
এখনো সিলভার কার্প মাছ খেতে ভালো লাগে তবে আমি ছোটবেলায় এই মাছ অনেক খেয়েছি। আমি আবার ছোট মাছ বেশি পছন্দ করি না। শীতের এই সিজনে ফুলকপি, আলু ও টমেটো দিয়ে সিলভার কার্প মাছের ঝোল খেতে দারুণ লাগে। আমি আবার এই সবজি দিয়ে যেকোনো বড় মাছের ঝোল খেতে খুবই পছন্দ করি। আপনার রেসিপি কালার দেখতে খুবই সুন্দর দেখাচ্ছে। ধন্যবাদ দাদা মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
যেকোনো মাছের ঝোল। আমি একপায়ে রাজি। আহা। পুরো স্যুপ স্যুপ। খিক খিক
দাদা,প্রথম ছবিতে মনে হচ্ছিল সিলভার কার্প মাছের লেজ ঝোলের গভীরে সাঁতার কাটছে 😅,হি হি।মজা করলাম দাদা।যদিও আপনি রান্নায় হালকা ভুল করছেন তবুও বৌদির তো আর কষ্ট করে রান্না করা লাগবে না এটাই মজার।আপনার রেসিপিটা সুন্দর হয়েছে।সিলভার কার্প মাছে এইসময় প্রচুর তেল হয়, এই মাছ বড়ো হলে ইলিশ মাছের মতোই স্বাদের হয় খেতে।ফুলকপি ভাজি আমার অনেক প্রিয়।আপনি যেহেতু অনেক সবজির সমন্বয়ে রেসিপিটা তৈরি করেছেন সেহেতু এটি খুবই পুষ্টিকর।ধন্যবাদ দাদা।
হাঃ হাঃ। মাথা ঝোলের তলায়। নিজের জন্যই শিখে নেওয়া আরকি।
তেলের জন্যই তো মাছ ভাজা আরো ভালো লাগে।
আপনার রেসিপির কালার টি দেখে মনে হচ্ছে রেসিপিটি অনেক সুস্বাদ্য এবং টেস্টি ছিল। রেসিপির প্রতিটি ধাপ এতো সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন এবং ছবিসহ উপস্থাপন করেছেন যা সবার নজর কারবেই। আমার কাছে রেসিপিটি খুব ভালো লেগেছে দাদা।
ভাজাটা একটু গড়বড় হয়ে গেলো নইলে সব ঠিকই ছিলো।
আপনার ফুলকপি, আলু ও টমেটো দিয়ে সিলভার কার্প মাছের রেসিপিটি অনেক সুন্দর দেখতে হয়েছে খেতেও নিশ্চয়ই অনেক সুস্বাদু হয়েছে। কিন্তু আপনার জন্য যে বাঁশ অপেক্ষা করছিল এটা খুবই দুঃখজনক , তাও মাছগুলো কড়া ভাজা হওয়ার কারণে তার হাত থেকে আপনি বেচেঁছেন এটাই ভালো।
অনেকদিন পরে বাঁশটা খেলাম। প্রথম প্রথম সেদ্ধ করা নিয়ে খুব ঝামেলা হতো।
তাও তো ভালো এখন অসুবিধা কম হয়।