সকালের সতেজ আবহাওয়া। || by @kazi-raihan
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@kazi-raihan বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ - ১১ই বৈশাখ | ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | বুধবার | গ্রীষ্ম-কাল|
আমি কাজী রায়হান,আমার ইউজার নাম @kazi-raihan।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে অভিনন্দন।
প্রতিদিন সকালেই ঠান্ডা সতেজ হওয়ায় হাঁটতে ভালো লাগে তাই ভোরবেলায় ঘুম থেকে উঠেই রাস্তায় হাটতে বের হতাম তবে হঠাৎ কয়েক দিনের এরকম বিদ্রুপ আবহাওয়া অর্থাৎ গরমের প্রভাব বেড়ে যাওয়ার কারণে সকালের আবহাওয়ায় হাটাহাটি বন্ধ করে দিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম এই গরমের মধ্যে সকালবেলা হাটাহাটি করার আর কোন দরকার নেই। কিন্তু হঠাৎ কালকে আমাদের সবার প্রিয় দাদা একটি পোস্ট শেয়ার করেছে যেখানে আলাদা আলাদা ১২ টপিক নিয়ে কথা বলেছিলেন যার মধ্যে ভোরবেলায় হাটাহাটি করার কথা উল্লেখ করেছেন। দাদার পোস্ট পড়ার পরেই মনে হল না সকালবেলা হাটাহাটি কন্টিনিউ করা দরকার। রাতের বেলায় পোস্ট পড়েই সিদ্ধান্ত নিলাম সকালে হাঁটতে বের হব। বের হওয়ার সময় দাদার কথামতোই পানির পটে পানি নিয়ে বের হলাম। আজকের সকালের আবহাওয়াটা অনেকটাই ঠান্ডা ছিল, মিষ্টি রোদে আবহাওয়াটা বেশ উপভোগ করেছি।
মূলত সকালবেলা হাঁটতে বের হলে শরীরের আলসেমি দূর হয়ে যায় সেই সাথে সকালের আবহাওয়ার সাথে নিজের মন-মানসিকতার পরিবর্তন হয়। আপনি সকালে হাঁটতে বের হলেই পাখিদের কিচির মিচির গান শুনতে পারবেন, রাস্তায় বিভিন্ন শ্রমজীবী মানুষের সাথে দেখা হবে যারা সকাল থেকেই নিজেদের কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকে। আবার যারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত তারা দেখবেন সকালবেলা রাস্তায় দল বেঁধে হাঁটতে বের হয়। তবে মজার বিষয় হচ্ছে কিছু কিছু মানুষ আমাকে জিজ্ঞেস করে আপনার কি ডায়াবেটিস হয়েছে?? হা হা হা। আমি তাদের প্রশ্নের উত্তরে বলি না শরীর ফিট রাখতে একটু হাঁটতে বের হলাম। যাই হোক আজকে সকাল ৫:৩০ মিনিটে বাসা থেকে হাটতে বের হলাম। টার্গেট ছিল দেড় কিলোমিটার সামনের দিকে যাব।
দেড় কিলোমিটার পথ হাঁটার পরে আবার যখন বাসায় ব্যাক করব তখন আসা যাওয়া দিয়ে তিন কিলোমিটার হয়ে যাবে তবে সকালের আবহাওয়াটা এতই সুন্দর ছিল যে হাঁটতে হাঁটতে কখন যেন দুই কিলোমিটার পার হয়ে গেছি সেটা বুঝতেই পারিনি। ফোনে দেখলাম আমি অলরেডি ২ কিলোমিটার পথ হেঁটে ফেলেছি তখন আবার বাসার দিকে ফিরতে শুরু করলাম। রাস্তার পাশের আমগাছ গুলোতে দেখলাম ভালোই বড় বড় সাইজের আম ঝুলছে তবে প্রতিবছরের তুলনায় এ বছরে দেখছি আমের সংখ্যা অনেকটাই কম। ফাঁকা রাস্তা, তেমন কোন লোকজন নেই আমি রাস্তার এপাশ ওপাশ থেকে বিভিন্ন ছবি তুলছি কখনো রাস্তার পাশ থেকে আমের ছবি আবার কখনো কাঁঠালের ছবি।
আমি হাঁটতে হাঁটতে যতই বাসার দিকে ফিরে আসছিলাম ততই সূর্য যেন আকাশে উঁকি দিচ্ছিল। বুঝতে পারছিলাম প্রতিদিনের মত আজকেও বেশ ভালোই তাপমাত্রা থাকবে কেননা সকাল থেকেই সূর্যের তাপটা লক্ষ্য করা যাচ্ছিল। তবে ১০ মিনিটের ব্যবধানে সূর্য পুরোপুরি কুসুমের মত কালার ধারণ করল। সূর্যের আলো চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথেই পাখিরা তাদের খাবারের খোঁজে চারদিকে ছুটতে শুরু করেছে কখনো কখনো বিদ্যুতের খুঁটির পাশে এসে বসছে আবার সেখান থেকে উড়ে উড়ে তাদের খাবারের সন্ধান করছে। মাঝে মাঝে লক্ষ্য করা যায় সকালে পাখির ঝাঁক এসে বিদ্যুতের তারের উপরে পর্যায়ক্রমে বসে থাকে তবে তেমন কোন সৌন্দর্য আজকে সকালে লক্ষ্য করিনি। এই দৃশ্যটা দেখার জন্য আরো কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে তবে হাঁটতে হাঁটতে বাসার দিকে ফেরার সময় লক্ষ্য করলাম একটি বিদ্যুতের খুঁটির পাশে কয়েকটি শালিক পাখি বসে আছে আমি তার নিচে গিয়ে ছবি তোলার চেষ্টা করায় তারা বোধহয় একটু বিরক্ত বোধ করে উড়ে গেল। তখন চিন্তা করলাম তাদের আর বিরক্ত করে কাজ নেই সামনের দিকে এগোতে থাকি।
সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই ছোট্ট ছেলেরা ঘুম থেকে উঠে ব্রাশ নিয়ে রাস্তার দিকে এসেছে। শ্রমজীবী মানুষগুলো তাদের কাজে বের হয়েছে। যেহেতু এমন দৃশ্যের সাথে বেশ কয়েকদিন পরে দেখা তাই মনে হচ্ছিল সকালের এই আবহাওয়াটা মাঝে অনেক মিস করেছি। হাঁটতে হাঁটতে সামনের দিকে গিয়েই সিদ্ধান্ত নিলাম আজকে যদি বাজারে গিয়ে চায়ের দোকান থেকে এক কাপ চা খাই তাহলে সকালের আবহাওয়াটার সাথে যেন পুরোপুরি ম্যাচিং হয়ে যাবে। কেননা ঠান্ডা আবহাওয়ার সাথে চায়ের কম্বিনেশনটা বরাবরই অসাধারণ। প্রায় বাজারের কাছাকাছি চলে আসার পরে লক্ষ্য করলাম একটি কুকুর রাস্তার পাশে শুয়ে আছে। রাতভর সে হয়তো এদিক সেদিক ডিউটি করেছে হা হা হা, আরে সকাল হলেও পড়ে পড়ে ঘুমাচ্ছে 😁
চায়ের দোকানে গিয়ে একটি চায়ের অর্ডার করলাম তখন চায়ের দোকানদার বলল মামা কেমন চা দেবো হালকা নাকি কড়া?? যেহেতু সকালবেলা এখনো কিছু খাওয়া হয়নি তাই হালকা চা খাওয়াটাই ভালো। যদিও সেও আমাকে জিজ্ঞাসা করছিল সকালে কি কোন নাস্তা করেছেন?? আমি যখন বললাম না সকাল থেকে কিছু খাইনি তখন তিনি বললেন তাহলে হালকা চা দিই। চা খাওয়া শেষ করে যখন প্রায় বাসার কাছাকাছি চলে আসলাম তখন দেখলাম কিছু ছেলে মেয়ে দল বেঁধে প্রাইভেট পড়তে যাচ্ছে আবার কিছু ছেলে মেয়ে দল বেঁধে প্রাইভেট শেষ করে বাসায় ফিরছে। তখন আবার ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল। আমরা সবাই বন্ধুরা দল বেঁধে এরকম প্রাইভেট পড়তে যেতাম আবার প্রাইভেট শেষ করে দল বেঁধে বাসায় ফিরতাম। তবে সবশেষে বেশ কিছুদিন পর আজকে সকালের আবহাওয়াটা উপভোগ করে বেশ ভালো লেগেছে। মূলত দাদার পোস্ট পড়ে সকালবেলা হাঁটার গুনাগুন সম্পর্কে জানতে পেরে আবার এই আবহাওয়াতে ও সকালবেলা হাটাহাটি কন্টিনিউ করেছি।
⬇️📥 | ⬇️📥 |
---|---|
ডিভাইস | Samsung galaxy A52 |
ফটোগ্রাফার | @kazi-raihan |
লোকেশন | |
সময় | এপ্রিল,২০২৪ |
এই ছিল আমার আজকের আয়োজনে।
ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
ভালো থাকবেন সবাই , আল্লাহ হাফেজ👋।
সবাই ভালোবাসা নিবেন 💚🌹
ইতি,
@kazi-raihan
আমার পরিচয়
আমি কাজী রায়হান। আমি একজন ছাত্র। আমি বাংলাদেশে বাস করি। আমি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে লেখাপড়া করছি। আমি ফটোগ্রাফি করতে, গল্প লিখতে ও বাইক নিয়ে ঘুরতে খুবই ভালোবাসি। মনের অনুভূতির ডাকে সাড়া দিয়ে কবিতা লিখতে পছন্দ করি। সেই সাথে যে কোনো নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে পছন্দ করি। আমি ভালোবাসি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করতে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আমাদের শ্রদ্ধেয় দাদার কয়েকদিন আগে একটি পোস্ট দেখে তুমি সকালে ঘুম থেকে উঠে হাটাহাটি শুরু করেছ এটা জেনে বেশ ভালো লাগলো। শারীরিকভাবে এবং মানসিকভাবে নিজেকে সুস্থ রাখতে হলে সকালে ঘুম থেকে উঠে হাঁটাহাঁটি করাটা বেশ জরুরী সবার জন্য। যাইহোক সকালে ঘুম থেকে উঠে হাঁটাহাঁটি করেছো এবং শেষে হালকা করে একটা চা খেয়ে বাসায় ফিরেছে জেনে বেশ ভালো লাগলো। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ বন্ধু।
আসলে দাদার প্রতিটা বিষয়ই পড়ার চেষ্টা করি কেননা তিনি সবসময় শিক্ষনীয় বিষয়গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করেন।
সত্যি কথা বলতে, আসলেই সকাল সকাল হাটার অনেক গুণাগুণ রয়েছে। মন ও শরীর দুটোই অনেকাংশে ভালো থাকে যদি দিনের শুরুটা এমন চনমনে এবং দারুণ হয়। আর যাদের অভ্যেস/অভিজ্ঞতা আছে সকালে হাঁটার, তারাই জানেন যে সকাল বেলার আবহাওয়া টা কী দারুণ সুন্দর হয়। যারা যারা আপনাকে জিজ্ঞেস করে ডায়বেটিস আছে কিনা, ওদের বলবেন পরে যাতে ডায়বেটিস কাবু না করতে পারে, তার জন্যই এখন থেকেই অভ্যেস করছেন।
তাছাড়া আপু সকালে হাঁটলে শরীরের মধ্যে আলাদা একটা এনার্জি পাওয়া যায়। কিন্তু সকালে দেরি করে ঘুম থেকে উঠলে শরীরে কেমন যেন আলসেমি লাগে।