আজ - ০৭ শ্রাবণ | ১৪২৯ বঙ্গাব্দ | শুক্রবার | বর্ষাকাল |

আসসালামু ওয়ালাইকুম,আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নাম @jibon47। বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালোই আছি মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।

তো চলুন শুরু করা যাক...!

শুভ সন্ধ্যা সবাইকে.....!!

যদিও আমি সচরাচর আপনাদের মাঝে পোস্ট রিভিউ শেয়ার করে থাকি না । তবে আমি এখন থেকে আপনাদের মাঝে প্রতি সপ্তাহে চেষ্টা করব পোষ্ট রিভিউ শেয়ার করার জন্য। সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে আজ আমি আপনাদের মাঝে আমার বিগত সপ্তাহের কয়েকটি পোস্ট রিভিউ নিয়ে উপস্থিত হয়েছে। এই পোস্ট রিভিউ আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি যেন আপনারা একত্রে আমার বিধাতা সপ্তাহের পোস্টগুলো দেখতে পারেন। যাইহোক বেশি কথা আর বলবো না এখন আমি আপনাদের মাঝে সেই পোস্টগুলো শেয়ার করব আশা করছি আপনারা খুবই চমৎকার ভাবে উপভোগ করবেন।

নদীর পাড়ে সময় কাটাতে কার না ভালো লাগে আপনারাই বলুন ব্যক্তিগতভাবে আমি সব সময় চেষ্টা করি বাড়িতে যখন থাকি তখন বিকেল সময়টা নদীর পাড়ে কাটানোর । এইতো কদিন আগে বাসায় গিয়েছিলাম ঈদের ছুটি কাটাতে সেখানে গিয়ে বড় ভাইদের সঙ্গে নদীর পাড়ে অনেক ঘোরাঘুরি করেছি প্রায় প্রতিদিনই নদীর পাড়ে যাওয়া হয়েছে। তবে আমরা একটু অন্যরকম একটা সময় অতিবাহিত করার জন্য দুপুরবেলা নদীর পাড়ে গিয়েছিলাম। যদিও সেদিন নদীর পাড়ে যাওয়ার একটা কারণ ছিল, সেটা হলো সেদিন প্রচন্ড গরম ছিল যার কারণে বাসায় একদমই থাকা সম্ভব হয়ে উঠছিল না সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেই বাজারের উদ্দেশ্যে রওনা করেছিলাম। বাজারে গিয়ে আমরা দুপুর বেলা বাইক নিয়ে রওনা করে নদীর পাড়ে কিছুটা প্রকৃতির সঙ্গে সময় অতিবাহিত করার জন্য। কিন্তু আমরা বুঝতেই পারিনি যে সেখানে গিয়ে এতটা চমৎকার মুহূর্ত অতিবাহিত করব নদী থেকে বয়ে আসছিল বাতাস এবং নদীর ঢেউ দু'এ মিলে সত্যিই অনেক চমৎকার একটি মুহূর্ত ছিল। সেখান থেকে আসতে যেন মন চাইছিল না অনেকটা সময় আমরা সেখানে কাটিয়েছিলাম অনেক রকম আড্ডা দিয়েছিলাম যেটা সত্যিই মনে রাখার মত একটি দিন ছিল। আমি মূলত আমার এই নদীর পারে কাটানো মুহূর্ত এই পোস্টের মাধ্যমে আপনাদের জানাতে চেয়েছি যে কখনো যদি আপনাদের মন খারাপ থাকে বা চারিদিকে ঝাপসা মনে হয় তাহলে আপনারা কিছুটা সময় নদীর পাড়ে গিয়ে কাটাতে পারেন। নদীর পাড়ে সময় কাটাতে সকলেরই অনেক বেশি ভালো লাগে আর নদীর পাড়ে যদি বাতাস এবং ঢেউ হয় তাহলে তো আর কোন কথাই নেই। আমরা যেদিন গিয়েছিলাম সেদিন রোদজ্বল ছিল আকাশে সাদা মেঘের ভেলা সেই সাথে পরিষ্কার নীল আকাশ। নদীর পানির মধ্যে আকাশ দেখতে খুবই ভালো লাগছিল। বড় ভাইদের সঙ্গে সুন্দর এই মুহূর্তটা আমি আপনাদের মাঝে চমৎকারভাবে উপস্থাপন করেছিলাম আপনারা অনেকেই আমার পোস্ট করেছেন এবং খুবই চমৎকার মন্তব্য করার মাধ্যমে আমাকে অনুপ্রাণিত করেছিলেন যেটা দেখে আমার খুবই ভালো লেগেছে। সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে অনুপ্রাণিত করার জন্য আপনাদেরকে সবসময়ই ধন্যবাদ জানাই। এভাবেই প্রতিনিয়ত আমাকে সাপোর্ট করে যাবেন আশা করি।

source

যদিও আমি একজন কবি নই তবে আমি এখন প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি কবিতা লেখার জন্য। কারণ এই কবিতা এমন একটা জিনিস যে কবিতার মাধ্যমে আমরা আমাদের মনের কথাগুলো খুব সহজেই অন্যের কাছে প্রকাশ করতে পারি। কবিতা এমন একটা জিনিস যার মাধ্যমে মানুষের না বলা কথাগুলো খুব সহজেই প্রকাশ পায় কবিতায় এমন একটা জিনিস যার মাধ্যমে মানুষের হৃদয়ের ব্যথা দূর হয় কবিতায় এমন একটা জিনিস যার মাধ্যমে মানুষ খুঁজে পায় এক আনন্দ যে আনন্দ হয়তো সে কোন গল্পের মাধ্যমে বা উপন্যাসের মাধ্যমে খুঁজে পায় না। সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখেই আমি সবসময় চেষ্টা করি নিজের মনের মধ্যে থাকা লুকানো কিছু কথা আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আর সেটা শেয়ার করি শুধুমাত্র কবিতার মাধ্যমে নিজের অনুভূতি আবেগ ভালবাসা এই তিনটি জিনিস একত্রে করে আমি সব সময় কবিতা লেখার চেষ্টা করি। গত সপ্তাহে আমি আপনাদের মাঝে একটি কবিতা শেয়ার করেছিলাম কবিতাটির নাম ছিল যেদিন আমি থাকবো না, এই কবিতাটি আমি আমার অনুভূতি আবেগ এবং ভালোবাসা এই তিনটি জিনিস একত্রে করে রচনা করেছিলাম কোন এক রাত্রি বেলা। রাত্রিবেলা যখন একা একা থাকি চোখে ঘুম আসে না তখনই রুমের ফগ লাইট জ্বালিয়ে চেষ্টা করি কবিতা লেখার জন্য।। কবিতাটিতে মূলত প্রিয় মানুষকে হারানোর পর অপর পাশের একজন মানুষ কতটা দুঃখে কষ্টে জীবন অতিবাহিত করে সেই বিষয়টাই তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। প্রিয় মানুষকে হারানোর পর নিজের মধ্যে যে শূন্যতা অনুভব হয় সেটাই মূলত তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আমার কাছে খুবই ভালো লাগে সকলেই আমার কবিতা পড়ে অনেক সুন্দর মন্তব্য করে যে মন্তব্য গুলো দেখলে আমি প্রতিনিয়ত অনুপ্রাণিত হই। সেই অনুপ্রেরণা থেকেই মূলত চেষ্টা করি কবিতা লেখার জন্য। আমি এভাবেই আমার কবিতা লিখতে চাই কবিতা লিখে আমি একজন কবি হয়ে যেতে চাই খুব শীঘ্রই আমার এই আশা পূরণ হবে বলে আমি মনে করি।

আমরা সকলেই পাওয়ার বৃদ্ধি করতে অনেক বেশি ভালোবাসি। কমিউনিটি তে যখন প্রথম এসেছিলাম তখনই পাওয়ার বৃদ্ধি নিয়ে অনেক কিছু সুন্দর সুন্দর মন্তব্য শুনেছিলাম কমিউনিটির এডমিন এবং মডারেটরদের কাছ থেকে। যদিও তখন পাওয়ার বৃদ্ধি সম্পর্কে এত ভাল ধারণা বা জ্ঞান কোনটাই ছিল না কিন্তু তাদের কাছ থেকে একটু একটু শিক্ষা নিয়ে এখন আমরা সকলেই পাওয়ার বৃদ্ধির গুরুত্ব জানি এবং বুঝি। আমরা সকলেই পাওয়ার বৃদ্ধির গুরুত্ব জানি এবং বুঝি বিধায় এখন আমরা সকলেই প্রতিনিয়ত প্রতি সপ্তাহে একটু একটু করে হলেও পাওয়ার বৃদ্ধি করার চেষ্টা করি। এভাবে প্রতি সপ্তাহেই একটু একটু করে পাওয়ার বৃদ্ধির মাধ্যমে আমরা খুব দ্রুতই আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবো সেই সাথে নিজের অবস্থান শক্ত করতে পারব বলে আশা রাখি। টার্গেট ডিসেম্বর সিজন প্রথম থেকে শুরু করে এখন টার্গেট ডিসেম্বর সিজন 2 চলমান। এরকম ভাবে আমরা যদি কন্টিনিউ পাওয়ার বৃদ্ধি করতে থাকে তাহলে আমরা খুব দ্রুতই আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবো সেই সাথে কমিউনিটিকে আরও সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবো বলে আশা রাখি। আমাদের মূল লক্ষ্য আমাদের প্রিয় কমিউনিটি কে সামনের দিকে অগ্রসর করা আর এই কমিউনিটি কে সামনের দিকে অগ্রসর করতে হলে আমাদের সকলেরই উচিত প্রতি সপ্তাহে একটু একটু করে পড় বৃদ্ধি করা। তাহলে আমরা খুব শীঘ্রই আমাদের কমিউনিটি কে সামনের দিকে আরো দূর পর্যন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবো।

source

আচ্ছা আপনারাই বলুন তো গল্প করতে কার না ভালো লাগে....?? আমি জানি আপনাদের সকলের কাছেই গল্প করতে অনেক বেশি ভালো লাগে আর সেই গল্প যদি ভালোবাসার গল্প হয় তাহলে তো আর কোন কথাই নেই। আমরা সকলেই ভালোবাসার পূজারী ভালবাসা কে সব সময় পূজা করি। ভালোবাসার পূজারী বিধায় আমরা সকলেই ভালোবাসার গল্প পড়তে অনেক বেশি ভালোবাসি এটাই আমি মনে করি। আমি গত কয়েক সপ্তাহ যাবত আপনাদের মাঝে অবিস্মরণীয় ভালোবাসার এই গল্পের পর্বগুলো শেয়ার করে যাচ্ছি যেটা আপনাদের কাছে খুবই ভালো লাগছে। ভালো লাগছে এটা আমি বুঝতে পারি এটা ভেবেই আপনাদের সুন্দর মন্তব্য আপনারা সবাই আমাকে সুন্দর মন্তব্য করেন এই গল্পের মাধ্যমে যেটা দেখে আমি সত্যিই অনুপ্রাণিত হই। এই গল্পটার মূল বিষয়বস্তু হচ্ছে যে ভালবাসার মানুষ খুব ছোটবেলা থেকে একজনই থাকে কিন্তু সময়ের ব্যবধানে সে হারিয়ে যায়। দুই ফ্যামিলির অবস্থা তেমন একটা ভালো না থাকার কারণে অপর পাশের মানুষ নিজ গ্রাম ছেড়ে অন্যত্র চলে যায়। আরেকজন তাকে দেখতে না পেয়ে পাগল হয়ে যায় প্রায় সকল জায়গায় তাকে খোঁজাখুঁজি করে কিন্তু কোথাও তার কোন অস্তিত্ব নেই। এটা ছিল ছোটবেলার গল্প এখন তারা অবশ্যই একটু বড় হয়েছে নিজেদের বোঝার ক্ষমতা তাদের হয়েছে। একজন হয়তো সেই ছোটবেলার মানুষটিকে ভুলে গিয়েছে কিন্তু অপর পাশের আরেকজন মানুষ সেই ছোটবেলার মানুষটিকে মনে রেখেই দিন পার করছে। শেষমেষ যদিও একজন সেই হারিয়ে যাওয়া অপরজনের খোঁজ পেয়েছে কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে এটাই যে সেই অপর পাশের মানুষ এখন তার নেই, সে এখন অন্য কারো বাগানে ফুটে থাকা রক্তাক্ত গোলাপ যেটা ছুতে গেলেই হাতে কাটা ফুটবে রক্ত বের হবে। কিন্তু সেই মানুষটি সকল বাধা অতিক্রম করার চেষ্টা করছে। এ পর্যন্তই মূলত আমি অবিস্মরণীয় ভালোবাসার চতুর্থ পর্ব শেয়ার করেছি সামনের দিনগুলোতে আরো কিছু পর্ব আমি আপনাদের মাঝে তুলে ধরব আশা করছি আপনারা সকলেই আমার এই গল্পটি পড়বেন এবং আমাকে অনুপ্রাণিত করবেন।

আমার পোষ্ট দেখার জন্য আপনাদের অনেক ধন্যবাদ। আমি আশা করিছি আপনারা সবাই আমার পোষ্ট উপভোগ করবেন এবং আপনারা সবাই আমাকে অনুপ্রাণিত করবেন