রথ মেলায় কাটানো কিছু মুহূর্ত || পর্ব - ৩

in আমার বাংলা ব্লগlast year

আসসালামু আলাইকুম


সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকে ভিন্ন ধরনের পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি।

পর্ব - ১

পর্ব - ২

20240713_103642.jpg

কয়েকদিন আগেই আপনাদের সাথে রথ মেলায় কাটানো দ্বিতীয় পর্ব টা শেয়ার করেছিলাম। আজকে তৃতীয় পর্ব শেয়ার করছি। মেলার এরিয়া টা বেশ বড় তাই একটা দুইটা পর্বের মাধ্যমে শেয়ার করা সম্ভব হচ্ছে না। আমরা চার জন মিলে গিয়েছিলাম এবারের রথ মেলায়। আমি, আমার এক ফ্রেন্ড, আমার ছোট বোন এবং কাজিন। আমরা পুরো সময়টা বেশ ভালোভাবেই ইনজয় করেছি।

20240713_104923.jpg

অনেকটা জায়গা ঘুরাঘুরি করার পর মেলার শেষ দিকে বিভিন্ন রকমের খাবারের দোকান ছিল। যেহেতু রথ মেলা তাই অনেক রকমের মিষ্টি জাতীয় জিনিস ছিল সেখানে। আমাদের এদিকে তেমন একটা মেলা হয় না এখন। আর হলেও ইদানিং এত বড় করে মেলার আয়োজন হয় না। শুধুমাত্র এই রথ মেলা টা বেশ বড় করে করা হয়। আর এই মেলাতে বিভিন্ন ধরনের ঐতিহ্যবাহী খাবার গুলোও পাওয়া যায়। আমরা মেলার শেষ দিকে এসে দেখলাম বিভিন্ন রকমের শুকনো খাবারের পাশাপাশি বিভিন্ন রকমের মিষ্টি ছিল। তবে মিষ্টিগুলো দেখে অবাক হলাম। অনেক বড় বড় সাইজের মিষ্টি ছিল সেখানে। বিশাল বড় বড় পাতিলে করে সে গুলো রাখা হয়েছে। তবে খোলা অবস্থায় রাখার কারণে মাছি ভনভন করছিলো। যার কারনে সেভাবে খেতে ইচ্ছে করেনি। তবে এগুলো দেখতে ভালোই লাগছিল। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের শুকনো খাবার ছিল যেগুলোর অনেকগুলো নাম আমার অজানা। এই সমস্ত খাবার হয়তো গ্রামের মেলাগুলোতে পাওয়া যায়। আমার আগে সেভাবে কখনো দেখা হয়নি খাবারগুলো। কারণ গ্রামের মেলাগুলোতে তেমন একটা যাওয়া হয়নি।

20240713_103655.jpg

এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের আচারের দোকান, পানের দোকান ছিল। আচারের দোকানগুলো বেশ বড় ছিল আর সেখানে বিভিন্ন রকমের আচার ছিল। তবে এগুলো কিছুই খাওয়া হয়নি কারণ খোলা পরিবেশে রাখা ছিল। দোকান গুলো তে তেতুলের আচার, জলপাইয়ের আচার, করমচার আচার, চালতার আচার ছিলো। আমার কাছে মরিচের আচার টা সবচেয়ে বেশি ভালো লাগছিলো দেখতে। এছাড়াও বাতাসা, লাড্ডু, নাড়ু আরো অনেক ধরনের আইটেম ছিল সেখানে।

20240713_102935.jpg

20240713_102942.jpg

বেশ বড় একটা এরিয়া জুড়ে খাবারের দোকানগুলো ছিল। একটা জিনিস বেশ ভালো লেগেছে সেটা হলো তারা মিষ্টি থেকে শুরু করে ভাজা সব আইটেম গুলো দোকানের পাশেই বড় চুলা তে তৈরি করছিলো। এছাড়াও প্যাকেট জাতীয় বিভিন্ন খাবারের দোকান ছিল সেখানে। এরপরেই ছিলো বিভিন্ন ধরনের কাঁচের জিনিসের দোকান। আমরা অবশ্য সেদিকে আর ভিতরে যাইনি।

20240713_103543.jpg

20240713_103628.jpg

চলবে......

এই ছিলো আমার আজকের পোস্ট। আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। পোস্ট টি পড়ার জন্য ধন্যবাদ এবং সবার জন্য অনেক শুভকামনা রইল 💕💕

Location

THANKS FOR WATCHING

FrDSZio5ZCzUamf35asauSgs1tnNGCc8exBrDii52qi3Js1AsXomsXdpf751AiTze5T6yn24ZDrriPQ5zc2XArsrDZBjJbctwBJNaKiLpg...KrgpPU6HriE7FgTVPj8uvxBtjuoGEamTLc8DSHVF6ipcqXSFjPje3YK3eGMrhXcYfw6tK2SwDzUo6hxThfwivyDbtdUAQ2cZ7mDKjHXfbE6PSfXLcM4y6cxW9U.png

2N61tyyncFaFVtpM8rCsJzDgecVMtkz4jpzBsszXjhqan9xBEnshRDSVua5J9tfneqYmTykad6e45JWJ8nD2xQm2GCLhDHXW9g25SxugWCoAi3D22U3571jpHMFrwvchLVQhxhATMitu.gif

ধন্যবাদান্তে
@isratmim


🤍আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয়🤍


আমি ইসরাত জাহান মিম। আমার গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীতে কিন্তু বাবার ব্যবসার কারণে ছোটবেলা থেকেই অবস্থান করছি গাজীপুরে। আমি আমার পড়াশুনা এইচ এস সি পর্যন্ত করেছি এবং এখন পরবর্তী পর্যায়ের ভর্তি প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের "আমার বাংলা ব্লগ" পরিবারের একজন সদস্য এজন্য আমি অনেক উৎসাহিত ও আনন্দিত। আমি বই পড়তে পছন্দ করি, সেই সাথে নতুন নতুন ফটোগ্রাফি করতে ও ইউনিক রেসিপি এবং নতুন নতুন ইউনিক ডাই তৈরি করতে বেশ পছন্দ করি। তবে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে বিভিন্ন নতুন নতুন জায়গায় ঘুরে বেড়াতে ও প্রকৃতির কাছাকাছি থেকে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য অবলোকন করতে। আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে যাত্রা শুরু করেছি ২০২০ সালের ১৭ই ডিসেম্বর। স্টিমিট প্ল্যাটফর্মকে আঁকড়ে ধরে ভবিষ্যতে আরো এগিয়ে যেতে চাই এটাই আমার লক্ষ্য।
Sort:  
 last year 

আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন রথ মেলায় কাটানো কিছু মুহূর্তের তৃতীয় পর্ব। আপনার লেখা পোস্টটি পড়ে সত্যি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। এমনিতে আচার দেখলে প্রত্যেকটা মানুষের জিভে জল চলে আসে। এত সুন্দর ভাবে জায়গাটা ঘুরে দেখে পোস্টটি সুন্দরভাবে গুছিয়ে লিখে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু।

 last year 

সুন্দর ও গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য শুভকামনা রইল ।

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 last year 
 last year 

আমরা ইতিমধ্যে আপনার মাধ্যমে রথ মেলায় ঘোরাঘুরি করার প্রথমও দিতে পারবে দেখতে পেরেছি। আজকে আপনি রথ মেলা ঘোরাঘুরি করার তৃতীয় পর্ব শেয়ার করেছেন। আপনার শেয়ার করা তৃতীয় পর্বটি দেখে বেশ ভালো লাগলো আমার কাছে। আপনি এই পর্বের মাধ্যমে রথ মেলার বেশ কিছু খাবারের দোকানের দৃশ্য বর্ণনা সহ আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। বেশ ভালো লাগলো আমার কাছে।

 last year 

আপনাদের ভাল লাগাই আমার এই কাজে সার্থকতা ।সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ

 last year 

রথ মেলায় ঘুরাঘুরির দারুন কিছু মুহূর্ত শেয়ার করেছেন আপু।আপনার শেয়ার করা মুহূর্তগুলোর প্রতিটি লোভনীয় খাবারের ছবি দেখে ভীষণ লোভ লেগে গেল। এত সুন্দর ভাবে লোভনীয় খাবারের ফটোগুলো উপস্থাপন করেছেন।যা দেখে নিজের লোভ সামলানো বড়ই মুশকিল হয়ে যাচ্ছে।বিশেষ করে আচার দেখে জিভ জল চলে এল।ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

 last year 

আপনার মূল্যবান মন্তব্য প্রকাশ করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য শুভকামনা অবিরাম।

 last year 

আপনার রথ মেলার আজকের পর্ব দেখে খুব ভালো লাগলো আপু। আমি আপনার গত পর্বগুলো দেখেছি। মেলাতে বেশ সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। আসলে মেলাতে বিভিন্ন ধরনের আচার দেখলে খেতে খুব ইচ্ছে করে। বাতাসা, লাড্ডু খাওয়ার অনুভূতি বেশ দারুন। মিষ্টি দেখে তো আপু খেতে খুব ইচ্ছে করছে। মেলাতে কাটানো এতো সুন্দর মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।

 last year 

সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

 last year 

রথ মেলায় গিয়ে তো আপনারা বেশ ভালোই ঘুরাঘুরি করেছেন আপু। মেলায় ঘুরাঘুরি করতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। ঘুরে ঘুরে দোকানে থাকা জিনিসপত্র দেখতে এবং কিনতে আরও বেশি ভালো লাগে। রথ মেলায় তো দেখছি খাবারের প্রচুর দোকান ছিলো। বড় বড় এমন মিষ্টি গুলো কাইকারটেক হাটে অনেক দিন আগে দেখেছিলাম। যাইহোক সবমিলিয়ে পোস্টটি দেখে ভীষণ ভালো লাগলো আপু। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 last year 

রথ মেলা হওয়ার কারণেই মিষ্টি জাতীয় বিভিন্ন খাবারের দোকান অনেকগুলো ছিল। পোস্ট টি পড়ে গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।

Coin Marketplace

STEEM 0.14
TRX 0.35
JST 0.034
BTC 117009.99
ETH 4549.59
SBD 0.89