রথ মেলায় কাটানো কিছু মুহূর্ত || পর্ব - ২

সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকে ভিন্ন ধরনের পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি।

কয়েকদিন আগেই আপনাদের সাথে রথ মেলায় কাটানো প্রথম পর্ব টা শেয়ার করেছিলাম। আজকে দ্বিতীয় পর্ব শেয়ার করছি। মেলার এরিয়া টা বেশ বড় তাই একটা দুইটা পর্বের মাধ্যমে শেয়ার করা সম্ভব হচ্ছে না। আমরা চার জন মিলে গিয়েছিলাম এবারের রথ মেলায়। আমি, আমার এক ফ্রেন্ড, আমার ছোট বোন এবং কাজিন। আমরা পুরো সময়টা বেশ ভালোভাবেই ইনজয় করেছি।

এরপর আমরা হাঁটতে হাঁটতে দেখতে পেলাম পুতুলের দোকান। পুতুলের দোকান টা বেশ বড় ছিল। বিভিন্ন ধরনের পুতুল দেখলাম আমরা সেখানে। ছোট ছোট পুতুলগুলো আমার ভীষণ ভালো লাগে। পুতুলের দোকানের সামনে দেখলাম ছোট ছোট কুকুর ছানা, ঘোড়া, মাছ, হাতি, স্পাইডারম্যান, খরগোশ এবং পান্ডার বেশ কয়েকটা পুতুল ছিল। ছোট ছোট এ পুতুলগুলো বেশ ভালো লাগছিল দেখতে। ইচ্ছে করছিল কয়েকটা কিনে নেই তবে বড় হয়ে পুতুল নিয়ে খেলার সময় নেই। তাই কিনলাম না আর। হিহিহি। তবে বিভিন্ন জিনিসের ছোট ছোট এই পুতুলগুলো সত্যিই কিউট লাগছিল দেখতে। প্রত্যেকটা পুতুল খুবই কিউট ছিলো। এছাড়াও ছোট ছোট পুতুলের চাবির রিং ছিলো। এই চাবির রিং গুলোও খুব সুন্দর ছিল। এখানে ছোটদের আরও কয়েক ধরনের খেলনা ছিল।

আরেকটু সামনে গিয়ে দেখলাম অনেক বড় একটা খেলনার দোকান। দোকান টা তে দেখলাম ছোট ছোট হাড়ি পাতিল। ছোটবেলায় যখন এই রথ মেলায় যেতাম তখন এগুলো অনেক কিনতাম। একটা জিনিস ভেবে দেখলাম মেলাটাও সেই ছোটবেলার তবে আমরা বড় হয়ে গিয়েছি। সময় সত্যিই অনেক দ্রুত চলে যায়। আমাদের ছোটবেলার সেই অতীতগুলো অনেক সুন্দর এবং সেগুলো আমাদের সোনালী অতীত ছিল। সে দোকানটাতে আবার কাঠের খুব ছোট ছোট খেলনা ছিল। এগুলো খুব ভালো লাগছিল দেখতে। উপরে লম্বা লাঠির এই খেলনা গুলোও ছোটবেলায় মেলায় আসলেই কিনা হতো। এগুলো নিয়ে হাঁটতাম। খেলনা গুলোর নিচে চাকা থাকতে এবং উপরে পাখার মত থাকতো। আর লম্বা লাঠিগুলোর সাহায্যে সামনের দিকে নিয়ে যাওয়া যেত। এগুলো দেখে সত্যি ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল।

খেলনার দোকানগুলো শেষ করে হাঁটতে হাঁটতে গেলাম কসমেটিকের দোকানের দিকে। সেখানে গিয়ে বেশ কয়েক ধরনের চুড়ি দেখলাম। কসমেটিক্স এর মধ্যে চুড়ি এবং কানের দুল আমার খুবই পছন্দ তবে কানের দুল অনেকগুলো রয়েছে। আর হিজাবের কারণে সব সময় কানের দুল গুলো পড়া হয়না তাই আর কানের দুল দেখলাম না। তবে চুড়ি দেখলাম বেশ কয়েক ধরনের। চুড়িগুলোর কোয়ালিটি অনুযায়ী দাম অনেক বেশি। আর পাথরের চুড়িগুলোর কোয়ালিটি তেমন একটা ভালো ছিল না। তারপরও সাদা রংয়ের এক সেট চুড়ি কিনেছিলাম। আমার জন্য এবং আমার ছোট বোনের জন্য কিনলাম।

এই ছিলো আমার আজকের পোস্ট। আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। পোস্ট টি পড়ার জন্য ধন্যবাদ এবং সবার জন্য অনেক শুভকামনা রইল 💕💕

আমি ইসরাত জাহান মিম। আমার গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীতে কিন্তু বাবার ব্যবসার কারণে ছোটবেলা থেকেই অবস্থান করছি গাজীপুরে। আমি আমার পড়াশুনা এইচ এস সি পর্যন্ত করেছি এবং এখন পরবর্তী পর্যায়ের ভর্তি প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের "আমার বাংলা ব্লগ" পরিবারের একজন সদস্য এজন্য আমি অনেক উৎসাহিত ও আনন্দিত। আমি বই পড়তে পছন্দ করি, সেই সাথে নতুন নতুন ফটোগ্রাফি করতে ও ইউনিক রেসিপি এবং নতুন নতুন ইউনিক ডাই তৈরি করতে বেশ পছন্দ করি। তবে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে বিভিন্ন নতুন নতুন জায়গায় ঘুরে বেড়াতে ও প্রকৃতির কাছাকাছি থেকে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য অবলোকন করতে। আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে যাত্রা শুরু করেছি ২০২০ সালের ১৭ই ডিসেম্বর। স্টিমিট প্ল্যাটফর্মকে আঁকড়ে ধরে ভবিষ্যতে আরো এগিয়ে যেতে চাই এটাই আমার লক্ষ্য।