রেসিপিঃ কাঁচা কাঁঠালের পাকোড়া
"হ্যালো",
সবাইকে আমার নতুন একটি রেসিপি ব্লগে স্বাগতম। এমন কিছু ফল আছে যেগুলো আমরা কাঁচা থাকতে সবজি এবং পাঁকলে ফল হিসেবে খেয়ে থাকি।যেমন কাঁঠাল,কলা,পেঁপে ইত্যাদি। এখন বাজারে কাঁচা কাঁঠাল পাওয়া যায়। আবার অনেকের বাড়িতে কাঁঠাল গাছ আছে।আমার কাছে পাঁকা কাঁঠাল খেতে খুব একটা ভালো না লাগলেও কাঁচা কাঁঠালের তরকারি খেতে আমি খুবই পছন্দ করি। তবে এবছর একবারও কাঁচা কাঁঠালের তরকারি খাওয়া হয়নি। ছোটবেলায় যখন মাঝে মধ্যে মাকে জিজ্ঞেস করতাম কাঁঠালের সিজনে কি দিয়ে রান্না করেছো মা? তখন মা বলতেন বাঘের গোশত। এখনের বাচ্চারা তো এসব চিনবেই না। যাইহোক গতকাল মাকে বলেছিলাম কাঁঠালের তরকারি খাবো। আমার খালামণি এই কথা শুনে বাসা থেকে মাঝারি সাইজের দুটো কাঁঠাল পাঠিয়েছেন। সকালবেলা উঠে দেখলাম মা রান্নার জন্য কাঁঠাল এবং আলু সেদ্ধ করে নিয়েছে রেসিপিটা করবো ভেবেছিলাম কিন্তু তখন কেবলমাত্র ঘুম থেকে উঠেছি তাই খুব একটা ভালো লাগছিল না।
তাই মাকে বললাম সেখান থেকে কয়েক টুকরো সেদ্ধ কাঁঠাল এবং আলু তুলে রাখতে।যা দিয়ে পরে আমি যে কোনো একটা রেসিপি তৈরি করব। সারাদিন গরমের জন্য একদম রান্না করতে বসিনি। সন্ধ্যায় ভাবলাম সবার জন্য মজাদার পাকোড়া বানিয়ে ফেলি। যেই ভাবা সেই কাজ কাঁঠাল এবং আলু সেদ্ধ দিয়ে মজাদার এই পাকোড়া তৈরি করেছিলাম। আর সেই রেসিপিটাই আপনাদের সাথে এখন শেয়ার করছি। আশা করছি রেসিপিটা আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। তো চলুন রেসিপিটা শুরু করি।
উপকরনসমূহঃ |
---|
কাঁচা কাঁঠাল সেদ্ধ |
আলু সেদ্ধ |
পেঁয়াজ কুচি |
কাঁচামরিচ কুচি |
কাবাব মসলা |
হলুদ গুঁড়া |
লবণ |
সরিষার তেল |
ধাপ-১
প্রথমে আলু এবং কাঁঠাল হলুদ গুঁড়া এবং সামান্য তেল দিয়ে সেদ্ধ করে নিতে হবে।
ধাপ-২
এবার হাতের সাহায্যে ভালোভাবে সেদ্ধ আলু এবং কাঁঠাল ম্যাশ করে নিতে হবে।
ধাপ-৩
এবার একে একে কাঁচা মরিচ কুচি পেঁয়াজ কুচি, কাবাব মসলা, হলুদ গুঁড়া, পরিমান মতো লবণ দিতে হবে।
ধাপ-৪
এরপর সবগুলো উপকরণ ভালোভাবে একসাথে মিশিয়ে নিতে হবে।
ধাপ-৫
পাকোড়াগুলো ভাজার জন্য চুলায় একটি কড়াই বসিয়েছি এবং কড়াইয়ে দিয়েছি পরিমানমতো সরিষার তেল।
ধাপ-৬
এবার তেল গরম হয়ে গেলে মেখে রাখা মিশ্রন থেকে অল্প অল্প করে নিয়ে কড়াইয়ে দিয়েছি।
ধাপ-৭
এটি রান্নার শেষ ধাপ।সবগুলো পাকোড়া গুলো এপিঠ ওপিট লাল লাল করে ভেজে নিয়ে তুলে নিয়েছি।
তো বন্ধুরা এই ছিল আমার আজকে রেসিপিটি। আশা করছি রেসিপিটি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। আর আমার বাসার সবাই খুবই মজা করে খেয়েছে কারণ এই রেসিপি টা তাদের কাছে নতুন। সবাই খুবই প্রশংসা করছিল। ব্যক্তিগতভাবে বলতে গেলে আমার কাছেও বেশ ভালো লেগেছে। আপনারা কখনো এভাবে কাঁঠালের পাকোড়া বানিয়ে খেয়েছেন কিনা জানাবেন। আর যদি না খেয়ে থাকেন তাহলে বলব অবশ্যই হলেও বাসায় বানিয়ে খাবেন। আমার বিশ্বাস আপনারা এটা পছন্দ করবেন। তো বন্ধুরা আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। দেখা হবে পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে।
সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।
❤️আমার পরিচয়❤️
আমি হাবিবা সুলতানা হীরা । জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশাঃ গৃহিণী। শখঃ নতুন নতুন রেসিপি বানাতে ভালো লাগে। তাছাড়া গান গাওয়া, আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা ও বাগান করতে আমি বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমি স্টিমিটে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে যুক্ত হই।
কাঁঠাল, কলা, পেঁপে এগুলো ফল সবজি উভয় হিসেবে খাওয়া যায়। তবে কাঁচা কাঁঠালের পকোড়া কখনও দেখিনি। এটা ইউনিক একটা রেসিপি ছিল। দেখে তো বেশ লাগছে। দারুণ তৈরি করেছেন পকোড়া টা। এককথায় অসাধারণ ছিল। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপনাকে।।
ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
কাঁচা কাঁঠালের পাকোড়া রেসিপিটি বেশ লোভনীয় হয়েছে। আমার এরকম পাকোড়া খেতে খুবই ভালো লাগে আর ভাজাপোড়া আমার অনেক বেশি প্রিয়। আপনি বেশ চমৎকারভাবে কয়েকটি ধাপের মাধ্যমে রেসিপিটি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। অনেক শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
যেকোনো পাকোড়া খেতে আমারও অনেক ভালো লাগে। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপু আমি কখনও কাঁঠালের পাকোড়া খাইনি ।আপনার রেসিপিটি বেশ মনোযোগ সহকারে দেখলাম। দেশ ইউনিক লাগল রেসিপিটি আমার কাছে। দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই মজার হয়েছে ।দারুন একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
হ্যাঁ আপু খেতে খুবই মজাদার হয়েছিল মনে হচ্ছিল মাংসের পাকোড়া খাচ্ছি। অবশ্যই একদিন বাসায় বানিয়ে খেয়ে দেখবেন খুবই ভালো লাগবে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আমারও পাকা কাঁঠাল একদমই ভালো লাগে না কিন্তু তরকারি খেতে ভীষণ ভালো লাগে। আন্টি বলতো বাঘের মাংস রান্না করেছে এটা জেনে হাসি পেলো।আপনার কাঁঠালের পাকোড়া রেসিপিটি দেখে আমার সত্যি মন চাচ্ছে এখনই বানিয়ে খেয়ে ফেলি। ভীষণ লোভনীয় হয়েছে খেতে অনেক সুস্বাদু তা রেসিপি দেখেই বোঝা যাচ্ছে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
তাড়াতাড়ি বানিয়ে ফেলেন আপু কারণ এখন ছোট কাঁঠাল গুলো পাওয়া যাবে। কিছুদিন পর সেগুলো বড় হয়ে যাবে তখন আর হবে না।বেশ ভালো লাগে খেতে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য।
কাঁচা কাঁঠাল দিয়ে তরকারি খাওয়া যায় শুনেছি কিন্তু কখনো কাঁঠালের রেসিপি তৈরি করা হয়নি। আপু আপনার কাছ থেকে কাঁচা কাঁঠালের আরো একটি নতুন রেসিপি শিখতে পারলাম। এভাবে কাঁঠাল দিয়ে পাকুড়া তৈরি করা যায় জানা ছিল না। আপনার রেসিপি দেখে তো খুব খেতে ইচ্ছে করছে। নিশ্চয়ই খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। অবশ্যই একদিন বাসায় তৈরি করার চেষ্টা করব। ধাপ গুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু কাঁচা কাঁঠালের তৈরি এই পাকোড়া গুলো খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
কাঁচা কাঁঠাল তরকারি হিসেবে অনেক খেয়েছি বিশেষ করে কাছে কাঁঠালের তরকারির সঙ্গে গরম গরম রুটি খেতে বেশ মজা লাগে । তবে আজকে কাঁঠালের পাকোড়া সঙ্গে প্রথম পরিচিত হলাম। রেসিপি টা তো দেখেই বুঝা যাচ্ছে বেশ সুস্বাদু হয়েছে ইনশাল্লাহ খুব শীঘ্রই বাসাতে একবার ট্রাই করবো। আপনার জন্য শুভকামনা রইল আপু।
কাঁচা কাঁঠালের পাকোড়া খেতে খুবই মজার হয় ভাইয়া। বাসায় বানিয়ে খেয়ে দেখবেন ভালো লাগবে। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
কাঁচা কাঁঠালের পাকোড়া তৈরি করা যায়, তা আসলে আমার জানা ছিল না। আসলে আমাদের বাসায় প্রচুর পরিমাণে কাঠাল রয়েছে আপু। আপনি দেখছি খুবই সুন্দর করে কাঁচা কাঁঠালের পাকোড়া রেসিপি তৈরি করেছেন। তবে আপনি একদম সহজ পদ্ধতি অবলম্বন করে রেসিপি টি সম্পন্ন করেছেন। আপনার তৈরি করা কাঁচা কাঁঠালের পাকোড়া গুলো দেখে মনে হচ্ছে বেশ মজাদার হয়েছিল
যেহেতু আপনার বাসায় কাঁঠাল আছে তাহলে এই মজার রেসিপিটি বানিয়ে ফেলুন ভাইয়া আশা করছি ভালো লাগবে। অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
এটা অবশ্য ঠিক বলেছেন আপু ছোটবেলায় আমরা যেসব খাবার খেতাম এখনকার বাচ্চারা সেই খাবারগুলো চেনে না। কাঁচা কাঁঠালের পাকোড়া রেসিপি দেখে খুবই ভালো লেগেছে। একেবারে ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। আমার কাছে অনেক ভালো লাগলো আপু।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।