ভালোবাসা রং বদলায় || বাস্তব ঘটনা অবলম্বনে গল্প ||
"হ্যালো",
আমার বাংলা ব্লগ বাসি, সবাই কেমন আছেন? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়াই এবং আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। সবার সময় ভালো কাটুক এই কামনাই করছি।
সবাইকে আমার নতুন একটি ব্লগে স্বাগতম। আমি দুই দিন আগে ভালোবাসা রং বদলায় গল্পের প্রথম পর্ব শেয়ার করেছিলাম আজ সেই গল্পের দ্বিতীয় এবং শেষ পর্ব শেয়ার করব।
এরপর থেকে রানী এবং সাগরের সুখের সংসার। দুজনেই চাকরি করে আবার বাবার জমি পেয়েছে। তাদের সংসারে কোনো কিছুর অভাব নেই। তাদের ঘরে এক ছেলে এক মেয়ে সন্তান জন্ম নেয় । এভাবেই কেটে যায় বেশ কয়েকটি বছর। ছেলে কলেজে পড়াশোনা করছে আর মেয়ে পড়াশোনা করছে ক্লাস ফাইভে। এরই মধ্যে হঠাৎ করে রানীর জীবনে নেমে আসে অশান্তির ঝড়। রানী কিভাবে সেই ঝড় সামাল দিবে বুঝে উঠতে পারছে না। আর বুঝতে পারলেও হয়তো করার কিছু নেই।
রানী এবং সাগরের সংসার জীবনের বয়স প্রায় ১৬ বছরের। হঠাৎ একদিন রানী জানতে পারে সাগর কোনো এক মহিলার সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে পরেছে।প্রথমত রানী কোনো ভাবেই বিশ্বাস করেনি। এ বিষয়ে সাগরের সাথে কথা বললে সাগরও রানীকে বলে এসব মিথ্যে।রানী সাগরকে অনেক ভালোবাসা তাই সে তার মুখের কথা বিশ্বাস করেছিল। তবে রানী সাগরের অনেক পরিবর্তন লক্ষ্য করে। আগের মত রানীকে সময় দেয় না ভালোভাবে কথা বলে না একটু কিছু হলেই ধমক দিয়ে কথা বলে।ছেলেমেয়েদের সাথেও খারাপ ব্যবহার করে। তখন একদিন রানী সাগরকে চেপে ধরে যে এসবের কারণ কি?
এক পর্যায়ে সাগর স্বীকার করে যে সে ওই মহিলাকে বিয়ে করেছে। এরপর যেন রানীর মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে। এরপর থেকে শুরু হয় তার সংসারে অশান্তি। উঠতে বসতে সাগর রানীর গায়ে হাত তোলে। বাড়ি থেকে বের হয়ে যেতে বলে।তবে একটা কথা আছে না রাখে আল্লাহ মারে কে। বাড়ির জায়গাটা ছিল রানীর নামে। রানী কঠোর হয় এবং সাগরকে বলে সে যেন এই বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। সে একাই তার ছেলেমেয়েকে নিয়ে জীবন কাটাতে পারবে। যেহেতু বাড়ি এটা রানীর নামে ছিল তাই সাগরের আর কিছু করার ছিল না সেই ওই মহিলাকে নিয়ে শহরে একটি ভাড়া বাসায় থাকে। এদিকে রানী তার দুই সন্তানকে নিয়ে নিজের বাড়িতে থাকে। তার মনে এত ঘৃনা যে সে সাগরের নামই শুনতে পারেনা।
আসলে ভালোবাসার মানুষ যখন আমাদেরকে ঠকায় তখন হয় আমরা ভেঙ্গে পড়ি না হয় আমরা উঠে দাঁড়াই। রানী নিজেকে সামলিয়ে কঠিন হয়েছে এবং সে একাই তার জীবন পার করছে তার সন্তানদেরকে নিয়ে কারণ সে স্বাবলম্বী। আমাদের সবারই উচিত বিশেষ করে মেয়েদের স্বাবলম্বী হওয়া। বন্ধুরা গল্পটি আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে জানাবেন। আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। দেখা হবে পরবর্তীতে।
সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ সবাইকে।
❤️আমার পরিচয়❤️
আমি হাবিবা সুলতানা হীরা । জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশাঃ গৃহিণী। শখঃ নতুন নতুন রেসিপি বানাতে ভালো লাগে। তাছাড়া গান গাওয়া, আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা ও বাগান করতে আমি বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমি স্টিমিটে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে যুক্ত হই।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনার পোস্ট করা গল্পটি যদিও প্রথম পর্ব পড়া হয়নি দ্বিতীয় পর্ব পড়ে বুঝা গেল সুন্দর একটা গল্প।সত্যি আপু আমাদের এই চারপাশে এমন ঘটনা প্রতিনিয়ত দেখা যাচ্ছে। ভালোবাসায় প্রতারণা হয়ে অনেকে নিজেকে সামলে নিতে পারে না রানী নিজেকে সামলিয়ে কঠিন হয়েছে আর সে একাই তার সন্তানদেরকে নিয়ে জীবনে নতুন এক যুদ্ধ নেমে পার করছে কারণ সে স্বাবলম্বী। আমি মনে করি সব মেয়েদের উচিত রানীর মতো স্বাবলম্বী ও কঠের হওয়া।
তোমায় করে প্রথম পর্বটি পড়ে নেবেন আপু তাহলে পুরো ঘটনাটা বুঝতে পারবেন। অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
জীবনে আর এর থেকে বেশি কষ্ট কি হতে পারে। ভালোবাসার মানুষ যদি ঠকায় তাহলে সবকিছুই যেন অন্যরকম হয়ে যায়। বাস্তবে কিন্তু এরকমটা অনেক বেশি হয়ে থাকে। সাগর নিজের ভালোবাসার মানুষকে এরকম ভাবে ঠকিয়েছে, এটা তো ভাবতেই অনেক বেশি খারাপ লাগতেছে। রানী শেষ পর্যায়ে সাগরকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়ে একেবারে ভালো কাজ করেছে। সে যদি এরকম একটা অবস্থায় ভেঙে পড়তো, তাহলে ভালো কিছু করতে পারতো না হয়তো। আর নিজের সন্তানদেরকে ও বড় করে তুলতে পারত না। এখন সে নিজের দায়িত্বে কঠোর হয়ে, একাই নিজের সন্তানদেরকে দেখাশোনা করছে এই বিষয়টা ভালো লেগেছে।
জ্বি আপু যেহেতু বাড়িটা রানীর নামে ছিল এবং রানী নিজেও স্বাবলম্বী চাকরি করে তাই সে একদমই ভেঙ্গে পড়েনি বরং শক্ত হয়ে সবকিছু সামলে নিয়েছে। এমনটাই হওয়া উচিত। ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
আপনার গল্পের প্রথম পর্ব আমি পড়ি নাই। আজকের দ্বিতীয় পর্বটি পড়ে সত্যি নিজের কাছেও খারাপ লাগতেছে। পুরুষ মানুষ অনেক সময় মন পরিবর্তন হয়ে যায়। রানী সাগরের উপর অগাধ বিশ্বাস ছিল। অথচ সাগর সে বিশ্বাস রাখতে পারে নাই। রানী ছেলেমেয়ে নিয়ে নিজ বাড়িতে বসবাস করতেছে এটি ঠিক করেছে। আসলে এমন কিছু ভালোবাসা আসে ভালোবাসা চেয়ে ঘৃণা একসময় বেশি জন্ম নেই। আর আপনি এটি একদম ঠিক বলেছেন মেয়েদের বিশেষ করে স্বাবলম্বী হওয়ার বেশি দরকার।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। সময় পেলে প্রথম পর্ব টা পড়বেন ভালো লাগবে।
কখন যে কোন মানুষ ধোকা দেয়, সেটা তো আর বলা যায় না। এজন্য আমারও মনে হয় যে, প্রত্যেকটা মানুষকে স্বাবলম্বী হওয়া উচিত। সাগর তার স্ত্রী রানীকে ধোকা দিয়ে অন্য জায়গায় বিয়ে করলেও রানী কিন্তু ভেঙে পড়েনি। তার পরিবর্তে সে সোজা হয়ে দাঁড়িয়েছে, এটাই তো অনেক বড় ব্যাপার। তবে আমি আসলে মানুষকে এভাবে ধোকা দেওয়াকে মোটেই সাপোর্ট করিনা। যাইহোক, বেশ ভালো লাগলো আপু, আপনার এই গল্পটা পড়ে।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।