২য় পর্ব || বন্ধুদের সাথে ক্রিকেট টুর্নামেন্ট উদযাপন
20-04-2024
০৭ বৈশাখ , ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
🌼আসসালামুআলাইকুম সবাইকে🌼
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো ও সুস্থ্য আছেন। তো এই গরমে ভালো থাকাটা আসলে কঠিন হয়ে যাচ্ছে। আমাদের এদিকে আজ ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। অন্যান্য দিকে আরও বেশি হতে পারে। এই গরমে বাহিরে যাওয়াটাও কঠিন। তবে স্বস্তির কথা হলো তাপমাত্রা বেশি হলেও প্রকৃতির হাওয়া আছে সাথে। সেটা কিছুটা হলেও স্বস্তির। যাইহোক, আজকে আমাদের ক্রিকেট টুর্নামেন্ট এর দ্বিতীয় পর্বটি শেয়ার করলাম। আশা করছি আপনারাও কিছুটা হলেও উপভোগ করতে পারবেন।
১ম পর্বের পর
প্রথম ম্যাচ হেরে যাওয়ার পর দ্বিতীয় ম্যাচটি ছিল দুপুর আড়াইটার দিকে। সেদিন শুক্রবার থাকায় নামাজের পরেই খেলা শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নামাজ পরার পর আরও কিছুক্ষণ দেরি হয়ে যায়। দ্বিতীয় ম্যাচে কয়েকজনকে বসিয়ে ভালো কয়েকজন প্লেয়ারকে নামানো হয়। তার মধ্যে সীমান্ত, সাজিদ, বিজয় ছিল। তারা সবসময় খেলাধুলার মাঝেই থাকে। যেহেতু পরের ম্যাচটি আমাদের জুনিয়রদের অর্থাৎ ২২ ব্যাচের সাথে ছিল। সে হিসেবে জেতাটা এতোটাও সহজ হবে না। কারণ তাদেরও ভালো ব্যাটিং রয়েছে। শর্টপিচ খেলায় আসলে ফিল্ডিংটা গুরুত্বপূর্ণ। যে দল ভালো ফিল্ডিং দিবে সে দলই জিততে পারবে। তিনটার দিকে আমাদের দ্বিতীয় ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। মাঠে দুইটা শর্টপিচের ভেন্যু করা হয়েছিল। আমাদের দ্বিতীয় ম্যাচটি হয়েছিল দ্বিতীয় ভেন্যুতে। তো আমাদের টিমের ক্যাপ্টেন ছিল লিয়ন। আমাদের টিম টসে জিতে প্রথমে ব্যটিং করার সিদ্ধান্ত নেয়। যেহেতু আট ওভারের খেলা সে হিসেবে ব্যাটিং এ নেমে ভালো একটা স্কোর করতে হবে।
ব্যাটিং এ নামে লিয়ন আর ফাহিম। ফাহিম আগের ম্যাচে ভালো করেছিল কিন্তু দূর্ভাগ্যবশত রান আউট হয়ে যায়। নয়তো সে একাই খেলা জিতিয়ে উঠতে পারতো। তো শুরুতে লিয়ন স্ট্রাইকে যায়। প্রথম ওভারে তেমন রান আসেনি। এক ওভারে পাচঁ রান এসেছিল। তার পর থেকে শুরু হয় ব্যাটিং তান্ডব বলতে গেলে। পরের ওভারে আসে ষোল রান! লিয়ন মাঠে থাকতে পারলে ভালো একটা স্কোর হবে। কিন্তু ফাহিম আউট হয়ে যায় চার মারতে গিয়ে। তারপর মাঠে নামে রিয়ন। রিয়নকে সাথে নিয়ে লিয়ন ভালো খেলতে থাকে। তিন চারটা ওভারে ষোলের উপরে রান আসে ওভার প্রতি । লিয়ন হাফ সেঞ্চুরি করতে পারে। শেষ অবধি লিয়নের হাফ সেঞ্চুরির সুবাধে আমাদের টিম ৮৮ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়। ভেবেই নিয়েছিলাম খেলাটা আমাদের অনুকূলে। তো ২২ ব্যচের কয়েকজন ব্যাটার ভালো ব্যাটিং করেছিল শুরুতে। কিন্তু ফিনিশিং দিয়ে আসতে পারেনি । তবে আমাদের টিমের বিজয় বোলিং ও ফিল্ডিং দুটোই ভালো জরেছিল। শেষ অবধি আমরা জিতে যায় দ্বিতীয় ম্যাচটি।
খেলায় জিতে আমরা সবাই আনন্দ করতে থাকি আসলে। বন্ধুরা সবাই এক সাথে থাকলে যা হয় আরকি। তারপর আমাদের ফটোসেশন পর্ব শুরু হয়। সবাই একসাথে মিলে অনেকগুলো ফটো তোলা হয়েছিল। ডিএসএল আর ক্যামেরা দিয়ে তুলেছিল ফটোগুলি। ফটোগুলি আমার কাছে নেই নয়তো আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পারতাম। যাইহোক, ফটোগ্রাফির পর সবারই প্রচন্ড ক্ষুধা লেগে গিয়েছিল। তো খাবারের জন্য সবাই ১৫০ টাকা করে দিয়েছিল। সবাই মিলে একসাথে খেতে পারলেও ভালো লাগে। তো দুপুরে বিরিয়ানীর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে এবার পরের রাউন্ডের প্রিপারেশন এর পালা! পরের ম্যাচটি আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কারণ পরের ম্যাচে হারলেই বাদ! তো সে হিসেবে খেলাটি আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল। পরের খেলাটি হবে সন্ধ্যর পর। এতোক্ষণ বসে না থেকে ভাবলাম বাড়ি থেকে চলে আসি। গোসলও করা হয়নি। তো বাড়িতে চলে গিয়েছিলাম। বাড়িতে কিছুক্ষণ রেস্ট নিয়ে আবার আসরের আযানের দিকে বেরিয়ে পরেছিলাম।
বন্ধু সালেহীনকে ফোন দিয়েছিলাম সে যাবে কি না! সে বললো যাবে। তাকে বললাম ব্রিজের কাছে ওয়েট করতে। আমি অটো করে তাদের বাসার কাছে ব্রিজের এখানে গিয়ে নামলাম। গিয়ে দেখি সে দাঁড়িয়ে আছে। তারপর তাকে নিয়ে সোজা চলে আসলাম স্কুলে। স্কুলে এসে দেখি অন্য ব্যাচের খেলা হচ্ছে তখনও। আসলে শর্টপিচ টুর্নামেন্ট একদিনেই সব খেলা হয়ে যাবে। তাই রাতের প্রিপারেশনও নিয়ে রেখেছিল ম্যাচ কমিটি। পুরো ক্রিকেট টুর্নামেন্ট এর স্পন্সর করেছিল শিপু ভাইয়ের কোম্পানি আরমানি লঞ্চ! শিপু ভাই ২০০২ সালে চন্ডীপাশা স্কুল থেকে পাশ করে বেরিয়েছিল। বর্তমানে তিন একটা কোম্পানিতে ম্যানেজিং ডিরেক্টর হিসেবে কর্মরত আছে। যাইহোক, আমরা সব বন্ধুরা মিলে কিছুক্ষণ আড্ডা দিলাম। দেখা হয়ে গেল সাদী মামার সাথে। স্কুলের পুরনো স্মৃতিগুলো সবাই মনে করতে থাকে আর হাসি আমরা সবাই! খেলার এক ফাকেঁ দেখলাম আমাদের স্কুলের হলরুমে ঈদ পূণর্মিলনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। মাইকে ঘোষণা করা হয়েছিল হলরুমে গিয়ে বসতে।
Device | Oppo A12 |
---|---|
Photographer | @haideremtiaz |
Location | Chandhi Pasha Govt. High School,Nandail,Mymensingh |
10% beneficary for @shyfox ❤️
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। সম্প্রতি আমি ইলেকট্রিক্যাল থেকে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করেছি। এখন বিএসসি এর জন্য প্রিপারেশন নিচ্ছি। পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত দু বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। যাক,
নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,ব্লগিং,কুকিং,রিভিউ,ডাই ইত্যাদি করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।
twitter share
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ক্রিকেট টুর্নামেন্টের প্রথম পর্বটা পড়েছিলাম। আজকের পর্বটা বেশ লাগল। শর্ট পিচ ক্রিকেটে ফিল্ডিং ভালো হলে সেটাই ম্যাচের পার্থক্য করে দেয়। এই ম্যাচটার পুরোটা পড়েও বেশ ভালো লাগল। আপনাদের ব্যাচের লিয়ন দেখছি বেশ ভালো একজন খেলোয়ার। বন্ধুদের সাথে একসঙ্গে খাওয়া দাওয়া করার ব্যাপার টা বেশ দারুণ। এটা এখন মিস করি।