১ম পর্ব || বন্ধুদের সাথে ক্রিকেট টুর্নামেন্ট উদযাপন
12-04-2024
২৯ চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
🌼আসসালামুআলাইকুম সবাইকে🌼
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো ও সুস্থ্য আছেন। ঈদের দিন থেকে এখন অবধি আশা করছি ভালো সময় অতিবাহিত করছেন। তো দেখতে দেখতে ঈদও চলে গেল। ঈদ চলে গেলেও এবার ঈদ উদযাপনটা ভিন্নভাবে হলো। আসলে আমি বাড়িতে এসেছিলাম ঈদ উদযাপনের পাশাপাশি বন্ধুদের সাথেও দেখা করার। কারণ বন্ধুদের সাথে দুই ঈদ ছাড়া আর কখনোই দেখা যায় না। একটা ব্যাপার কি মানসিকভাবে আপনি যদি ভালো সময় কাটাতে চান তাহলে আমি বলবো বন্ধুদের সাথে দেখা করা উচিত। আসলে মাধ্যমিক জীবনটা শেষ করার পর একেক বন্ধু একেক জায়গায় পড়াশোনা করছে। কেউ ডাক্তার, কেউ ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াশোনা করছে কেউবা পাবলিক ভার্সিটিতে পড়াশোনা করছে। মূলত সবাই ব্যস্ত তাদের জীবন নিয়ে।
তবে বন্ধুদের সময়টা সবসময় মিস করি। যেখানেই থাকি না কেন খুব মিস করি। তাই তো প্রতি ঈদে ছোট খাটো একটা হ্যাংআউট হয়ে যায় বন্ধুদের নিয়ে। এবারের ঈদেও প্লেন ছিল বন্ধুদের সাথে সবাই দেখা করার। তবে এবারের ঈদে আমাদের চন্ডীপাশা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক্স-ক্রিকেট টুর্নামেন্ট এর আয়োজন করা হয়েছে। মূলত টুর্নামেন্টটি আয়োজন করেছে ২০০৪ ব্যাচের বড় ভাইয়েরা। তাদের উদ্যোগে বলতে গেলে ২০২৪ সাল অবধি সব ব্যাচ ভালো সাড়া দিয়েছে। আমরা ছিলাম ১০৩ তম ব্যাচ চন্ডীপাশা স্কুলের। ২০১৮ সালে এস এস সি পাশ করে বেরিয়েছি চন্ডীপাশা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে। চন্ডীপাশা সরকারি বিদ্যালয়ের সময়টা বলতে গেলে বেস্ট সময় কেটেছে। আসলে স্কুল লাইফটা সবসময় বেস্ট সময়ই বলা যায়। কারণ স্কুল লাইফের প্রত্যেকটা বন্ধুই খুব আপন মনে হয়। সেটা কলেজে উঠেও এমন বন্ধু পাওয়া যায় না।
যাইহোক, ঈদের দ্বিতীয় দিন ক্রিকেট টুর্নামেন্ট এর আয়োজন করা হয়। অর্থাৎ আজকে আমাদের ১৮ ব্যাচের খেলা। মোট ১৬ টি ব্যাচ পার্টিসিপেট করেছিল খেলায়। আমাদের দুটি খেলা হবে। প্রথম খেলাটি অনুষ্ঠিত হবে ১২ ব্যাচের সাথে এবং দ্বিতীয় ম্যাচ ২২ ব্যাচের সাথে। খেলা হবে শর্টপিচের। আট ওভারে খেলা হবে। খেলায় নয়জন করে প্লেয়ার নির্ধারণ করা হয়। যারা প্রতিনিয়ত ক্রিকেট খেলার সাথে সম্পৃক্ত তাদেরকেই মূলত খেলতে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। আমরা যেহেতু ক্রিকেট খেলা অনেকদিন ধরেই খেলি না তাই বলতে গেলে আগের মতো পারবো না। তবে খেলাটা যেহেতু ব্যাচের তাই খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
প্রথম খেলা অনুষ্ঠিত হয় ১২ ব্যাচের সাথে। তো প্রথমেই বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় আমাদের ব্যাচ। ১২ ব্যাচের বড় ভাইয়েরা ভালোই ব্যাটিং করতে থাকে। যেহেতু শর্টপিচের খেলা তাই বল একটু গতি হলেই নো বল ধরে আম্পায়ার। আমরা দর্শক সারি থেকে চেষ্টা করেছি প্লেয়ারদের উৎসাহ দেয়ার। তো বারো ব্যাচের বড় ভাইয়েরা আট ওভার শেষে ৬২ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়। তো ৬২ রান আট ওভারে কমই বলতে গেলে। কারণ ৪৮ বলে ৬২ রান নেয়া সহজ। তাছাড়া বাই আছে।
তো আমাদের ব্যাচের লিয়ন শুরুটা ভালো করেছিল। কিন্তু এর পরে বেশ কয়েকজন প্লেয়ার বল খেয়ে বসে! আর সেখানেই খেলার ব্যবধানটা তৈরি হয়ে যায়। তখনই ব্যাটারদের উপর প্রেসার পরে যায়। শেষ অবধি এক ওভারে ৮ রানের প্রয়োজন হয়। কিন্তু শেষে সীমান্ত নেমে একটি চার মারতে সক্ষম হয়। তারপর এক বলে ৪ রানের প্রয়োজন ছিল। কিন্তু সীমান্ত শেষ অবধি আর পারেনি। আমাদের টিমের ভুল হয়েছিল। কারণ শুরুতেই বল খেয়ে ফেলেছিল বেশি। যায়হোক, প্রথম খেলাটি আমরা হেরে যায়। তবে আমাদের আশা ছিল পরের ম্যাচটি জিততে পারবো। পরের ম্যাচটি হবে ২২ ব্যাচের সাথে। তাদের সাথে জিততে পারলে দ্বিতীয় রাউন্ডে যেতে পারবো।
পরের ম্যাচটি আমাদের জন্য বাচাঁ মরার লড়াই। জিততে পারলে উঠতে পারবো দ্বিতীয় রাউন্ডে। আর গেলে প্রথম রাউন্ড থেকেই বিদায়। আসলে ব্যাচের খেলায় সবাই সিরিয়াস। কারণ আমাদের দল হেরে যাওয়া মানে পুরো ব্যাচই হেরে যাওয়া। ব্যাচের সুনাম রক্ষা করতে হলে অবশ্যই পরের ম্যাচটি জিততে হবে। আর পরের ম্যাচে বেশ কয়েকজন প্লেয়ার পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কারণ প্রথম ম্যাচে অনেক প্লেয়ার খারাপ বোলিং করেছে। তাছাড়া বেশ কিছু ক্যচ এবং ফিল্ডিং মিস করেছে। নয়তো খেলার রেজাল্ট অন্যরকম হতে পারতো।
চলবে,,,,,
Device | Oppo A12 |
---|---|
Photographer | @haideremtiaz |
Location | Chandhi pasa Govt.High School, Nandail, Mymensingh |
10% beneficary for @shyfox ❤️
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। সম্প্রতি আমি ইলেকট্রিক্যাল থেকে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করেছি। এখন বিএসসি এর জন্য প্রিপারেশন নিচ্ছি। পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত দু বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। যাক,
নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,ব্লগিং,কুকিং,রিভিউ,ডাই ইত্যাদি করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।
twitter share
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ঈদের দ্বিতীয় দিন আপনাদের বড় ভাই এবং আপনারা মিলে একটা ক্রিকেট টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করেছিলেন, পোষ্টের প্রথমে যে কথাগুলো ব্যবহার করেছেন এগুলো আমার ব্যক্তিগতভাবে খুব ভালো লেগেছে কারণ কথাটি সত্যি যে প্রিয় বন্ধুগুলো এসএসসি এবং ইন্টার পাশ করার পরে একেক জায়গায় চলে যাই। যাই হোক ঈদের সময় সবাই একসাথে হতে পেরেছেন এটাই সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি বলে আমার মনে হয়
আসলে বাঁচা মরা লড়াই বলে কিছুই নেই এগুলা নিজ থেকে আনন্দ হিসেবে ধরে নিতে হবে। কারণ খেলাধুলার মধ্যে হার-জিত থাকবে এটাই স্বাভাবিক। তবে মাথায় রাখতে হবে দশজনকে আনন্দ দেওয়ার জন্যই আমরা খেলাধুলা করে থাকি। যাই হোক বেশ ভালো লাগলো আপনাদের এই খেলার বিষয়ে জানতে পেরে।
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন বন্ধুদের সাথে ক্রিকেট টুর্নামেন্ট উদযাপন এর কিছু মুহূর্ত। আসলে বন্ধুদের সাথে যে কোন খেলা খেলতেই বেশ ভালো লাগে। আপনাদের এই ক্রিকেট খেলা মূলত স্কুলের ব্যাচভিত্তিক খেলা আয়োজন করা হয়েছিল। এই খেলাতে মোট ১৬ টি ব্যাচ পার্টিসিপেট করেছিল। আপনারা প্রথম খেলাতে হেরে গিয়েছেন পোস্ট পড়েই বুঝতে পারলাম। আপনাদের পরবর্তী ম্যাচের জন্য অভিনন্দন জানাই আশা করি ভালো খেলে জয় সিনিয়ে আনবেন। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
একটা সময় গিয়ে নিজের ক্লাসের নিজের বেঞ্চে বসা বন্ধুদের সাথেও আর দেখা হয় না কথা হয় না। ঐ বছরে একবার কী দুইবার শুধু দুই ঈদে। ব্যাপার টা বেশ দুঃখজনক। বেশ দারুণ একটা ক্রিকেট টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়েছে আপনাদের স্কুলের প্রাক্তন ব্যাচগুলোর মধ্যে। তবে এটা দেখে বেশ খারাপ লেগেছে। অনাকাঙ্খিত ভাবে অল্পের জন্য প্রথম ম্যাচটা আপনারা হেরে গিয়েছেন। আশাকরি পরের ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াবেন আপনারা এবং দ্বিতীয় রাউন্ডে কোয়ালিফাই করবেন।
ক্রিকেট খেলা বিষয়ে সুন্দর একটি পোস্ট আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার এই পোষ্টের মধ্য দিয়ে আপনাদের খেলার বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারলাম। আমি আগে খেলা খুব দেখতাম। বিশেষ করে টিভিতে জাতীয় দলের খেলা গুলো। যখন ম্যাচে থাকতাম খেলার প্রতিবেশী নেশা ছিল। যাই হোক দোয়া করি যেন বিজয়ী হন।
আমরা ফ্রেন্ডরা মিলে খেলাটা খুবই উপভোগ করেছিলাম আপু। তাছাড়া ক্রিকেট খেলা আমার কাছে ভালো লাগে।