২য় পর্বঃ সর্বনাশা টিকটক
12-12-2023
২৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে
১ম পর্বের পর
রোজিনার পরিচয় হয় রবি নামের এক ছেলের সাথে! রবির একটা গুণ, সে মজা করে কথা বলতে পারে। মুখে রস! যেকোনো মেয়েকে খুব সহজেই পটিয়ে ফেলতে পারে। অন্যসব ছেলেদের থেকে আলাদা। রোজিনাকেও পটিয়েছে সে কথার মাধ্যমেই। তার মিষ্টি মিষ্টি কথার মায়ায় পরে যায় রোজিনা! রবির প্রতি রোজিনার একটা দূর্বলতা তৈরি হয়। একবেলা কথা না বলে থাকতে পারে না! সোহেল সাহেব অফিসের ব্রেক টাইমে মাঝে মাঝে ফোন দিয়ে ওয়েটিং এ পায় ফোন। সোহেল সাহেব ভাবতো হয়তো বাবা মায়ের সাথে কথা বলছে!
গ্রামের সহজ সরল ছেলে হওয়ায় সোহেল সাহেবের মনে প্যাচগোচ নেই বললেই চলে। কিন্তু বেশ কয়েকদিন ধরেই তার সাথে এমন হচ্ছে! ফোন দিয়ে রোজিনাকে পাওয়া যাচ্ছে না। বাসায় গিয়ে জিজ্ঞেস করলে বলে, মায়ের সাথে কথা বলছিল তাই খেয়াল করেনি! মায়ের সাথে কথা বললে কি এতোক্ষণ!! আমারও তো মা-বাবা আছে! কই আমি তো এতো কথা বলি না। ইদানীং দেখছি তুমি বেশি ব্যস্ত হয়ে পরছো ফোন নিয়ে! তুমি যে ফোন কিনেছো সেটাও আমি নিষেধ করেছিলাম কিন্তু বাসায় যখন একা থাকবে সেটা ভেবেই ফোনটা কিনতে দিয়েছি! ' তুমি কি আমাকে সন্দেহ করছো? আমি কি অন্য ছেলেদের সাথে কথা বলি! '
রোজিনা রীতিমতো এই কথা বলে চিল্লাচিল্লি শুরু করে দেয়। সামান্য একটি বিষয় নিয়ে রাগ করে বসে। সোহল সাহেব মনে মনে ভাবে, রোজিনা তো কখনোই তার সাথে উচ্চস্বরে কথা বলেনি! তাহলে আজ কেন এভাবে কথা বলছে। সোহেল সাহেবের সন্দেহের মাত্রাটা আরও বেড়ে যায়! রোজিনা নিশ্চয় কারো সাথে কথা বলে। কার সাথে কথা বলে? এটা জানতেই হবে! সোহেল সাহেব বের হওয়ার সময় দরজাটা ঠাস করে লাগিয়ে দিয়ে চলে যায়! খাটের উপর শুয়ে থাকা তারই ছেলে অলি ঘুম উঠেই কেদেঁ দেয়! হঠাৎ শব্দে তার ঘুম ভেঙে গেল! রোজিনা সাহেব ভীর ভীর করে কি যেন বলতে থাকে। অলির কাছে গিয়ে অলির কান্না থামায়! বেশ কিছুদিন পর অফিসের লাঞ্চ টাইমে বাসায় আসে সোহেল সাহেব! দরজায় তালা লাগানো! দরজার উপরের তাকটায় চাবি রেখে যায় সবসময় রোজিনা! কিন্তু সেদিন সে চাবিটা পেল না তাকের উপরে! দরজার নিচেও দেখলো, সেখানেও নেই। ঠিক পাশের বাসা আরিফ ভাইকে জিজ্ঞেস করে সোহেল!
' সোহেল ভাই, ভাবী যাওয়ার সময় আমাকে বললো চাবিটা আপনাকে দেয়ার জন্য। অলি নাকি অসুস্থ, এজন্য ডাক্তার দেখাতে হসপিটালে গেছে ভাবী! '
সোহেল আনমনে কি যেন বলতে থাকে! ' কি ভাবতেছেন ভাই। ' না কিছু না। ' এই নেন চাবিটা! '
চাবি নিয়ে সোজা চলে আসে দরজার সামনে! চাবি খুলে ভিতরে ঢুকে সোহল! সকালেও খেয়ে যায়নি অফিসে! টেবলের উপরে পাতিলে ভাত তরকারি সব রাখা! প্লেট নিয়ে ভাত তরকারি নিয়ে খেতে থাকে সোহেল! হঠাৎ করেই সোহেলের চোখ রে আলনার পিছনের দিকটায়! কাপড়ের পিছনে কালো স্ট্যান্ডের মতো। সবটা দেখা যাচ্ছে না! সোহল কিছুটা আগ্রহ নিয়ে সামনে যেতে থাকে! আলনার কাপড়গুলো সরাতেই দেখতে পায় একটা স্ট্যান্ড! উপরের অংশটা সার্কেলের মতো! লাইটিং করার মতো! এমন জিনিস দেখে কিছুটা অবাক হয়। সোহেল সেটা আগে কখনো দেখেনি।
সোহেল সেটা আরিফ ভাইকে দেখায়! আরিফ ভাই আবার সোস্যাল মিডিয়ার খোজঁখবর সবসময় রাখে! দেখেই চিনতে পারে এটি টিকটকারদের লাইটিং স্ট্যান্ড! তার মানে রোজিনা একজন টিকটকার! এটা জানতে পেরে সোহেল সাহেবের মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পরলো! গ্রামের সহজ সরল যে মেয়েটা ভালোভাবে ফোনই চালাতে পারতো না সে মেয়েটি একজন টিকটকার! সোহেল সাহেব লাঞ্চ শেষ করে অফিসে চলে যায়! রোজিনা যে টিকটক করে সেটা বুঝেও তাকে বুঝতে দেয় না! রোজিনা কি তাহলে মিথ্যে অভিনয় করছে? আমি তো তাকে অনেক ভালোবাসি! সোহেল সাহেব ভাবতে ভাবতে অফিস চলে যায়।
সোহেল সাহেব ইদানীং খেয়াল করছে রোজিনা কিছু না বলেই বাসার বাহিরে চলে যাচ্ছে! বাসা ফেরার আগেই আবার বাসায় চলে আসে। রোজিনা বাসা থেকে বের হয় রবির সাথে দেখা করার জন্য। সোহেল সাহেব একদিন দেখতে পায়,,,,,
চলবে.....
10% beneficary for @shyfox ❤️
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। সম্প্রতি আমি ইলেকট্রিক্যাল থেকে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করেছি। এখন বিএসসি এর জন্য প্রিপারেশন নিচ্ছি। পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত দু বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। যাক,
নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,ব্লগিং,কুকিং,রিভিউ,ডাই ইত্যাদি করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
twitter share
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
সোহেল সাহেব রোজিনা কে অনেক বেশি ভালোবাসে, কিন্তু রোজিনা সেই ভালোবাসার মূল্য দিতে পারল না শেষ পর্যন্ত। সে দেখছি কাউকে না বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে রবির সাথে দেখা করতো। সোহেল সাহেব বাড়িতে অনুপস্থিত থাকা অবস্থায় রোজিনা বাহিরে বের হতো। সোহেল সাহেব রোজিনার tiktok এর ব্যাপারে শেষ পর্যন্ত জেনে গিয়েছে দেখছি। আর রোজিনা যখন রবির সাথে দেখা করতে গিয়েছিল তখন তিনি দেখে ফেলেছিলেন। এর পরবর্তীতে কি হয় এটাই দেখার অপেক্ষা।
জি ভাইয়া খুব শীঘ্রই পরের পর্ব আসবে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া 🌼
অনেক সুন্দর করে আপনি সর্বনাশা টিকটক গল্পটির দ্বিতীয় পর্ব আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। দ্বিতীয় পর্বটা পড়তে আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। রোজিনা কিন্তু এরকমটা একেবারেই ঠিক করতেছে না। আসলে মানুষ বেশি সুখে থাকলে এরকমটাই করে। আমার মনে হচ্ছে রবি ছেলেটা ততটা ভালো না, সে হয়তো অন্য মেয়েদেরকে ঠকায়। সোহেল সাহেব রোজিনা যে tiktok করে এটা জেনে গিয়েছে। আর একদিন দেখে ফেলেছিল রোজিনা যখন রবির সাথে দেখা করতে যাচ্ছিল তখন।
জি আপু। সুখে থাকলেই ভূতে খিলায়। যাক পরের পর্বে বিস্তারিত জানতে পারবেন 🌼
রোজিনা সহজ সরল মেয়ে ছিলো এবং ফোন সম্পর্কে ও বুঝতো না,তবে টিকটক একাউন্ট খুলে দেওয়ার পর রোজিনা বদলে যেতে শুরু করে। আসলে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে অনেক স্বামী স্ত্রী পরকীয়ায় জড়িয়ে এভাবে সংসার নষ্ট করে ফেলে। তবে রোজিনা সোহেলকে এভাবে ঠকাচ্ছে, ভাবতেই অবাক লাগছে। রোজিনা খুবই বাজে একটি মেয়ে। যাইহোক পরবর্তী পর্বে বিস্তারিত জানতে পারবো আশা করি।
জি ভাইয়া এটা ঠিক বলেছেন! সোস্যাল মিডিয়ার কল্যাণে পরকীয়ার মতো অগৃহীত কাজের সাথে জড়িয়ে যায়