ভাইরাল
04-06-2023
২১ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি ভালো থাকার চেষ্টা করছেন। ভালো থাকার চেষ্টা না করেও যে কোনো উপায় নেই। তাপমাত্রা একদিকে যেমন বেড়েছে অন্যদিকে বিদ্যুৎ এর সমস্যা তো আছেই। এর আগে আপনাদের সাথে সে বিষয়েই কথা বলেছি। গরমে মানুষজন হাসফাসঁ করছে, একটু বাতাসের জন্য। কিন্তু বাতাসই যেন নেই। যারা শারীরিক পরিশ্রম করে তাদের কষ্টটা হচ্ছে বেশি। শরীর ঘামে ভিজে একাকার। একটু শরীরটাকে শীতল করার কোনো ব্যবস্থা নেই। এই যখন আমাদের সহ চারপাশের মানুষজনদের অবস্থা তখন ভালো থাকার চেষ্টা করাটাই শ্রেয়।
যাক, যা বলার জন্য আসলাম। বর্তমান নেট দুনিয়ায় সবচেয়ে হটটপিক কি? আপনি ইউটিউব বা ফেইসবুক ঘাটাঘাটি করলেই দেখবেন "ভাইরাল " শব্দটা। অর্থাৎ এই ভাইরাল শব্দটা এমনভাবে সবার মাঝে ছড়িয়েছে যে, এটাকে এখন অনেকেই নেগেটিভলি ব্যবহার করছে। এইযে ধরেন ফেইসবুকে কোনো কন্টেন্ট পাবলিশ হলো, সে কন্টেন্ট যদি ভালো হয় তাহলে সেটা ভাইরাল হয়। প্রশংসা হয় সেটা নিয়ে। মানুষদের মাঝেও মাতামাতি চলে।
অন্যদিকে, দেখেন কোনো একটা খারাপ কন্টেন্ট যা ভাইরাল হওয়ার কথা ছিল না অথচ সেটা সবার আগে মানুষের মুখে মুখে শুনা যায়। ব্যাপারটা এমন হয়ছে যে মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি। আপনি ফেইসবুক অথবা ইউটিউব ওপেন করলেই দেখবেন নিউজগুলো। অথচ আমরা কি করছি আসলে! কোনো কিছু না ভেবেই একটার পর একটা ব্যাপার ভাইরাল করেই যাচ্ছি। অথচ এটা কি খুবই দরকার ছিল! আমাদের বিবেকে একবারো ভাবে না যে কন্টেন্ট টা কি শেয়ার করা আদৌ ভালো বা মন্দ হবে কি না।
অথবা আমার একটা শেয়ারের মাধ্যমে কারো ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে না তো আবার! এ বিষয়গুলো মাথায় রাখলে হয়তো আমরা কোনো কিছু শেয়ার করার আগে একশবার ভেবে নিতাম! চিত্রটাও কিন্তু ভিন্ন রকম আসতো। যেহেতু আমরা সবাই সোস্যাল মিডিয়ার সাথে অভ্যস্ত। তো ব্যাপারগুলো আপনার সামনে আসবেই! ফেইসবুকে দেখবেন সবচেয়ে বেশি নেগেটিভ কন্টেন্ট ভাইরাল হয়! আর সেগুলো কিছু মানুষ বিনোদন হিসেবেই দেখছে। অথচ সে জানেই না যে ভাইরাল হওয়ার মাধ্যমে কোনো একটা বড় ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে!
বাংলাদেশের ধানব্যবসায়ী রহমান চাচা ধান চাষে সাফল্য পেয়েছে, নদী ভাঙনের ফলে অনেকের বাড়ি হারিয়েছে, রাবেয়া নামের এক বৃদ্ধ রাস্তায় নিহত হয়েছে, লিচু ব্যবসায়ী রহমান চাচা সাফল্যের দেখা পেয়ে ইত্যাদি! এসব বিষয়গুলো দেখবেন খুব কম শুনতে পারি আমরা অথবা ভাইরাল কম হয়! মানুষ স্বভাবতই বিনোদন প্রিয়। তাই বলে খারাপ কোনো কিছু একটা শেয়ার করে বিনোদন নেয়ার মাঝে কি পায় আসলে!
আপনারা হয়তো জানেন যে, কিছুদিন আগে মাদ্রাসার ছোট্রশিশু রিফাতের একটি ভিডিও নেট দুনিয়ায় পুরো ভাইরাল হয়! আমার কাছে ব্যাপারটা ইন্টারেস্টিং লেগেছিল। কারণ রিফাতকে তিনটি প্রশ্ন করা হয় আর সে তিনটি প্রশ্নেরই ভুল উত্তর দিয়েছে। কিন্তু রিফাতে শিক্ষক কিন্তু একটুও বকা দেননি, একবারের জন্যও ধমক দেয়নি। জাস্ট সঠিকটা বলে দিয়েছে। এই যে টপিক টা হলো, এটার মাধ্যমে আপনি বা কি বুঝলেন!!
আগের দিনের পড়ালেখার কথা যদি বলি তাহলে অনেকটাই খারাপ অনুভূতির জন্ম হয়। পাচঁটি ফলের নাম, পাচঁটি ফুলের নাম এসব তখনও মুখস্থ করা হয়নি। তবে বইয়ে যা ছিল তা বলে দিয়েছিল মুখস্থ করার জন্য। অবশেষে পারেনি বলতে। তখন ক্লাসের মধ্যেই কানে ধরে দাঁড়িয়ে থাকতে হলো। শাস্তিস্বরুপ কানে ধরা। অথচ বইয়ের বাইরেও যে অনেক পাখি আছে সেগুো স্যার, ম্যাডামরা আমাদের কখনো শিখেয়েছে কি না মনে নেই! তবে ভুলটা শুধরে দিলেও হয়তো কাজে দিতো। কারণ কোনো কিছুর ভয়ে শিখলে আমাদের শর্ট টার্ম মেমরিতে সেটা বেশিদিন থাকে বলে মনে হয় না! উল্টো স্যার ম্যাডামদের প্রতি নেতিবাচক একটা মনোভাব চলে আসে।
রিফাতে নিউজটা দেখার পর সেটাই মনে হলো। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় ছাত্র শিক্ষকের সম্পর্কটা এমনই হওয়া উচিত। যেখানে কোনো ভয়ই থাকবে না প্রশ্ন করার অথবা ভুল উত্তর দেয়ার। এমন নিউজ ভাইরাল হলেও শিক্ষণীয় ছিল! হতে পারে এমন ভিডিও দেখে অনেক শিক্ষকের মনোভাব পরিবর্তন হবে ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি!
তো আমাদের উচিত হলো ভালো কিছু ভাইরাল করা। যেটা করলে আমিসহ অন্যরা যেন উপকৃত হয়! অন্যের ক্ষতি যেন না হয় এমন কিছু শেয়ার না করাই ভালো। সোস্যাল মিডিয়ার ব্যবহার হোক নিরাপদ। আমাদের মন যেন সবসময় পজিটিভ চিন্তাই করে এমনটাই প্রত্যাশা করছি! সকলের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে আজকের মতো এখানেই বিদায় নিলাম। আল্লাহ হাফেজ 🌼
10% beneficary for @shyfox ❤️
ধন্যবাদ সবাইকে
VOTE @bangla.witness as witness
OR
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,ব্লগিং,কুকিং,রিভিউ,ডাই ইত্যাদি করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
এখন কিছু কিছু মানুষ রয়েছে ফেসবুক ইউটিউব যেটাতেই বলুক না কেন, নেগেটিভ ব্যাপারগুলো ভাইরাল করার অনেক চেষ্টা করে এবং নেগেটিভ গুলোই অনেক বেশি ভাইরাল হয়। এইজন্য আমাদের সবারই উচিত পজেটিভ চিন্তা-ভাবনা করা এবং ভালো কিছু করার চেষ্টা করা। রিফাতের এই বিষয়টা আমিও দেখেছিলাম, এটা আমার কাছেও অনেক বেশি ভালো লেগেছিল। ঠিকই বলেছেন, আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় ছাত্র শিক্ষকের সম্পর্ক এরকমই হওয়া উচিত। ছাত্র-ছাত্রী না পারলে শিক্ষক তা বুঝিয়ে দিবে এটাই তো নিয়ম। আমিও প্রত্যাশা করি যেন সবার মনে প্রজেটিভ চিন্তাভাবনা আসে।
আপনার মন্তব্য পড়ে অনেক ভালো লাগলো আপু! আশা করি সবার মাঝে পজিটিভনেস ছড়িয়ে পড়বে।