শেষ পর্ব || গ্রাম বাংলার সৌন্দর্য
04-02-2024
২২ মাঘ , ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
🌼আসসালামুআলাইকুম সবাইকে🌼
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো ও সুস্থ্য আছেন 🌼। তো সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজকের মতো লেখা শুরু করছি। আপনাদের সাথে গ্রাম বাংলার সৌন্দর্যের দুটি পর্ব শেয়ার করছি। আজকে শেষ পর্বটি শেয়ার করতে চলে এলাম। আশা করছি উপভোগ করতে পারবেন।
২য় পর্বের পর
সকালে গ্রামের পরিবেশ বলতে গেলে নিরিবিলি থাকে। মানুষজন জমিতে কাজ করতে বেরিয়ে পরে ঠিকই কিন্তু একদম নিরিবিলি চারিপাশ। ব্রিজের নিচে দাঁড়িয়ে নদীর এপার-ওপার কিছুক্ষণ দেখার চেষ্টা করলাম। নদীর পানি অনেকটা শুকিয়ে গিয়েছে। বলতে গেলে নদীর পানির নিচের কাদাঁ দেখা যাচ্ছে হেটেঁই নদীর ওপারে যাওয়া যাবে। নদীর ওপারে লক্ষ্য করলাম কয়েকজন ধানের ঝালা সংগ্রহ করছে। যেগুলোকে ধানের চারা বলে। আমাদের দিকে মানুষজন ধানের ঝালা বলে। সেগুলো আবার জমিতে নিয়ে লাগাবে। আর সেখান থেকেই হবে ধান। সকাল সকাল বেশ কয়েকজন কৃষককে দেখতে পেলাম ধানের ঝালা সংগ্রহ করতে। আবার নদীর একপাশে দেখলাম গ্রামের মহিলারা পাতিল নিয়ে এসে ধৌত করছে। বলতে গেলে বাড়ির পানির কাজের যেটুকু সেগুলো নদীর পানি দিয়েই করা হয়। আর নদীতেই গ্রামের মানুষজন গোসল করে। তবে পানি বেড়ে গেলে নদীতে মনে হয় না যে করে। কারণ তখন স্রোতও থাকে অনেক।
নদীতে বড় সাইজের মাছ ধরার জাল দেখতে পেলাম। কিন্তু জালের নামটা সঠিক মনে নেই! এ জালদিয়ে নদীতে মাছ ধরা হয়। যখন নদীতে পানি থাকে তখন স্রোতের মাঝে জাল দিয়ে মাছ ধরা হয়। বলতে গেলে তখন অনেক মাছও পাওয়া যায়। এখন পানি নেই তাই জালগুলো পরে আছে। অনেকদিন পর এমন জাল দেখে অবশ্য ভালোই লাগছিল। আমি আর বেশিক্ষণ ব্রিজের নিচে থাকলাম। রাস্তায় উঠে ব্রিজ পার হয়ে চলে গেলাম সুতারাটিয়া গ্রামের দিকে! ছোটবেলায় আসা হতো এ গ্রামে। তখন আসা হতো বড়ই খাওয়ার জন্য। এদিকে অনেক বড়ই পাওয়া যেত। বলতে গেলে, প্রায় একদশক পর সুতারাটিয়া গ্রামে গেলাম। গ্রামের ভিতর দিয়ে চলা রাস্তাটা এখনও মাটিরই রয়ে গেল। তবে অনেক পরিবর্তন লক্ষ্য করলাম। আগের টিনের চালার ঘরগুলো এখন হাফ বিল্ডিং করা হয়েছে। গ্রামের জমিতে এখন অনেকেই সবজি চাষ করে।
যেহেতু শীতকাল এখন তাই শিমের গাছ বেশি । অনেকটা এরিয়া জুড়ে শিমের চাষ করছে। শিমও ভালো হয়েছে। এদিকের মাটিও উর্বর অনেক বলতে গেলে। শিমের ফলন ভালো হলে সেগুলো বাজারে নিয়ে বিক্রি করা হয়। তবে যাওয়ার পথে লক্ষ্য করলাম অনেকেই বাড়ির পিছনে মাচা করে শিমের চাষ করছে। হাটঁতে হাটঁতে অনেকটা দূর পর্যন্ত চলে এসেছিলাম। জীবনের সময়গুলো কিভাবে চলে গেল! মনে হচ্ছিল কিছুদিন আগেও এ গ্রামে এসেছি। সুতারাটিয়া গ্রামে এসে ছোটবেলায় অনেক ক্রিকেট খেলা দেখা হতো। ক্রিকেটের টিম ছাড়া হতো। সেখানে পাড়ায় পাড়ায় খেলা হতো। এক পাড়া থেকে আরেক পাড়ায় এসে মানুষ ভীড় জমাতো। সেই মাঠগুলো এখন আর নেই! এক পাশে বাড়ি তৈরি করে ফেলেছে। আরেকপাশে জমি।
আমি রাস্তায় ভুলে গিয়েছিলাম প্রায়। তারপর রাস্তার মাঝে এক বয়স্ক চাচাকে পেলাম। তাকে বললাম এদিকদিয়ে বের হওয়া যায় কি না। উনি বললো সামনের রাস্তা দিয়ে তারঘাট বাজারে যাওয়া যাবে। তাই আমি আর বেশিদূর আগালাম না। গ্রামের মানুষরা দেখবেন খুব সহজ সরল হয়। এতো প্যাচগোছ তারা বুঝে না। চাচা আমাকে বলেছিল উনাদের বাড়িতে কিছুক্ষণ রেস্ট নিয়ে যেতে। আমি আর বেশিক্ষণ না থেকে বাড়ির দিকে রওনা দিলাম।
আসার পথেও কিছুক্ষণ গ্রামের সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে চলে এলাম।
Device | Oppo A12 |
---|---|
Photographer | @haideremtiaz |
Location | w3w |
10% beneficary for @shyfox ❤️
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। সম্প্রতি আমি ইলেকট্রিক্যাল থেকে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করেছি। এখন বিএসসি এর জন্য প্রিপারেশন নিচ্ছি। পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত দু বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। যাক,
নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,ব্লগিং,কুকিং,রিভিউ,ডাই ইত্যাদি করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।
আসলে ভাইয়া গ্রামের সৌন্দর্যের কোন তুলনাই হয় না। আপনি দেখছি ফটোগ্রাফি করে এই গ্রাম বাংলা সৌন্দর্য বিষয়ে খুব সুন্দর বর্ণনা করেছেন। যদি আপনাদের আগে পর্বগুলো আমার দেখা হয়নি তবে শেষ পর্বটি দেখে আমার খুবই ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও ধন্যবাদ ভাই চমৎকার মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য 🌼
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
twitter share
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে অনেক সুন্দর ভাবে গ্রাম বাংলার অপরূপ সৌন্দর্য তুলে ধরেছেন। আসলে গ্রাম বাংলার দৃশ্য গুলো দেখতে প্রত্যেকটা মানুষের কাছে বেশ ভালো লাগে। নদীতে জাল দিয়ে মাছ ধরার দৃশ্যটি সত্যি বেশ দারুন। ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর দৃশ্য আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই চমৎকার মন্তব্য করার জন্য 🌼
গ্রাম বাংলার অপরূপ সৌন্দর্য দেখতে সবার কাছে ভালো লাগে। আপনি চমৎকারভাবে গ্রাম বাংলার সৌন্দর্য তুলে ধরেছেন দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। প্রতিটি ফটোগ্রাফি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। এত সুন্দর গ্রাম বাংলার সৌন্দর্য আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
গ্ৰাম বাংলার মনোরম পরিবেশ সবসময় আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। আপনি দারুন কিছু গ্ৰামের প্রকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করেছেন। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। নদীতে যে জালের নাম আপনার মনে নেয়। সেটার আমাদের গ্ৰামের ভাষায় পুঁটি জাল বলা হয়। ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
পুটিঁ জাল বলে আপনাদের দিকে, তবে আমাদের দিকে কি বলে মনে নেই ভাইয়া। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ 🌼
গ্রাম বাংলার সৌন্দর্য আপনার পোস্টটির ফটোগ্রাফি গুলোর মধ্যে ফুটে উঠেছে। আসলে গ্রামীণ পরিবেশ গুলো আমার কাছেও ভীষণ ভালো লাগে। প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করতে হবে গ্রামীণ পরিবেশের কোন বিকল্প কিছু নেই। অনেক সুন্দর একটি ব্লগ শেয়ার করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ চমৎকার একটি মন্তব্য করার জন্য 🌼
আসলে ভাইয়া গ্রাম বাংলার সৌন্দর্য এর তুলনা হয় না। আপনার পোস্ট পড়ে গ্রামের অনেক দৃশ্য দেখতে পেলাম। সত্যি ভাইয়া অনেক দিন গ্রামে না গেলে রাস্তা ঘাট সহজে চিনা সম্ভব নয়। আর এখন শহরের থেকে গ্রাম অনেক সৌন্দর্যে পরিপূর্ণ। ধন্যবাদ ভাইয়া।