শেষ পর্বঃ হঠাৎ দেখা

28-12-22

১৪ পৌষ,১৪২৯ বঙ্গাব্দ


আসসালামুআলাইকুম সবাইকে


antique-7627999_1280.webp

copyright free image from pixabay

১ম পর্বের পর

তারপর শুরু হয় শুভ্রার নতুন সংগ্রাম! পরিবারের দায়িত্ব এবার শুভ্রার কাছেই এসে পড়ে! শুরু হয় নতুন পথচলা। এরই মাঝে নিলয়কে হারিয়ে ফেলে শুভ্রা! কিন্তু শুভ্রার কোনো আফসোস নেই! কঠিন মুহুর্তে নিলয়ের সাথে কথা না ভালোটাই ভালো ছিল। এদিকে নিলয় বাসায় গিয়ে শুভ্রার কথা ভাবছে! কত বছর পর যেন তাদের দেখা হলো! শুভ্রার জন্য কতো কি করেছে নিলয়! তখন বেলার ছেলে ছিল নিলয়। শুভ্রা তাকে সাপোর্ট দেয়নি। কিন্তু পরিবার ঠিকই তাকে সাপোর্ট দিয়েছিল নিলয় আজ বড় ধরনের জব করে। এখনও বিয়ে করেনি! হয়তো প্রথম ভালোবাসা ভুলতে পারেনি। শুভ্রার সাথে নিলয়ের এভাবে দেখা হয়ে যাবে ভাবতেও পারেনি। হঠাৎ করেই শুভ্রার ফোন!

-হ্যালো,কে বলছেন? (নিলয়)
-নাম্বারটাও ভুলে গেছো! (শুভ্রা)
-যে ভালোবাসার মানুষকে ছেড়ে চলে যেতে পারে, তার নাম্বারটি কেন রাখবো ফোনে?
-ওহ,আচ্ছা! আমি তোমার সাথে দেখা করতে চাই, পসিবল!
-কেন? দেখা করে কি হবে? যা হওয়ার তা পাচঁ বছর আগেই হয়ে গেছে।
-তুমি এখনও আমার উপরে রেগে আছো! তোমাকে কিছু কথা বলা আমার খুব প্রয়োজন!
-কি কথা বলবে! ফোনে বলো!
-সামনাসামনি বলবো, প্লিজ!
-আচ্ছা, ঠিক আছে!
-কোথায় আসতে হবে জায়গার নামটা টেক্সট করে পাঠিয়ে দিচ্ছি!
-ওকে ( বলেই ফোনটি রেখে দেয়)

নিলয়ের এখনও মনে আছে! বেলতলীতে গিয়ে শুভ্রাকে নিয়ে কতো কাঠগোলাপ ফুল কুড়িয়েছে! সেগুলো এখন স্মৃতি ছাড়া কিছুই নয়! ফোনের স্ক্রিনে মেসেজ! ফোনটা হাতে নিয়েই দেখতে পায় সেই জায়গার কথা বলেছে শুভ্রা! যেখানে একসাথে দুজন পাশাপাশি হেটেঁছে, কাঠগোলাপ কুড়িয়েছে! নিলয় মেসেজ দেখে মুচকি হাসছে! শুভ্রা তাহলে এখনও মনে রেখেছে! তবে শুভ্রা হঠাৎ করেই কেন নিলয়ের জীবন থেকে চলে গেল! এ প্রশ্নের উত্তর খুজেঁ নিলয়!

পরদিন সকালে চলে যায় নিলয় সেই বেলতলীতে! শুভ্রা আজও শাড়ি পরেছে! শুভ্রাকে শাড়িতে সুন্দর লাগছে। নিলয় আস্তে আস্তে শুভ্রার কাছে এগিয়ে যায়।

-কি বলার জন্য ডেকেছো, বলো! (নিলয়)
-আচ্ছা, বলবো! একটু হাটিঁ পাশাপাশি দুজন (নিলয়ের চোখের দিকে তাকিয়ে)
-হুমম, ওকে!
নিলয় না করতে পারেনি। পারবেই বা কেমন করে! শুভ্রাকে সে এখনও ভালোবাসে। কিন্তু এক আকাশ অভিমান জমে আছে শুভ্রার উপর! অভিমানের পাল্লাটা কখন হালকা হবে নিলয় জানে না! পাচঁটা বছর কত খুজেঁছে শুভ্রাকে পাগলের মতো করে! দুজন পাশাপাশি হাটঁতে থাকে! পাচঁ বছর আগের সেই কাঠগোলাপটা এখনও আছে! কিন্তু গাছে কাঠগোলাপ নেই! অবহেলায়, অনাদরে যেমন হয়! গাছটি আগের থেকে বড় হয়েছে! শুভ্রার খোপাঁয় কাঠ গোলাপ পরিয়ে দেয়ার কথাও নিলয়ের মনে আছে।

-আমি সরি! আমার আসলে এভাবে তোমাকে ছেড়ে যাওয়া ঠিক হয়নি! (শুভ্রা)
-ইটস ওকে! (কিছুটা অভিমান করে)
-আমরা কি আগের মতো হতে পারিনা!
-কোনো কথা বলছে না (নিলয়)

কাঠগোলাপ গাছের নিচে এসে দাড়িঁয়ে আছে নিলয়! নীল আকাশ! উপরে তাকিয়ে দেখছে। এই আকাশটাও বড্ড বেমানান! এতো এতো অভিযোগ শুভ্রার উপর! কিন্তু শুভ্রা এখনও কিছু বলেনি! কেন নিলয়কে ছেড়ে গিয়েছিল, কোনো কিছু না বলেই! আসলে মেয়েরা পেটে কথা জমিয়ে রাখতে পারে। নিজের মুখে কখনো বলবে না! ছেলেদেরই সব বের করতে হয়! শুভ্রা হঠাৎ করেই বলে উঠে!
-আজ তুমি প্রতিষ্ঠিত! বিয়ে করোনি কেন?
-কারণ ভালোবেসেছিলাম শুধু একজনকে (শুভ্রার চোখের দিকে তাকিয়ে)
-সে যদি ফিরে আসতে চাই! আবার নতুন করে শুরু করতে বলে, তখন!
-আমি ভালোবাসি এখনও (কিছুটা রাগ নিয়ে)

শুভ্রা কাদঁছে! চোখ দিয়ে পানি পরছে! কোনো কারণ ছাড়াই! এই প্রথম শুভ্রার চোখে পানি! নিলয় আগে দেখেনি। শুভ্রা তখন বলেই দেয় তার বাবা মারা গিয়েছিল! ফ্যামিলিকে সাপোর্ট দেয়ার মতো কেউই ছিল না! আমি ছাড়া! ভেবেছিলাম, আমার এই জীবনে শুধু শুধু তোমাকে জড়িয়ে কষ্ট দেয়ার কোনো মানে হয়! নিলয় শুভ্রার দিকে কিছুটা এগিয়ে যায়। চোখ লাল হয়ে গেছে শুভ্রার! হাত দিয়ে চোখের পানি মুছে দেয় নিলয়! শুভ্রার কান্না যেন থামছে না! পরম আদরে শুভ্রাকে বুকে টেনে নেয় নিলয়! প্রিয় মানুষের জায়গা সবসময় বুকের বা পাশে হয়! যেখানে খুব যতন করে রেখে দেয়া যায় প্রিয় মানুষটাকে।। নিলয় এখনও জায়গাটা যতন করেই রেখে দিয়েছে!



10% beneficary for @shyfox ❤️

C3TZR1g81UNaPs7vzNXHueW5ZM76DSHWEY7onmfLxcK2iNzq2MSXKSji21JRspt4nqpkXPR5ea7deLzvmJtuzVBwdLJUpBqtgAZ5gHtHPbayD2jR3CWqjkJ.png

ধন্যবাদ সবাইকে



WhatsApp Image 2021-12-23 at 19.46.54.jpeg


VOTE @bangla.witness as witness

witness_proxy_vote.png

OR

SET @rme as your proxy


witness_vote.png

আমি কে?

IMG20210908180509.jpg

আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,ব্লগিং,কুকিং,রিভিউ,ডাই ইত্যাদি করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।

Sort:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.19
JST 0.033
BTC 88885.90
ETH 3279.02
USDT 1.00
SBD 2.99