শেষ চেষ্টা!

---

আসসালামুআলাইকুম সবাইকে

_{copyright free image from pixabay}

কেমন আছেন সবাই?? নিশ্চয় অনেক ভালো ও সুস্থ্য আছেন। মনে হচ্ছে কয়েক বছর পর লিখতে বসেছি! পুরনো অভ্যাসটা কি আর এতো সহজে ভুলে যাওয়া যায়। লেখালেখি করাটা হচ্ছে ভালো লাগার একটি বিষয়। যেটা চাইলেই আর ভুলে যাওয়া যায় না। আপনার মস্তিষ্কে যদি লেখা লেখি কাজটিকে ভালো লেগে যায় তাহলে এটা আপনি করবেনই যেকোনো উপায়ে। যদিও আমি দু মাসের ছুটি নিয়েছিলাম! এরই মাঝে অনেক কিছুই হয়তো মিস করেছি। এই দুইমাসে জীবনের অনেক শিক্ষাও পেয়েছি সেগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করবো ধাপে ধাপে।

পৃথিবী বদলায়! পৃথিবীর চিরাচরিত রূপ বদলায়! সেই পৃথিবী নামক গ্রহে বাস করা মানুষও বদলায়! সময়ের সাথে সব কিছুই যেন বদলায়! পৃথিবীর প্রতি সেকেন্ড কত শত ঘটনা ঘটে যাচ্ছে হিসেব নেই! এতো সব পরিবর্তনের মাঝেও পৃথিবী তার নিজ কক্ষপথেই ঘুরে চলছে, সময় যে ছুটে চলছে তার গতিতে।

আপনি একটা জিনিস খেয়াল করলে দেখবেন আমরা মাঝে মাঝে ব্যর্থ হই আমাদের স্বপ্ন পূরণে! ফলশ্রুতিতে আমরা ভেঙে পড়ি! শুনতে হয় আশেপাশের মানুষদের কাছ থেকে নানান রকমের কথা! কেন? কেন? পারোনি তুমি?? অথচ কেউ জানতেও চাইবে না আপনার স্বপ্ন পূরণের জন্য কতটা ডেডিকেশন ছিল আপনার! সবাই শুধু আপনার ফলাফলের অপেক্ষায়!

আপনি যখন স্বপ্ন পূরণ করতে ব্যর্থ হবেন তখন আপনার কেমন লাগবে! নিশ্চয় খারাপ লাগবে! সেটা সবার থেকে বেশিও বটে। কারণ সবাই তো শুধু আপনার ফলাফলটাই দেখলো। আপনি কিভাবে পেলেন অথবা কেনই ব্যর্থ হলেন এসব দেখবে না। তবে আমাদের অবশ্যই তকদিরেও বিশ্বাস করতে হবে। আপনার কপালে লেখা না থাকলে সেটা কখনোই সম্ভব না। তবে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে সাফল্য লাভ করা যায়।

আপনারা হয়তো ইতোমধ্যে বুঝে গেছেন আমি বুঝাতে চলেছি! আমি ডুয়েটে পরীক্ষা দিয়েছিলাম। কিন্তু আমার হয়নি। আমি এমন অবস্থায় আছি না পারছি কাউকে কিছু বলতে না পারছি কারো সামনে যেতে! বলতে গেলে মানসিকভাবে খুবই প্রেসারে আছি বলতে পারেন। তারপরও লেখালেখিটা শুরু করছি। যেহেতু আমার কথাগুলো এখানে ছাড়া কাউকে বলতেও পারবো না। এটা ভেবে একটু ভালো লাগছে। তবে আমি বিশ্বাস করি উপরে একজন আছে। নিশ্চই তিনি সবই জানেন, বুঝেন। আল্লাহ তায়ালাই একমাত্র উত্তম পরিকল্পনাকারী।

আমাদের একটা ভ্রান্ত ধারণা থাকে এডমিশন ক্যান্ডিডেট যারা ডুয়েটে চান্স পায়নি তাদের প্রতি! অথচ তারাও কিন্তু সেই লেভেলের কঠোর পরিশ্রম করেছে। কিন্তু ভাগ্য সহায় হয়নি। আমি দেখেছি এডমিশনে যারা আসে তারা কতটা ডেডিকেটেড ছিল পরীক্ষা নিয়ে। একটা পাবলিক ভার্সিটিতে পড়ার সবারই স্বপ্ন থাকে। কারো সেই স্বপ্ন যেন স্বপ্নই রয়ে যায়। আবার কারো সেই স্বপ্নটা পূরণ হয়। তবে স্বপ্ন পূরণ হয়নি বলে জীবন থেমে থাকবে বিষয়টা কিন্তু এমনও নয়! জীবন কিন্তু জীবনের নিয়মেই চলবে।

সমাজে চোখে হয়তো আপনি একজন লোজার! কিন্তু আপনি তো জানেন আপনি কেমন! তাই সমাজের মানুষদের কথাও কর্ণপাত করাও ঠিক হবে না। আমি এখন এটাই ফেইস করছি! তবে এটা ভেবে নিজেকে সান্তনা দিতে পারতেছি যে আমি আমার শেষ চেষ্টা করেছি! চেষ্টার কোনো কমতি আমি রাখেনি। আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন। সকলের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে আজকের মতো এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ 🌼🦋

---

---

10% beneficary for @shyfox ❤️

ধন্যবাদ সবাইকে

---

---

---

VOTE @bangla.witness as witness

OR

SET @rme as your proxy

আমি কে?

^{আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,ব্লগিং,কুকিং,রিভিউ,ডাই ইত্যাদি করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।}