৫ম পর্বঃ অধরা পরী

06-04-23

২৩ চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ


আসসালামুআলাইকুম সবাইকে


কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই অনেক ভালো আছেন!
ভালো থাকাটাই সবথেকে বড় বিষয়। যাক আপনাদের মাঝে নতুন একটি গল্প শেয়ার করেছিলাম। তারই ধারাবাহিকতায় আপনাদের সাথে নতুন একটি পর্ব নিয়ে হাজির হলাম। দেখতে দেখতে গল্পের পঞ্চম পর্বে চলে এলাম! আশা করি আজকের পর্বটিও উপভোগ করবেন।

heart-3085515__480.jpg

copyright free image from pixabay

৪র্থ পর্বের পর

"কিছু করছি না! কিন্তু আপনি কে? "
"আমাকে চিনতে হবে না! "
"মানে!
"মানে কিছু না! ভাইয়া আপনাকে কিছু বলেছিল পরে? "
"ওহ আচ্ছা, চিনেছি এবার! একটুর জন্য বেচেঁ গিয়েছি! "
"চিনতে পারলে ভালো। আমি ভয়ে ছিলাম তখন। ভাইয়া, কি জানি কি করে বসে! "
"ভয় কেন? ভাগ্যিস সজিব তখন এসেছিল! "
"হুমম! না হয় বুঝতেন! আর এভাবে আসবেন না আমাদের এখানে! "
"কেন আসবো না! তোমাকে না দেখে যে থাকতে পারি না! "
"আসবেন না! এতো দেখতে হবে না! স্কুলে যাওয়ার সময় দেখা হবে! "
"ঠিক আছে। কোথায় দাঁড়াবে তুমি? "
"জানি না! "
"আচ্ছা, আমি তোমাকে খুজেঁ নিবো! কিন্তু তুমি আমার ফোন নাম্বার পেলে কার কাছ থেকে! "
"সজিবের কাছ থেকে নিয়েছি! আপনার অবস্থা জানার জন্য! "
"ওহ আচ্ছা! কি করো তুমি তাহলে এখন! "
"এখন পড়তে বসবো। আর মেসেজ দিবেন না ফোনে! "
"ঠিক আছে! "

হঠাৎ করে ঝর্ণার মেসেজ পেয়ে আসিফের যেন আরও ভালো লাগছে। হৃদয়ের অনুভূতি যেন জেগে উঠে ভালোবাসার মানুষের সাথে কথা বললে। সে পাশে থাকলে সবকিছু যেন জয় করার সাহস পাওয়া যায়।

কলম কামড়াতে কামড়াতে আসিফ ঝর্ণার কথাই ভাবতে থাকে। ঝর্না তার জীবনে আসার পর থেকে আসিফ অনেকটাই পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে। সৌরভ সেটা ভালোভাবেই খেয়াল করছে। কাল স্কুলে গেলে দেখা হবে ঝর্ণার সাথে!

পড়ায় মনোযোগ দেয় আসিফ। পড়তে পড়তে রাত সাড়ে এগোরটা বেজে যায়। ততক্ষণে আসিফের মা ঘুমিয়ে যায়। আসিফ তার মাকে না ডাক দিয়ে নিজে খাবার নিয়েই খেতে বসে যায়। পাশেই ছিল টিভির রিমোট! টিভি অন করে আসিফ । একটি চ্যানেলে নাটক হচ্ছে। তার প্রিয় অভিনেতা অপূর্বর। আসিফ বরাবরই তার ভক্ত। বিশেষ করে রোমান্টিকতার যত কথা সেই সব বলতে গেলে নাটক থেকেই শিখছে। কিন্তু বাস্তবে এর ব্যবহার কতটুকু আদৌ কি জানা আছে। খাওয়া শেষ করে রুমে চলে আসে আসিফ।

ফোনে এলার্ম সেট করে শুয়ে পরে! সকাল স্কুলে যেতে হবে। এসেম্বলিতে এটেন্ড করতে হবে। নয়তো হারুন স্যারের পেদানি খেতে হবে আবার। এসেম্বলিতে লেইট করে গেলেই স্যার সবাইকে মাঠে কানে ধরিয়ে রাখে। বালিশের পাশে ফোন রেখেই আসিফ ঘুমিয়ে পরে। সকালে এলার্ম বাজার আগেই আসিফ উঠে পরে ঘুম থেকে! সৌরভ বাসায় এসেছে। অনেকক্ষণ ধরেই সৌরভ বাহিরে দাড়িঁয়ে আছে। আসিফের জন্য প্রতিদিন দাড়িঁয়ে থাকতে হয়। আসিফের যে এটা রোজকার স্বভাব সেটা সৌরভ ভালো করেই জানে!

-কি রে উঠবি! নাকি চলে যাবো।
-দাড়াঁ আরেকটু!
-সময় তো শেষ প্রায়। এখনও তো ফ্রেশই হসনি!
-পাচঁ মিনিট বস একটু! ফ্রে হয়ে নেই।
-ঠিক আছে। তাড়াতাড়ি কর।

বিছানার উপরেই আসিফের ফোন রাখা ছিল! হঠাৎ করেই মেসেজ! সৌরভের সামনে ভেসে উঠে! সৌরভ আগ্রহ নিয়ে ফোনটা হাতে নেই। হাতে নিয়ে বোঝার বাকি রইল না যে ঝর্না তাকে মেসেজ দিয়েছে।

রুমে আসতেই সৌরভ আসিফকে বলে, "ঝর্না তোকে মেসেজ দিয়েছে, দেখ! "
"কি বললো! "
"আমি কি জানি! "
" তুই দেখিস নি! " না! "

"কোথায় আপনি? "

" কিরে ঝর্না তো মেসেজে বললো কোথায় আছি এখন! "
"বল, বাসায় আছি! সৌরভকে নিয়ে স্কুলে যাচ্ছি! "

ঝর্নার মেসেজের রিপ্লাই দেই, "আমি এখন বাসায় আছি! সৌরভকে নিয়ে স্কুলে যাবো! কেন? "

ঝর্নাকে মেসেজ দিয়েই আসিফ আর সৌরভ বের হয় পরে। ব্রিজ পার হতেই পকেটে ফোন টং করে বেজে উঠে!

"আমি আর দিনা নদীর পাড়ে দাড়িঁয়ে আছি! আপনি আসবেন এদিকে? "

বন্ধু! ঝর্না আর দিনা তো দাড়িঁয়ে আছে নদীর পাড়ে! যেতে বলতেছে, এখন কি করি! " "তুই গেলে যা, আমি যাবো না! হারুন স্যারকে তো চিনিস! লেইট করে গেলেই মার খেতে হবে! "
"আমার ব্যাগটা নিয়ে যেতে পারবি? আমি না হয় টিফিন আওয়ারে ক্লাস করলাম! " "পারবো না ভাই, দুই ব্যাগ নিয়ে গেলে ধরা খেতে হবে! ব্যাগ নিয়েই চলে আসিস! সমস্যা নেই! " "ঠিক আছে, তুই তাহলে চলে যা! "

"তোমরা নদীর পাড়ে কি করছো?"
"কিছু না! আপনি আসবেন কি না বলেন!"
"হুমম আসছি! "

আসিফের হার্টবিট যেন বেড়ে যায়। হঠাৎ করে ঝর্না নদীর পাড়ে কেন যেতে বললো! ব্রিজ পার হতেই নদীর পাড়ের রাস্তা। আসিফ সৌরভকে বিদায় দিয়ে একা একাই হেটেঁ যেতে থাকে। নদীতে স্রোত অনেক। সাথে জাম্বুরি ভেসে যাচ্ছে। আসিফের মনে নদীর স্রোতের মতোই একটার পর একটা প্রশ্ন যেন ভেসে যাচ্ছে! "কি জন্য ঝর্না হঠাৎ করেই ডেকেছে! "
সাথে দিনাও আছে। এভাবে কখনো দেখাও করতে চাইনি ঝর্না!

চলবে....



10% beneficary for @shyfox ❤️

C3TZR1g81UNaPs7vzNXHueW5ZM76DSHWEY7onmfLxcK2iNzq2MSXKSji21JRspt4nqpkXPR5ea7deLzvmJtuzVBwdLJUpBqtgAZ5gHtHPbayD2jR3CWqjkJ.png

ধন্যবাদ সবাইকে



WhatsApp Image 2021-12-23 at 19.46.54.jpeg


VOTE @bangla.witness as witness

witness_proxy_vote.png

OR

SET @rme as your proxy


witness_vote.png

আমি কে?

IMG20210908180509.jpg

আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,ব্লগিং,কুকিং,রিভিউ,ডাই ইত্যাদি করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।

Sort:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.14
JST 0.028
BTC 59377.35
ETH 2639.75
USDT 1.00
SBD 2.45