শেষ পর্ব || শ্যামাঙ্গনা
12-06-2024
২৯ জৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
🌼আসসালামুআলাইকুম সবাইকে🌼
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো ও সুস্থ্য আছেন। তো সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজকে চলে এলাম গল্পের অন্তিম পর্ব নিয়ে। আশা করছি আজকের পর্বটিও আশা করছি পড়বেন। আগের পর্বটি না পড়ে থাকলে লিংকে ক্লিক করে আগের পর্বটি পড়ে আসতে পারেন।
৪র্থ পর্বের পর
ইভানের কথা শুনে সবাই অবাক! এতো বড় মিথ্যা বলার পরেও ইভান কেন বিয়েতে সম্মতি দিচ্ছে! রিমি তখন পাশ থেকে বলে উঠল -
' ভাইয়া, এ বিয়েটা কেন করবি? তোর চোখের সামনেই না প্রমাণ হলো সব!'
' আমি কখন বললাম যে মায়াকে আমি বিয়ে করবো!
' তাহলে কাকে বিয়ে করতে চাস তুই? '
ইভানের সোজাসাপ্টা উত্তর -
' আমি কাজলকে বিয়ে করতে চাই! '
ইভানের মায়ের আবার ছেলের উপর যথেষ্ট ভরসা আছে। ছেলে নিজের ভালোটা অবশ্যই বুঝে। তবে ইভানের পছন্দ হলেই তো হবে না। কাজলেরও সম্মতি থাকতে হবে বিয়েতে! রফিক সাহেব কাজলকে ডাকুন! কাজলের মুখ থেকেই শুনতে চাই! আমার ছেলের সাথে বিয়ে হতে তার আপত্তি আছে কি না!!
রফিক সাহেব তৎক্ষণাৎ কাজলকে ডাকলো । কাজল দরজার পাশেই দাঁড়িয়েছিল। রফিক সাহেব খুবই খুশি। মা মরা মেয়েটাকে ভালো একটা ছেলের হাতে তুলে দিতে পারবে। রফিক সাহেবের চোখের কোণে জল চলে এলো! এমন সময় জোবায়দা বেগম মায়াকে নিয়ে অন্য রুমে চলে গেল। রুমে গিয়েই ধপাস করে দরজা লাগিয়ে দিল!
তখন রফিক সাহেব বললো -
" কাজল, মা! একটু এদিকে আয় তো! "
মাথা নিচু করে বাবার সামনে আসলো। বাবার কাছে আসতেই ইভানের মায়ের প্রশ্ন! আমার ছেলে তোমাকে বিয়ে করতে চাই এতে তোমার কোনো আপত্তি নেই তো!
কাজলের সহজ স্বীকারোক্তি!
" বাবার যা বলবে তাই হবে! বাবা সম্মতি দিলে আমি রাজি। "
কাজলের বাবা কাজলের মাথায় হাত রাখলো এবং বললো,
" ইভান ছেলেটা ভালো মা! আমি ইভানের সাথে তোর বিয়েতে সম্মতি দিলাম! "
রফিক সাহেবের কথা শুনে ইভান অনেক খুশি হলো। ইভান তখন তার মা কে উঠলো -
" আজকেই আংটি পরিয়ে যায় মা। আর বিয়ের তারিখটাও ঠিক করে ফেলো! "
ইভানের ছেলের কথাতেই সম্মতি দিল। ছেলের কথা মতো সেদিনই আংটি পরিয়ে গেল কাজলকে! ঠিক এক সপ্তাহ পরে বিয়ের তারিখ নির্ধারণ করা হলো।
ঠিক এক সপ্তাহ পরেই কাজলকে বউ করে নিয়ে গেল ইভান! আজ তাদের বাসররাত! ইভান দরজা বন্ধ করে হেসে হেসে কাজলের কাছে আসলো। কাজল লালা বেনারসী শাড়ি আর তার মায়ের গহনা পরে আছে। মেয়েটাকে দেখতেও ইভানের ভালো লাগছে। ইভান কাজলের কাছে যেতেই বলে উঠলো -
" বলেছিলাম না! বিয়ে করলে আমি তোমাকেই করবো। দেখো, আজ থেকে তুমি আমার! "
কাজলের চোখের কোণে জল চলে এলো। এ যেন খুশির এক কান্না!
ঠিক তখন ইভান কাজলকে বুকে জড়িয়ে নেয় এবং বলে -
" আমি তোমাকে রানী করে রাখবো। কখনোই তোমাকে কষ্ট দিবো না! ভরসা রেখো। "
শেষ,,,,,,
10% beneficary for @shyfox ❤️
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। সম্প্রতি আমি ইলেকট্রিক্যাল থেকে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করেছি। এখন বিএসসি এর জন্য প্রিপারেশন নিচ্ছি। পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত দু বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। যাক,
নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,ব্লগিং,কুকিং,রিভিউ,ডাই ইত্যাদি করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।
twitter share
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.