৪র্থ পর্ব || শ্যামাঙ্গনা

in আমার বাংলা ব্লগlast month

22-05-2024

০৮ জৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ


🌼আসসালামুআলাইকুম সবাইকে🌼


কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো ও সুস্থ্য আছেন। তো সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজকে চলে এলাম গল্পের চতুর্থ পর্ব নিয়ে। আশা করছি আজকের পর্বটিও আশা করছি পড়বেন। আগের পর্বটি না পড়ে থাকলে লিংকে ক্লিক করে আগের পর্বটি পড়ে আসতে পারেন।

book-4133988_1280.jpg

copyright free image from pixabay

৩য় পর্বের পর

" আমার আপনাকে পছন্দ হয়েছে কাজল! বিয়ে করবেন আমাকে? "

ইভানের এমন কথা শুনে কাজল হা করে তাকিয়ে রইল!

" কি বলেন এসব!! আপনি আমার বোনকে বিয়ে করতে এসেছেন। বিয়ে করলে তাকেই করেন। আপনি বরং দুলাভাই হিসেবে ঠিক আছেন! "

" আপনার বোনকে বিয়ে করবো পরে। আগে পরীক্ষায় পাস করুক সে, হাহাহা! "

ইভানের হাসি দেখে কাজল কিছুটা ইতস্তত বোধ করলো! কিসের পরীক্ষার কথা বললেন আপনি?

" আপনার বোনকে চা বানাতে দিয়েছি। যদি সে পাশ করে তবেই তাকে বিয়ে করবো! "

ইভানের কথা শুনে কাজল ঢোক গিলল! মায়া তো কিছুই পারে না। ও কিভাবে চা বানাবে! রান্না করতে গিয়ে এদিক সেদিক তো হয়েই যাবে।

আপনি কি কাজটা ঠিক করেছেন??

" কোন কাজটা!"

" এই যে আমার বোনকে পরীক্ষায় ফেললেন। যদি সে ব্যর্থ হয় তখন! বিয়ে করবেন না তখন! "

ইভানের সহজ স্বীকারোক্তি, না! বিয়ে করলে আমি আপনাকেই করবো! ঠিক তখনই ইভানের ডাক আসে। ইভান নিচে চলে যায়। কাজল ভাবছে, আমার মতো সাদাসিধে মেয়েকে কেনই বা পছন্দ করে। এ ছেলে তো সরাসরি বিয়ের কথা বলে দিল!

নিচে গিয়ে ইভান সোফায় বসে! মা বোনের মাঝে! অপেক্ষার পালা শেষ! মায়া তিন কাপ চা বানিয়ে নিয়ে এসেছে। চায়ের কাপে কোনোটাতে চা কম আবার কোনেটাতে বেশি! চায়ের রঙটাও বেশি গাঢ়! ইভানের মা চা মুখে দিতেই যেন চোখমুখ উপরে উঠে গেল!

এই চা তুমি বানিয়েছো?

" জ্বি, আন্টি ! কেন? "

" এটাকে চা বলে!! এ তো দেখছি তিতোর ঔষধ! "

ইভানের মায়ের কথা শুনে মাথা নিচে করে দিল মায়া।

" তার আগে বলো তোমার মা আমাদের কাছে মিথ্যা কেন বললো! মায়া আমতা আমতা করছে। কিছু বলতে পারছে না। মায়ের জন্য সবার সামনে অপমানিত হতে হলো মায়াকে। জোবায়দা বেগম যখনই বলতে যাবে তখন ইভান হাত বাড়িয়ে থামিয়ে দিল!

" দেখলে তো মা! কাউকে বাহ্যিকভাবে বিবেচনা না করে বরং অভ্যন্তরীণ ভাবে বিবেচনা করা উচিত! হতেই পারে একজন মেয়ে বিয়ের আগে রান্না জানে না। তাই বলে মিথ্যা বলে রান্না পারে বলাটা অন্যায়। আমি অনেক মানুষের সাথে মিশেছি। মানুষের বাহিরটা দেখে কখনো কাউকে বিচার উচিত নয়! তো বলেন, চা টা কে বানিয়েছে? "

জোবায়দা বেগম মাথা নিচু করে বসে রইল। কোনো কথা বলছে না। স্থবির পরিবেশ তৈরি হয়ে গেল! ঠিক তখন রফিক সাহেব এসে হাজির! রফিক সাহেব এসে সোজা জোবায়দা বেগমের মুখের উপরে বলে দিল! আসলে আমার স্ত্রী নিজের স্বার্থ ছাড়া কিছুই বুঝে না। তার স্বার্থ হাসিল না হলে সে ইনিয়ে বিনিয়ে অনেক মিথ্যা বলবে! আপনারা কিছু মনে করবেন। আমি খুবই লজ্জিত আমার স্ত্রীর ব্যবহারের জন্য! আসলে কাজল আমার মেয়ে। আপনারা আসবেন বলে কাজল আগেই সবকিছু রান্না করে রেখেছিল। এখানে মায়া ও তার মায়ের কোনো হাত নেই!

ইভানের মা রফিক সাহেবের কথা শুনে ছিঃছিঃ করছে। এতো বড় মিথ্যা কথা বলতে পারলো কিভাবে!

চলো মা, এ বাসায় আর মুহূর্তও থাকা যাবে না! কোনো পবিত্র সম্পর্কের শুরু মিথ্যা দিয়ে হতে পারে না। যেখানে উনারেই আমাদের সাথে মিথ্যা বলে এতোক্ষণ বিভ্রান্ত করলো!

এই বলে ইভানের মা ও রিমি উঠে দাঁড়ালো! চল বাবা,এই মেয়েকে তোর বিয়ে করতে হবে না! ঠিক তখনই ইভান বলে উঠল -
" মা, আমি বিয়েটা করবো! "

" কি বলছিস তুই এসব! এই মেয়েই তে তোর সাথে প্রতারণা করলো! "

চলবে,,,,



10% beneficary for @shyfox ❤️

C3TZR1g81UNaPs7vzNXHueW5ZM76DSHWEY7onmfLxcK2iNzq2MSXKSji21JRspt4nqpkXPR5ea7deLzvmJtuzVBwdLJUpBqtgAZ5gHtHPbayD2jR3CWqjkJ.png

ধন্যবাদ সবাইকে



WhatsApp Image 2021-12-23 at 19.46.54.jpeg

আমি কে?

IMG-20211205-WA0092.jpg

আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। সম্প্রতি আমি ইলেকট্রিক্যাল থেকে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করেছি। এখন বিএসসি এর জন্য প্রিপারেশন নিচ্ছি। পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত দু বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। যাক,
নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,ব্লগিং,কুকিং,রিভিউ,ডাই ইত্যাদি করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।

Sort:  
 last month 

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 last month 

কিছু কিছু মেয়ের মা মেয়ের বিয়ের ক্ষেত্রে আসলেই এমনটা করে। তারা এমনভাবে বলে যে,সবাই বিশ্বাস করতে বাধ্য। কিন্তু বিয়ের পর যখন দেখে মেয়ে কিছুই রান্না করতে পারে না, তখন অনেক কথা শুনতে হয়। আসলে মিথ্যার আশ্রয় নেওয়া কখনোই উচিত নয়। আমার মতে ইভান কাজলকে বিয়ে করলেই তো ভালো হয়। যাইহোক পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম ভাই।

 last month 

আপনাকে অসংখ্য ভাইয়া গল্পটি পড়ার জন্য 🌸

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.13
JST 0.030
BTC 62622.21
ETH 3446.17
USDT 1.00
SBD 2.50