শেষ পর্বঃ নীল শাড়ি
16-10-2022
০১ কার্তিক ,১৪২৯ বঙ্গাব্দ
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে
কেমন আছেন সবাই? নিশ্চয় অনেক ভালো আছেন। আমি আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি 🌼। যাক, বাংলা আরেকটি নতুন মাসের শুরু হয়ে গেল। ঠিক এই সময়টাতে শীতের আমেজ শুরু হয়ে যায় বাংলাদেশে। কিন্তু জলবায়ুর পরিবর্তনে এখন ভিন্ন চিত্র দেখা যায়। ছোটবেলায় দেখতাম সেপ্টেম্বর এর শুরু থেকেই শীতের আমেজ শুরু হয়ে যেত। এখন আর তেমন দেখা যায় না। যায়হোক, ওদিকে আর না যায়। আপনাদের সাথে একটি গল্পের কয়েকটি পর্ব শেয়ার করেছিলাম। আজকে গল্পের শেষ পর্বটি শেয়ার করবো। আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
৫ম পর্বের পর
আবির সারাকে ভালোবাসে এটা সারা বুঝতে পারে। কিন্তু সারাও আবিরকে ভালোবেসে ফেলেছে। দুদিন পর বসন্ত! সারার ইচ্ছে আবিরের সাথে পুরো শহর ঘুরে বেড়াবে। কিন্তু আবিরকে সে সারপ্রাইজ দিবে একটা। আবিরও কাজে মনোযোগী । প্রতিদিন আগেই চলে যায় রেস্টুরেন্ট এ। আবির জানে বসন্তকাল চলে এসেছে। ফাল্গুনের শুরুটা প্রিয় মানুষটার সাথে কাটাতে পারলে মন্দ হয় না। এদিকে দুপুর ঘনিয়ে এলো। দুপুরের খাবার খেয়ে আবির আবার কাজ শুরু করে । দেখতে দেখতে সন্ধ্যায় ঘনিয়ে এলো। আবিরের চিন্তা হচ্ছে। এখনও সারা আজ আসেনি। আবির ভাবতে থাকে কিছু কি হয়েছে সারার! কিছুক্ষণ পরেই সারার ফোন! আজ আসতে পারবে না। তার মায়ের শরীরটা ভালো নেই, বাসায় চলে যেতে হবে। সারা অফিসের কাজ শেষ করে বাসা চলে যায়।
আবিরের আজ বেশি কাজ করতেও মনে চাইছে না। মতিন ভাইয়ের সাথে কথা বলে আবির বাসায় চলে যায়। বাসায় গিয়ে সারাকে ফোন দিয়ে অবশ্য বলে তার মায়ের শরীর কেমন। সারা বলে আগের থেকে এখন ভালো আছে। তবে ডাক্তার বলেছে কিছুদিন বিশ্রামে থাকার জন্য। যাক, কিছুটা স্বস্তি পাওয়া গেল। দুদিন পর ফাল্গুন মাস। বসন্তের শুরুটা যেখান থেকে হয়ে থাকে। বসন্ত উপলক্ষে সারাকে আবির গিফট দিবে। এজন্য সে একটি জামদানি এর মধ্যে নীল একটি শাড়ি কিনে। যে শাড়িতে সারাকে আবির প্রথম দেখেছিল। পরদিন যখন রেস্টুরেন্ট এ কাজ করতে আসে তখন আবির সারাকে একটি গিফট বক্স হাতে ধরিয়ে দেয় এবং বলে যে বাসায় গিয়ে দেখতে। সারা বলে এখন দেখি কি আছে? কিন্তু আবিরের রিকোয়েস্ট ছিল সে যেন বাসায় গিয়ে বক্সটা খুলে দেখে।
সারা কাজ শেষ করে বাসায় চলে যাবে। ঠিক সেসময় আবিরও সারার সাথে খানিকটা পথ হেটেঁ যায়। তার মায়ের কথা জিজ্ঞেস করে। ভালোই আছে বলে। আবির যাওয়ার সময় সারাকে বলে দেয় কাল অপেক্ষা করবে তার জন্য। বসন্তের শুরুটা তাকে নিয়ে কাটাবে। সারার ইচ্ছের সাথে যেন মিলে যাচ্ছে। সারা প্রকাশ করে নি। কথা বলতে বলতে বাসায় চলে আসে সারা। বাসায় এসে গিফটের প্যাকেজিংটা খুলে দেখে এর ভিতরে নীল একটি শাড়ি সাথে খামে লেখা "আপনাকে নীল শাড়িতে দারুণ লাগে, বলতে পারেন আপনাকে নীল শাড়িতে দেখেই আমার ভালো লেগে যায়। " সারা এটা দেখে ভীষণ খুশি হয়। সকালে আবিরকে নিয়ে পুরো শহর ঘুরে বেড়াবে দুজন। সারার বাসার নিচে আবির দাড়িঁয়ে থাকে। ঘড়িতে তখন সাড়ে নয়টা বাজে। পড়নে পাঞ্জাবী। সারা আবিরের দেয়া শাড়িটা পরেই বাসা থেকে বের হয়। বের হতেই দেখে আবির দাড়িঁয়ে আছে। আর আবির অপলক দৃষ্টিতে সারার দিকে তাকিয়ে আছে। প্রথম যেদিন সারাকে নীল শাড়িতে দেখেছিল, আজ তার থেকেও যেন বেশি সুন্দর লাগছে।
সারা আবিরের কাছে আসতেই আবির সারাকে ধন্যবাদ দেয়। সারা তখন জিজ্ঞেস করে, ধন্যবাদ কেন? নীল শাড়িটা পরে আসার জন্য। তারপর দুজন পুরো শহর ঘুরে বেড়াবে। একটা রিকশা ভাড়া নেয়। রিকশাতে উঠেই আবির সারার হাতটা ধরে বসে থাকতে চায়। সারা তার হাতটা আবিরের দিকে বাড়িয়ে দেয়। আবির সারা হাত ধরে কল্পনার জগতে যেন চলে যায়। আবির তখন সারাকে বলে দেয় তাকে সে অনেক ভালোবাসি। সারাও বলে যে তাকে অনেক ভালোবাসে। আবিরের কাধেঁ মাথা রাখে সারা। এটাই প্রেমিকার যেন নিরাপদ স্থান। প্রেমের মুহূর্তগুলো বড্ড সুন্দর। কিছুদূর আগাতেই একটি ফুলের দোকান দেখতে পায় আবির। রিকশা মামাকে রিকশা থামাতে বলে। আবির ফুলের দোকান থেকে বকুল ফুৃলের মালা কিনে নিয়ে আসে সারার জন্য। চুলের খোঁপায় বেধেঁ দেয় আবির। এভাবেই চলতে থাকে তাদের ভালোবাসার মুহূর্তগুলো।
10% beneficary for @shyfox ❤️
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,ব্লগিং,কুকিং,রিভিউ,ডাই ইত্যাদি করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।
Hello friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আবির আর সারার ভালোবাসার মুহূর্ত গুলো বেশি ভালো লেগেছে। বসন্ত সুন্দর মুহূর্ত কাঠিয়েছে। বিশেষ করে আবির সারাকে একটি নীল শাড়ি গিফট করেছে এটা বেশ ভালো লাগলো। আমার সারাও গিফট পেয়ে ভীষণ খুশি। দেখলাম আবির সারাকে গিফট বক্সটা বাড়িতে নিয়ে গিয়ে খুলতে বলল। বাসায় নিয়ে গিপট বক্স খুলে একটি নীল শাড়ি এবং একটি খাম ছিল। খামের লেখা কথাগুলো পড়ে সারার ভীষণ ভালো লাগে। পরের দিন নীল শাড়ি পড়ে তার সাথে পাঞ্জাবি দুজনে বেশ সুন্দর সময় কাটায়। এই ধরনের ভালোবাসার মুহূর্ত গুলো সত্যি ভালো লাগে।
জি আপু আপনি একদম ঠিক ধরেছেন। ভালোবাসার মুহূর্তগুলো সুন্দর ছিল। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ চমৎকার একটি মন্তব্য করার জন্য।