৩য় পর্ব || শ্যামাঙ্গনা

in আমার বাংলা ব্লগ2 months ago

15-05-2024

০১ জৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ


🌼আসসালামুআলাইকুম সবাইকে🌼


কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো ও সুস্থ্য আছেন। তো সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজকে চলে এলাম গল্পের তৃতীয় পর্ব নিয়ে। আশা করছি আজকের পর্বটিও আশা করছি পড়বেন। আগের পর্বটি না পড়ে থাকলে লিংকে ক্লিক করে আগের পর্বটি পড়ে আসতে পারেন।

book-4133988_1280.jpg

copyright free image from pixabay

২য় পর্বের পর

রান্না নিয়ে তৎক্ষণাৎ একটা হট্রগোল বেধেঁ গেল! এদিকে ইভান মনে মনে কাজলকে খুজঁছে! মেয়েটা দেখতে এতো মায়াবী! দেখে কখনো কাজের মেয়ে মনে হয় না! কাজের মেয়ে হলে তো এতো ভদ্রতাবোধ থাকতো না। চলনভঙ্গি দেখেই বুঝে যাওয়া যেত! কিন্তু কাজলের ব্যাপারটা পুরোপুরি অন্যরকম। ইভান মনোযোগ নিয়ে আসলো মায়ের দিকে। ইভানের মায়ের আবার মায়াকে বেশ পছন্দ হয়েছে। ছেলের পছন্দ হলেই বিয়ের কথা আজই পাকা করে ফেলবে।

মায়ার মা জোবায়দা বেগম উপস্থিত মেহমানদের সামনে বলে উঠল - টেবলে রান্না করা যা দেখছেন সবই মায়ার হাতে রান্না করা। আপনারা চাইলে খেয়ে দেখতে পারেন! মায়া তৎক্ষণাৎ মায়ের দিকে তাকালো! মা মিথ্যা বলছে কেন? যদি রান্নার পরীক্ষা দেয় তখন কি হবে? তখন তো ধরা খেয়ে যাবো! তখনই রিমি বলে উঠল -

  • তাহলে খাবার খেয়ে দেখে নেয়া যাক!

টেবলের উপর থেকে পায়েস নিল। ইভান ও তার মাকে নিজ হাতেই দিল রিমি!

পায়েস খেয়ে মায়ার প্রশংসাও করলো ইভানের মা! খুবই মজা হয়েছে পায়েস। তাছাড়া সেমাই রান্নাটাও ভালো হয়েছে।

রান্না যেহেতু ভালো হয়েছে মায়াকে ভাইয়ার সাথে বিয়ে করাতে আপত্তি নেই! জোবায়দা বেগম যেন হাফ ছেড়ে বাচঁল! মায়াকে তাহলে বিয়েটা দেয়া যাবে! আর তখনই ইভানের মা ইভানকে বলে উঠল-

বাবা, মেয়েটাকে তোর পছন্দ হয়েছে?

ইভানের সহজ স্বীকারোক্তি, না! তোমরা কি করে বুঝলে এটা মায়ায় রান্না করেছে। কারো উপরের কিছু দেখে বুঝা যায় না সে কেমন! হতেও পারে এটা মায়া রান্না করেনি!

ইভানের কথাটি জোবায়দা বেগমের গায়ে লাগলো! কিন্তু সরকারি চাকরিজীবী ছেলে। অপমানিতবোধ করার পরেও বলেও উঠল -

" কি বলো বাবা! এটা মায়া ছাড়া আর কে রান্না করবে! আমার মেয়েই রান্নার সব কাজ করে! "

দরজায় দাঁড়িয়ে কাজল সব দেখছে আর হাসছে! কতোবড় ঢাহা মিথ্যা কথা বলে যাচ্ছে জোবায়দা বেগম! তারপর ইভান বলে উঠল -

  • আপনার কথায় কেন বিশ্বাস করবো? আপনিও তো মিথ্যা কথা বলতে পারেন! আজকাল সরকারি চাকরিজীবী ছেলে পেলে মায়েরা তাদের মেয়েকে বিয়ে দিতে পাগল হয়ে যায়! আপনার মেয়ে যে কিছুই পারে না তা বলছি না। আমাদেরকে এক কাপ চা বানিয়ে দেয়ার চেষ্টা করুক! তাতেই প্রমাণ হয়ে যাবে সে কেমন রাধুনী!

ইভান মনে মনে হাসছে! কারণ ইভান বুঝতে পেরেছে মায়া সামান্য চাটুকুই বানাতে পারবে না! কারণ সুন্দরী মেয়েরা রান্না ঘরে কমই যাওয়া আসা করে!

এদিকে দাঁড়িয়ে থাকা মায়া মনে মনে ভাবছে -

জায়গায় দাঁড়িয়ে অপমান করা এমন রসকষহীন ছেলেকে বিয়েই করবো না! এর চেয়েও ভালো পাবো! দেশে কি এতোই ছেলের অভাব নাকি? আমার মাই কেন সব অপমান সহ্য করে যাচ্ছে!

জোবায়দা বেগম তার মেয়েকে বলে উঠল -

" যা তো মা, আমাদের জন্য চারকাপ চা বানিয়ে নিয়ে আয়। "

" যাচ্ছি মা। "
এই বলে মায়া চলে যায়। তবে জোবায়দা বেগমের বিশ্বাস মেয়ের প্রতি। অন্তত চাটুকু তো বানাতে পারবে সে! এই সহজ কাজ যদি না পারে তাহলে সবই বৃথা! মেয়েকে রান্না ঘরে পাঠিয়ে জোবায়দা বেগম টেনশন করছে!

এদিকে ইভান কাজের মেয়ে কাজলের দিকে নজর রাখছে! যদি সে মায়াকে সাহায্য করে! রিমিকে কানে কানে বলে দেয় কাজলকে চোখে চোখে রাখতে! কাজল ছাদে চলে যায় কাপড় লাড়ার জন্য! ইভানও যায় কাজলের পিছু! ছাদে যেতেই দেখতে পায় কাজল কাপড় লাড়ছে দড়িতে! কাজলের চোখ যখনই ইভানের দিকে আসলো সাথে সাথে কাপড়ের আড়ালে লুকিয়ে গেল! দূর থেকেই বলে উঠল -

" আপনি কেন এখানে এসেছেন? "

" তোমার সাথে কথা বলার জন্যই এখানে এসেছি। "

" আমার সাথে এতো কথা বলতে হবে না। যে কাজে এসেছেন সে কাজ করেন গিয়ে! "

চলবে,,,,



10% beneficary for @shyfox ❤️

C3TZR1g81UNaPs7vzNXHueW5ZM76DSHWEY7onmfLxcK2iNzq2MSXKSji21JRspt4nqpkXPR5ea7deLzvmJtuzVBwdLJUpBqtgAZ5gHtHPbayD2jR3CWqjkJ.png

ধন্যবাদ সবাইকে



WhatsApp Image 2021-12-23 at 19.46.54.jpeg

আমি কে?

IMG-20211205-WA0092.jpg

আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। সম্প্রতি আমি ইলেকট্রিক্যাল থেকে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করেছি। এখন বিএসসি এর জন্য প্রিপারেশন নিচ্ছি। পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত দু বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। যাক,
নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,ব্লগিং,কুকিং,রিভিউ,ডাই ইত্যাদি করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।

Sort:  
 2 months ago 

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.13
JST 0.029
BTC 57087.02
ETH 3064.71
USDT 1.00
SBD 2.19