.jpg)
হ্যালো বন্ধুরা,
আশা করছি সবাই ভালো এবং সুস্থ্য আছেন। অসুস্থ্য ব্যক্তিরাই কেবল বুঝতে পারেন ভালো থাকার মর্ম কথা আর অসুস্থ্য থাকার মর্ম ব্যথা। অসুস্থ্য অবস্থায় যে উপলব্ধিটা আমাদের হয় সুস্থ্য হওয়ার সাথে সাথে সেটা কেমন জানি হাওয়ায় মিশে যায়, বাস্তবতা সত্যি বড়ই নির্মম এবং কঠিন। এপাড়ে থাকা অবস্থায় ভাবি ওপাড়ে গিয়েই ঠিক হয়ে যাবো, আবার এপাড়ে এসে ভাবি ওপাড়ে গেলেই একদম ভালো যাবো কিন্তু বাস্তবতা হলো সেটা আর কখনো হয়ে উঠে না। অসুস্থ্য আর সুস্থ্য ব্যক্তির অবস্থানটাই ঠিক অনেকটা সেই রকম। আসলে বিগত দুইদিন বাড়িতে ছিলাম অসুস্থ্যতার কারনে, অফিস যাওয়া হয় নাই।
তাই সুস্থ্য আর অসুস্থ্য বিষয় নিয়ে কিছু বানী শুনিয়ে দিলাম, হি হি হি পয়সা খরচা হয় নাইতো একদমই ফ্রিতে দিলাম। আপনারাও আবার সেই রকমভাবে কিছু সময় পরই সব ভুলে যাবেন, যা পড়লেন তার উপলব্ধিটা হাওয়ায় মিলিয়ে দিবেন, ব্যস কিচ্ছা খতম হি হি হি। ঐ যে স্কুল জীবনের স্মৃতির মতো, কিছু শিক্ষক থাকতেন একটু ত্যাড়া টাইপের, আর আমরাও সেই শিক্ষকদের সাথে একটু বেশী ত্যাড়ামি করতাম। যতই মারো কিংবা শাস্তি দাও তোমার পড়া মুখস্ত কিংবা বাড়ির কাজ করে আসবো না, হি হি হি। যেমন শিক্ষক তেমন ছাত্র, একদম খাপে খাপ মিলে যাইতো। হয়তো আপনারা কিংবা আমি একই কাতারে পরি, আমি লিখে যাই আর আপনারা পড়ে যান, মাঝ খানে যা হওয়ার তাই হয়।
যাইহোক, সুস্থ্য থাকলেই যেমন অনেক কিছু ভালো লাগে না ঠিক তেমনি অসুস্থ্য হলেও অনেক কিছু দারুণ লাগে। যেমন বাড়ির সকলের একটু বাড়তি আদর যত্ন, হোক না কিছুটা সেবা বাড়তি বাড়তি সমস্যা কই, তাই মাঝে মাঝে অসুস্থ্য হতে ভালোই লাগে, অফিস ফাঁকির সাথে সাথে বাড়তি ভালোবাসা জমে একদম ক্ষির হয় যায়। তবে আজকে কিন্তু অফিস করছি, দুদিন বাড়িতে ছিলাম সেটাই বেশী। না আসলে চোখের সমস্যা হয়েছিলো, তিন দিন না হতেই ভালো হয়ে গেলো। কি আর করার, স্বল্প সময়ে যা পেয়েছি তাতেই খুশি, হি হি হি। আজকে স্বাদের একটা রেসিপি শেয়ার করবো, ঝোল ঝোল রেসিপি, যদিও আমি এগুলো কম কম পছন্দ করি। চলুন তাহলে দেখি-
.jpg)
প্রযোজনীয় উপকরণঃ
- টেংরা মাছ
- আলু
- ডাটা
- কাঁঠালের বিচি
- পেঁয়াজ
- কাঁচা মরিচ
- ধনিয়া পাতা
- আদা রসুন পেষ্ট
- হলুদ গুড়া
- মরিচ গুড়া
- ধনিয়া গুড়া
- লবন
- তেল।
প্রস্তুত প্রণালীঃ
.jpg)
প্রথমে মাছগুলোকে পরিস্কার করে নিয়েছি তারপর হালকা হলুদ মরিচের গুড়া ও লবন দিয়ে মাখিয়ে নিয়েছি। এরপর একটা প্যান চুলায় বসিয়ে তেল ঢেলে গরম করেছি এবং মাছগুলোকে ভেজে নিয়েছি।
.jpg)
তারপর পেঁয়াজ কুচি দিয়ে হালকা ভেজে নিয়েছি এবং হলুদ, মরিচ, ধনিয়া, লবন, আদা রসুনের পেষ্ট দিয়েছি কষা করার জন্য।
.jpg)
তারপর মসলাগুলোকে মিক্স করে নিয়েছি এবং হালকা পানি দিয়ে কিছু সময় নিয়ে কষা করেছি।
.jpg)
তারপর আলু, ডাটা ও কাঁঠালের বিচি পরিস্কার করে সেগুলোর সাথে মিক্স করে নিয়েছি তারপর কিছু সময়ের জন্য ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিয়েছি।
.jpg)
কিছু সময়ের পর ঢাকনা তুলে নিয়েছি তারপর ঝোলের জন্য পরিমান মতো পানি ঢেলে আবর ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিয়েছি।
.jpg)
ঝোল কিছুটা ঘন হয়ে আসলে, কাঁচা মরিচ স্লাইস এবং ধনিয়া পাতা কুচি করে দিয়েছি। আরো কিছুটা সময় জ্বাল দিয়ে নামিয়ে নিয়েছি।
ব্যস হয়ে গেলো আজকের স্বাদের রেসিপি, আইটেম বেশী হলেও রান্না করতে কিন্তু বেশী সময় লাগে নাই আর খেতেও বেশ দারুণ হয়েছিলো।
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
.jpg)
.jpg)
.jpg)
.jpg)
.jpg)
.jpg)
.jpg)
.jpg)
.jpg)
.jpg)
.jpg)
.jpg)
ভাইয়া আপনি অসুস্থ ছিলেন জেনে খারাপ লাগলো। আসলে বর্তমানে চোখের সমস্যা সবারই হচ্ছে। আমিও বেশ কিছুদিন থেকে এই সমস্যায় ভুগছি। ভাবির ভালোবাসা আপনার চোখ সাড়িয়ে তুলেছে। কথায় আছে ভালোবাসা মানুষকে অন্ধ করে। আর ভাবির ভালোবাসা আপনাকে সুস্থ করেছে 😍। এখন থেকে এই চোখের দাবী শুধুই ভাবির। এই চোখ দিয়ে শুধু ভাবিকেই দেখবেন। কাঁঠালের বিচি আমার খুবই প্রিয় একটি সবজি। সবজির সাথে টেংরা মাছ রান্না করলে খুবই ভালো লাগে খেতে। দারুণ ছিল রেসিপি।
ভাইয়া আমিও গত কয়েকদিন যাবৎ একটু অসুস্থ ছিলাম। তখন বুঝেছি সুস্থতার কত মূল্য। আপনার লেখা পড়ে মনে হচ্ছে আপনি অসুস্থ অবস্থায় ভালই সেবা পেয়েছে,তাই তারাতারি সুস্থ হয়ে গেছেন। কিন্তুু আপনি মনে মনে চাইছেন আরো কয়েকদিন অসুস্থ থাকতে হা হা হা। মজার একটি রেসিপি দিলেন,টেংরা মাছ আর কাঠালের বিচি আমার অনেক প্রিয়। ধন্যবাদ ভাইয়া।
ভাই আজকে আপনার পোস্টটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো। পোষ্টের মাধ্যমে আপনি একদম বাস্তব কথা তুলে ধরেছেন। আসলে আমরা যখন অসুস্থ হয়ে, আর যখন সুস্থ থাকি তার মধ্যে অনেক কিছু তফাৎ থাকে। যখন অসুস্থ হয় তখন ভাবি সুস্থ হয়ে গেলে অনেক কিছু করব, কিন্তু তখন আর সেই বিষয়টা হয়ে ওঠে না। যখন সুস্থ হয় তখন অসুস্থর কথা ভুলে যায়। যাই হোক আপনি দুইদিন অসুস্থ ছিলেন যার কারণে বাসায় ছিলেন একটু আদর যত্ন বেশি পেয়েছেন। আসলে অসুস্থ হলে বাড়ির মানুষ একটু বেশি আদর-যত্ন করে। যাইহোক অসুস্থ হলেও আদর যত্নে একটু বেশি পাওয়া যায় এটা কম কিসের। তবে আমাদের স্কুল জীবনের কিছু স্যার ছিল একদমই তেড়্যা আর তাদের সাথে আমরাও তেড়্যামি করতাম। পড়াশোনা ঠিকভাবে দিতাম না, আমদের যতই মারো কাজ হবে না। আসলে আমাদের প্রত্যেকের জীবনে এরকম ঘটনা ঘটে গেছে। যাই হোক আজকে আপনি খুবই মজাদার আলু, ডাটা, কাঁঠালের বিচি দিয়ে টেংরা মাছের ঝোল রেসিপি তৈরি করলেন। এই রেসিপির পরিবেশন আমার অনেক ভালো লেগেছে। আসলে এতো সুস্বাদু রেসিপি দেখে খেতে ইচ্ছা করছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
প্রথমেই আপনার সুস্থতা কামনা করছি। এইটা ঠিক বলেছেন অসুস্থ হলে বাসায় একটু বাড়তি খাতির যত্ন পাওয়া যায়, এখন এটা কি ভালবাসা নাকি এটা বুঝানো যে তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে অফিসে যাও টাকা কামাও আর বাসায় থেকে থেকে বাড়তি ঝামেলা দিও না হি হি হি ভাইয়া। যাই হোক সংসারের ঘানি সামনে টেনে নিয়ে যাওয়ার জন্য শত অসুস্থতার মধ্যে আমাদের অফিস করে যেতেই হবে হি হি হি।
ভাইয়া আপনার রেসিপি আমার খুব পছন্দ হয়েছে। আপনি মাছ সবজি এগুলোর রেসিপি বেশি পোস্ট করেন যেগুলো আমার অন্যতম পছন্দের খাবার। আপনার আলু, ডাটা, কাঁঠালের বিচি দিয়ে টেংরা মাছের ঝোল রান্নার রেসিপি সিম্পল হলেও খুব ভাল হয়েছে। ধাপগুলো সুন্দরভাবে দেখিয়েছেন। বলে না সিম্পলিসিটি ইজ দা বেস্ট। ধন্যবাদ ভাইয়া।
ঠিকই বলেছেন ভাইয়া বাস্তব জীবন খুবই নিষ্ঠুর এবং নির্দয় যেটা আমাদের কারণেই হয়ে থাকে।। আসলে সুস্থ থাকলে অসুস্থতার গ্লানিটা মনে থাকে না।। অসুস্থতা যখন নিজের উপর ভর করে তখনই সুস্থ তাকে খুব মিস করি এবং ভালো হওয়ার চেষ্টা করে।। আমাদের চরিত্রটা ঠিক এইরকম যে আজ বাকি কাল নগর।। অনেকবারই বলি নিজেকে শুধরাবো কিন্তু আর হয়ে ওঠে না।।
আলু ডাটা দিয়ে টেংরা মাছের সুস্বাদু লোভনীয় একটি রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন রেসিপিটি দেখেই লোভ হচ্ছে খেতে নিশ্চয়ই খুব মজা হয়েছিল।। আমাদের এদিকে এখন পদ্মার বড় বড় সাদা টেংরা খুব দেখা মিলছে মাঝে মাঝে খাওয়া হচ্ছে।। পৃথিবীর প্রস্তুত প্রণালী খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন শুভকামনা রইল আপনার জন্য।।
আমাদের এই দুনিয়াতে বাস্তবতার মধ্যে সবচেয়ে নির্মম বাস্তবতা হচ্ছে সুস্থতা সবচেয়ে বড় নিয়ামত।ভাইয়া অনেকদিন টেংরা মাছ খাওয়া হয়না। আপনি বেশ বড়সড় টেংরা মাছ দিয়ে ডাটা আলু ও কাঁঠালের বিচি দিয়ে টেংরা মাছের ঝোল রান্না করেছেন। খেতে ইচ্ছা করছে কিন্তু আপনি তো খেতে দেবেন না জানি। এতো সুন্দর করে রান্না করলে কি আর লোভ না দিয়ে পারা যায়।
টেংরা মাছটি আমার কাছে অনেক জনপ্রিয়। কারণ এই মাছটি খেতে আমি অনেক ভালবাসি। আর এই মাছটি আপনি অনেক সুন্দর ভাবে রান্না করেছেন। সুন্দরভাবে রান্না করার পাশাপাশি ধাপগুলো অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন।
আপনার জন্য শুভকামনা রইল
ভাইয়া আপনার এই কথাটা ঠিক যে অসুস্থ হলে বাড়ির সবার একটু আদর যত্ন ভালই লাগে। আর কেন জানি ওটা তুলনামূলকভাবে বেশি বেড়েই যায়। এই যে ধরেন সুস্থ থাকলে সব কিছু খেতে ভালো লাগে। কিন্তু তেমন কিছু এনে কেউ খাওয়ায় না। আর অসুস্থ হলে মুখে রুচি চলে যায় খেতে ভালো লাগে না।তখন সবাই বার বার জিজ্ঞেস করে কি খেতে ইচ্ছে করছে শুধু বল।কি যে জালায় আছি।
এবার বলি আপনার রেসিপির কথা-নদীর টেংরা মাছ দিয়ে রান্না করা যে কোনো তরকারি আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আর রেসিপি কালার দেখিয়ে বোঝা যাচ্ছে অনেক বেশি সুস্বাদু হয়েছে।
এটা ভালো ছিলো! অসুস্থতায় মজা নিয়ে নিলেন আর আমি বিশাল কষ্ট পেলাম।🤣
হাওয়াটা একদম পরীক্ষার খাতার মতো,দেখে দেখে লিখে লাভ হয়না কোনো সব হাওয়া।🥸