কক্সবাজার- অনুভূতির সতেজতায় আনন্দ ভ্রমণ (পর্ব-৬)
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ্য আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি তবে ঔষধ খেয়ে হি হি হি। আসলে চেষ্টা সকল উপায়ে করতে হবে, এইভাবে না হলে তো অন্যভাবে সেটাকে চালিয়ে যেতে হবে, যেমনটা এখন আমি করছি ঔষধ খেয়ে। শারীরিকভাবে আমরা অনেক বেশী দুর্বল হয়ে গেছে, আর খাবারের মানও অনেকটা হ্রাস পেয়েছে যার কারনে আজকাল সাধারণ ঔষধে খুব একটা কাজ হয় না, যার কারনে নিরুপায় হয়েই আমাদের এন্টিবায়োটিকের দিকে হাত বাড়াতে হয়, যদিও এটা মোটেও সুখকর কিছু না আমাদের জন্য। ঐ যে নানা কারনে আমাদের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা করে যাওয়া। আল্লাহ কর্তৃক পাওয়া যে জিনিষটা একবার ক্ষয় হয়ে যায় সেটাকে আর কোনভাবেই আগের অবস্থানে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয় না, এটাই নির্মম বাস্তবতা। আমাদের শারীরিক সক্ষমতা কিংবা রোগ প্রতিরোধের সক্ষমতাটাও অনেকটা সেই রকম। কেউ সারাদিন ভালো খাবার খেয়ে সুস্থ থাকতে পারেন না আবার কেউ কেউ ঠিক মতো না খেয়েও দিব্যি সুস্থ থাকছেন।
যাইহোক, এই বিষয়ে কথা বলার কোন ইচ্ছা নেই আমার, তবে সুযোগ পেলে আবোল তাবোল জীবনের গল্পে কোন একদিন এই বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো। আজকে অবশ্য কক্সবাজার- অনুভূতির সতেজতায় আনন্দ ভ্রমণের ষষ্ঠ পর্ব শেয়ার করার ইচ্ছা পোষণ করছি। যদিও আমার লেখার আগা মাথা কোনটাই ঠিক মতো লাইনে থাকে না, এক কথা দিয়ে শুরু করি তো অন্য কথার মাঝে হারিয়ে যাই হি হি হি। মাঝে মাঝে মনে হয় বাস্তব জীবনে যদি এটা সম্ভব হতো, তাহলে কত জায়গায় যে হারিয়ে যেতাম আর কত জায়গায় যে ইচ্ছে করে লুকিয়ে যেতাম সেটা কেউ কল্পনাও করতে পারতো না, হি হি হি। আমরা মাঝে মাঝে এমন অনেক কিছুই কল্পনা করি, তরপর নিজে নিজেই একা একা মুচকি হাসি, অনেক কিছুর আবেগে।
থাক উল্টা পাল্টা আবেগ বাদ দিয়ে সঠিক আবেগে ফিরে আসি। আমরা সোজা চলে যেতাম একটু আয়েশ করে বিচে বসার জন্য। একটু মজাও করলাম যেহেতু এখন মানুষজন অনেক কম তাই এখন একটু কম রেট রাখা উচিত তাদের। তবে কোন কাজ হলো না যেহেতু তারা প্রফেশনাল সেহেতু আমরা তাদের সাথে মোটেও পারলাম না। রোদের উষ্ণতা হতে বাঁচার জন্য ছাতার নিচে চলে গেলাম এবং দুটো আসন ভাড়া নিলাম। বেশ কিছুটা বিশ্রাম নিলাম, ঢেউয়ের তালে তালে হৃদয়ও চঞ্চল হয়ে উঠলো। ঢেউ বাড়তে থাকলো এবং ধীরে ধীরে সেটা আমাদের আসনের কাছাকাছিও চলে আসলো।
একেকটা ঢেউ বিশাল বড় ছিলো, সাগর উত্তাল থাকলে যেমনটা থাকে। তবে একটা বিষয় ভালো ছিলো যেটা আমি আগেও বলেছিলাম, পর্যটকদের কম উপস্থিতি। আসনে বসেই বেশ উপভোগ করতেছিলাম উত্তাল সাগরের উত্তাল ঢেউ, সাথে কিছু গর্জন একদমই ফ্রি ছিলো। বিশ্রামের সাথে সাথে আমাদের ফটোগ্রাফি কিন্তু থেমে ছিলো না। কখনো ঢেউ, কখনো চারপাশের দৃশ্য আবার কখনো বিচে আছড়ে পড়া ঢেউ এর রূপ। মোটামুটি যত ভাবে দৃশ্যগুলো ক্যাপচার করা যায়, তার পুরোটাই চেষ্টা করেছিলাম আমরা।
যারা উপস্থিত ছিলেন তারা যে খুব সাহস নিয়ে সমুদ্রে ছুটে গেছেন তা কিন্তু না। তারাও বিশাল সাইজের ঢেউ এর জন্য অপেক্ষা করেছেন একদম কিনারায়, তারপর সেই ঢেউয়ের পানি ভেসে কিছুটা ভেজার আনন্দ নেয়ার চেষ্টা করেছেন। আসলে তখন চারপাশে সেফগার্ডরা বেশ তৎপর ছিলেন। তাদের সবর উপস্থিতি ছিলো দেখার মতো। এটা খুব বেশী ভালো লেগেছে, কারন মানুষ হিসেবে আমরা সব সময়ই বেশ অসতর্ক। দেখতে দেখতে পানি বেশ বেড়ে গিয়েছিলো, আমরা যেখানে বসে ছিলাম ঢেউ সেখান হতে আরো পেছনে চলে আসছিলো। তাই আমাদের সাথে সাথে আমাদের স্যান্ডলগুলোও আসনের উপরে উঠে গেলো, হি হি হি।
তারিখঃ মে ২৫, ২০২৪ইং।
লোকেশনঃ কক্সবাজার।
ক্যামেরাঃ রেডমি-৯ স্মার্টফোন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
|| আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে ||
>>>>>|| এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
একভাবে ভালো থাকলেই তো হলো😂। যাইহোক সাগরের বড় বড় ঢেউ দেখতে কিন্তু বেশ ভালো লাগে। তাছাড়া বড় বড় ঢেউ আসলে সমুদ্রে নেমে গোসল করতেও খুব ভালো লাগে। তবে এবার যখন ফেব্রুয়ারিতে অর্থাৎ শীতকালে কক্সবাজার গেলাম, তখন একেবারে ছোট ছোট ঢেউ এসেছিল। তাই গোসল করে ততোটা মজা পাইনি। যাইহোক বৈরী আবহাওয়া থাকা সত্ত্বেও, আপনারা তখন বেশ মজা করেছিলেন ভাই। ফটোগ্রাফি গুলো এককথায় দুর্দান্ত হয়েছে। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
হুম কথা হলো ভালো থাকা নিয়ে হি হি হি। সত্যিই বেশ মজা করেছিলাম আমরা। ধন্যবাদ