গল্প: ভৌতিক সাইকেল। (পর্ব -৬) || Story: Ghost Cycle.
সবাইকে অবাক করে দিয়ে রুবিউকের ভৌতিক সাইকেল ফিনিশিং টাচ স্পর্শ করেছে চোখের পলকে। চারিদিকে একেবারে হৈচৈ পড়ে যায় রুবিউক আর তার অদ্ভুত সাইকেল নিয়ে। প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়ে তারা বেশ বড় একাউন্টের পুরস্কার পেলো। এদিকে ডব্লিং শহর থেকে আগত কিছু লোক রুবিউকের কাছে এসে বলতে থাকে তুমি তোমার সাইকেল নিয়ে ডব্লিং শহরের বড় সাইকেল প্রতিযোগিতায় অংশ নাও, এতে বড় পুরস্কার পাবে। রুবিউক মনে মনে বলতে থাকে এটাই তো আমার মূল টার্গেট।
লোকগুলোর সাথে কথা বলে ডব্লিং শহরের বড় সাইকেল প্রতিযোগিতার সবকিছু জেনে নেয় রুবিউক।
সেদিনকার মতো খুশি মনে বাড়ি ফিরেছে রুবিউক আর তার ভৌতিক সাইকেল। পরদিন সকালেই বেরিয়ে পরে ওরা ডব্লিং শহরের দিকে, খোঁজ নিয়ে চলে যায় সরাসরি সাইকেল চ্যাম্পিয়নশীপের মাঠে। এই সাইকেল চ্যাম্পিয়নশীপে বড় বড় শহর থেকে সবাই এসেছে, আর খেলা দেখার পাশাপাশি চলে কোটি টাকার জুয়ার আসর। মাঠে ঢুকে সে নাম লিখাতে গেলে সবাই তাকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করতে থাকে। অবশেষে একজন লোক এগিয়ে এসে বলে এই ছেলেটা অসম্ভব ভালো সাইকেল চালায় আমি তার খেলা দেখেছি, তাকে এই প্রতিযোগিতায় একটা সুযোগ দেয়া উচিত। অবশেষে আয়োজকরা রাজি হয় রুবিউকদের সুযোগ দিতে।
মাইকে ঘোষণা করা হয় ছোট্ট এক শহরের হিরো তার অদ্ভুত সাইকেল প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে এদের জন্য কে কত টাকা বাজি ধরবে? কেউ তেমন আগ্রহ প্রকাশ করলো না। তবে প্রতিযোগিতায় যে জিতবে সে বিপুল পরিমাণ অর্থ উপহার পাবে আর বাজি ধরলে আরো অনেক বেশি টাকা পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই আইসক্রিম বিক্রেতা একটা নতুন এবং দামী সাইকেলের পেছনে বেশ বড় বাজি ধরে। যাইহোক অবশেষে প্রতিযোগিতার লাইনে সে তার পুরনো সাইকেল নিয়ে দাঁড়িয়েছে, অথচ আশেপাশে সব নতুন আর দামী সাইকেল। এতো দিন তার নতুন সাইকেলের উপর লোভ থাকলেও এখন তার কাছে পুরনো এই সাইকেলটাই সেরা।
রুবিউকের আশেপাশে থাকা নতুন সাইকেল দেখার আজ সময় নেই কারন সে জানে এই প্রতিযোগিতায় সে আর তার সাইকেল জয়লাভ করবে। যথারিতী খেলা শুরু হয়ে যায়, আর সবাইকে অবাক করে দিয়ে রুবিউকের সাইকেল ক্ষীপ্ত গতিতে এগিয়ে যেতে থাকে। অবশেষে সবাইকে ছাড়িয়ে চোখের নিমেষেই ফিনিশিং টাচ স্পর্শ করে। সবার চোখ কপালে উঠে গেছে। কিন্তু কিচ্ছু করার নাই। সবাই যে সাইকেল গুলোর উপর বড় টাকা জুয়া ধরেছিল সবাই সব টাকা হারিয়েছে এবং রুবিউক সব পুরস্কার হিসেবে পাবে।
লোভী আইসক্রিম বিক্রেতার আবারো মনে লোভ জেগে উঠেছে, ইস এই সাইকেল যা গতিতে ছোটে। এই সাইকেল হাতিয়ে বিশাল টাকা কামানো যাবে। সে রুবিউককে পাশে ডেকে নিয়ে আবারো বেশ কিছু টাকার বিনিময়ে সাইকেল কেনার প্রস্তাব দেয়। রুবিউক পরিকল্পনা মতো তাকে মানা করে দিয়ে বাড়ি ফেরার জন্য জঙ্গলের পথ ধরে। তারা জানে আইসক্রিম বিক্রেতা যেকোন মূল্যে তার এই সাইকেল পেতে চাইবে এবং সুচাং দস্যুদের খবর দেবে। ঠিক তাই হলো গভীর জঙ্গলে প্রবেশ করার পর সুচাং দস্যুদের দেখতে পায় রুবিউক। ঠিক ওদের দেখা মাত্রই তাড়াতাড়ি সাইকেল থেকে লাফিয়ে পরে মাটিতে গড়াগড়ি খেতে থাকে রুবিউক। আর সাইকেলটা এমনভাবে পরে যায় যেন নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে।
আমি ইন্জিনিয়ার ইমরান হাসান। মেশিন নিয়ে পেশা আর ব্লগিং হলো নেশা। কাজ করি টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইন্জিনিয়ার হিসেবে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। অবসর সময়ে ব্লগিং করি নিজের মনের খোরাক আর একটু পরিবারকে ভালো রাখার জন্য। আমি আবেগী, বড্ড জেদি, নিজেই নিজের রাজ্যের রাজা। কেউ কোথাও থেমে গেলে সেখান থেকে শুরু করতে ভালোবাসি। আমার শখ ছবি তোলা, বাগান করা আর নতুন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। মানুষকে আমি ভালোবাসি তাই মানুষ আমায় ভালোবাসে।
https://twitter.com/emranhasan1989/status/1764719049177784714?t=1TlUVu4x24iw5F3ZcWpJUg&s=19
ভৌতিক সাইকেল পর্ব দেখতে দেখতে ৬ চলে এসেছে। গল্প টি আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। অবশেষে রুবিউকের সাইকেল খেলার মধ্যে জিতে গেলো। লোভী আইসক্রিম বিক্রেতা তো এবার ভালো ভাবেই রুবিউকের পিছনে লাগবে। আশাকরি পরের পর্বে সব কিছু ভালো ভাবে বোঝা যাবে। চমৎকার গল্পটি উপহার দেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার জন্য শুভ কামনা রইল ভালো থাকবেন।
আসলে পুরাতন সাইকেল বলে তার উপরে কেউ বাজি ধরেনি। যারা নতুন সাইকেল নিয়ে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছিল তাদের পেছনে বাজি ধরেছে কিন্তু তার পুরাতন সাইকেল যে এরকম বাজিমাত করবে সেটা কেউ কখনো চিন্তা করেনি।
ভৌতিক সাইকেল এর সকল পর্ব গুলো আমি পড়েছি। আমার কাছে অনেক ভাল লেগেছে। দেখতে দেখতে পর্ব ৬ এসে পড়েছে। লোভী আইসক্রিম বিক্রেতা আবারো রুবিউক এর পিছনে লেগেছে। আশাকরি এর ফল ভালো হবে না, আপনি চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপহার দিলেন। সুন্দরভাবে উপস্থাপনা করেছেন,আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভালো থাকবেন ভাই।
ভৌতিক সাইকেলের প্রথম পর্ব পড়েছিলাম অনেকটা ভালো লেগেছিলো। এরপর আমার ব্যাস্ততায় আর নিয়মিত পোস্ট পড়া হয়ে ওঠেনি তবে আজকের পর্বে রবিউলের সাইকেল খেলায় ফার্স্ট হওয়া সব পুরস্কার লুফে নেয়া ও লোভী আইসক্রিম বিক্রেতার কু নজর সাইকেলের উপরে এবং কিনে নেয়ার প্রস্তাবে ব্যার্থ হয়ে দস্যুদের কে খবর দেয়ার খুটিনাটি সব জানতে পেরে বেশ ভালো লাগলো।ধন্যবাদ আপনাকে ভৌতিক সাইকেলের সুন্দর গল্পটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু, আমার গল্পের প্রথম পর্ব এবং ষষ্ঠ পর্ব পড়ার জন্য। আশাকরি পরবর্তী পর্ব পড়বেন।
আর চমৎকার মন্তব্যের মাধ্যমে অনুপ্রাণিত করার জন্য ধন্যবাদ জানাই।