গল্প: ভৌতিক সাইকেল। (পর্ব -২) || Story: Ghost Cycle.
রুবিউক তার কৌতুহল আর ধরে রাখতে পারলো না। বাবার কথা অমান্য করেই এই ভৌতিক সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে পড়ল জঙ্গলের রাস্তায়। সাইকেলটা চালিয়ে সে বেশ মজা পাচ্ছে, মনে হচ্ছে এটা প্যাডেল মারার আগেই দৌড়ে চলছে। তার মন খুশিতে ভরে উঠল কারন এতো চমৎকার সাইকেল সে কখনো চালায়নি। দেখতে অদ্ভুত হলে কি হবে এটা দৌড়ায় দুরন্ত গতিতে। ওদের স্কুলে সাইকেল প্রতিযোগিতায় এরকম একটা সাইকেল নিয়ে অংশ নিলে নির্ঘাত পুরষ্কার আনা যাবে। এমন উল্টা পাল্টা অনেক কিছু চিন্তা করতে করতে কখন যে একেবারে বনের গভীরে চলে এসেছে সে বুঝতেই পারলো না।
ক্রমস রাস্তা সংকীর্ণ হয়ে আসছে আর বন ঘন থেকে ঘনতর হয়ে আসছে। না আর এগিয়ে গেলে হয়তো রাস্তা হারিয়ে ফেলবে রুবিউক। সে চেষ্টা করলো তার গতি কমানোর জন্য কিন্তু অবাক ব্যাপার সাইকেল তার নিজ গতিতেই এগিয়ে যাচ্ছে। আশ্চর্য সাইকেল তার নিয়ন্ত্রণের বাইরে, মনে হচ্ছে কোন এক অদ্ভুত শক্তি তাকে আর তার সাইকেলকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। কি করবে সে, ভেতরে ভেতরে বেশ ভড়কে গেছে অল্প বয়সী ছেলেটা।
একেবারে গভীর জঙ্গলে প্রবেশ করার পর সাইকেলটা তাকে যেন ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছে। দূরে ছিটকে পরে গাছের সাথে বেশ জোরে মাথায় আঘাত পায় সে। মূহুর্তে ব্যাথায় ককিয়ে উঠলো রুবিউক। মনে হচ্ছে জ্ঞান হারাবে সে, চোখগুলো ক্রমশ ঝাপসা হয়ে আসছে। অবাক ব্যাপার সাইকেলটা তার দিকে আবারো মনে হয় এগিয়ে আসছে। ভয়ে সে চোখ বন্ধ করে ফেললো।
অদ্ভুত ব্যাপার সাইকেল থেকে কেমন ভৌতিক শব্দ ভেসে আসছে, রুবিউক চোখ খোলার সাহস পাচ্ছে না। হঠাৎ কান্নার শব্দ শুনতে পেলো সে, খুব করুন সেই কান্নার সুর। এবার ধীরে ধীরে রুবিউক চোখ খুললো। অদ্ভুত ব্যাপার আশেপাশে কেউ নেই, তাহলে কি এই সাইকেল থেকেই শব্দ ভেসে আসছে 😳
সাইকেল থেকে শব্দ ভেসে আসলো, রুবিউক ভয় পেয়ো না। তুমি যদি আমার কথা শোন তবে আমার দ্বারা তোমার কোন ক্ষতি হবে না। আমি তোমার বাবাকে মারতে চাই, সে তোমার কথা ভেবে কিছুতেই আমার কথা শুনলো না। শেষ পর্যন্ত তাকে জংখাইখো রোগ ধরিয়ে মারতে হলো। ভেতরে ভেতরে কষ্ট আর ভয় সবকিছু মিলিয়ে রুবিউকের অদ্ভুত একটা অবস্থা, কি করবে সে? ভেতরে এতোটাই ভয় কাজ করছে কলিজা যেন মুখ দিয়ে বেরিয়ে আসবে। ভয়ে ভয়ে সে বললো তুমি কেন আমার বাবাকে মারলে? আবারো অট্টহাসিতে পুরো জায়গাটা ছাপিয়ে যাচ্ছে, শোন তবে পুরো কাহিনী।
আমি গোস্তাগিজ, পরিবার নিয়ে বাস করতে নীলগাই পাহাড়ের পাদদেশে। আমার কোন সন্তান ছিল না, তবে আমার একটা সাইকেল ছিল। যে সাইকেলটা তোমার সামনে রয়েছে, এটাই আমি নিজের সন্তানের মতো যত্ন করতাম। তোমার কাছে হয়তো অদ্ভুত লাগছে একটা সাইকেল কি করে সন্তানের মতো হয়? আমার স্ত্রীর দুটো পা না থাকায় তাকে নিয়ে চলাচল করতাম এই সাইকেলটা নিয়ে। আমি, আমার স্ত্রী আর আমাদের সাইকেল তিনজন মিলে একটা পরিবার।
আমাদের দিনগুলো ভালোই কাটছিল হাসি আর আনন্দে। আমার যতটুকু উপার্জন ছিল, সেটাই দিয়ে বেশ হাসিখুশি চলছিলাম আমরা। হঠাৎ একদিন ঘটে যায় একটা করুন ঘটনা। এই বলেই সাইকেলটা থেকে করুন কান্নার আওয়াজ ভেসে আসতে শুরু করলো 😥
আমি ইন্জিনিয়ার ইমরান হাসান। মেশিন নিয়ে পেশা আর ব্লগিং হলো নেশা। কাজ করি টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইন্জিনিয়ার হিসেবে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। অবসর সময়ে ব্লগিং করি নিজের মনের খোরাক আর একটু পরিবারকে ভালো রাখার জন্য। আমি আবেগী, বড্ড জেদি, নিজেই নিজের রাজ্যের রাজা। কেউ কোথাও থেমে গেলে সেখান থেকে শুরু করতে ভালোবাসি। আমার শখ ছবি তোলা, বাগান করা আর নতুন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। মানুষকে আমি ভালোবাসি তাই মানুষ আমায় ভালোবাসে।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
https://twitter.com/emranhasan1989/status/1753831017583132806?t=1YlvVQy98bv4s42CECCJeg&s=19
ভয়ঙ্কর টাইপের গল্প গহীন জঙ্গলের মধ্যে গিয়ে এরকম ঘটনা ঘটলে তো যে কারোর অবস্থা খারাপ হয়ে যায় আর হ্যাঁ মানুষ যখন বেশি ভয় পায় তখন চোখ বন্ধ করে রাখে। আর সেই মুহূর্তে যদি দেখেন আপনার সাইকেল কথা বলছে তাহলে তো আরো বেশি ভয় পাওয়ার কথা অনেক ভালো লাগলো ভাই পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
সাইকেলটা থেকে করুন কান্নার আওয়াজ ভেসে উঠলো এই বিষয় আমার কছে অদ্ভুত লেগেছে 🫣।
আপনি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন এবং গুছিয়ে উপস্থাপনা করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে 💞।