বুক রিভিউ ( কসমোজাহি- মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন)।
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
বইয়ের গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য
----- | ----- |
---|---|
বইয়ের নাম | কসমোজাহি |
লেখক | মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন |
প্রকাশনী | বাতিঘর প্রকাশনী |
প্রথম প্রকাশ | অক্টোবর,২০২৩ |
দাম | ৩৮০ টাকা। |
এক সাংবাদিকের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে যাওয়ায় বেশ ঝামেলায় পড়ে যায় ইন্সপেক্টর গরিবে নেওয়াজ। তাকে বদলি করে দেওয়া হয় কক্সবাজার থানায়। সেটা নিয়ে সে খুবই বিরক্ত ছিল। কক্সবাজার গিয়েই তার হাতে একটা কেস এসে পড়ে। একজন আমেরিকান সাংবাদিক এর খুনের কেস। ঐ আমেরিকান কে খুন করে কেউ সমুদ্রের পাশে বালির নিয়ে লুকিয়ে রেখেছিল। আশ্চর্যজনক ভাবে ঐসময় তারই পাশে আরেকজন এর আরেকটা মৃতদেহ উদ্ধার করে তারা। ঐ মৃতদেহের পরিচয়ের জন্য বিভিন্ন হোটেলে খোঁজ করে। এবং শেষমেশ ঢাকায় চলে আসে তদন্তের জন্য। সৌভাগ্যক্রমে খুব দ্রুতই একজনকে গ্রেপ্তার করে ফেলে গরীবে নেওয়াজ। ছেলেটর নাম আরিফ। আরিফ কে ইন্ট্রোগেট করলে পুলিশের রিমান্ডের ভয়ে সে সব বলে দেয়।
তবে খুনের কেসের সমাধান করতে গিয়ে গরীবে নেওয়াজ তার পুরানো আরেকটার কেসের যোগসূত্র খুজে পায়। একটা ছিনতাই এর কেস। সে ঢাকায় থাকতে সেই কেসটা তার কাছেই ছিল। কিন্তু সে সেটার সুরাহা করতে পারেনি তখন। আরিফ নামের ছেলেটা সবকিছু বলতে শুরু করে। রাজ, হাসান, আরিফ, রাতুল এবং হিরু সবাই একসঙ্গে ইয়াবা সেবন করত। এই নেশার মাধ্যমেই তাদের পরিচয়। তবে এখানে রাতুল বড়লোক বাবার ছেলে এবং হিরু ছিল বুয়েটের শিক্ষার্থী। তবে অন্যরা একেবারে সাধারণ গড়পর্তা। একপর্যায়ে গিয়ে তারা সবাই মিলে একটা ছিনতাই করে। ছিনতাই করার জন্য তাদের একটা গ্রুপ করা হয়। গ্রুপের নাম দেওয়া কসমোজাহি। ছিনতাই সফল হয়েছিল হিরুর বুদ্ধিতে। এই পাঁচজনের লিডার ছিল হিরু। হিরু অসাধারণ মেধাবী এবং শান্ত মাথার ছেলে এই হিরু।
টাকা ছিনতাই করার পরে সবাই টাকা নিয়ে নিজেদের মতো খরচ করতে শুরু করে। একপর্যায়ে গিয়ে তারা পরিকল্পনা করে কক্সবাজার চলে যায়। কিন্তু হাসান যায়নি। আরিফ, রাজ, রাতুল তাদের গার্লফ্রেন্ড নিয়ে গেলেও হিরু কাউকে নিয়ে যায়নি। তবে পরবর্তীতে গিয়ে হিরু একজনকে নিয়ে আসে। ঘটনাচক্রে সেই মেয়ে হিরুর প্রাক্তন প্রেমিকা এবং শীর্ষ সন্ত্রাসী নাইজেল এর স্ত্রী। কক্সবাজার যাওয়ার পরে একটা ঘটনাচক্রে হাসান জানতে পারে রাতুল তার গার্লফ্রেন্ড সুহানা কে নিয়ে গিয়েছে কক্সবাজারে। এবং সুহানার সঙ্গে হাসানের ব্রেকাপের জন্য দায়ী রাতুল। এইজন্য রাগের মাথায় হাসান কাঙ্গালি জাকির যে কীনা শীর্ষ সন্ত্রাসী নাইজেল এর সহকারি তাকে নিয়ে চলে যায় কক্সবাজারে রাতুল কে মারতে। রাতের বেলা সমুদ্রে সৈকতে সবাই বার কি কিউ পার্টি করছিল। এমন সময় হাসান রাতুলকে মারতে গেলে ঘটনাচক্রে গুলি গিয়ে লাগে পাশে থাকা ঐ আমেরিকান নাগরিকের গায়ে। এবং সেখানেই সে মারা। তারপর হিরু এবং হাসান তাকে বালির নিচে পুতে রাখে।
গরীবে পরবর্তীতে জানা যায় যে দ্বিতীয় লাশ পাওয়া গেছে ঐটা হাসানের। এরপর গরীবে নেওয়াজ রাজকে গ্রেপ্তার করে আরও বেশ কিছু তথ্য পাই। ইন্সপেক্টর গরীবে নেওয়াজ পুরো ৭২ ঘন্টার মধ্যে এমন একটা কেসের সমাধান করে ফেলে। কিন্তু তখনও বেশ কিছু প্রশ্নের জবাব পাওয়া যায় না। তাহলে হাসান কে মারলো কে?? এছাড়া আর বেশ কিছু প্রশ্নের জবাব রয়েছে বইয়ের মধ্যে। এবং সবচাইতে মজাদার বিষয় কসমোজাহি নামের অর্থটা বলে রাখি আপনাদের। হিরু এবং তার চার বন্ধু ছোটবেলা একটা ফুটবল টুর্নামেন্ট অংশগ্রহণ করেছিল। সেখানে কল্যান এর ক, সহিদ এর স, মোস্তফার ম জাহিদের জ এবং হিরুর হ মিলিয়ে তৈরি হয় নামটা। নামটা হিরুই তৈরি করে। হিরু সবাইকে বলে কসমোজাহি অর্থ চ্যাম্পিয়ন। লেখক সেই অনুসারে বইয়ের নামটা দিয়েছে। গরীবে নেওয়াজ পরবর্তীতে চেষ্টা চালিয়ে যায়। আপনাদের কী মনে হয় শেষ পযর্ন্ত কী হিরু কে ধরতে পারবে পুলিশ? কেসটার কী পুরোপুরি রহস্য উন্মোচন হবে। হাসান কে খুন করল এটা জানা যাবে? এগুলো জানতে গেলে আপনাকে বইটা পড়তে হবে।
ব্যক্তিগত মতামত
কোন বই কখনও খারাপ হয় না। তবে সাইকোলজিক্যাল থ্রীলার এবং ক্রাইম থ্রীলারের প্রতি আমার আলাদা একটা ভালো লাগা কাজ করে। এবং বর্তমানে ক্রাইম থ্রীলার লেখক হিসেবে মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন খুবই জনপ্রিয়। বিশেষ করে তার রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি বই প্রকাশ হলে কলকাতায় উনি জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। কসমোজাহি উনার অসাধারণ একটা বই। পুরোটা পড়ে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। আপনাদের যাদের ক্রাইম থ্রীলার পছন্দ তারা বইটা পড়তে পারেন।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
শুধু একটা চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর। তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না 😊।
আপনি কি জানেন, সম্মিলিত চেষ্টা থেকেই সফল হয়! 🙏
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাত্র। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
চলো, আমাদের কথা গুলি শুনে নিয়ে একত্রিত হই 🙏
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.